![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ নিয়ে খুব চিন্তায় মগ্ন থাকি। ভালবাসি আমার এই দেশটাকে।
"**এক্সিকিউটিভ ডিসিশন**" একটি আমেরিকান অ্যাকশন-থ্রিলার সিনেমা, যা ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন স্টুয়ার্ট বেয়ার্ড এবং এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন কার্ট রাসেল, স্টিভেন সিগাল, হ্যালি বেরি, জন লেগুইজামো এবং ডেভিড সুচেট। এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও বুদ্ধিদীপ্ত অ্যাকশন মুভি, যেখানে বিমান ছিনতাই, সন্ত্রাসবাদ, এবং সাহসী উদ্ধার অভিযানের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে।
### **কাহিনি সংক্ষেপ**
সিনেমার মূল কাহিনি আবর্তিত হয়েছে একটি বিমান ছিনতাইকে কেন্দ্র করে। একদল উগ্রপন্থী চরমপন্থী গোষ্ঠী আটলান্টিকের ওপর উড়ে যাওয়া একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান ছিনতাই করে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী বিষাক্ত গ্যাস ছড়ানোর হুমকি দেয়। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে মুক্ত করা, যাকে মার্কিন সরকার বন্দি করেছে।
এই সংকট মোকাবিলায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর একদল বিশেষজ্ঞ এবং সিআইএ-এর গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড. ডেভিড গ্রান্ট (কার্ট রাসেল) নেতৃত্বে একটি বিপজ্জনক উদ্ধার অভিযানে নামে। বিশেষ কমান্ডো টিমের সদস্য কর্নেল ট্র্যাভিস (স্টিভেন সিগাল) এবং তার দল একটি সামরিক উড়োজাহাজ থেকে যাত্রীবাহী বিমানে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযানের মাঝপথেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কর্নেল ট্র্যাভিস নিহত হন, ফলে দলনেতার দায়িত্ব এসে পড়ে ড. গ্রান্টের ওপর, যিনি মূলত একজন বুদ্ধিজীবী এবং সরাসরি যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেই।
এরপর, বাকি দল বিমানে প্রবেশ করে এবং যাত্রীদের নিরাপদে উদ্ধারের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের পরাজিত করার জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করে। বিমানে থাকা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট জিন (হ্যালি বেরি) তাদের সহায়তা করে। টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে চলে এবং শেষ পর্যন্ত গ্রান্ট ও তার দল সন্ত্রাসীদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়।
### **অভিনয় ও চরিত্রায়ণ**
কার্ট রাসেল তার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন, বিশেষ করে একজন সাধারণ গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্র থেকে ধাপে ধাপে এক দৃঢ়নিশ্চয় বীর হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার দৃশ্যগুলো দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখে। স্টিভেন সিগালের উপস্থিতি সংক্ষিপ্ত হলেও শক্তিশালী, যদিও তার চরিত্রটি অপ্রত্যাশিতভাবে খুব দ্রুত বিদায় নেয়, যা অনেক দর্শকের জন্য বিস্ময়কর ছিল।
হ্যালি বেরি ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন এবং তার চরিত্রের উপস্থিতি পুরো সিনেমায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করেছে। অন্যদিকে, ডেভিড সুচেট মূল ভিলেন হিসেবে তার চরিত্রে বিশ্বাসযোগ্য অভিনয় করেছেন, যা সিনেমার থ্রিলার উপাদানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
### **পরিচালনা ও চিত্রনাট্য**
স্টুয়ার্ট বেয়ার্ডের পরিচালনা নিখুঁত ও সুনিপুণ। সিনেমার টানটান উত্তেজনা, প্লটের গতিশীলতা, এবং অ্যাকশন দৃশ্যগুলোর বাস্তবধর্মী চিত্রায়ণ একে এক বিশেষ রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় পরিণত করেছে। সিনেমার চিত্রনাট্যও বেশ ভালোভাবে লেখা হয়েছে, যা দর্শকদের ধরে রাখতে সক্ষম।
### **কারিগরি দিক ও সংগীত**
সিনেমার ভিএফএক্স ও স্পেশাল ইফেক্টস ৯০ দশকের মান অনুযায়ী যথেষ্ট ভালো ছিল। বিমানের ভেতরে এবং বাইরে অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বাস্তবসম্মত এবং থ্রিলিং। জেরি গোল্ডস্মিথের সঙ্গীত পুরো সিনেমার আবহকে আরও বেশি উত্তেজনাপূর্ণ করেছে।
### **চূড়ান্ত মূল্যায়ন**
"**এক্সিকিউটিভ ডিসিশন**" একটি উত্তেজনাপূর্ণ, দমবন্ধ করা থ্রিলার যা অ্যাকশন ও ষড়যন্ত্রমূলক গল্প পছন্দ করা দর্শকদের জন্য আদর্শ। যদিও কিছু চরিত্রের বিকাশ আরও ভালো হতে পারত, তবুও এটি ৯০-এর দশকের অন্যতম স্মরণীয় অ্যাকশন-থ্রিলার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।
**রেটিং: ৮/১০**
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুভিটি দেখি নাই।
এরকম মুভি গুলো দেখে দেখেই কি টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছিলো?