![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উদ্দেশ্যহীন ভাবে বেচে থাকার চেয়ে,অজানা পথের সন্ধানে পারি দিয়ে,নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করাই শ্রেয়।
ভূমিকম্পের মত আগ্রাসী প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো
কোন ইশ্বরের অভিশাপ নয়, এগুলো মানব সৃষ্ট
দুর্যোগ। ভূমিকম্প কেবল নেপালে হয়েছে তা
নয়, এই পর্যন্ত পৃথিবীর অনেক দেশ ভূমিকম্পের
শিকার হয়েছে। যেকোন সময় যেকোন
দেশে ভূমিকম্প হতে পারে। নেপালের বাতাসে
আজ কেবল ভেসে বেড়াচ্ছে গলিত লাশের
গন্ধ, স্বজন হারানোর বুকফাটা আহাজারি। এই কান্নার
শেষ হয়তো কারো জানা নেই। কারো উপকার
করতে চাইলে বেশি সম্পদের প্রয়োজন নেই।
একটি উন্নত মন, মানবিক চেতনাই যথেষ্ট। আমাদের
দেশে যখন কোন বিপর্যয় ঘটে তখন সবাই
সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সবাই
ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমাদের ব্যক্তিগত অনেক
সমস্যা, অনেক অভাব-অভিযোগ থাকে। তবুও আমরা
নিজেরটাকে একপাশে রেখে অপরের দুর্দিনে
পাশে দাঁড়াই। এটাই মানবিকতা। এই মানবিক সত্ত্বাটা
এদেশের মানুষের মধ্যে আছে। বৌদ্ধধর্মে বলা
আছে, “মাতা যেমন নিজের জীবন দিয়ে তাঁর
একমাত্র পুত্রকে রক্ষা করে থাকেন, তেমনি সকল
প্রাণীর প্রতি অপ্রমেয় মৈত্রীভাব পোষণ
করবে।” [করণীয মেত্তসূত্তং] এই দেশের মানুষ
এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। বাংলাদেশে
এখন কেবল অনুরণিত হচ্ছে ভূপেন হাজারিকার
বিখ্যাত সেই গান-
“মানুষ মানুষের জন্যে ,জীবন জীবনের জন্যে
,একটু সহানুভূতি কী ,মানুষ পেতে পারে না ,ও বন্ধু
মানুষ মানুষের জন্যে”
©somewhere in net ltd.