বঙ্গটা স্বাধীন কিন্তু অঙ্গটা নয়

০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৯

স্বাধীন বঙ্গে আমার বাবা ও গনতন্ত্রের চাষ করেছেন। আমার বাবার গনতন্ত্রটা ছিলো ঠিক অন্যরকম। নিজের পায়ে দাড়ানো আর স্বাধীন পেশায় নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা। এটা একটা চরম গনতন্ত্রের নাম। তবে তার সবথেকে কনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে যতটুকু শিক্ষা পেয়েছিলাম তার কোনটাই বোধ করি ঠিকমত কাজে লাগেনি। কাজে লাগেনি বা এই সমাজ কাজে লাগাতে দেয়নি সেই বিতর্কে যেতে চাই না। একজন সন্তানের কাছে তার বাবা যেমন আদর্শ ঠিক স্বাধীনতাও তেমন একটা দেশের আদর্শ। বাবা এবং স্বাধীনতা এই আদর্শকে লালন করেই বড় হয়েছি। বড় হয়েছি গনতন্ত্রের চাষ করবো বলে। নীল চাষের কথা ইতিহাসে পড়েছি বা জেনেছি। সেই নীল চাষ আর আমাদের বর্তমান গনতন্ত্র দুটোতেই বর্গিদের সুকৌশল কোমল ছায়া বাবার সেই গনতন্ত্র আর বঙ্গের স্বাধীন শব্দটাকে কেমন যেনো লজ্জায় ফেলে দেয়। একদল ছিচকে চোর স্বাধীনতাটাকে চুরি করে রাষ্ট্রের নড়বড়ে চৌকিতে বসে গনতান্ত্রিক পন্থায় ভাগাভাগি করে চুরি করা মাল আর রাষ্ট্র তখন চুরি করার অপরাধে ইদুর বিড়ালকে সায়েস্তা করতে মরিয়া। ঘরের ভেতরে ডাকাত পুষে ওঠানে ইদুরের গর্তে পানি ঢালাও যেনো রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। বলবো না কিছুই, কিছু বলতে চাই না। বললে খুন হবো অথবা জাতীর কলঙ্ক মুক্ত করতে আমার রক্ত ভেসে যাবে রাজধানীর ফুটপাত। লাশ ভাগাভাগি হবে রাজনৈতিক পন্থায়। ওমন সাহস নেই আমার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলবো। আমার বাবা বৃদ্ধ হয়েছে অনেক আগেই। স্বাধীন দেশে তিনি আর এখন গনতন্ত্রের চর্চা করতে পারেন না। তিনি এখন পরাধীন ঠিক আমার মত বা আমাদের মত। স্বাধীন বঙ্গে আমার দেহটা রাষ্ট্রের করুনার দান। আমার বুকে পিঠে চাবুক চালানো রাষ্ট্রের গনতান্ত্রিক অধিকার। শুধু লাশ হওয়া আমার গনতান্ত্রিক অধিকার। প্রতিদিন রাষ্ট্রিয় কায়দায় খুন হবে মানুষ আর নির্বাক যন্ত্রের মত বিচারহীন সভ্যতাকে মেনে নিয়ে আপনিও খুন হওয়ার অপেক্ষায় থাকবেন। কোন আওয়াজ করবেন না। যত কম আওয়াজ করবেন তত বেশিদিন বাঁচার টিকেট পাবেন।

১ টি +০/-০