নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ১৯৭১ এর যুদ্ধ দেখিনি কিন্তু ২০১৩ সালের সহিংসতা আমাকে আমার মনকে বার বার প্রশ্ন করে আমি কি একটা স্বাধীন দেশে বাস করি? কিভাবে বলি যে এটা স্বাধীন রাষ্ট্র,যেখানে সাধারণ জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই, নেই কোন স্থিতিশীলতা আছে শুধু হানাহানি লুটপাট আর নৈরাজ্য। মাঝে মাঝে মনে হয় সরকার ও বুঝি এদেশটাকে পণ্য করে রেখেছে। তারা শুধু বানিজ্যের জন্য সবকিছু যোগান দিচ্ছে আর আমরা জনসাধারণ তার একেকটা পণ্য। শুধু সরকার কেন এদেশের কিছু বিরোধী দলগুলাও যেন গায়ে বাতাশ দিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। ঘুরবেই তো তাদের সন্তানরা দেশের বাহিরে পড়াশুনা করছে তাই তাদের মাথায় পড়াশুনা নামক কোন বস্তুর চিন্তাই নেই। আজ যে তরুণ প্রজন্ম রাজাকারদের বিচারে রাজপথে আন্দোলন শুরু করেছে আমি তাদের এ আন্দোলনকে স্বাগতম জানাই। তাদেরকে বলব যুগে যুগে পৃথীবিতে শান্তি একদিনে আসেনি। আমাদের মধ্যে যে সচেতনাতার মনোভাব জাগ্রত হয়েছে এ তারি বহিঃপ্রকাশ। আমি তাদের বলব তোমারা এগিয়ে যাও , হয়ত একদিন তোমাদেররই দারা দেশের মানুষগুলাকে তাদের আধিকার, ন্যায় , অন্যায় সর্বোপরি একটা অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। একাত্তুরে যেভাবে রাজাকাররা এদেশের সংখালঘুদের ওপর নির্দ্বিধায় অত্যাচার অবিচার শোষণ করেছে ঠিক তেমনি এই ২০১৩ সালেও রাজাকারদের বংশভুতু জামাত শিবিরা একি ভাবে তাণ্ডব শুরু করেছে। আমার জানা মতে ধর্ম কখনও অন্যায় শিখায় না। কোন ধর্মই বলে না মানুষ হত্যা কর, জবাই কর , অন্য ধর্মের ওপর আঘাত হানো। তাহলে এই ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা বেধর্মীদের হত্যা করছে,তাদের বাড়িঘর পুরিয়ে তছনছ করছে,কারনে অকারনে আগুন জালিয়ে দিচ্ছে তারা কি আসলে ধর্ম কি জানে নাকি শুধু জানার ভ্যান করে। আল্লাহ কি তাদের দেখছেন না তাদের ধারণা? তাদের চোখ হয়ত বন্ধ কিন্তু বিধাতার চোখ সমসময় খোলা, তিনি দেখছেন তোরা কত দূর যেতে পারিস। আমার মা বলেন, খারাপ মানুষ শাস্তি পায় ধিরে। হ্যা ওই জানোয়ারদের শাশ্তিও হবে। আজ এই দুঃসময়ে আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকতে সচেতন হতে হবে। যারা দেশে নিরাজ্য সৃষ্টি করছে আমাদের উচিত একযোগে তাদের মোকাবেলা করা। হিন্দু , খ্রীষ্টান , বৌদ্ধ , মুসলমান সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মানবতার স্বার্থে। আমরা এদেশর জনগণ, ধর্ম যার যার কিন্তু দেশ সবার। সবাই মিলে একটা অসপ্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের আজ সবাইকে সবার পাশে থাকতে হবে বন্ধু বেশে। ভুলে গেলে চলবে না আমরা চাইলে পারি এদেশ থেকে জামাত শিবিরদের নির্মূল করতে। আজ যখন এরা নিরীহ পুলিশদের হত্যা করছে আমরা চাইলে একত্রে তাদের সহায়তা করতে। শুধু রাষ্ট্রর দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। আমাদের প্রত্যেককে রাস্তায় নেমে রক্ষা করতে হবে এই নিরীহ জনসাধারণ থেকে শুরু করে আশেপাশের সকল বেধর্মীদের । নতুবা দিনে দিনে আমরা আন্ধকারে রয়ে যাব, কোন আশার আলোই খুজে পাব না। আজ এই রাজনীতিবিদের অরাজকতায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে নাগরিক জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে। আর আমাদের দাবি আমাদেরকেই সামনে নিয়ে এগোতে হবে। কেননা উনারাদেরতো সন্তানরা এস এস সি দিবে না। যত ঝামেলা আমাদের এই জনসাধরনের। আমাদেরকেই রুখে দাঁড়াতে হবে আজ রাজাকারদের বিরুদ্ধে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে। আর জামাত শিবিরকে একযোগে সায়েস্তা করতে হবে। আমরা যদি চাই জানোয়ারদের পঙ্গু করতে। ওরা যখন আমাদের জবাই করে আমরা পারিনা কিছু করতে। কিন্তু যদি চাই একযোগে উচিৎ শিক্ষা দিতে। আর এদেশের কল্যানে সকলকে বুঝিয়ে দিতে আমরা বাঙালি, বাঙালিকে কখনও দাবিয়ে রাখা সম্ভব না। আজ সরকারের সকল ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিতে। আমাদেরকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে।
(বিঃদ্র – আমি নতুন ব্লগার এটা আমার প্রথম লেখা )
©somewhere in net ltd.