নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার লেখা আপনাদের কথার সাথে মিলবেনা এটাই সত্য। কারন কেউতো একজন থাকা চাই যে আলাদা ভাবে দুনিয়াকে দেখবে। আপনি পজিটিভ ভাবে আমার লেখা পড়লে আপনাকে স্বাগতম। আর নেগেটিভ ভাবনা নিয়ে পড়লে আমার কিছু করার নাই। ভালো চিন্তা করুন। দেশ, জাতি, আর ধর্মকে ভালোবাসুন।

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন

মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের জন্য স্বর্ণ বা রুপার আংটি ব্যবহার জায়েজ আছে কি?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩২




পুরুষের জন্য স্বর্ণ বা রুপার আংটি ব্যবহার জায়েজ আছে কি?


না রীর অলঙ্কারের ব্যাপারে ইসলাম অনেকটা নমনীয়। কিন্তু পুরুষের অলঙ্কার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক নিয়মনীতি, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। ইসলামের প্রাথমিক যুগে পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও পরে তা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (স) স্বর্ণের আংটি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন (বোখারি ও মুসলিম)। হজরত হুবাইরা ইবনে বারিম (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রা) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (স) আমাকে স্বর্ণের আংটি ও রেশমি কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন এবং লাল গদিতে বসতে, আর যব এবং গমের শরবত পান করতে নিষেধ করেছেন। (নাসাঈ)।
হাদিসে রুপার আংটি পরার অনুমতি দিলেও তা ততটা গুরুত্ব বহন করে না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ (স) এর কাছে এক লোক আগমন করল, যার হাতে ছিল একটি লোহার আংটি। তখন রসূল (স) বললেন, তোমার হাতে দোজখিদের পোশাক দেখছি কেন? তখন সে ব্যক্তি তা খুলে ফেলে দিল। দ্বিতীয়বার যখন ওই লোকটি আবার এলো, তখন তার হাতে ছিল পিতলের আংটি। তখন রসূল (স) বললেন, আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি, তখন সে তা ফেলে দিল এবং বলল, ইয়া রসূলুল্লাহ তাহলে আংটি কোন্ বস্তু দ্বারা তৈরি করব? তখন রসূল (স) বললেন, রুপার আংটি তৈরি করো, আর তা যেন সাড়ে চার মা’শা হতে কম হয় (নাসাঈ)। হজরত ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, রসূল (স) একটি রুপার আংটি তৈরি করেছিলেন, এটা তার হাতে ছিল, তারপর আবু বকর (রা) খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর তার হাতে ছিল। তারপর ওমর (রা) এর হাতে, তারপর ওসমান (রা) এর হাতে ছিল। তারপর তার হাত থেকে মদিনার ‘আরিস’ নামক কূপে পড়ে যায়, তা আর পাওয়া যায়নি। আংটির ওপর ‘মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ খোদিত ছিল (বোখারি)।
উল্লেখ্য, অত্র হাদিস অনুযায়ী রসূল (স) এর আংটিতে খোদাই করা থাকলেও তা অন্যদের জন্য খোদাই করা নিষেধ ছিল। যা অন্য হাদিসে বিদ্যমান। আংটি কোন্ হাতে এবং কোন্ আঙুলে পরতে হবে তা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা) বর্ণিত যে, রসূল (স) তার ডান হাতে আংটি পরতেন। (নাসাঈ)। বাম হাতে পরারও বর্ণনা রয়েছে। রসূল (স) যখন পায়খানায় প্রবেশ করতেন, তখন তাঁর আংটি খুলে রাখতেন (নাসাঈ)। তর্জনী, মধ্যমা, বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠ আঙুলে আংটি পরা নিষেধ। হজরত আলী (রা) বলেন, রসূলুল্লাহ (স) আমাকে এ আঙুলে অর্থাত্ বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠতে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন (ইবনে মাজাহ)।
অনুরূপভাবে রুপা দ্বারা নির্মিত অলঙ্কারও পুরুষের জন্য ব্যবহার করা জায়েজ নেই। কেননা রুপা মূলত স্বর্ণের মতোই, তবে রুপার আংটি কোমর বন্ধনী এবং তরবারির অঙ্গসজ্জার জন্য রুপার ব্যবহার হলে তা জায়েজ। কেননা, এগুলো নমুনার মতো জিনিস, আর রুপায় যেহেতু স্বর্ণের কাজ হয়, তাই স্বর্ণ ব্যবহার করা আমাদের আবশ্যক নয়, রুপার ব্যবহার মোবাহ হওয়ার ক্ষেত্রে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। জামে সগীর গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর আংটি পরিধান করা জায়েজ নেই। তাতে প্রতীয়মাণ হয় যে, পাথর, লোহা এবং পিতল দ্বারা আংটি তৈরি করা নিষিদ্ধ। আংটির ক্ষেত্রে মূল কথা হচ্ছে যে, আংটি ব্যবহার হারাম, প্রয়োজনের তাগিদে সিলমোহর ও নমুনার ক্ষেত্রে মোবাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাদশাহ তথা রাষ্ট্রপ্রধান ও বিচারকের যেহেতু সিলমোহরের প্রয়োজন হয় তাই তারা আংটি ব্যবহার করতে পারবেন। তাদের ব্যতীত অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য আংটির ব্যবহার বর্জন করা উত্তম। ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) বলেন, আংটির নকশার ছিদ্রের স্বর্ণের তৈরি পেরেক ব্যবহারে কোনো দোষ নেই। কারণ, এটি আংটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বস্তু (মূল বস্তু নয়)। যেমন কাপড়ে খচিত নকশা। অতএব এ কারণে তাকে স্বর্ণ পরিধানকারী বলে গণ্য করা হবে না।
সফরকালীন অবস্থায় নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। আমাদের সমাজে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, পুরুষরা বিভিন্ন ধরনের ধাতু দ্বারা বিভিন্ন রকম অলঙ্কার ব্যবহার করে থাকে, যা হাদিসের পরিপন্থি। পুরুষের অলঙ্কার ব্যবহারের ক্ষেত্রে যত হাদিস উল্লেখ আছে তা প্রায় সবগুলোই প্রয়োজনের আয়োজন মাত্র।


জবাব:
তাকদীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনা বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার যেমন–শনির দশা, রাহুর গ্রাস ও কালের দৃষ্টি থেকে রক্ষা; ফাড়া কাটানো, দূর্ভাগ্য দূর করা, সৌভাগ্য আনয়ন করা; এসব উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার করা হারাম ও শিরিক। এছাড়া পুরুষের জন্য দুই শর্তে আংটির ব্যবহার করা জায়েয। এক. রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করবে। দুই. পাঁচ মাশা (৪.৮৬ গ্রাম) থেকে কম হতে হবে। (আহসানুল ফাতওয়া খণ্ড : ৮, পৃ. ৬৯-৭০/রদ্দে মুখতার, খণ্ড : ৫, পৃ. ২২৯)

যেসব ধাতু কাফিরদের সঙ্গে কিংবা তাদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যেমন শিশা, পিতল, কাঁসা ও লোহার আংটি ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য মাকরূহ। পিতল, কাঁসা ইত্যাদি ধাতব কাফিরদের মূর্তি নির্মাণ ও আসবাবপত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাদের অনেকে লোহাকে বিশেষ পূজা-অর্চনায় ব্যবহার করে- (ইসলাম বনাম বিজাতির অনুকরণ, হাকিমুল উম্মত ক্বারী তৈয়্যব সাহেব (রহ.) পৃ. ১৭১-১৭)। তাছাড়া দোযখীদেরও শাস্তিস্বরূপ লোহার বেড়ী পরানো হবে।

তবে অসুস্থতার কারণে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে অন্য ধাতুর আংটি ব্যবহার করা যাবে। আমাদের প্রিয় নবী(সা.) রাষ্ট্রীয় দাপ্তরিক কাজে সীলমোহর হিসেবে রুপার আংটি ব্যবহার করতেন। তাতে লেখা ছিল ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’। আংটি প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে তায়মিয়া (রহ.), হজরত আবদুল কাদির জিলানি (রহ.) ও ফিকাহবিদদের থেকে নিম্নরূপ অভিমত নকল করেছেন। (ইকতিজাউস সিরাতুল মুস্তাকিম)

স্বর্ণের আংটি বা সোনার অন্য যে কোন অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য একেবারে হারাম। আবু মুসা আশ‘আরী (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন,

أُحِلَّ الذَّهَبُ وَالْحَرِيرُ لِإِنَاثِ أُمَّتِي، وَحُرِّمَ عَلَى ذُكُورِهَا

“আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশম ও স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং পুরুষদের জন্য হারাম করেছেন।”(সুনান নাসাঈ হাদীস নং-৫২৬৫)



পুরুষদের আংটি পরিধানের ব্যাপারে আমাদের শরিয়ত কি বলে? আংটি স্বর্ণ বা রুপার পরিমান কি হলে পরিধান করা যাবে ?–-
জবাব: তাকদীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনা বিশেষ উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার যেমন–শনির দশা, রাহুর গ্রাস ও কালের দৃষ্টি থেকে রক্ষা; ফাড়া কাটানো, দূর্ভাগ্য দূর করা, সৌভাগ্য আনয়ন করা; এসব উদ্দেশ্যে আংটি ব্যবহার করা হারাম ও শিরিক। এছাড়া পুরুষের জন্য দুই শর্তে আংটির ব্যবহার করা জায়েয। এক. রৌপ্যের আংটি ব্যবহার করবে। দুই. পাঁচ মাশা (৪.৮৬ গ্রাম) থেকে কম হতে হবে।
(আহসানুল ফাতওয়া খণ্ড : ৮, পৃ. ৬৯-৭০/রদ্দে মুখতার, খণ্ড : ৫, পৃ. ২২৯)
যেসব ধাতু কাফিরদের সঙ্গে কিংবা তাদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ যেমন শিশা, পিতল, কাঁসা ও লোহার আংটি ব্যবহার করা মুসলমানদের জন্য মাকরূহ। পিতল, কাঁসা ইত্যাদি ধাতব কাফিরদের মূর্তি নির্মাণ ও আসবাবপত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাদের অনেকে লোহাকে বিশেষ পূজা-অর্চনায় ব্যবহার করে- (ইসলাম বনাম বিজাতির অনুকরণ, হাকিমুল উম্মত ক্বারী তৈয়্যব সাহেব (রহ.) পৃ. ১৭১-১৭)। তাছাড়া দোযখীদেরও শাস্তিস্বরূপ লোহার বেড়ী পরানো হবে।
তবে অসুস্থতার কারণে বিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে অন্য ধাতুর আংটি ব্যবহার করা যাবে। আমাদের প্রিয় নবী(সা.) রাষ্ট্রীয় দাপ্তরিক কাজে সীলমোহর হিসেবে রুপার আংটি ব্যবহার করতেন। তাতে লেখা ছিল ‘মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ’। আংটি প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে তায়মিয়া (রহ.), হজরত আবদুল কাদির জিলানি (রহ.) ও ফিকাহবিদদের থেকে নিম্নরূপ অভিমত নকল করেছেন। (ইকতিজাউস সিরাতুল মুস্তাকিম)
স্বর্ণের আংটি বা সোনার অন্য যে কোন অলংকার ব্যবহার পুরুষের জন্য একেবারে হারাম। আবু মুসা আশ‘আরী (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন,
ﺃُﺣِﻞَّ ﺍﻟﺬَّﻫَﺐُ ﻭَﺍﻟْﺤَﺮِﻳﺮُ ﻟِﺈِﻧَﺎﺙِ ﺃُﻣَّﺘِﻲ، ﻭَﺣُﺮِّﻡَ ﻋَﻠَﻰ ﺫُﻛُﻮﺭِﻫَﺎ
“আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের নারীদের জন্য রেশম ও স্বর্ণ হালাল করেছেন এবং পুরুষদের জন্য হারাম করেছেন।” (সুনান নাসাঈ হাদীস নং-৫২৬৫)
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.