![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নটবর যখন নারীবাদী
- মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন - নটবর সিরিজ
নটবর চিন্তাতে মশগুল।
সে করিয়াছে একটা ভুল।
পুরুষেরা তো তাহার ভক্ত।
নারীরাতো এখনো তাহার কাছে আসেনি।
কি করিবে নটবর ভাবিয়া না পায়।
ভাবিতে ভাবিতে সে খুঁজিয়া পায় উপায়।
নটবর কেনো ঘোরতর ভাবে নারীবাদী হয়নি?
তাকে লেখতে হবে নারীদের নিয়ে।
তবেইতো নারীকুল আসিবে তাহার কাছে প্রেম নিয়ে।
তখন নটবর লেখিতে শুরু করে।
নারীরা প্রথমে বাবার ঘরে।
এবং ভাইয়ের , স্বামীর এবং ছেলের ঘর।
একদিন সে সবার কাছে হয় পর।
নারীদের চাই একটি নিজের ঘর।
এই নিয়ে সে লেখলো স্ত্রীর একটি ঘরের অধিকার।
যেমন আছে তাহার স্বামীর।
এখন সে বিপাকে পরিলো।
বাচ্চা কি গাড়িতে থাকিবে?
একদিন মার কাছে।
একদিন বাবার কাছে।
অতি অভিনব একটি পরিবার।
অতি অভিনব সব কবিতার আবিষ্কার।
এইভাবে নটবর কবি হয়ে গেলো।
তাহার কাছে নারী ভক্তদল আসিতে লাগিলো।
এখন নটবর খুশিতে নাচিলো।
আনন্দের জোয়ারে ভাসিলো।
নটবর লেখিতে লেখিতে চায়ের কাপ ভরে দেয় নারী।
তাহার পা সালাম করে নারী।
তাহাকে চিঠি পাঠায় কতো নারী ভক্ত।
নটবর এই দেখিয়া পুলকিত হয়।
নটবর লেখে শেষে।
এই সকল নারীদের সব দিবো আমি এই দেশে।
যাহা চাইবে তাহারা।
সব কিছুই পাইবে উহারা।
তাহাদের লাগি জীবন দিতে রাজি।
তাহাদের স্বাধীন করিয়া দিলাম আজি।
আজাদ হও হে নারীর দল।
পাখা মেলো নীল আকাশে।
বাতাসে উড়ে বেড়াও।
তোমার পোশাকি লাগাম ছাড়িয়া দাও।
পোশাক সেতো পরাধীনতার অংশ।
বোরকা কে করিয়া দাও ধ্বংস।
পোশাক তো মানুষ করে না।
মানুষ করে মন।
এই সব বলিতে লাগিলো নটবর যখন তখন।
আসলে নটবর তো চায় অন্য কিছু।
নটবর চায় সব নারী ছুটুক তাহার পিছু।
সবাই তাহাকেই করুক প্রেম নিবেদন।
তাই সে এই ভাব ধরিয়াছে।
অধিকার অধিকার চিৎকার করিতেছে।
সকল নারী তাহাকে গুরু মানিতেছে।
তাহার ললাটে চুমু খাইতেছে।
তাহাকে প্রেম পুরুষ মানিতেছে।
এটাই তো নটবরের চাওয়া।
এই সবকিছু নটবরদের চাওয়া।
তারা যাহা চায়।
ছলে, বলে, কলে কৌশলে তাহাই পাইতে চায়।
ইহাদের বড্ড লোভী মন।
ইতর আর নষ্ট মন।
এরা বড্ড চালাক।
©somewhere in net ltd.