![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[গুগল মামুর ছবি))
ছোট যখন ছিলাম। তখন আমাদের এক দাদি ছিল। তাকে আমরা সবাই বুবু (বোন) ডাকতাম। আমরা রোজ উঠোনে তার সাথে ঘুমাতে যেতাম। গল্প শোনার পর যার যার ঘরে যেতাম। তিনি প্রাই বিভিন্ন গল্পে তেঁতুল গাছের ভুত সম্পর্কে গল্প বলতো
১)
আমাদের ফুফুর বাড়িতে একটা তেঁতুল গাছ ছিলো, তো কেউ তার নিচে যেতোনা। কারন একটা কথিত কাহিনী আছে। কাহিণী হল অনেক আগে এক লোক এই গাছের নিছে একটা কিছুকে গাছে উঠে যেতে দেখেছিল। মনে হয়েছিলো কোন সাদা কাপড় পড়া মহিলা। আরেকবার কাকে জানি অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মুখ দিয়ে লালা ঝাড়ছিল। অবস্থা খুব খারাপ ছিল।
২) এটা সত্য কাহিণী। এক লোক ছিল তার বাড়ি ছিল একটা বাশ বাগানের ভিতর। তার ঘরের উত্তর পাশে একটা তেঁতুল গাছ ছিলো। তো সেই সময় মানুষ অনেক রাতে বাজার হতে আসতো। তো সে একদিন অনেক রাতে যখন ওই পথ দিয়ে আসছিলো, ওই লোক অভ্যাস অনুযায়ী একটা বিড়ি হাতে নিলো। আর গাছের নিচে বসলো। সে গাছে কিসের আওয়াজ শুনলো। আর তার শরীর খারাপ লাগতে লাগলো আর জ্ঞান হাড়ালো। পড়ে আরেক লোক যখন ওই পথ দিয়ে আসছিল দেখে সে পড়ে আছে। আর সে সব কাহিনী খোলে বলে।
৩)তখন আমরা ছোট ছিলাম। একদিন খালার বাড়ি গেলাম। ওই এলাকা এতো ঘন জংগলে যে তখন ঘরের উঠোনে শিয়াল আসতো । আর তাদের এলাকার এক মহিলার বাচ্চাকে সেই শিয়াল নিয়ে গিয়েছিলো তাও আবার ঘর থেকে। তো আমি গিয়ে শুনি তাদের বাড়ির উত্তরে একটা তেতুল গাছ আছে । সেখানে অনেক ঘন জংগল দিয়ে ঢাকা। এতো ঘন জংগল যে দিনেও মানুষ যেতে ভয় পায়। তো সেখানে পেত্নী থাকে। এই পেত্নী রোজ রাতে আগুন জালায়। রোজ না হলেও মাঝে মাঝে। তো আমার ভাই আমাকে বললো জীবনে পেত্নী দেখেছো? আমি বললাম না । তো আজ দেখাবো । কোন কথা বলবে না কাউকে বলবে না। রাতে চুপি চুপি যাবো । আর তোমাকে দেখাবো। আমি খুব
ভয়েও আছি আবার দেখার খুব ইচ্ছা। যে পেত্নী কেমন হয়। তো রাত হল। আমরা বাড়ির পশ্চিম দরজা খোলে তার পিছনে গেলাম। অনেক রাত, চারদিকে অন্ধকার। কিছু দেখা যাচ্ছে না। তো দূরে একটা আলো মিটি মিটি করে জলে। সাধারণ আগুনের মতো নয়। এটা একটু বেগুনী হবে আবার মানে অন্য রং এর। তো সেদিন ভাবলাম যা এতোদিনে মনের আশা পুরন হল। পেত্নী দেখলাম তার আগুন দেখলাম। আবার ভয়ে হাত পা ঠান্ডা লাগছিল। না জানি ওই পেত্নী আমাদের দেখে ফেলে। সেদিন রাতে একদম ঘুম হয়নি ।
আসুন এই ঘটনা গুলো ব্যাখ্যা করি ।
তখন জানতাম না যে পচা ময়লা আবর্জনা পচে কোন ঢোবা বা পুকুরে জমা হলে সেখানে মিথেন গ্যাস হয়। আর যা বাতাসের স্পর্শে এলে জ্বলে ।
জলাভূমিতে নানারকম জৈব পদার্থ পচে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই কারণে একে marsh gas ( জলাভূমির গ্যাস) বলা হয়। অনেক সময় এই গ্যাস জলাভূমির উপরে উঠে আসার পর বাতাসের সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে। রাতের বেলায় জলাভূমিতে এই জ্বলে উঠা মিথেনের আলো ছোটছুটি করতে দেখা যায়।
আমি তখন এটাও জানতাম না যে
তেঁতুল, বট, অশ্বত্থ প্রভৃতি বড় গাছের ডালপালা ছড়ানো থাকে। সন্ধ্যার পর গাছের সালোক সংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, শুধু চলে শ্বাস-প্রশ্বাস। এ সময় কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়। এই গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী বলে গাছের নিচে জমা হয়। তাই কেউ যদি রাতে এসব বড় গাছের নিচে ঘুমায় তাহলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বিষক্রিয়ায় সে জ্ঞান হারাতে বা এমনকি মারাও যেতে পারে। এ থেকেই প্রচলিত ধারণায় বলা হয়, তেঁতুল (অথবা বট) গাছে ভূত-পেতনি থাকে, রাতে সেখানে কেউ গেলে ঘাড় মটকে খায়!।
এক প্রকার জৈব রাসায়নিক যৌগ। এতে একটি কার্বন পরমাণু ও চারটি হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে। এর রাসায়নিক সঙ্কেত CH 4 । জৈব রসায়নে মিথেনকে বলা হয় — সম্পৃক্ত
হাইড্রোকার্বন -এর প্রথম এবং সরলতম যৌগ। সরলবন্ধনীর বিচারে এই যৌগটি
এ্যালিফেটিক। ১৭৭৮ খ্রিষ্টাব্দে এই গ্যাসটি প্রথম শনাক্ত করেন ভোল্টা।
এটি একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন গ্যাস। প্রাণীদেহে এই গ্যাস বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে না। পানিতে এই গ্যাস সামান্য দ্রবীভূত হয়। এ্যালকোহল ও ইথারে প্রচুর পরিমাণে দ্রবীভূত হয়। এর গলানাঙ্ক : -১৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্ফূটনাঙ্ক : -১৬৪-১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। (ইন্টারনেট থেকে জ্ঞান সংগ্রহ)
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হা হা। তাই আমি তেতুলের ভুত নিয়ে কিছু সত্য কাহিনী লিখে ফেললাম
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: দারুন ঘটনা। ঠিকঠাক যুক্তি।
@তখন জানতাম না যে পচা ময়লা আবর্জনা পচে কোন ঢোবাবা পুকুরে জমা হলে সেখানে হিলিয়াম গ্যাস হয়। আর যা বাতাসের স্পর্শে এলে জ্বলে ।
হিলিয়াম নয়। গ্যসটার নাম মিথেন(CH4)
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ওহ ভুলে গেছিলাম
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনি ভুল টা ধরেছেন। এর মানে আপনি সব খানি পড়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সারা জীবন ভুত দেখেতে চাইলাম। পেলাম না।
আমি ভুত দেখতে চাই।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভুত থাকলে অবশ্যই দেখবেন। না থাকলে কেমনে কি?
৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
Monthu বলেছেন: আমিও আগে ভাবতাম তেতুল গাছে, বট গাছে ভুত থাকে। পরে বুঝলাম।
আজ আপনার লেখায় আরো বুঝলাম
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: পোষ্টটা ভাল ছিল। আজকের দিনটা তেতুল দিবস হিসেবে উদযাপন করা গেলে মন্দ হতোনা
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: না শুধু তেতুল কেন? সাথে ভুত পেত্নী ও থাকুক। ভুতের তেতুল হতে পারে
৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আজ সবাই তেতুল নিয়ে পড়লো কেন?
প্রথম পাতায় তিন তিনটা তেতুল !!
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: শুধু তেতুল নয়। সাথে ভুত ও আছে
৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭
Monthu বলেছেন: আমি তো সেইটুকুও দেখলাম না। আপনি তো তবুও মিথেন গ্যাস দেখেছেন
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আচ্ছা গ্রামে চলে যান। দেখে আসুন
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, রাতে গাছ সালোক-সংশলষণ করে না বলে, গাছে নীচে বেশী কার্বন-ডাই অক্সাইড জমা হয়, সেই কারনে গাছের নীচে ঘুমালে জ্ঞান হারাতে পারে; এটা ভুল ধারণা; গাছের নিশ্বাস থেকে এত কম পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড হয় যে, পোকা মাকড়ও জ্ঞান হারায় না।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: কিজানি। তবে আমি পড়েছি বট গাছ, তেতুল গাছ এর ভিন্ন।।।। আমি বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নই প্রিয়। তাই যেটুকু পড়েছি সেই টুকু জানি।
১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
লীনা জািম্বল বলেছেন: তেতুলের ভুত ভয়ংকর
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: হুম। আমিও ভুত খুব ভয় পেতাম। ছোট থাকতে ভুত ভয় পেতাম। আবার দেখার সখ ছিল অনেক। সেদিন ভেবেছিলাম আজ আমার ইচ্ছা পুরন হল। কে জানতো সেটা ভুত না। ছিলো গ্যাস। আহারে আমার ভুত দেখা হলনা।
১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোঁনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভুতের সাথে বাবুই পাখি কি কালেকশন বুঝলাম না ভাই। একটু বুঝিয়ে বলবেন?
১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: মানুষ সাধারণ কিছুকে বড় বানিয়ে তুলে ধরে! আপনাকে ধন্যবাদ। খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৩
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: এর জন্য মানুষ ই দায়ী। আমরা আমাদের সন্তানকে কুসংস্কার শিক্ষা দেই। আর এমন জিনিসের ভয় দেখাই যা বাস্থবে নাই। আমাদের সন্তানকে কি শিক্ষা দিবো আমরা তা ভাল করে বুঝিনা। আর তাদের অহেতুক ভয় ভিতি দেখাই।
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
হাবিব বলেছেন: ভুত যেখানেই থাক গাঢ়ে চাপলে তখন আর তাকে ভুত ভলে মনে হয়না। অবশ্য অন্যরা বুঝতে পারে ঠিকি। ভুত এবার গাঢ়ে চেপেছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক। ভুত।।
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আজকের দিনের সাথে তেতুল পোষ্ট খুবই মানান সই।