নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ রোকনুজ্জামান খান রোকন।পেশাঃ মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট।রোগীদের সেবা দানে দৃঢ় প্রত্যয়।অল্পতেই বিশ্বাসী, প্রতিটি মানুষকেই মন উজাড় করে ভালবাসতে চেষ্টা করি?নতুন লেখক।

রোকনুজ্জামান খান

আমি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট। তিতাস শিশু ও জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছি। রোগীদের সেবা করতে ভালবাসি। রোগ নির্ণয়ে এক্স রে,সিটি স্ক্যান,এম আর আই করে থাকি । রেডিয়েশনে মারাত্তক ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সারা জীবন এভাবেই রোগীদের সেবা করতে পারি।

রোকনুজ্জামান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সত্য ঘটনা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

শম্ভু নামের এক স্বর্ণব্যবসায়ী বাজার থেকে রাতের বেলা মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলের পেছনে রেলিংয়ে একটি লাইলনের ব্যাগে কাঁচা বাজারসহ ব্যবসায়িক কাগজপত্র ও প্রায় তিন ভরি ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের রুলি ছিল। নিকটাত্মীয় বেড়াতে আসায় অন্যান্য দিনের তুলনায় সেদিন একটু তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি ভাঙা সড়ক অতিক্রম করার সময় অজ্ঞাতে ব্যাগটি ছিটকে পড়ে।অনেক দূর যাওয়ার পর শম্ভু ব্যাগ খোয়ানোর বিষয়টি বুঝতে পেরে ছোট ভাই ও ভাতিজাকে নিয়ে ওই সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সন্ধান শুরু করেন।

দীর্ঘসময় খুঁজেও ব্যাগটি না পেয়ে শম্ভু ও স্বজনরা ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।এদিকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে কাঁচাবাজারসহ স্বর্ণালংকারের ব্যাগটি পান হাফেজ তালুকদার। তিনি এটি বাড়িতে নিয়ে যান। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক হাফেজ কুড়িয়ে পাওয়া মালামাল বাড়িতে নিয়ে স্ত্রী সেলিনা ও বাড়ির অন্য সদস্যদের দেখান। তিনি ছিলেন অনেক দরিদ্র। ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে তাঁর।

ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাফেজ ঘটনাস্থলের কাছের দোকানে বসে চা খাওয়ার ছলে মূল মালিককে খুঁজতে থাকেন।
এদিকে শম্ভুও সকালে এসে চারদিক খুঁজে দোকানটিতে এসে অন্তত কাগজপত্র ফিরে পেতে সবাইকে বিষয়টি অবগত করেন। তথ্য মিল হওয়ায় এ সময় হঠাৎ হাফেজ দাঁড়িয়ে জানান, ব্যাগটি তিনি পেয়েছেন।

পরে হাফেজ উপস্থিত সবাইকে বাড়িতে নিয়ে খোয়া যাওয়া মালামাল ফিরিয়ে দেন।এটি কোন গল্প নয়। একটি সত্য ঘটনা। ঘটেছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়। বিয়াল্লিশ বছর বয়সী দরিদ্র কৃষক হাফেজ তালুকদার সততার এ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। তিনিই হতে পারেন আমাদের জন্য এক অনন্য অনুপ্রেরণা।

শম্ভু রায়ের স্ত্রী মনিকা রায় বলেন, 'আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না এত দামি সোনার রুলি ফিরে পেয়েছি। এটি অবিশ্বাস্য।'
ব্যবসায়ী শম্ভু রায় বলেন, 'এটি এ যুগে বিরল দৃষ্টান্ত। হতদরিদ্র হলেও উনিই প্রকৃত মানুষ। ওনার কাছ থেকে জীবনের আজ নতুন সংজ্ঞা শিখলাম।

--সমাপ্ত---
রোকনুজ্জামান খান

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Salute to him

০৪ ঠা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: শুভ কামনা রইল
মন্তবের জন্য
ধন্যবাদ

২| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ঘটনাটি চমকপদ।

০৩ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২৭

রাকু হাসান বলেছেন: সততা এখনো আছে ...মুষ্টিমেয় মানুষের কাছে হলেও ....আমার ব্লগে আমন্ত্রণ ...পড়ে দিকনির্দেশনা ,ভাল -মন্দ বলে উৎসাহ দিলে কৃতজ্ঞ থাকব

ভালবাসা নিবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.