নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট। তিতাস শিশু ও জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছি। রোগীদের সেবা করতে ভালবাসি। রোগ নির্ণয়ে এক্স রে,সিটি স্ক্যান,এম আর আই করে থাকি । রেডিয়েশনে মারাত্তক ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সারা জীবন এভাবেই রোগীদের সেবা করতে পারি।
বড় আশা করে হলে উঠেছিলাম
১ মাসের মাথায় সিট বয়কট হয়েছিল আমার।
অপরাধ ছিল একটা একটা চাকু ব্যাগে ছিল।
সেইটা হল সুপার কিভাবে যেন জানতে পেরে আমার ব্যাগ সার্চ করে সেই চাকুটা পেল। মিটিং এ নিয়ে আমার এই অপরাধ সবাই কে বলা হলো। আমি তখন সবে মাত্র প্রথম ইয়ার। বড় ভাইয়েরা সবাই চমকে গেল। হল সুপারে কাছে অনেক কাকুতি মিনতি করেও সিট টিকাতে পারলাম না।
৩ দিন পর হল ছাড়তে হলো,,,
আমার খুব ইচ্ছে ছিল আমি হলে উঠবোই যেভাবেই হোক। স্যার দের পেছনে অনেক ঘুড়লাম তবে কোন কাজ হলো, তাদের ভাব সাব দেখে এমন মনে হতো, যেন আমি একটা সন্ত্রাসী আমাকে হলে উঠালে ছেলে পেলে নষ্ট করে ফেলবো আমি।
তার পর এক বড় ভাই বুদ্ধি দিল, রাজনীতি ছাড়া হলে পুনরায় প্রবেশ প্রায় অসম্ভব। যেই কথা সেই কাজ নেতাদের পিছনে ছুটতে লাগলাম। তখন কার বগুড়া যুবদলের সভাপতি ছিল সিপার আল বখতিয়ার ভাই, বি এন পির ভাল দাপট ছিল তখনো ২০১২/২০১৩ সময়ে।
তার সাথে কয়েক জন ছোট ভাই নিয়ে দেখা করলাম এবং বিস্তারিত বলিলাম সিপার ভাইয়ের কাছে। তিনি আমাকে আচ্ছা দেখবে বলে আশ্বাস দিল। তারপর টানা এক মাস তার মিছিল মিটিং এ নিজের টাকা খরচ করে বিপুল পরিমাণ জনবল নিয়ে হাজির হতে লাগলাম।ভাই আমার প্রতি অনেকটাই অন্তরিক হয়ে উঠল।
তার পর তিনি হোস্টেল সুপার এর নাম্বার টা চাইলেন। আমি তার নাম্বার টা দিলাম সাথে সাথে ভাই কল দিলে হল সুপার কে বলে দিল। হল সুপার আমাকে ফোন দিল সন্ধায়। আমি দেখা করলাম তাহার সাথে তিনি বলিল, বাবা তুমি মশা মারতে কেন কামান ধাগা করতেছো। আমাকে বলিলেই ব্যাবস্থা করে দিতাম। অথচ আমি তার কাছে বেশ কয়েক বারই গিয়েছিলাম, কিন্তু কোন গুরুত্ব পাই নি। স্যার নিজে সাথে করে আমাকে নিয়ে গেল হলে একটা রুম দিল অস্থায়ীভাবে। আমার দিন গুলি ভালই কাটতে লাগলো, তখন পুরোটাই ছাত্র দলের অধিনে ছিল আমাদের হল। ভালই চলতে ছিল দিন গুলি। ঝামেলা বাধলো তখনি যখন শেখ হাসিনা ২য় বারের মত আবার ক্ষমতা পেল। বিনপির নেতাদের ধরা হচ্ছে। সিপার ভাই ও তার নিজ পার্টি অফিস থেকে গ্রেফতার হলো, আঃ লীগের পার্টি অফিসে ককটেল হামলার দায়ে। আমার তেমন ঝামেলা হয় নি যেহুতু আমি বগুড়ার স্থানীয় না পড়ালেখা সুত্রে গিয়েছি।
তার পর পরের অভিজ্ঞতা আপনারা চাইলে চালিয়ে যাবো,,,,,
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৯
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: বগুড়া শহরে চাকু/ডেগার ছিল বিপদ জনক বস্তু। কারো সাথে কিছু হলেই পশ্চাত দেশে চালান করে দিতো অনেক ভালো ভালো লোক জন। বগুড়া যারা থাকেন তারাই বলতে পারবে চাকু কতটা বিপদ জনক। মন্তবের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: দেশের পরিস্থিতি তো জানেন, বুঝেন তাহলে চাকু রেখে ছিলেন কেন??
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৫
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: আমরা তিন বন্ধু এক সাথে চলতাম, সাথে আর দুই তিন জন যোগ হতো। এগুলা দেখে বড় ভাইয়েরা শুধু রুমে ডাক দিতো। তাই তাদের শায়েস্তা করার জন্য চাকু এনেছিলাম কুষ্টিয়া থেকে। কিন্তু এটা আমাদের ভুল ছিল।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৬
মা.হাসান বলেছেন: চালিয়ে জান । ভালো লাগছে।
চাকুটা কত বড় ছিল?
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩২
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: চাকুটা ১০ ইঞ্চি সাইজ ছিল। ভাজ করে রাখা যাইতো। টিপ দিলেই চকচকে ফলাটা বের হয়ে আসতো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালবাসা রইলো। ভালো থাকবেন।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫
ইসিয়াক বলেছেন: চালিয়ে জান । ভালো লাগছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: অবশ্যই চালাবো। ধন্যবাদ এবংং শুভ কামনা রইলো আপনার প্রতি। ভালো থাকবেন।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: মন্তব্য সংশোধন:
@চাকুটা ১০ ইঞ্চি সাইজ ছিল। ভাজ করে রাখা যাইতো। টিপ দিলেই চকচকে ফলাটা বের হয়ে আসতো।
এই ধরণের চাকু রাখা অপরাধই বই কি। আমি কখনোই এর পক্ষে নেই। তবে ভুলটা যে স্বীকার করেছেন সেজন্য থ্যাংকস।
[আমি ধারণা করেছিলাম ওটা সাধারণ ফল কাটা চাকু। হোস্টেলে রান্না বা খাওয়ার কাজে চাকু, বটি আমরা সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করতাম, সেই প্রেক্ষিতে]
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ধরা খাওয়ার পর স্যার কে বলেছিলাম ফল কাটার জন্য রেখেছি চাকুটা ।কিন্ত স্যার সেটা না মেনে বরং বলেছিল আর কোয়ায় কোথায় রেখেছো, আমার কাছে জমা দাও। পুনরায় মন্তবের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন । শুভ কমনা।
৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: রবর্তি অভিজ্ঞতা সমুহ পোস্ট করার অনুরোধ, লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছে । +++++
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সময়ের অভাবে লিখতে পারছি না । অতি শিঘ্রই লিখবো।
মন্তব্যের জন্য ভালবাসা অভিরাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২২
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: একটা চাকুর জন্য এত কিছু! আজিব!
পুনশ্চঃ
রামদার চাষক্ষেত্রে চাকুর কোন স্থান নেই।
লেখা চালিয়ে যান..