নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিষ্ট। তিতাস শিশু ও জেনারেল হসপিটালে কর্মরত আছি। রোগীদের সেবা করতে ভালবাসি। রোগ নির্ণয়ে এক্স রে,সিটি স্ক্যান,এম আর আই করে থাকি । রেডিয়েশনে মারাত্তক ঝুকি নিয়ে রোগীদের সেবা করছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যাতে সারা জীবন এভাবেই রোগীদের সেবা করতে পারি।
আমেরিকা এবং চীনের মাঝের ব্যাবসায়িক যুদ্ধের মাশুল দিতে হয়েছে আর্কটিক সার্কেলকে! তাই যখন আমেরিকার রাষ্ট্র পতি: যিনি রিয়েল এস্টেটের ব্যবসার মাধ্যমে ডিসি, ম্যানহ্যাটান এবং ভেগাস জুড়ে নিজের সম্পত্তি তৈরী করেন। উনি একটা প্রস্তাব করেন যে উনি আরেক টা জমি কিনতে চায় গ্রিনল্যান্ডে। এবং উনি কথা দেন এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একটুও নষ্ট করবেন না।
তখন অনেকেই এটাকে ক্ষমতা লোভী ট্রাম্পের আরেকটি পাগলামি মনে করে। কিন্তু না : এই বিষয়ে আরকান্সাস রিপাবলিকান সেনাটর টম কটন মন্তব্য করেন ? উনি শিয়ালের মত চালাক।এটি ট্রাম্পের কৌশলগত উদ্দেশ্য। প্রথম আর্কটিকে পৃথিবীর (২২% শতাংশ) প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল এবং খনিজের উৎস রয়েছে। যা তার প্রতিবেশী ভিগ করতে পারে কিন্তু চীন পারে না।
কিন্ত গ্রীনল্যান্ড, যাদের কাছে পৃথিবীর দুর্লভ খনিজের (৩২% শতাংশ) আছে। এবং চীন যাদের কাছেও প্রায় এই পরিমাণে দুর্লভ খনিজ রয়েছে, এদের সাথে টাই-আপ করলে, তারা ভবিষ্যতে ইন্ডািস্ট্রিতে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে। যেমন: উন্নত প্রযুক্তি এবং সুরক্ষা, স্মার্টফোন, সুপার-কম্পিউটার, নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম, ইলেকট্রিক গাড়ি,লেসার,উইন্ড টার্বাইন ইত্যাদি।ব্যাবসায় লাভ করার জন্য, চীন ইতিমধ্যেই আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছে, যারা তাদের (৮০% শতাংশ) দুর্লভ খনিজ পদার্থ চীনের থেকেই আমদানি করে।
বর্তমানে, গ্রীনল্যান্ডের খনিজ ভান্ডারের অধিকাংশ অংশই নাগালের বাইরে, তার (৮১% শতাংশ) আইল্যান্ডের মোটা বরফের আস্তরণের নীচে লুকানো: কিন্তু গ্লোবাল ওয়ার্মংয়ে বরফ গলে যাওয়ার কারণে, ভবিষ্যতে এই ভান্ডারগুলিতে আ্যাক্সেস করা সহজ হবে। এই বছর পহেলা আগষ্ট শুধু মাত্র একদিনে গ্রীনল্যান্ডে ১২.৫ বিলিয়ন টন বরফ গলে যায়, যা ১৯৫০ সাল অর্থাৎ যখন থেকে ডেটা রাখা হচ্ছে তার থেকে বেশী: যা সমগ্র ফ্লোরিডাকে ডোবানোর জন্য এটা যথেষ্ট।
বরফ গলে যাওয়ার আরো কত গুলি সুবিদা আছে, এর ফলে গ্রীনল্যান্ড এবং আর্কটিকের মাঝে আমেরিকার জন্য কত গুলি বামিজ্য পথ খুলে যাবে, এর পাশাপাশি "পোলার সিল্ক রুটের" মাধ্যমে উত্তর চীন থেকে রেটারডাম পৌছাতে অনেক কম সময় লাগবে।যেখানে সুয়েজ খালের মাধ্যমে যেতে ৪৮ দি সময় লাগত , সেখানে আর্কটিক হয়ে গেলে মাত্র ১৯ দিন সময় লাগবে।
তবে আমেরিকা তাদের বানিজ্য বিরোধী পক্ষকে সরানোর জন্য সক্রিয় ভাবে ডেনমার্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলছে। চীনের ২০১৬ সালে আমেরিকার প্রাক্তন নৌঘাঁটি গ্রোয়েন্ডেল ক্রয় প্রত্যাখ্যান করা হয়। ১৯৪০ সালে হিটলার ডেনমার্ক দখল করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ফ্রাস্কলিন ডি রুজভেল্টের অধিনে আমেরিকা "রক্ষক" হিসেবে গ্রিনল্যান্ড দখল করে, যা ১৭৭৫ সাল থেকে ড্যানিশ উপনিবেশ ছিল।
চীন এবং রাসিয়া দুজনের বিরোধিতা করার জন্য, বিশেষত রাশিয়া, যারা ২০১৬ সালে আর্কটিকের কোটেলনি দ্বীপ পুঞ্জে তাদের পরিত্যাক্ত সোভিয়েত মিলিটারি বেশ নতুন করে খোলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা দ্বিতীয় বার গ্রিনল্যান্ড কেনার চেষ্টা করেছিল।
২.৭ বিলিয়ন ডলার জিডিপি এবং ভবিষ্যতের লাভের হিসেব করে ওয়াশিংটন পোষ্ট গ্রিনল্যান্ডের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি পৃথীবির বৃহত্তম দ্বীপ পুঞ্জ কারন, আস্ট্রেলিয়া মহাদেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি টেক্সাসের আকারের তিন গুন: বা আমেরিকার ১১ টি রাজ্যের সমান।
গ্রিনল্যান্ডারস ১৯৭৯ সালে দেশ শাসনের জন্য গণভোটের পরে নিজেদের পার্লামেন্ট, "ইনাটসিসারটুট" এর প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং নিজেদের প্রধানমন্ত্রী নিজেরাই নির্বাচন করেছিল। এখনও পর্যন্ত, শুধু মাত্র আইসবাগ্রের জন্য পরিচিত, জাকেবসাবন হিমবাহের অংশ, যা ১৯১২ সালে টাইটেনিক ডুবে যাওয়ার জন্য দায়ী, আবারও লাইম লাইটে ফিরে এসেছে:অদ্ভুতভাবে, বিশ্ব উষঃয়নের পরিমান বাড়ার সাথে সাথে গ্রিনল্যান্ডের কৌশলগত প্রভাব বাড়ছে।
ইউএস বলে গ্রিনল্যান্ডের উপর নজর আছে তার
বরফের নিচে লুকিয়ে আছে খনিজের ভান্ডার
চীনের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করতে
এবং গ্লোবাল ওয়ামিং থেকে উপকৃত হতে
গ্রিনল্যান্ড পাওয়ার চেষ্টা হবে বার বার!!!!
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: চীনের কাছে আছে অতি দুর্লভ খনিজ পদার্থ। সব কিছু মিলিয়ে ৮০% আমদানী করে আমেরিকা চীন থেকে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালবাসা রইলো ভাই।
২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১১
আখেনাটেন বলেছেন: চীনকে আটকানোর জন্য হোক বা না হোক--- গ্রিনল্যান্ডের উপর ট্রাম্প বাবাজির চোখ পড়েছে এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এটাই বড় কথা।
এখন দেখা যাক ডেনমার্ক কতদিন এই চাপ সহ্য করতে পারে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: গ্রীনল্যান্ড নিজস্ব স্বাধীনতায় বেচে থাকুক সেই কামনা করি। ইউ এস এর হাতে একবার চলে গেলে তারা পরিবেশ নষ্ট করে বরফের নিচে আটকে থাকা খনিজ তোলার জন্য মাতোয়ারা হয়ে উঠবে । এতে পরিবেশ এর ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং সৌন্দর্য্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো বাসা রইলো অভিরাম। শুভ ময় হোক আপনার প্রতিটি সময়।
৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
গ্রীনল্যান্ড যেভাবে আছে, এভাবেই থাকবে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০১
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: গ্রিনল্যান্ড এর সাথে এত সহজে পারবে না ইউ এস। এটা টেক্সাসের আকারের তিন গুন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালবাসা অভিরাম।
সাচ্ছন্দে কাটুক আপনার প্রতিটি সময়।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: MC-X360462X558268I236L
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: চীন নিয়ে ট্রাম্প মোটেও চিন্তিত না।