![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিপুর মনটা আজ খুব খুব খারাপ । ইলার খুবই নগন্য একটা চওয়া ছিলো শিপুর কাছে তাও দিতে পারেনি সে । এই পৃথিবীটায় বেঁচে থাকাটাই তার আপরাধ মনে হচ্ছে ।...........................
লেকের পাড়ে দুজনে অনেকক্ষন বসে ছিলাম,পুরুটা সময় জুরে আমি তাকিয়ে ছিলাম ইলার মায়াভরা মুখটার দিকে । আমি বুঝিনা একটা মেয়ের একসাথে এতগুলা গুন কিভাবে থাকে ?
আামার পকেট এর নিত্যদিন এর সঙ্গী যখন ছিলো একটা ছিড়া পাঁচ টাকা , সারাদিন ধরে হেটে হেটে সন্ধ্যার পর ক্লান্ত হয়ে ওর পাসে গিয়ে বসতাম ও তার কোমল হাত টা আমার ধূলোমাখা চুলের ভিতরে নিয়ে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিয়ে কি সহজ ভাবেই না বলত দেইখ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে । শুধু ও বলত বলেই কিনা কেন জানি আমি বিশ্বাস করে ফেলতাম আসলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে ।
একদিন অনেকটা জোর করেই আমাকে টেনে নিয়ে গেলো কাজী আফিসে।কোন প্রস্তূতি ছাড়াই ইলা তার জীবনের সবচেয়ে বড় কাজটি করে ফেলল ! এর কিছুদিন পর ও আমাকে নিয়ে ছোট একটা বাসা্য় উঠে ।
রাতের খাবার আমাদের কখনই আহামরি কিছু ছিলো না । তা নিয়ে ইলার কখনই কোন আপত্তি ছিলো না ।দিনশেষে যাই থাকত তাই খুব যত্নসহকারে তুলে দিত আমা্য় ।
আজ সকালে গুম থেকে উঠে ওর মায়াবী মুখটার দিক থেকে আমি খুব কষ্টে চোখটা সরালাম ,আজ আমাকে যেভাবেই হোক কিছু টাকা যোগাড় করতেই হবে । সময় যে আর খুব বেশি নেই । আমরা দুজন মিলেই ঠিক করেছিলাম কাজটা আমরা করব ।
একদিন বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ও আমার হাতটা ধরে বলল আমি চাই না আমাদের বাবুটা দেখুক জীবনটা এতটা নির্মম , তুমি আজ ফিরার আগে ক্লিনিকে একটা খোঁজ নিয়ে এসো, কথাগুলো বলার সময় ইলার চুখের পাতা একবার ও কাঁপেনি কিন্তু আমি জানি সিধান্ত নেয়াটা ওর জন্য কতটা কষ্টের ছিল । ও সারাজীবনে আমার কাছে শুধু একটা আবদার ঐ করেছে । তাই ও যেদিন বলেছিলো আমাকে একটা baby দাও না । তখন আমি কোনভাবেই না করতে পারি নাই । আমি জানি আমি বের হয়ে যওয়ার পরই ওর আশ্রুর বাঁধ ভাঙ্গবে ।
আজ আমি যখন ওকে রিক্সাই করে নিয়ে যাচ্ছিলাম ও আমার দুচ্ছিন্তাগ্রস্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে আমার চুলে হাত বুলিয়ে বলেছিলো দেইখ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ।
ক্লিনিকের বেড এ ওর অনর দেহটা পরে আছে । ডাক্তার বলে গেছেন বড় বেশি দেরি হয়ে গেছে । আমার কোলে ওর নিথর মাথা , ওর চুলে আমার হাতটা রেখে আমার খুব বলতে ইচ্ছা করছে দেইখ সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ।
©somewhere in net ltd.