নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না...।

রোদ্র রশিদ

নিজেকে জোকার ভাবি যেন হাজার কষ্টে হাসতে পারি, হাসাতে পারি ।

রোদ্র রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ কম্পাসের জন্মদিন

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮



"নাটক হোক সমাজ পরিবর্তনের সুতীক্ষ্ণ হাতিয়ার" এই শ্লোগানকে ধারন করে ২৩ জানুয়ারি ১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে কম্পাস নাট্য সম্প্রদায়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তৎকালীন সভাপতি ফয়েজ আহমেদ এবং বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আলী যাকের এর উপস্থিতিতে একজন সাধারণ রিক্সাচালক আতা মিয়ার হাতে প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটি দীর্ঘ ২৫ বছরের পথ পরিক্রমায় তাদের নাট্য আন্দোলনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি, অনিয়ম; প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে। আবার কখনোবা হাস্যরসের মাধ্যমে দর্শকদের উপহার দিয়েছে নির্মল আনন্দ বিনোদন। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আউয়াল এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এম. এ. সবুরের দৃপ্ত নেতৃতে অডিটোরিয়াম পূর্ণ দর্শকের সামনে মঞ্চায়িত হয় কম্পাসের ১ম প্রযোজনা নাটক "চর দুখীয়া"। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এবং ময়মনসিংহ থিয়েটার এসোসিয়েশন এর সদস্য এই নাট্য সংগঠনটি সম্প্রতি "শেওলা মানুষ" নাটকের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে ৪৩ টি নাটকের ১০১ টি সফল মঞ্ছায়ন।

জন্মলগ্ন থেকে সামাজিক অবক্ষয়, অন্যায়, অত্যাচার ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে সোচ্চার নাট্য দলটির নাটকের তালিকায় একদিকে আছে প্রখ্যাত নাট্যকার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মামুনুর রশীদ, হুমায়ুন আহমেদ, শৈলেশ গুহ নিয়োগী, এস. এম. সোলায়মান এমনকি মলিয়েরের নাটক। অন্যদিকে আছে কম্পাস সদস্য এম এ সবুর, জার্জীস আহমেদ, ড. সাইফুল জাহিদ, বিপ্লব কুমার প্রামানিক এবং গোলাম ফজলে রাব্বানীর মত নাট্যকারের সফল নাটক।

কম্পাসের বর্তমান সভাপতি পোলট্রি-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, "সীমাহীন সমুদ্রের বুকে ছুটে চলা জাহাজের নাবিককে একটা কম্পাস যেভাবে পথ দেখায়, কম্পাস নাট্য সম্প্রদায়ও তাদের নাট্য যুদ্ধের মাধ্যমে দেখিয়ে যাচ্ছে শুদ্ধ ও সঠিক পথ"।



লেখার পেছনের গল্পঃ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র নাট্য সংগঠন "কম্পাস নাট্য সম্প্রদায়" দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে অভিনেতা অভিনেত্রী নয় বরং তৈরি করে চলছে নাট্য কর্মী। এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পারাটা সত্যিই গর্বের। আমি নিশ্চিত কোনরকম দ্বিধা ছাড়াই আমার মত সব কম্পাসই বলবে, ক্যাম্পাসে কাটানো সময়ের মধ্যে সবচেয়ে আনন্দের সময় ছিল টি.এস.সি ৩ নম্বর রুমে (কম্পাসের রিহার্সেল রুম) কাটানো সময় গুলো। জন্মদিনে কম্পাসকে শুভেচ্ছা। কম্পাস এগিয়ে যাক সামনের দিকে এই কামনা করি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.