![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাইয়া, আপনি এটা কি রঙের শার্ট পড়েছেন!!?? তাকিয়ে দেখি, আমার ফ্যাকাল্টির জনৈক ছোটবোন হাসতে হাসতে জানতে চাচ্ছে। উত্তরে আমিও আমার স্বভাবসুলভ একটা শুকনা হাসি উপহার দিলাম। আমার হাসির অর্থ সে কি বুঝলো জানিনা, তবে তার মুখের হাসি আরও চওড়া হল।
স্কুলে পড়াকালীন সময় এই একই প্রশ্ন আমাকে হাজারবার শুনতে হয়েছে। আমার শার্টের রঙ গুলো সবসময়ই থাকত অদ্ভুত। আনিস স্যারের ভাষায়, ফুলমতি কালারের শার্ট।
গতকাল ছিল বৌদ্ধ পূর্ণিমা। ঠিক এমনই এক বৈশাখী পূর্ণিমার রাতে গৌতম বৌদ্ধ ঘর ছেড়েছিলেন। বৌদ্ধ পূর্ণিমার সে রাতে সিদ্ধার্থের (গৌতম বৌদ্ধ) পড়নে ছিল আমার এই শার্টটার মতই গেঁড়ুয়া রঙের কাপড়।
কে জানে হয়ত গৌতম বৌদ্ধকে স্মরন করেই আজ এই শার্ট পড়া।
হুমায়ুন আহমেদ তার কবি উপন্যাসে বলেছেন,
আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগি জোছনার জন্যে বসে আছি।
যে জোছনা দেখা মাত্র গৃহের সমস্ত দরজা যাবে খুলে-
ঘরের ভেতর ঢুকে পড়বে বিস্তৃত প্রান্তর।
প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-
পূর্ণিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে।
চারদিক থেকে বিবিধ কণ্ঠ ডাকবে- আয় আয় আয়।
আজকের আকাশের জোছনাও কিন্তু সবাইকে একই ভাবে ডাকছে, কে জানে গেঁড়ুয়া পোশাক পরা আমিও হয়ত...।
আমার কাছের সব বন্ধুরাই জানে জোকার আমার কি পরিমান পছন্দের চরিত্র। ব্যাটম্যান সিনেমার ভিলেন জোকার না, রাজ কাপুরের ‘মেরা নাম জোকার’ সিনেমার সার্কাসের জোকার। ছবিটা যে আমি কতবার দেখেছি তার হিসেব নাই। আমার অদ্ভুত সব ইচ্ছার একটা হল, একদিনের জন্য হলেও সার্কাসের জোকারের অভিনয় করা। কম্পাসের (কম্পাস নাট্য সম্প্রদায়) জন্মদিনে একবার জোকার সাজার সুযোগ হয়েছিল। কিন্তু সেটা ঐ সাজা পর্যন্তই। জোকারের মত মজা করে মানুষ হাসানোর সুযোগ হয়নি।
আচ্ছা, তাহলে কি আমি আমার পছন্দের চরিত্র জোকার সাজার জন্যই সবসময় এমন অদ্ভুত রঙের পোশাক পড়তাম?? এখনো পড়ি??
না!! ব্যাপারটা আসলে তা না।
আমাদের একটা কাপড়ের দোকান ছিল। আমার স্পষ্ট মনে আছে, ক্লাস এইট পর্যন্ত আমি রেগুলার দোকানে বসতাম। বিভিন্ন ধরণের মানুষ (কাস্টমার) দেখে আমার সবসমই ভীষণ ভাল লাগত। অতীব বিনয়ের সাথে বলছি, সে সময় আমাদের দোকানে যেসব কাপড় বিক্রি হতনা আমি শুধু সেইসব কাপড় দিয়েই আমার শার্ট বানাতাম। হোক সেটা মেয়েদের সেলোয়ার কামিজ বানানোর কোন কাপড় কিংবা বিশ্রী কটকটে রঙের কোন টুকরা কাপড়। আমার সবসময় মনে হত, ভাল কাপড় গুলো তো ভাল দামে বিক্রি করা যাবে। তাই, আমার পোশাক দেখে কে কি ভাবল না ভাবল আমার কেন জানি কিচ্ছু যায় আসতনা। আনিস স্যার কিংবা বন্ধুরা ফুলমতি কালারের শার্ট বলে খ্যাপালেও না।
তবে কি আমার আজকের পড়নের শার্টটাও...!!! কি জানি??? বোধয়!!!
হয়ত, আমাদের কাপড়ের দোকান ছেড়ে দেয়ার পর পড়ে থাকা (বিক্রি না হওয়া) কাপড় থেকেই শার্টটা বানানো...।
ধুর, সব আজাইরা চিন্তা বাদ দিয়ে আসুন চাঁদ দেখি। কি পাগল করা চাঁদ উঠেছে দেখেছেন??
০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০০
রোদ্র রশিদ বলেছেন: আরে আমার নাম তো ফুলবাবুই, আপনি জানলেন ক্যামনে...
যা হোক ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
ভবের ডিঙ্গা বলেছেন: ওহ জানতাম না এখন জানলাম : D
৩| ০৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৭
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: জোক শোনান তাহলে
০৫ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
রোদ্র রশিদ বলেছেন: শিক্ষক ক্লাসে এক ছাত্রকে জিজ্ঞাস করল, "জ্যামিতির সংজ্ঞা বল"।
মাথা চুলকাতে চুলকাতে ছাত্র বলল, "স্যার সম্পূর্ণ মনে নাই তবে শেষের অংশটুকু মনে আছে"।
একরকম হুঙ্কার দিয়ে শিক্ষক বলল, আচ্ছা যেটুকু মনে আছে সেইটুকুই বল"।
ছাত্র বলল," ইহাকেই জ্যামিতি বলে..."।
কমন পরে গেল নাকি। এই মুহূর্তে এইটাই মাথায় ঘুরছে।
আর হ্যাঁ, জোকারদের কাজ জোক শোনানো না, আপনি আমি স্বাভাবিকভাবে যে কথা গুলো বলছি, ঐ কথাগুলোই ঘুরিয়ে বলে মানুষকে খুশি রাখা। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১:২৭
ভবের ডিঙ্গা বলেছেন: আমার কাছে জোকার খুবই প্রিয় চরিত্র।আমি নিজেও হাসি জোকারের মতো অন্যদেরও হাসাই অন্যদের হাসিয়ে মনে এক অদ্ভুদ তৃপ্তি পাই। যাইহোক আপনার শার্টের নামটি খুবই সুন্দর আরো মাধুর্য বাড়তো যদি আপনার নামটা হত ফুলবাবু। ফুলবাবুর ফুলমতি শার্ট। আরেকটি বিষয় না বললেই ছবির মানুষটি দেখতে অনেকটা তামিম ইকবালের মত।