২৯ মে ইন্টারনেটের দাম কমানোর দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন:: কাজ কি হবে? আশা কইরা কি লাভ?

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগা বাইট ০.১০ পায়সা এবং প্রতি গিগা বাইট ১০.০০ টাকা হারে নির্ধারণ করার দাবিতে ২৯ মে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।



বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।



এই উদ্যোগের প্রধান সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী প্রিয়.কমকে জানিয়েছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে মূল্য কমানোর কথা থাকলেও দীর্ঘ সময়ে তা বাস্তবায়ন হয়নি।



ফলে আমাদেরকে আন্দোলনে নামতেই হলো।



জুলীয়াস চৌধুরী প্রিয়.কমকে বলেন, এই কর্মসূচির ফেসবুক ইভেন্ট চালু করা হয় ২০১২ সালের ৭ ডিসেম্বর।



গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারণ করে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ওই সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি পাঠানো হয়।



কিন্তু বিটিআরসির কানো সাড়া পাওয়া যায়নি। আহুত সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।



অভিন্ন দাবিতে সমমনাদের সঙ্গে আমরা অংশগ্রহণ করে সব রকম সহযোগিতা করবো।



সাংবাদিক সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ, দাবি ও কর্মসূচি উপস্থাপন করবেন ডিয়ারজুলীয়াস.কমের ফাউন্ডার ও সিইও জুলীয়াস চৌধুরী।



সহ-আয়োজকঃ

* টেলিকম সবস্ক্রাইবার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দৃল আহমেদ সেনা।



* আইসিটি অব বাংলাদেশ গ্রুপের মডারেটর এম.এ কবির।



* পিসি হেল্পলাইন বিডি’র অ্যাডমিন মো. রুবেল আহমেদ ও মো. ফাহাদ ইসলাম।



অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে

* আইসিটি ব্যক্তিত্ব জাকারিয়া স্বপন।



* বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস.এম শুভ।



* দি সফট কিং এর সিইও রেক্স রিফাত এবং



* ফ্রিল্যান্সার, অনলাইন এক্টিভিস্ট, ইন্টারনেট ইউজারসহ আরও অনেকে।



এদিকে পিসি হেল্পলাইন বিডির অ্যাডমিন মো. রুবেল আহমেদ জানিয়েছেন, আমাদের আমি প্রতিটি ব্লগ, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপের এডমিনদের অনুরোধ করবো আপনাদের সদস্যদের নিয়ে অভিন্ন দাবীতে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে আগামী ৩১ শে মে রোজ শুক্রবার মানববন্ধনে অংশ নিতে।



তাছাড়া ফ্রিল্যান্সার, অনলাইন এক্টিভিস্ট, ইন্টারনেট ইউজারসহ দেশপ্রেমিক নাগরিকবৃন্দ অংশ নিবেন।



মো. রুবেল আহমেদ তাদের ৭ দফা দাবি গুলোও উপস্থাপন করেন। নিম্নে তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হলো।



১. দফায় দফায় ডাটার দাম কমলেও গ্রাহক পর্যায়ে কোন প্রভাব পরে নাই, আমরা চাই সরকার গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মূল্যহার বিটিআরসি কর্তৃক প্রতি মেগা বাইট ০.১০ পায়সা/ প্রতি গিগা বাইট ১০.০০ টাকা হারে নির্ধারণ করে দিবেন।



২. ফ্রিল্যান্সার ও ইকমার্সের স্বার্থে বাংলাদেশে দ্রুত পেপাল চালুর ব্যাপারে সরকারি জরুরী উদ্যাগ নিতে হবে।



৩. ইন্টারনেটের ফেয়ার ইউস পলিসি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ইন্টারনেটের নুন্যতম গতি নির্ধারণ করে করে পূর্ণ গতির ডাটা দিতে হবে।



৪. ইন্টারনেট সেবাদানকারী মোবাইল কোম্পানি গুলোর স্বেচ্ছাচারিতা রোধে একটি বিশেষ সেল গঠন করতে হবে।



৫. ডাটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও অব্যবহিত ডাটা পরের বার ডাটা প্যাকেজ চালু করার সাথে সাথে যোগ করে দিতে হবে।



৬. গনমাধ্যমে আনলিমিটেডের বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদের প্রতারিত করা যাবে না।



৭. ফ্রিলান্সিং এর ব্যাপারে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে, ব্যাংক কর্মকর্তা দ্বারা ফ্রিল্যান্সারদের সকল হয়রানী বন্ধ করতে হবে।

০ টি +০/-০