নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় যেখানে যেমন, তেমনি হতে চাই...

রোহান খান

আবারো ফিরে তোমাতে - ভালবাসার ছবি একেছে - জীবনের মাঝপথে আজ আমি বসে, জীবন এর আলো আজ অনেকটা বদলে গেছে - হারিয়ে নিজেকে।

রোহান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ফরিদ ভাই - ফরিদ bond 007 + mission impossible to be possible কিন্চিত ১৮+ { অধ্যয় =০৭ }

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

(যারা পড়েনি তারা আগের অধ্যয় গুলো পড়ে নিন)



অধ্যয় ০৬ এর লিংক-

Click This Link



(বি:দ্র: - অফিসিয়াল কাজে ব্যাস্ত থাকায় অনেক দিন পরে আবার লিখতে বসলাম এই 'ফরিদ ভাই' সিরিজটি।দেরি হবার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অনেকেই আছেন এই সিরিজটি কন্টিনিউ করার জন্য বার বার অন্যান্য লেখায় কমেন্ট করেছেন। তাদের কাছে আমি বেশী করে ক্ষমা চেয়ে নিলাম। ঘটনাটি ১০০% সত্য ঘটনা এবং এঘটনার রেশ এখন পযন্ত চলছে। ব্যাপারটা পারিবারিক হলেও এঘটনা নিয়ে কেইস পর্যন্ত হয়েছে যার রায় তথ্য ও প্রমান অনুসারে ফরিদ ভাইএর দিকেই নির্দোষ প্রমান রাখে । সম্ভবত এই নভেম্বর ২০১৩ তেই ফরিদ ভাই তালাক দিবেন যা পারিবারিক ভাবে গৃহিত। তবে আমরা এঘটনার এখনো শুরুতে আছি। অধ্যয় ৭ও ধরুন ২০১১ সাল পর্যন্ত কাহিনি গুলো নিয়েই লেখা। চোখ রাখুন। সামনে আরও কিছু জানতে পারবেন সাথে বোনাস হিসেবে জানবেন কিভাবে বাংলাদেশের মানুষ আইনের অপব্যাবহার করে।)



----------------------------------------------------------------------------



বসে আছি এখনো।

সবকিছু বুজে উঠতে সময় লাগে। চাবিগুলো সব এক রকমের থাকায় ধাধাটা আরো বিস্তিত মনে হল আমার কাছে। চাবিগুলোতে নাম্বারিং করা আছে ইংরেজিতে। আবার বক্সে মাত্র ২ টা রাস্তা চাবি ঢুকানোর জন্য।প্রথমে একটা একটা করে চাবি ঢুকিয়ে চেস্টা চালালাম। কাজ হলনা দেখে ফরিদ ভাইকে বললাম আমাকে দেখানোর জন্য কিভাবে তিনি খুলেছিলেন। আস্ত একটা গাধার মত হাসি দিয়ে বললেন : কেন তুমি পারো না..চেস্টা করো? চেস্টাতো করেই যাচ্ছি। কিন্তু তাতে যদি কোন ফল না আসে তাহলে তো এই যে সময় আছে সেটা তো নস্ট হচ্ছে। তার চেয়ে বরং আপনি নিজেই এটা খুলে দেন। হাসি মুখে বাক্সটা হাতে নিয়ে প্রথমে ১ নাম্বার আর ৪ নাম্বার চাবি দুটো লাগালেন দুই ফুটোটেই।এবার একসাথে পিছেরটিকে বামে আর সামনেরটিকে ডানে ঘুরালেন ২ সাইকেল করে। কাজটা ধীরে ধীরে করছিলেন যেন আমি বুজতে পারি।



এবার সামনের ড্রয়ার ধপ করে খুলে কিছুটা স্পিং এর মত বের হয়ে গেলো। ড্রয়ারে দেখলাম কিছু খুচরো টাকা, সিটিগোল্ড এর চুরি আর ছোট ৪টা চাবি। এবার ফরিদ ভাই সেই পুরোন চাবি যেটা পিছনে লাগানো ছিলো সেটাকে ডানদিকে দুই সাইকেল ঘুড়িয়ে খুলে রেখে সামনের ড্রয়ারের ভিতরের ৪টা চাবির একটা চাবি হাতে নিয়ে আমাকে দেখালেন। বুজতে পারলাম এটাই এই বক্সটার বৈশিস্ট। পুরোনো দিনের মানুষের কাছে এমন গহনার বক্স থাকতো গহনা সংরক্ষনের জণ্য। এখন অবশ্য ইলেক্ট্রনিক্স কত কিছু বের হয়েছে। সেই চাবি থেকে একটা চাবি নিয়ে আবার পেছনেরটাতে ঢুকিয়ে এবার উল্টোদিকে মানে ডান দিকে ঘুড়িয়ে পেছনের ড্রয়ারটাও খুললেন।



এবার সেটাতে কিছু কাগজ আর ভিজিটিং কার্ডের ভিতর থেকে একটা পাউচ আকারের মেয়েদের টাকা রাখার ব্যাগ বের করলেন। আকারে বেশ ছোটখাটো আর আকর্ষনীয় ডিজাইনের ব্যাগটি। এবার সেই ব্যাগের ভিতর থেকে একটা ছোট অডিনারি চাবি বের করলেন। এ চাবিটা যে অডিনারি তালায় ব্যাবহিত হয় তা দেখেই বোজা যায়। এবার সেই চাবিটা নিয়ে আলমারির কাছে চলেগেলেন। তিন পাল্লার একদম ডান পাশের পাল্লাটা খুলে মাঝখানে অডিনারি তালা মারা একটা ড্রয়ার ছিলো। বক্স সদৃশ্য সেই সিন্দুকের প্রথম ড্রয়ার থেকে চাবি থেকে চাবি সংগ্রহ করে আলমারির ড্রয়ারের তালা খুললেন। ড্রয়ারে স্বনের দুটো দুল আর একটা চেইন ছিল। এছাড়া পুরো ড্রয়ারটাই খালি আর ধুলো ময়লায় ভরা।



এবার ড্রয়ারটা পুরোপুরি বের করে আনলেন। ড্রয়ারটার পেছনেই একটা কাগজের ঠোংয়া কসটেপ দিয়ে লাগানো ছিল যা ড্রয়ার পুরোপুরি বার করে নিয়ে আসার সময়ে নিচে পরে গেছে। এবার ড্রয়ার টিকে আগের জায়গায় ফিট করে ঠোংয়াটিকে খুলে আরেকটা চাবির গোছা পাওয়া গেল যা দেখতে একেবারে সিংদুকের চাবির মত অবিকল। কিন্তু এ গোছাতে নয়টি চাবি আছে আর এর মধ্যের একটি চাবি একদমই আলাদা। মনে হল এটা সেইবক্সের নিচে মনুয়াল ড্রয়ারটা যে বানানো হয়েছে এ চাবিটা সেটারি হতে পারে। এছাড়া আর কোন কারন নেই বা থাকতে পারে না।

আর এছাড়া সেটা দেখতেও পুরোপুরি আলাদা মানে অন্যগুলোর মত না।



খুশির খবর হল আমার এ সন্দেহটাই সঠিক হল।



ফরিদ ভাই চাবিটা নিয়ে এসে সিধা বক্সের নিচে মেনুয়াল বানানো ড্রয়ারটি ঐ চাবি দিয়ে খুললেন। এটার খালি - ভিতরে কিছুই নাই দেখে জিগেস করলাম 'এর ভিতরে তো কিছুই-ই নাই'। ফরিদ ভাই দাত বের করে হেসে বললেন 'কিছু নাই তো নাই'।

আমি তো ওটা আগেই বের করে রেখেছি। যাস্ট তোমাকে মেকানিজমটা দেখালাম।

অবাক ব্যাপার একটু আগে যে মানুষটি তারাহুরা করতেছিল - সেই মানুষটিই এখন সময় নস্ট করছে । হাতে পেপসির গ্লাসটা এগিয়ে দিয়ে পাশের রুম থেকে হার্ডড্রাইভটা নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন।

কম্পুটার চালু ছিল।ওটাকে বন্ধ করে আমার সামনে এসে বসলেন। আর আমি তখনো বক্সটার মেকানিজম সম্পর্কে ভাবছি আর নেড়েচেড়ে দেখছি।



ফরিদ ভাই বললেন যে শুধু হার্ডড্রইভটা পরে থাকতে দেখলে বা এমনিতেই কোথাও রাখা আছে এমন ভাবে দেখলে তেমন কিছু মনে করতাম না - যদি না ড্রাইভটা এখানে এভাবে না পেয়ে অন্য কোথাও পেতাম। এটাকে এখানে এভাবে পেয়েছি বলেই সব সন্দেহের শুরু। সাধারনত মানুষ এভাবে কোন কিছু লুকিয়ে রাখে না। আর যদি রাখা হয় তাহলে তো সন্দেহ লাগতেই পারে। এছাড়া তো আগের রেকর্ড অনুযায়ী অনেক কিছু আছে যার সম্পর্কে তুমি অবগত না।



আর ব্যাপারটা ভেবে দেখলেই বা কেমন কেমন লাগে। একটা সিন্দুক তার নিচে মেনুয়ালী বক্স লাগানো। তার সাথে চাবি নিয়ে যে কাহিনী দেখলাম তাতে তো আমি নিজেই হট হট অনুভব করছি। এবার বোধহয় এমন কিছু জানতে পারবো যে মাথাই পুরাই নস্ট হয়ে যাবে। যা কিছুই করিনা কেন ফরিদভাইকে দেখলে মায়া হয়।

মানুষটা কেমন যেন হয়ে গেছে। চোখের দিকে তাকানো যায় না। এমন হাসিখুশি ছিল মানুষটা যা এখন দেখলে বোঝাযায় না। আমি তাকে যেভাবে চিনি তার পুরোপুরি বিপরিত বলেই আজ নতুন করে আবিস্কার করলাম।



এখন আমার কাজ হল হার্ড ড্রাইভটাকে চেক করা। পাসওয়ার্ড উনি আগেই ক্রাক করেছেন অথবা উনি জানতেন। তাই আবার কম্পু অন করে হার্ডড্রাইভটা লাগিয়ে লগইন করলেন। হার্ডড্রাইভটার নাম 'হচ্ছে ডব্লিউ ডি মাই পাসপোর্ট'। যারা কম্পু ইউজ করেন তারা কমবেশী জানবেন যে এ ড্রাইভে ফ্যাক্টরি ডিফোল্ট সফট থাকে যা দিয়ে পুরো ড্রাইভটা পাসওয়ার্ড পটেক্টেট করা যায়।

এদিকে সময় যে ঘড়ির বাধা ভেঙে এগিয়ে চলছে। মধ্যরাতে সাথী শুধু মোবাইলে গান , একটা ল্যাপি কম্পু আর সাথে সিগারেট।



এর মধ্যে আমি কম্পুটা নিলাম। হার্ডড্রাইভে ইউজেস সাইজ অনুপাতে ফাইলের সংখ্যা আসলেই কম থাকায় আমার মাথা ঘোরপাক খাচ্ছে। এমন কোন ফাইল ফরমেট নাই যা দিয়ে সেদিন আমি সার্চ দিইনি। ভিডিও ফরমেটে সার্চ দিয়ে যা যা পেয়েছি সবি ওপেন করে চেক করেছি। বেসির ভাগি হিন্দি গান আর সাথে আছে ফ্যামিলি ভিডিও। এছাড়া সন্দেহ জনক এমন কিছুই পাইনি যার দ্বারা কোন ক্লু বার করা সম্ভব। এরি মধ্যে উইন্ডোজ নামের ফোল্ডার দেখে আমার সন্দেহ হল। ফোল্ডারটি এমদম রুটে থাকায় প্রথমে সন্দেহ না হলেও কিছু পর মনে হল যে এটা তো পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ। তাই এতে উইন্ডোজ ফোল্ডারটি থাকাটা অসাভাবিক।



আর আরও একটি কারন হল উইন্ডোজ এর সাথে পেরিফেরালাল হিসেবে যেসব ফাইল বা ফোল্ডার থাকার কথা তা নেই। মানে প্রোগ্রামফাইল বা মাই ডকুমেন্টস ইত্যাদি কিছু নেই। ব্যাপারটা সন্দেহজনক লাগায় ফোল্ডারটির ভিতরের ঢুকে দেখলাম সব ঠিকঠাক আছে। কোন সন্দেহ নাই।



সকাল হয়ে গেছে। ফরিদ ভাই টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরেছে। আমিও ঘুম ঘুম ভাব করে কম্পুটার তচনছ করেও কিছু পাই নাই।ঘুমিয়ে পরলাম। এদিকে ঘুম ভাংলো ১০ বা ১১ টার দিকে। তাকিয়ে দেখি টেবিলের উপর আমার মোবাইল দিয়ে চাপা দেয়া একটা কাগজ যা ফ্যানের বাতেসে দোল খাচ্ছে। মোবাইলটা হাতে নিয়ে মিসকল চেক করে চার্জে লাগালাম। সেই সাথে পেপারে লেখা ছিল যে ফরিদ ভাই নাস্তা আনতে বাইরে গেছে।হাতমুখ ধুতে বাথরুমে যেতে বসেছি ওসময় গেটের তালা খোলার শব্দ পেলাম। মনে করলাম ফরিদ ভাই এসেছেন। সত্যিই তাই। আমি বাথরুম সেরে গিয়ে দেখি বিছানার উপরি ট্রেতে পরোটা আর চা সাথে গরুর ভুনা।

খাওয়া দাওয়া করার সময় ফরিদ ভাইকে বল্লাম - ভাই ! পুরো হার্ড ড্রাইভ আমি তন্য তন্য করে খুজেছি। কিছুই পাই নাই।আপনার সন্দেহর কোন কারন নাই।



ভাই কিছুটা দি:শ্বাস ছেড়ে মাথা নিচু করে মুখে পরোটা মাংস দিয়ে বললেন - আমি তো কোন কারন ছাড়া কথা বলিনা।উনি নিচে বসে ছিলেন - মাংস চিবাতে চিবাতে উপরে উঠে দাড়িয়ে মোবাইল টা হাতে নিলেন। আবার কি মনে করে যেন রেখেও দিলেন। এবার এসে চুপ করে বসে খাবার খেতে লাগলেন। আমিও দেখতে লাগলাম উনি কি কিছু বলেন কিনা। কিন্তু উনি কোন কথাই বললেন না। চুপ করে খাবারটুকু শেষ করে ফ্রিজের পানি নিয়ে আসলেন।



এবার চোখগুলো বড়বড় করে আমাকে বললেন তুমি কি শিউর যে কিছুই নাই। আমি উনাকে কনফ্রাম করলাম এমন কিছুই নাই। আমি ১০০% শিউর।কারন আমি সবকিছু দেখেছি। এমনকি পার্টিশন ম্যাজিক দিয়ে হাইড ড্রাইভ ও খুজে দেখেছি। ফটো হিসেবে/মাঝে ফাইল হাইড করা যায় যেগুলো খোজার জন্য জেপিইজি ফরমেটের ফোল্ডারগুলোর সাইজ দেখেছি। ফটোর ভিতর লুকানো থাকলে ফাইল সাইজ বড় হবে। যার আয়তন ফটো ফাইলের থেকে অসাভাবিক হবে। কই তেমন কিছুই পাই নাই।



ফরিদ ভাই আবারো দির্ঘশ্বাস ফেলে যা বললেন তা আমি শোনার জন্য কখনো প্রস্তুত ছিলাম না। উনি বললেন এই ড্রাইভের ভিতর কিছু এভিআই ফাইল পেয়েছেন যা উনার গিফট দেয়া ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তৈরী। আর সে ফাইল সম্পর্কে যা বল্লেন তা আমি এখানে প্রকাশ করতে পারবো না।আমার চোখ তো পুরাই লুল হইয়া গেলো রে.....। আমি কানে গরম ফিল করিতেছি। ভাবতে কস্ট হলেও কিছুই করার নাই পুরুষতো। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি সবারি টান থাকে।একবার চিন্তা করলাম কোন কিছু না ভেবেই উনাকে জিগেস করি বা বলি আমাকে দেখাতে। আবার উনি কি মনে করবেন বলে অতি উৎসাহী হলাম না। কিন্তু আমি জিগেস করলাম কিভাবে আপনি পেলেন..আমি তো এমন কিছু পাইনাই। জানতে পারলাম উনি আগেই ওগুলো ওখান থেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।



ওটার ভিতর হিডেন একটা ফোল্ডার ছিল যা উনি হিডেন অপশন অন করে পেয়েছিলেন। আর সেই ফোল্ডারটা ছিল উইন্ডোজ ফোল্ডারের ভিতর। অনেকগুলো হিডেল ফোল্ডার দেখে একটা একটা করে চেক করতে করতে উনি এগুলো পেয়ে আগেই নিজের কাছে রেখেছিলেন। আমি আসবো বলে যা পেয়েছিলেন সেসব সরিয়ে রেখে দিয়েছেন। আমি মাথা ঝাকালাম ভাবটা এমন যে হুম সবি বুজলাম। কিন্তূ আমি আসলেই গোলক ধাধার মধ্যে পরে গেছি।এবার আমাকে আরো বেশী করে অন্য কিছু ঘাটতে হবে। এদিকে ফরিদ ভাই বললেন আমাকে আসলে ডাকা হয়েছে ডাটা রিকভারি করতে। কারন এ র‌্যাপারে আমি এক্সপার্ট ছিলাম তা উনার ভালমত জানা ছিল। এর আগে উনার কাজ করে ভাল অংকের পুরস্কার পেয়েছিলাম। আর এছাড়া একদিক দিয়ে আমি উনার সবচেয়ে কাছের লোক অন্য দিক দিয়ে ছোট ভাই এর মত।



কিন্তু রিকভারি মতবাদটা আমি মানতে পারছিলাম না। কেন করবো। বলার পর উনি যে যুক্তিটা দেখালেন তাতে আমার মনেও কিছু প্রশ্ন দেখা দিল। ফরিদ ভাইয়ের যুক্তি হল যদি কোন এভিআই ভিডিও করে এখানে কপি করি তারপর তা মুছে ফেললে রিকভারিতে পাওয়া যাবে কিনা। আমি যথাপোযুক্ত উত্তর দিয়ে বোঝালাম। তারপর নির্দেশ আসলো রিকভারি শুরু করার জন্য।এবার আমি বসলাম ডাটা রিকভারি সফট 'আইকেয়ার' নিয়ে। কিন্তূ সিস্টেম ডুয়াল কোর থাকায় মনে হচ্ছে ৩-৪ দিন লেগে যাবে। তারপরেও চেস্টা করতে লাগলাম। শুধু এভিআই আর ৩জিপি ফাইল গুলো রিকরারি দিতে লাগলাম। এর মাঝে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সেদিনটা চলে গেলো।



রাতের দিকে ফরিদ ভাই বাইরে গিয়েছে। আমিও টিভি আর কম্পুটার নিয়ে পরে আছি। হটাৎ মনে হল উইন্ডোজের যেই ফোল্ডারটা আছে সেটার সাইজটা দেখি। কারন এটা তো এখানে থাকার কোন যৌক্তিকতা দেখছিনা। আবার উনি যেই ফোল্ডার বা ফাইল পেয়েছেন তা এই ফোল্ডারের ভিতরেই ছিল।যেই কথা সেই কাজ । চোখ গাছে উঠার জণ্য বাকি আছে। উইন্ডোজ ফোল্ডারটির সাই প্রায় ৭০ জিবি।

এরি মাঝে রিকভারি শুধু এভিআই ফাইল ও শেষের দিকে। কিন্তু ফোল্ডার সাইজ নিয়ে আমি বেশ চিন্তিত থাকায় ওদিকে মাথা ঘামালাম না। এখন মনে হলো আমি আমার উদ্দেশ্যের খুবি কাছে বসে আছি । এখন শুধু দেখতে হবে উইন্ডোজের ভিতরে কোন সাব-ফোল্ডারটা সাইজ বেশি। সাইজক্রমে সাজালে সেটা পাওয়া অনেক সহজ। সেই কাজটাই করলাম।



'ইউটিএমএস লোকাল' নামে একটা ফোল্ডার পাওয়া গেল যার সাইজ সবচেয়ে বেশি মানে সে একাই ৪২ জিবির মত। কিন্তু ভিতরে গিয়ে মাথাই নস্ট করে দিলো। কারন ভিতরে ছিল শুধু 'ডিএলএল' ফাইল সাথে কিছু 'ইএক্সই' ও অন্যান্য সিস্টেম ফাইল। মন খারাপ করে ফিরে রিকভারি কম্প্লিটের জণ্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।

কিছুক্ষন পরে কম্পিট হল। ফাইল গুলো রিভিউ করতে গিয়েই মাথা নস্ট হয়ে গেল। মাত্র ১৮২ টি এভিআই ফাইল পাইছে যা এ কম্পু থেকে ডিলিট করা হইছে।

এখন কাজ হল এ ফাইলগুলোকে চেক করা। এরি মাঝে ফরিদ ভাই চলে এসেছেন। আমি উনাকে কিছু না জানিয়েই ফাইল গুলো চেক করা শুরু করলাম। কিন্তু বেশির ভাই ফাইল ওপেন হচ্ছিল না। এরি মাঝে ০.৯৯ জিবির একটা ফাইল অপেন করতেই চোখ খরখগাছ।



ভাবি আর ফরিদ ভাই প্রায় আপত্তি কর অবস্থ্যায়। তবে একদম ফুলনা। শুধু চুমুর দৃশ্য। দৃশটা দেখেই মনে হল ভাবির হাতেই কামেরা ছিল। কারন একবার এদিক ওদিক করছিল। আমি তারাতারি করে বন্ধ করতেই ফরিদ ভাই এর অবস্ত্যানটা দেখে নেই। দেখলাম উনি রান্না ঘরে নিচে বসে বাসন ধুয়ে রাখছেন। লোভ সইতে না পেরে আবারো ফাইলটা দেখলাম। সেই সাথে আরো কিছু ফাইল দেখলাম। পুরো ৪০ টা ফাইল চেক করা হয়েছে। এর মাঝে মাত্র একটাই এমন ভিডিও পেলাম। এরি মাঝে গ্লাস ধুয়ে নিয়ে আমাকে পানি দিয়ে ফরিদ ভাই জিগেস করলো কি হল কি কিছু কি পাবো কি না? আমি বললাম আমাকে ২ টা ঘন্টা টাইম দেন।



এবার তিনি আমার সামনে বসলেন। উনার উদ্যেশ্যটাও আমি বুজলাম যে উনি কি করতে চাচ্ছেন। আতংকিত চেহারা ছিল তার। বোঝাই যায় ঘুম ভাল হয় নি অনেক দিনই। আমিও একটু ধারনাপেয়ে গেছি উনার চিন্তা কি হতে পারে। যাই হোক এরি মাঝে উনাকে জানলাম যে রিকভারি এভিআই পেয়েছি। সেগুলো চেক করছি এখন। উনি আমার কথা শুনে লাফিয়ে উঠে কম্পুটারের মাউস নিয়ে বসে বললেন তোমাকে বলেছি যে ফাইল বার করতে। ওপেন করে চেক করতে বলিনাই। বলেই বললেন ওপেন করে কতটুকু চেক করেছো । রাগান্নীতই মনে হল। বলেই কম্পুঘুরিয়ে দিয়ে ফোল্ডার এড্রেস দিতে বললেন। আমিও এড্রেস দিয়ে বাথরুমে চলে গেলাম। বেচারা ভয় পেয়েছে। চোরের মন পুলিশ পুলিশ।



চলবে ...।





(সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা তবে চরিত্রর নাম গুলো অন্য নামে দেওয়া হয়েছে..........।



অধ্যয় -০৮



Click This Link



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২১

অর্ধমানব ও অর্ধযন্র বলেছেন: একি ভাই শুরুর আগেই শেষ করে দিলেন। কেন ভাই? :-< :-< :-<
তারপর কি হলো???

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

রোহান খান বলেছেন: আসিতেছে....। পুরোঝাক নিয়ে বসেছি। লিখতেও তো সময় লাগে। আর সেন্সরের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হয়।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

অর্ধমানব ও অর্ধযন্র বলেছেন: আসিতেসে শুনলেই তো ভাই ভুই পাই। আপনার আসিতেসে মানে তো কাহিনী ঝিরঝির :P :P :P
চা কফি খাইয়া কোপায়া লিখতে থাকেন। অপেক্ষায় আছি।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

রোহান খান বলেছেন: মাইল ইদ্রেসটা দেউনছে, মাইল কইরা জানাইমুনে - আপনি আরামে যাইবার পারেন হানিমুনে...। হি: হি: হি

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

অর্ধমানব ও অর্ধযন্র বলেছেন: [email protected] দিয়া দিয়েন। পইড়ালামু :P :P

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯

রোহান খান বলেছেন: নোটে থাকলো...

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৫

নূর আদনান বলেছেন: পড়লাম...... ইমানে আমার মেইল এড্রেসটা মনে পরে গেল....

না থাক আপনি আবার মাইন্ড করবেন। এমনিতেই একটু মজা করলাম আপনার সাথে। অধ্যায়- ০৯ এর অপেক্ষায় থাকলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.