![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আকাশের মত বিশাল মনে হয় , কারন আমার বুকটাও হাজারো বেদনা আর অনেক ভালবাসাই ভরা ।
• বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছি , তবুও চোখ থেকে ঘুম ঘুম রেষ কিছুতেই দুর হচ্ছে না ।মোটরসাইকেল চালাইতেছি , মন চাইতাছে চোখ বন্ধ করে ঘুমায় , আর আলিফ-লাইলার যাদুর পাটির মত বাইক একাই নিয়ে চলুক । আজ হরতাল , রাস্তা পুরা ফাঁকা , মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে আসছে । চোখ হালকা বন্দ করে বাইক চাইতাছি ।
এই…এই রকি !! কি ব্যপার ? ঘুমাইতাছো নাকি ? :০
বাইকের পেছনে বসে থাকা আঙ্কেল খেঁকিয়ে উঠেছে । আর একটু হলেই বাইক সহ খাদে গিয়েছিলাম ।ধাত্ ঘোড়ায় বসে ঘুম হবে না । রোঁদের খুব তাপ , ভাপশা গরম পরছে । লালন শাহ ব্রীজের উপর বাতাশ আছে , বেশ আরাম লাগছে , চোখ দুটো আবার বুজে আসতে চাইছে । হরতালের কারনে রাস্তা একদম ফাঁকা , খাঁখাঁ করছে । ঘুম তারানোর জন্য মনে মনে নচিকেতার একটা গান গাইতে লাগলাম ….
“ গাড়ী ঘোড়া কিছু নেই,
অফিস কাচারি নেই
এক চার চার ধারা
ফুটপাতে থাকে যারা
কেউ কোথাও নেই
কেউ নেই কিছু নেই
তবুও তো আছে কিছু…………….”
এখানে এসেই গানটা থামানো লাগলো ।মাঝ ব্রীজে একটি লাল বেনারশী পরিহিত রমনী কানে ফোন লাগিয়ে …ব্রীজের রেলিং ধরে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে !!!! ভাল করে তাকালাম , চোখ পিটপিট করে আবার তাকালাম । বোঝার চেষ্টা করছি হেলুলেশন না বাস্তব । হরতালের এই দূর্যোগপূরণ সময়ে বেলা ১১ টার সময় ব্রীজের উপর একা কোন মেয়ের দাড়িয়ে থাকার কথা না , অন্তত সাথে আরেক জন সঙ্গী তো থাকার কথা !!!
বাইকে বসে থাকা আঙ্কেলকে বলালাম ঐমেয়েটা একা দাঁড়িয়ে কি করছে ?
আঙ্কেল : নদী দেখছে মনে হয় ।তারমানে আঙ্কেল ও মেয়েটাকে দেখতে পারেছে । তাহলে এটা হেলুলেশন না । বাস্তবেই আছি । এবার বাইক স্লো করে ভাল করে খেয়াল করলাম , মেয়েটি লার বেনারশী শাড়ী পড়ে আছে ।হাতে চুড়ি, বেশ পরিপাটি সাজ, কিন্তু মোবাইলে খুব উত্তেজিত ভাবে কথা বলছে কারো সাথে । আর মাঝে মাঝে ব্রীজ থেকে নিচে পানির দিকে উকি দিচ্ছে । মনে হয় ব্রীজ আর পানির দুরত্ব অনুমান করছে । সুইসাইড করবে মনে লয় ।জনশূন্য ব্রীজে মেয়েটার একা আসা কতটুকু সম্ভব ? আমার মনে হল মেয়টি সুইসাইড করবে । আমি কি বাইক থামাবো ? দোধারায় পড়ে গেলাম , কি করা যায় , ভাবতে ভাবতে আমি আনেক দুর চলে এসেছি , এবার ভাবতে লাগলাম :
** মেয়েটি যদি কোন ছেলের সাথে আসতো , তবে একা ফেলে রেখে ছেলেটি অন্য কোথাও চলে যেত না । তারমানে মেয়েটি যেকোন উপায়ে একাই এসেছে ।
** মেয়েটি উত্তেজিত ভাবে মোবাইলে কথা বলতে ছিল , চেহারায় বিষন্নতার ছাপ ।
** এই গরমে কড়া রোদ্রের ভেতর মেয়েটি বেনারশী পড়ে আছে কেন ?
** এবং মোবাইলে খুব উত্তেজিত ভাবে কথা বলছে কারো সাথে । আর মাঝে মাঝে ব্রীজ থেকে নিচে পানির দিকে উকি দিচ্ছে কেন ?
আমার মন বলছে মেয়েটি সুইসাইড করার প্রস্তুতি নিচ্ছে । বাট হুয়াই ??? হুয়াই সে সুইসাইড করতে চাইতেছে ?? কিছু একটা করা দরকার । ব্রীজের টহল পুলিশকে ইনফর্ম করবো ? নাহ … পুলিশকে ইনফর্ম করার আগে ভেবে নি , কেন মেয়েটি সুইসাইড করতে পারে ?
এই গরমে কড়া রোদ্রের ভেতর মেয়েটি বেনারশী পড়ে আছে , তবে কি আজ মেয়েটির কোর্ট ম্যারেজ করার কথা ছিল ?
মেয়েটি উত্তেজিত ভাবে মোবাইলে কথা বলতে ছিল , চেহারায় বিষন্নতার ছাপ , তারমানে ছেলেটি প্রতারনা করেছে ? কথা দিয়ে আর আসেনি ছেলেটি ? মেয়েটি প্রতারিত হয়েছে ?
এবং মোবাইলে খুব উত্তেজিত ভাবে কথা বলছে কারো সাথে । আর মাঝে মাঝে ব্রীজ থেকে নিচে পানির দিকে উকি দিচ্ছিলো ,তারমানে মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলো
….যদি সে আজ না বিয়ে করে ,তবে মেয়েটির সুইসাইড করা ছাড়া কোন উপায় নাই
ছেলেটি হয়তো কথা দিয়েছিল আজ বিয়ে করবে । মেয়েটি সেই ভরসাই বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছে । ছেলেটি প্রতারনা করেছে । মেয়েটি প্রতারিত হয়েছে । যদি আমার ধারনা গুলো সব সত্য হয় , তবে কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মেয়েটির সামনে দুইটা পথ খোলা আছে ।
১. ছেলেটিকে যে কোন ভাবে বোঝানো , যে আজ বিয়ে করতেই হবে । হয় বিয়ে করে বউ বেশে বাড়ি ফিরতে হবে , নয়তো সে সুইসাইড করবে ।আর ছেলেটি যদি সত্যিই মেয়েটিকে ভালবেশে থাকে তবে সে বিয়ে করে মেয়েটিকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে ।
২. আর মেয়েটি যদি সত্যিই প্রতারিত হয় তবে সারাজীবন কষ্ট বুকে নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে । সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পথ সু্ইসাইড করা । কষ্ট বয়ে বেড়ানো থেকে মুক্তি পাওয়া । ১ম ও ২য় দুইটা পথই মেয়েটির একমাত্র মুক্তির উপায় ।
আমি যদি বাধা দিই তবে মেয়েটির কষ্ট মুক্তি হবে না , বরং বাড়বে , তাই আমি আর পুলিশকে ইনফর্ম করলাম না । আমি মানুষের কষ্ট চায় না । তাই মেয়েটির সিদ্ধান্ত মেয়েটিকেই নেওয়ার সুযোগ দিলাম ।বেস্ট অফ লাক !!!
৫ ঘন্টাপর আবার আমি যখন লালন শাহ ব্রিজের কাছে আসলাম , ঐমেয়েটির কথা মনে পড়ে গেল । কি করলো ? ব্রীজের টোল নেওয়া ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম , ভাই আজ কেউ ব্রীজ থেকে লাফ টাফ দিয়েছে নাকি ?
টোল কালেকশন করা ভাই সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বললো মানে ? কাউকে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়ার প্লান করেছেন নাকি ?
খাইছে !!! ভাব বেগতিক দেখে আমি বললাম , নারে ভাই ….. আজ যে গরম পরছে , গরমে অতিষ্ঠ হয়ে কেউ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে বসে আছে কিনা তাই বলছি হা হা হা !!!! আমার কথা শুনে টোল কালেকশন করা ভাই ও হেসে ফেললেন ।
যাক বাবা এ যাত্রা বাঁচা গেল । কিছু করার না্ই , কাল সকাল পর্যন্ত কুষ্টিয়া ও ঈশ্বরদীর নিউজ পেপার এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে । ব্রিজ থেকে কোন মেয়ে সুইসাইড করে মারা গেছে কিনা । যদি মারা যায় তো ইন্নালিল্লাহ !!! না মারা গেলে আলহামদুলিল্লাহ !!! কষ্ট থেকে মুক্তি পেলেই হল
..
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
রকি বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
এহসান সাবির বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।