![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আকাশের মত বিশাল মনে হয় , কারন আমার বুকটাও হাজারো বেদনা আর অনেক ভালবাসাই ভরা ।
হোটেলে ঢুকতেই ম্যানেজার বললেন “ স্যার আপনার জরুরী ফ্যাক্স এসেছে ”। ফ্যাক্সটা হাত নিয়ে রুমে ঢুকেই আগে দরজা আটকালো অনন্ত ।
দুবাই থেকে জলিল এজেন্সির ইন্চার্জ “জব্বার” - আব্দুল জব্বার মেসেজে পাঠিয়েছে । মেসেজে কোন সার্মর্ম্য লিখা নাই , so ফোনে কথা বলতে হবে ।
৩ ঘন্টা পর সন্ধ্যা ৬:২৫ মিনিট থাইল্যান্ড Thai Mampul Hotel এর পেছন দিকের Johan street এর পাশের Phone Bouth থেকে ফোন করলো অনন্ত । ও পাশ থেকে রিসিভার তুললো জব্বার : হ্যালো স্যার. .. . . .
অনন্ত : হ্যাঁ জব্বার বলো ?
- স্যার এখানে বাংলাদেশী বিজ্ঞানী প্রফসের কাদির খান ও তার সাথে কয়েকজন মাওবাদী নেতা কে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে । বিষয়টা আপনাকে জানানো জরুরী মনে করলাম তাই ফ্যাক্সের মাধ্যমে সংকেত পাঠিয়েছি স্যার ।
-সঠিক কাজটিই করেছো জব্বার । But প্রফেসর কাদির খান এর মাওবাদী নেতাদের কি ব্যপার ? কি করতে চলেছে প্রফেসর ? তব কি মাওবাদীরা প্রফসের এর কাছ থেকে কোন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিতে যাচ্ছে ? যদি তাই হয় তাহলে বিষয়টা সবথেকে বড় হুমকি হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার জন্য ।বাংলাদশেও বাদ যাবে না এর প্রভাব থেকে !!
জব্বার !! নজর রেখো প্রফেসর এর দিকে , আমি যত দ্রুত সম্ভব আসছি দুবাইতে ।
প্রফেসর কাদরি খান :
হাই-প্রোফাইল বিজ্ঞানী , বাংলাদেশে জন্ম ও বাংলাদেশী নাগরিক হলেও জীবনের প্রায় সময়ই কাটিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে । তার অনেক আশ্চর্য্য আবিষ্কারের জন্য যেমন পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অনেক পুরষ্কার, তেমনি তার অনেক বিতর্কিত কাজের জন্য অনকে দেশকে পরতে হয়েছে হুমকির মুখে । অঢেল সম্পদের মালিক এই প্রফেসর । বিশ্বের অনেক দেশেই আছে তার সম্পদ ও বাড়ী । এমনকি অনেক দেশে কয়েকটি দ্বিপের মালিকও তিনি ।
কিনেছে রাশিয়ার তৈরি অত্ত্যাধুনিক সাবমেরিন । আছে R-66A হেলিকপ্টার ।
অনন্ত :
ভাল নাম : মোহাম্মাদ আব্দুল জলিল - অনন্ত । জলিল এজেন্সির কর্ণধার । বাংলাদেশ ইন্টেলিজেন্স এর সাবেক দূধর্ষ স্পাই । বর্তমানে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক । বিশ্বের অনেক দেশেই আছে তার ব্যবসা । কিন্তু রক্ত যে তার এডভেঞ্চারের ও স্পাই এর নেশা । তাই শত ব্যবসার পাশাপাশি তার পুরাতন পেশা ছাড়তে পারেননি । তারই ফল “ জলিল এজেন্সি’’ ।
কাদির খানের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়াতে “ Mission Impossible” এ ।সেবার অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিল অনন্ত । আর পালিয়ে গিয়েছিল প্রফেসর কাদির খান ।
দুবাই ! বুর্জ খলিফা’র ৮৯ তলা , জলিল এজেন্সির অফিস । প্রফেসর কাদির খানের সম্প্রতি কার্যক্রমের ফাইল হাতে দিল জব্বার ।
জব্বার ! আব্দুল জব্বার ! জলিল এজেন্সির দুবাই শাখার ইন্চার্জ । খুব সাবধানী ও চৌকশ স্পাই ।অনন্তের খুব পছন্দের একজন ।
কাদির খান গত তিন বছরে আফ্রিকা ও দক্ষিন আমেরিকার ভেতর বেশ কয়েকটি নির্জন ও পরিত্যক্ত দ্বীপ কিনেছে ।আশ্চর্যজনক হলেও সত্য স্যাটালাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দ্বীপ গুলোর মধ্যে কয়েকটি দ্বীপ গায়েব হয়ে গেছে !! পরিত্যক্ত ও বিক্রিত হওয়ার জন্য সেদেশের সরকার আর মাথা ঘামায়নি । বরং আর্থিক ভাবে ক্ষক্তিগ্রস্ত হওয়ায় কাদির খানকেই ৫০% ক্যাশ ব্যাক দিয়েছে সরকার !!
তাহলে প্রফেসর কাদির করছেটা কি ? বিদ্বধংসী টাইপের কোন অস্ত্রের পরিক্ষা চালানোর কারনে দ্বীপগুলো সমূদ্র গর্ভে দেবে গেছে বা ধ্বংস হয়েছে ?? আর সেই অস্ত্রগুলোই কি কিনতে চাইছে মাওবাদী সংগঠন ?
তাহলে তো বড় বিপদ ঘনিয়ে আসবে । Misfortune never comes alone !! বিপদ কখনও একা আসে না । ভারত সাগর ও বঙ্গপোসাগর হয়ে উঠবে দ্বীতিয় সোমালিয়া ।
-জব্বার !!
-জ্বী স্যার ।
-Have you any news ?
-জ্বী স্যার । গত রাতে KONGO AIRLINES এর একটি ফ্লাইটে প্রফেসর কাদির কেপটাউন এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে । এয়ারপোর্ট থেকে নিউজ পেয়েছি ।
-প্রফেসর কি একা ? নাকি সাথে কেউ ছিল ?
-প্রফেসর একা ।
** দুবাই-তে কাদির-মাওবাদী নেতাদের বৈঠক ।
** ২ দিনপর কাদির কেপটাউনে ।
কি সম্পর্ক থাকতে পারে ঘটনাগুলোর ?? মাথা পুরাই নষ্ট হওয়ার উপক্রম ।
.......................................................................... (চলবে )...
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: লিখুন