নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তু‌মি যখন কথার কথা ছড়াও পা‌খির গা‌নে , আ‌মি থা‌কি কা‌কের ভি‌ড়ে কো‌কিল সাজার ভা‌নে !

রকি বিশ্বাস

নিজেকে আকাশের মত বিশাল মনে হয় , কারন আমার বুকটাও হাজারো বেদনা আর অনেক ভালবাসাই ভরা ।

রকি বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারন ব্যবসায়ীর ব্যবসায় শিক্ষা :

১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

ঃ ব্যবসায়ী’র ব্যবসায় শিক্ষা ঃ

লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন , শাক-ডাটা’র থেকে শুরু করে সোনা’র ব্যবসা , সব ক্ষেত্রেই দুইটা বিষয় থাকে ,
১) পলিসি
২) প্রসেসিং
এই দুইটা বিষয় গুরুত্ব না দিলে অবশ্যই ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হবে ।

পলিসি ঃ
ব্যবসা একটি চলমান প্রক্রিয়া ও দীর্ঘ পথে যাত্রা ।
ব্যবসার মূল ভিত্ত্বিই হলো তার পলিসি/নীতি ।

শাক-ডাটা’ বিক্রেতা / স্বর্ণ বিক্রেতা যদি নীতিহীন হন তবে তিনি হয়তো সাময়িক লাভবান হবেন ; কিন্তু তার ব্যবসা ক্ষতির দিকে স্থায়ী ভাবে অগ্রসর হবে ।
যেমন , একজন শাক-ডাটা’ বিক্রেতা / স্বর্ণ বিক্রেতা যদি ক্রেতাকে ফাঁকি দিয়ে ওজনে কম দেন , তবে ঐক্রেতা দ্বিতীয় দিন আর ঐ শাক-ডাটা’ বিক্রেতা / স্বর্ণ বিক্রেতার নিকট যাবেন না । কিংবা একটা জিনিস দেখায়ে অন্যটা ডেলিভারি দিলে কাস্টমার নষ্ট হয়ে যাবে । বাজারে বিক্রেতার বদনাম ছড়িয়ে পড়বে । বিক্রেতার গুডওয়েল নস্ট হয়ে যাবে ।
গুডওয়েল কিন্তু “ মুলধন ” । গুডওয়েল নস্ট করা মানে মুলধন নষ্ট করা ।

প্রসেসিং ঃ

শাক-ডাটা’ বিক্রেতা / স্বর্ণ বিক্রেতা / শিল্পদ্দ্যোক্তা যাই বলেন , তাদের পণ্য বিক্রির সাফল্য নির্ভর করে তার প্রসেসিং এর উপর ।

বাজারে গেলে দেখবেন , শাক বিক্রেতা শাকের আঁটি যখন বাধে , আঁটির বাহিরে চারপাশে সুন্দর শাকগুলো দেয় আর ছোট , অসুন্দর গুলো দেয় তার আঁটির মধ্যে খানে ।
এটা কিন্তু তার দুর্নীতি বলা যাবে না । এটা তার পণ্যের প্রসেসিং ।

ডাটা’ বিক্রেতা ডাটার আঁটি যখন বাধে , আঁটির বাহিরে চারপাশে সুন্দর ডাটাগুলো দেয় আর ছোট , অসুন্দর গুলো দেয় তার আঁটির মধ্যে খানে ।

সাধারন ইসুপগুলের ভুষিও যখন দৃষ্টিনন্দন প্যাকেটে পুড়ে প্রাণ কোম্পানি বাজারজাত করে তখন ক্রেতা বাজার ছাড়া ২ টাকা বেশি দিয়ে সেটাই কেনে । কারন তারা ভাল বলে খারাপ দিচ্ছে না । বরং তারা ব্রান্ডিং করে রুচিসম্মত উপায়ে আপনার সামনে উপস্থাপন করছে । যদি পুরাতন নিউজ পেপারের ঠোঙায় করে উপস্থাপন করতো তবে কি ক্রেতা সেইটা কিনতো ?

এটা কিন্তু তার দুর্নীতি বলা যাবে না । এটা তার পণ্যের প্রসেসিং ।

ব্যবসার নির্দিষ্ট কোন প্লান বা থিওরী নেই । ব্যবসা বুঝানোর জিনিস না ; বুঝার জিনিস ।

বাংলাদেশের ব্যবসায়ে …… সব থেকে বেশি যে জিনিস টা প্রয়োজন , তা হল ধর্য্য ।

ধর্য্য না থাকলে ব্যবসায়ে সাফল্য অনিশ্চিত ।

যেমন ধরেন , চাহিদার চাইতে যোগান অনেক বেশী হয়েগেছে , বিক্রেতাদের মধ্যে পন্য বিক্রির মরীয়া প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে ; ফলে মার্কেটে ক্রেতার অভাব , মাল বিক্রি হয় অসম্ভব সস্তায় । তখন আপনাকে ধর্য্য ধারন করতে হবে । মনে রাখতে হবে ব্যবসায়ে প্রতিযোগীতা মানেই ক্ষতি ।

অবশ্য এটাও ঠিক ধর্য্য-র অপর নাম টাকা/ মুলধন । যার ব্যবসায়ে মুলধন বেশি , তার ধর্য্যও তত বেশি হবে । কারন পণ্য ঘরে আটকিয়ে রাখতে হলে তো যথেষ্ঠ মুলধনের প্রয়োজন ।

ব্যবসায়ের মুনাফা ঃ

মনে রাখতে হবে , যার ব্যবসা যত বড় ; তার মুনাফা তত বেশি । যার ব্যবসা যত ছোট তার মুনাফাও কম ।
প্রক্ষান্তরে ,
, যার ব্যবসা যত বড় ; তার লস (ক্ষতি)ও তত বেশি । যার ব্যবসা যত ছোট ; তার লস (ক্ষতি)ও কম ।

তাই ব্যবসায়ে প্রতিযোগিতা করা যাবে না , সব সময় পণ্যের কোয়ালিটি ও কমিটমেন্ট বজায় রেখে নিজের কাজটা করে যেতে হবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.