![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আকাশের মত বিশাল মনে হয় , কারন আমার বুকটাও হাজারো বেদনা আর অনেক ভালবাসাই ভরা ।
বাম্পার ফলন মানেই তো চোখের সামনে ভেসে ওঠে কৃষকের হাসি মুখ । বাস্তবে কি কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ?
দেশে গত বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছিল । যারা কোল্ড ষ্টোরে আলু সংরক্ষন করেছিল , তারা কেউ কোল্ড ষ্টোর থেকে আলু আনতেই যায়নি , কারন আলুর বর্তমান বাজারে যে দামে বিক্রি হবে , কোল্ড ষ্টোরের ভাড়াই তার থেকে বেশি পে করতে হবে ।
এবছরও একই অবস্থা । নতুন আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি । তাহলে চাষি কত টাকা পাচ্ছে ?
অথচো পাশের দেশের দিকে তাকান ।
খরিপ ফসল ও রবি ফসলের বাম্পার ফলন হওয়াই ভারত সরকার কিছু যুগান্তকারি ও সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেছে ।
খরিপ সিজনে মুগ ডাল ও মাসকলাই এর বাম্পার ফলন হওয়াই ইন্ডিয়ান সরকার মুগ ও মাসকলাই আমদানিতে সিমাবদ্ধতা বেধে দিয়েছে । চলতি বছরে সর্বচ্চ ৩ লক্ষ টন মুগ ও মাসকলাই আমদানি করতে পারবে । তাও আমদানি শুল্ক ১০% থেকে বাড়িয়ে ৩০% করা হয়েছে । যাতে দেশের চাষিরা সুরক্ষা পায় ।
রবি সিজনে ছোলা ও অড়হঢ় ডাল ও মশুরের বাম্পার ফলন হওয়ায় ইন্ডিয়ান সরকার এঙ্কর/ ডাবলির আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০% ধার্য করেছে ।
এবং গত একদশক ধরে ডাল জাতীয় পন্যের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে রপ্তানিতে সহায়তার ঘোষনা দিয়েছে ।
ইন্ডিয়ান সরকার তার দেশের কৃষকদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে তার প্রভাবে বাংলাদেশে ডালের বাজারে বড় ধরনের ধ্বস নেমেছে ।
ইন্ডিয়া মুগ ও মাসকলাই আমদানির সিমাবদ্ধতা ও ডিউটি বৃদ্ধি করার কারনে মায়ানমার এর মুগ ও মাসকলাই বাংলাদেশের মার্কেটে সাগরের ঢেওয়ের মত প্রবেশ করছে । এখন বাংলাদেশে মুগ ও মাসকলাই তোলার সময় , আর এমন মুহুর্তে বিদেশি পন্য কম দামে চাহিদার অতিরিক্ত ঢুকে পড়াই দেশের চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়লো ।
আমাদের দেশে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কুফল ভোগ করে প্রান্তিক চাষি ও দরিদ্রও মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষজন
।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৩
রকি বিশ্বাস বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে মোটরসাইকেল , কার , মাইক্রো কেনার স্বামর্থ্য আছে , কিন্তু ৪০ টাকা কেজি চাল কেনার স্বামর্থ্য নাই । সেজন্যই তো কৃষকের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয় না ।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: বাংলার কৃষক সবচেয়ে অবহেলিত।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৫
রকি বিশ্বাস বলেছেন: দেশের রাজনৈতিকগন সব চেয়ে সমাদৃত ।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১২
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমাদের দেশের কৃষক অবহেলিত এবং বঞ্চিত
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯
রকি বিশ্বাস বলেছেন: সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের উদাশীনতার ফলে ,, , , , , ,
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৯
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশ অনেক বড় বাজার।আমাদের চাহিদার বিপরীতে সবাই সুযোগ নেয়।বিশেষ করে ভারত।এখানে সরকারের কি বা করার আছে?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
রকি বিশ্বাস বলেছেন: ভারতের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে । কিভাবে বাজার নিয়ন্ত্রন করতে হয় । অভ্যন্তরিন কৃষির সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদি ।
শুধু কৃষি না , পোল্ট্রি ও মৎস খাত ও দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই বিদ্ধস্ত হবে ।
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২
কালীদাস বলেছেন: কৃষক ঠকে, ভোক্তা পর্যায়ে সবার গলাকাটা পড়ে। তাহলে লাভটা হয় কার? মধ্যপর্যায়ের এই সিন্ডিকেটগুলোর কোমড় ভাঙতে না পারলে আপনি আমি বাদবাকি জীবন এইধরণের মানবিক পোস্টই করে যাব, লাভের লাভ কিছু হবে না। অজানা কারণে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের এক্টিভিটি খুব চোখে পড়ে না বললেই চলে
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
রকি বিশ্বাস বলেছেন: সহমত
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২০
সাইন বোর্ড বলেছেন: এসব পণ্যের দাম এক সময় ঠিকই হবে কিন্তু সেটা পাবে কেবল মধ্যসত্ব ভোগিরা ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
রকি বিশ্বাস বলেছেন: একদম সত্য কথা । শুধু লেজে আগুন লাগলেই বাঙালীর হুস ফেরে । যেমন পেঁয়াজে ফিরেছে ।
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: যপগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা অনেকটা দায়ী। এছাড়া বাম্পার ফলন হলে সেই পন্যের আমদানী বন্ধ করে দেয়া দরকার।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
রকি বিশ্বাস বলেছেন: ইন্ডিয়া কিন্ত সেটাই করেছে । বন্ধ না করে ডিউটি বাড়িয়ে দিয়েছে ।
আমি এটাই বলতে চেয়েছি ।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আলু কোল্ড স্টোরেজে রেখে দাম বাড়লে বিক্রি করে দেওয়া একটা ব্যবসা। আর ব্যবসায় লাভ লোকসান দুটোই আছে। চাষিরা যদি শুধু লাভ ছাড়া লোকসান মেনে নিতে না পারেন, তাহলে তারা এই ব্যবসা করতে যান কেন? মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার মনিটরিং-এর কোন কার্যকারিতা নাই। এ ধরনের অর্থনীতিতে বাজার ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হয়।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৪
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "চাষিরা যদি শুধু লাভ ছাড়া লোকসান মেনে নিতে না পারেন, তাহলে তারা এই ব্যবসা করতে যান কেন? মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বাজার মনিটরিং-এর কোন কার্যকারিতা নাই। এ ধরনের অর্থনীতিতে বাজার ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত হয়।"
সরকারকে কিছু বিষয়ের দায় দায়িত্ব নিতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা বাড়ানো, দেশের ফলনের উপর নির্ভর করে আমদানী রপ্তানী নীতি নেয়া ইত্যাদি। আমার বিশ্বাস সরকার এই দায়িত্ব পালন করে থাকে। তবে আরো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া দরকার। কারন এটা সবার প্রিয় দেশ, প্রিয় জন্মভূমি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩১
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: কৃষক শ্রেণী সবসময় বঞ্চিত । প্রকৃত অর্থে যারা ফসল ফলাচ্ছে তারা গরীবই থাকছে । ভালো লাগলো লেখা টা ।