নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন আমার দিগন্তব্যাপী বড় বড় স্বপ্ন ছিলো। এরপর কিভাবে কিভাবে যেন একদিন আমি বড় হতে শিখলাম, ব্যস্তানুপাতিক হারে আমার স্বপ্নরা শিখলো সংকীর্ণ হতে। আজ অণুবীক্ষণ হাতে মস্তিষ্কের আনাচে-কানাচে স্বপ্নদের খুঁজে বেড়াই। ঝাঁকঝাঁক নিউরন আবর্জনার ফাঁকে স্বপ্নরা কোথায় যেন বিলীন হয়ে গেছে!
- চকলেট খাবা?
- দেখ আমি তোমার সাথে ফাইজলামি করার জন্য আসি নি। আমি সিরিয়াসলি কিছু কথা বলতে চাই।
- এটা সেন্টারফ্রেশ চুইংগাম না যে, খেলেই মুখের জিপার বন্ধ হয়ে যাবে।
- আবার!
- আচ্ছা আমিই খাই। কি বলবে বলো!
- আমার বাসায় বিয়ের কথা চলছে! প্রায়ই ছেলে পক্ষ দেখতে আসে। ওদের সামনে স্ট্যাচু হতে ভালো লাগে না!
- বিয়ে করে ফেলো! নিষেধ করেছে কেউ?!
- মানে কি এসবের? প্রেম করলাম তোমার সাথে, বিয়ে করব অন্যজনকে!
- হুম
- মজা কইরোনা প্লিজ!
- নাহ! আমি ড্যাম সিরিয়াস!
অস্ফুট কন্ঠে 'ওহ!' বলেই চলে যাচ্ছিলো মেয়েটি। আর ছেলেটি তাকিয়ে থাকল মেয়েটির চলে যাওয়া পথের দিকে।
এখানে দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে। একটা কাল্পনিকতা আরেকটা বাস্তবতা। দুইটা ঘটনাই একটু মিলিয়ে দেখি...
এক...
মেয়েটি চলে যাচ্ছিল, তার চোখটা ভিজে আসছিল বারবার। ছেলেটি খেয়াল করল বিষয়টা। হঠাৎ ডেকে উঠল ছেলেটি, 'বউ!' মেয়েটি তার ছলছল চোখ মুছে মুচকি হেসে বলল, 'জ্বী!'
- ভালোবাসি!
- 'হু!' মেয়েটির চোখ জুড়ে হাসির ঝিলিক ছড়িয়ে পরে পুরো মুখে।
- চিন্তা করো না। খুব জলদিই কিছু একটা করব ইনশাল্লাহ!
- জানি তো!
- আর তোমারও আর স্ট্যাচু হতে হবেনা। হি হি হি
- মজা করবা না বলছি। হুহ
এরপর হয়ত ছেলেটি ঐ মেয়েটির হাতটা খুব শক্ত করে ধরবে। আর মেয়েটিও ছেলেটির হাতেই নিজেকে ছেড়ে দিবে। হাসবে দুজনেই!
দুই...
ছেলেটি মেয়েটির চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে থাকল। একসময় মেয়েটি চোখের আড়ালে চলে গেল। সাথে সাথেই ছেলেটি তার চোখটা মুছল। বেকার ছেলেদের কাঁদতে নেই। কারন তাদের কান্নাকে 'মায়া কান্না' বলে ধিক্কার দেয় অনেকেই!
হঠাৎ ফোনটা কেঁপে ওঠে ম্যাসেজ টোনে। মেয়েটির ম্যাসেজ! লিখা আছে, 'আমি সত্যি তোমায় এই মুহুর্ত থেকে প্রচন্ড ঘৃনা করতে শুরু করেছি! আই হেইট ইউ!'
- 'ক্ষমা করে দিও। আর হ্যা, এখনও ভালোবাসি তোমায়...' ম্যাসেজটা লিখেই সেন্ড অপশনে চাপল ছেলেটি। কিন্তু লেখা উঠল, 'ম্যাসেজ নট সেন্ট!'
বেকার ছেলেদের ফোনে মাঝে মাঝে ব্যালেন্সও থাকে না!
ছেলেটি মুচকি হাসল নিজের কথা ভেবে। এরপর পকেটে রাখা হেডফোনটা কানে লাগিয়ে হাটতে শুরু করল। কানে বাজতে থাকল অঞ্জন দত্তের এক অমর গান,
আর কিছুদিন দিন তারপর বেলা মুক্তি,
কসবার ঐ নীল দেওয়ালের ঘর।
সাদাকালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যেকথার শহরে,
তোমার আমার লাল-নীল সংসার!!
আইভান
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫
মহামতি আইভান বলেছেন: এইটা অবশ্য ঠিক বলছেন। প্রথম ঘটনাটা শুধু গল্প-উপন্যাসেই ঘটে, হ্যাপী ইন্ডিং এর জন্য
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০
অচেনা আজাদ বলেছেন: বাস্তবতার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে কিছু টা। ভালোই লিখেছেন ভাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
মহামতি আইভান বলেছেন: পৃথিবীর সকল গল্পই সামান্য হলেও বাস্তবতা মিশ্রিত থাকে। বাস্তুতার সাথে একটু কল্পনা মিলেই গল্প হয়ে যায়
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯
আম আদমি বলেছেন: দ্বিতীয় ঘটনাটা বেশি ঘটে ভাই।