![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধনী -গরীব মিলেই আমাদের প্রতিটি শহর- গ্রাম। বাংলার এখনও একটা উল্লেখযোগ্য জনগোষ্ঠি অশিক্ষিত। তবে শিক্ষিত কিংবা আশিক্ষিত প্রতিটি মা-বাবাই চান তার ছেলেমেয়ে উচ্চ শিক্ষিত হউক। মধ্যেবিত্ত, নিম্ন মধ্যেবিত্ত., গরীব পরিবার তাদের ছেলেমেয়ে শিক্ষিত করতে যে ঘাম জরাতে হয়, খুব সম্ববত তাতেই দেশে পানির স্তর ঠিক থাকে, কারন পাশের বন্ধু প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত আমাদের পানির অভাবে মারবেন – প্রতিজ্ঞা করেছেন। তার দ্রষ্টব্য তিস্তা। যাইহোক সরকার নীম্নমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাকে ফ্রী করলেও, উচ্চতর শিক্ষা যতেষ্ট পরিমান ব্যায়বহুল, যাকিনা সব পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। খুব সম্ববত এ কারনেই দেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী HSC -পরে আর পড়ালেখা করতে পারে না। আর বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষার্থী চান্স পায়?
তাই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়। এখন যারা অনেক কষ্টভোগ করে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হয়েছে, তাদের কপালে যে কি আছে তা আল্লাহই ভাল জানেন! কারন সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কি জন্য এ রহস্যময় খেলা খেলছেন, যা কিনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে করার কথা। যদি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা নিয়ে সরকারের এত সন্দেহ থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিক, সরকার কি এ ক্ষমতা রাখে না? আজ লাখো শিক্ষার্থীর. সার্টিফিকেট নিয়ে সংসয়। আজ যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এত টাকা খরচ করে পড়ালেখা করে সার্টিফিকেট অর্জন করলো তাদের কি হবে? চাকরী ক্ষেত্রে, কিংবা কোথাও সনদ নিতে তারাতো পরিক্ষা ছারা এ শিক্ষার্থীদের চাকরী তথা সনদ দিবে না। তবুও কেন এ নিষেদাজ্ঞা? HSC পরিক্ষার প্রশ্ন ফাস হলো, কোথায় সরকার? তাদের সার্টিফিকেট নিয়ে কেন কথা হয় না? একদিন হবে! সেদিন এই সরকারই করবে? আর সেই সকল শিক্ষার্থীর কি হবে? শিক্ষা নিয়ে বিভিন্ন বড় বড় মনীষীদের অনেক উক্তি আছে। যেমন – তোমরা আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিবো, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এসব উক্তি থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের দেশের তথা নিজের জীবনের উন্নয়নের জন্য হলেও শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু এ উক্তিগুলোর আদোও কি কোন মূল্য বা মূল্যায়ন আছে, আমাদের সরকারের কাছে? আমার লেখা এ প্রশ্নগুলো শুধু আমার নয়, সব শিক্ষার্থীর।
তাই শুধু সরকার নয় প্রতিটি পরিবার, সমাজ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বুদ্ধিজীবী মহল, শিক্ষকসম্প্রদায়, সচিবালয় থেকে মন্ত্রনালয়ের কাছে আমাদের একটায় আকুতি আপনার এ ব্যাপারে দ্রুত এবং স্থায়ী স্বিদ্ধান্ত গ্রহন করুন, অর্ধলক্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে এমন রহষ্যময়ী খেলায় মাতবেন না আর দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তন করুন।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬
রোমেল আশরাফ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
বাংলার পাই বলেছেন: সহমত।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬
খাটাস বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, আমি নিজে ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি বিধায় যা দেখি, আমি মনে করি, অধিকাংশই এখানে গাধা। আমি ও তাদের একজন। যারা শিক্ষার মূল্যই বুঝতে শেখেনি, শিখেছে টাকা উসুল করতে। তাও এদেশে সম্ভব হয় না। গোঁড়া না পালটিয়ে নিজেদের কেও পাল্টাতে না চাইলে কেও পাল্টাতে এগিয়ে আসবে না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিবেক তৈরি হতে দেখেছি, যারা সামগ্রিক ভাবে শিক্ষা নিয়ে কিছু বললে ওই সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ই অনেক মেধাবি গাধা না বুঝেই বেসরকারি দের তুচ্ছ জ্ঞান করে। শুরু হয় সরকারি বেসরকারি ক্যাচাল। ছাত্র সমাজ এক না হলে দাবার গুটি আর শ্রমদাস ছাড়া জীবনে কেও বেশি কিছু হতে পারবে বলে মনে হয় না।
এমন একটি আত্তসচেতনতা মুলক পোস্টের জন্য কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ ভাই রোমেল/
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
মিজভী বাপ্পা বলেছেন: সরকার কিছুদূর এগোলে ইউজিসি আবার টাকার পাহাড় দিয়ে সরকারকে চুপ করে দেয়। কারণ সরকারের ঐসব দৌড়ঁঝাপ থাকেই তো টাকা খাওয়ার জন্যই। আর এই খরচের দায় ভার গ্রহণ করতে হয় স্টুডেন্টদের।
সরকারের তো ভাই আর মাথা ব্যাথা নেই দেশের জনগণ শিক্ষিত বেশী হলে যে সরকারের গদি থাকবে সেটা সরকার জানে। আর এজন্যই এসব প্রশ্ন হাস-ফাঁস হয়।