![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তোমার খাতার প্রথম পাতায় লিখে দিলাম আলপনা আমার ছবি কইবে কথা যেদিন আমি থাকবোনা ।
কেএল সিটি ঘুরে ঘুরে আরও অনেক কিছু দেখা হলো । মসজিদ দেখতে গিয়ে একটা মজার কান্ড ঘটেছে সেটা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে । বাস মসজিদ চত্বর থেকে কিছুটা দুরে রাখা হয়ে ছিল । বাসের মেয়েরা ভাবছি আমরা কি মসজিদের ভেতরে যেতে পারবো কিনা / যাওয়া উচিত হবে কিনা ।
গাইড উসমান আগে আগে নেমে গেছে । আমরা বাসের জানালা দিয়ে দেখছি মসজিদের দোতলায় বেগুনী রং এর বোরখা পরা অনেক গুলো মহিলা । সবাই একই রকম বোরখা পরা । কি ব্যাপার ! মনে হচ্ছে কোনো গ্রুপ মসজিদ দেখতে এসেছে । সবাই যেহেতু একই রকম বোরখা পড়ে এসেছে নিশ্চয়ই কোনো ধার্মিক গ্রুপ হবে ।
কেনো যে সাথে করে বোরখা নিয়ে আসলাম না ? আফসোস !
আমরা সবাই সালোয়ার কামিজ পড়া । এটাও শালীন পোষাক । সবাই মাথায় কাপড় ভালো করে জড়িয়ে ওজু করে এগোচ্ছি । বেগুনী বোরখা গ্রুপের সবাই নিচে নেমে পাশের বারান্দা মতো জায়গায় বোরখা খুলে স্বরুপে ফেরত আসছেন । সকলেই যথারীতি টপস আর হাফ প্যান্ট ।
আমি বেকুব এর মতো তাকিয়ে দেখছিলাম ।
মসজিদ এলাকা । হাসতেও পারিনা ।
খেয়াল করে দেখলাম ফরেনারদের জন্য বিশেষ ব্যাবস্থা । হাফ প্যান্ট পার্টিদের আপাদমস্তক বোরখায় ঢেকে তারপর ভেতরে ঢুকতে হয় ।
পরদিন প্রতিযোগিতা । মজা করে ঘুরছি । পরীক্ষায় যে কি হয় আল্লাহ মালুম !
মসজিদে ঘুরতে ঘুরতে প্রার্থনা করছি । ওখানেও একপাশে স্যুভেনির শপ আছে । তসবিহ্ , চাবির রিং , সুরমা , খেজুর , ড্রাই ফ্রুট , জায়নামাজ আরও অনেক কিছু পাওয়া যায় তবে দাম বেশ চড়া ।
বাচ্চাদের পরীক্ষার জন্য আরেকটা সুন্দর হোটেলে আয়োজন করা হয়েছে । সকাল বেলা সবাই দুরু দুরু বুকে হাজির হলাম । আমার নিজের পরিক্ষার সময় ও এতটা টেনসড ছিলাম না ।
এই হোটেল টাও খুব সুন্দর । খোলামেলা লবির এক পাশে পিয়ানো কিন্তু বাজানোর কেউ নেই । আমাদের সাথের অন্যান্য সকলেই পিয়ানো ও তার আশেপাশে ফটো সেশনে ব্যাস্ত ।আমার টেনশনে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ।
দোতলায় বড় একটা হল রুমে বাচ্চাদের পরীক্ষা নেয়া হলো । চীন, সিংগাপুর, ভারত ,জাপান, দক্ষিন আফ্রিকা এবং আরো দেশ থেকে বাচ্চারা এসেছিল । মালয়েশিয়ান পিচ্চি গুলো তো ছিলই । চাইনিজ বেবী গুলা সবচাইতে কিউট আর বাচ্চাদের মা গুলা খবিশ । কেমন করে যেন তাকায় । আফ্রিকান মহিলা গুলা সবচেয়ে আন্তরিক আমার মতে ।আনকমন বোরখা , বড় বড় ওড়না মাথায় পেচানো আর গা ভর্তি সোনার গয়না । নিজেরাই এগিয়ে এসে পরিচিত হলো । বিশাল শরীর আর গায়ের রং দেখে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম কিন্তু ওরাই সবচেয়ে অমায়িক ।
পরীক্ষা শেষ হলো । লান্চ ব্রেক এর পর রেজাল্ট । আমরা হোটেলের অদূরে অন্য একটা রেস্টুরেন্ট এ খেতে গেলাম । ফিরে এসে দেখি রেজাল্ট ঘোষনা করার জন্য হল রুম প্রস্তুত করা হচ্ছে ।
একে একে সব দেশের ফলাফল ঘোষনা শেষে আমরা খুশি মনে হোটেলে ফেরত চলে এলাম । বিকেলে চায়না টাউনে গেলাম কেনাকাটার উদ্দেশ্যে । ওখানে অনেক দোকানের সেলসম্যান বাংগালী । আমাদের কথা ( বাংলা ) শুনে অনেকেই এগিয়ে আসলো কথা বলতে । চিনি না জানি না কোন দিন দেখাও হয় নাই কিন্তু এতটাই আপন সুরে কথা বলছিল সবাই অবাক না হয়ে পারিনি ।
ছোটবেলায় বড়মা বলতো - শশুড় বাড়িতে যখন যাবি তখন বাপের বাড়ির এলাকার কোনো অপরিচিত মানুষ দেখলেও মনে শান্তি লাগবো । প্রবাসী বাংগালী যারা অনেক দিন ধরে ওখানে রয়েছেন তারা নিজেরাই ছোট ছোট দোকান চালাচ্ছেন । ঘড়ি , চাবির রিং , পারফিউম , ব্যাগ আরও টুকটাক শপিং আমি ওখান থেকেই করে নিলাম ।
বাটু কেভ । নাম শুনে প্রথমে বুঝতে পারিনি আসলে এটা কি । সোনালী রং এর বিশাল মুর্তির পেছনে উচু পাহাড় , পাহাড়ের গায়ে ঘন সবুজ গাছের আস্তরন । মুর্তির নাম মুরুগান । পাশ দিয়ে ২৭২ টা খাড়া সিড়ি বেয়ে গুহা মুখে পৌছাতে হয় । গুহার ভেতর ছোট বড় অনেক মুর্তি । পুরোহিত গন পূজা অর্চনায় ব্যাস্ত ।
নিচে বেশ কিছু ফুলের দোকান , খাবারের দোকান রয়েছে । পাশে বাধানো পুকুরে ভেসে বেড়াচ্ছে অসংখ্য গোল্ড ফিস । নানান রং এর মাছ গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ।
চলবে---
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
নীল জোসনা বলেছেন: সাথেই থাকবেন নিশ্চয়ই ..............
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো হয়েছে লেখাটি। ধন্যবাদ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
নীল জোসনা বলেছেন: জেনে খুশি হলাম ।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লাগলো। পরীক্ষার ফল কিন্তু আমরা জানলাম না।
বাটু কেভস নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম-
Click This Link
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
নীল জোসনা বলেছেন: মাশাল্লাহ , ভালো । পুরস্কার হিসেবে ছিল মেডেল আর সার্টিফিকেট ।
ভালো থাকবেন ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১
নীল জোসনা বলেছেন: বিস্তারিত অনেক কিছু জানলাম ।আমাদের ঝটিকা সফরে এত কিছু জানতে পারিনি । অনেক ধন্যবাদ ।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ........
অনেক কিছু জানা হলো..........
+++
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২
নীল জোসনা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৭
নিজাম বলেছেন: ভাল
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৪
নীল জোসনা বলেছেন: ভাই , ভালো আছেন ?
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: যেতে হবে!!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
নীল জোসনা বলেছেন: ইদুর চিকার মারামারি , নষ্ট করে বসত বাড়ি
ঔষধ কিনেন তাড়াতাড়ি ।
ময়নার মার ঘুম নাই
ইদুর তোর বাচন নাই
ধরা পড়লে জামিন নাই ।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এভাবেই যেন চলতে থাকে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
নীল জোসনা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
আমার পোস্ট পড়ে ও কমেন্ট করে উৎসাহ বাড়িয়ে দেবার জন্য ।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
কমল০০৭ বলেছেন: ভাল লাগলো । ধন্যবাদ ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
নীল জোসনা বলেছেন: শুভ কামনা রইলো ।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮
শুঁটকি মাছ বলেছেন: ঐ দেশে যাইতে মনে চায়!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩
নীল জোসনা বলেছেন: মনের দাবী মানতে হবে >>>> মানতে হবে । ।
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২১
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: চালিয়ে যান। সাথে আছি।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
নীল জোসনা বলেছেন: শুভ কামনা রইলো ।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
আমি ইহতিব বলেছেন: বাটু কেভ যাওয়া হয়নি। আরেক বন্ধুর শেয়ার করা ছবি দেখেও আফসোস হচ্ছিলো। আপনার চোখে দেখে নেবো বাটু কেভ।
আরো কিছু ছবি আশা করছি আপু।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
নীল জোসনা বলেছেন: বাটু কেভ এ ২৭২ টা সিড়ি বেয়ে গুহার ভেতরে যাওয়ার সময় খুব এক্সাইটিং ছিলাম । ভেতরে নানান রকম মুর্তি দেখে বেশিক্ষন থাকিনি । তবে নিচে গোল্ড ফিস ভর্তি আর ছোট ছোট পানির ফোয়ারা দিয়ে সাজানো পুকুর টা খুব ভালো লেগেছে । দুর থেকে ঘন সবুজ গাছের আস্তরন দেয়া সুউচ্চ পাহাড় ও সোনালী মুরুগান দেখতে দারুন ।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: যেতে হবে মালয়েশিয়া
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
নীল জোসনা বলেছেন: ঘুরে আসেন , তারপর আপনার অভিগ্গতা জানায়েন ।
ভালো থাকবেন ।
১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ধারাবাহিক লেখাগুলো পড়তে পড়তে মালয়েশিয়া সম্পর্কে একটা ধারণা পাচ্ছি। ধন্যবাদ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪২
নীল জোসনা বলেছেন:
শুভ কামনা আপনার জন্য ।
১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাটু কেভ যাইনি, তাই ছবিতেই দেখে নিলাম...
০৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
নীল জোসনা বলেছেন: বাটু কেভ দুর থেকে দেখতেই সুন্দর । ধর্মভীরু লোকদের জন্য ভেতরের পরিবেশ অসস্থিকর ।
১৫| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: পরের পর্ব কই ? অপেক্ষা বড়োই কষ্টকর।
০৬ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০০
নীল জোসনা বলেছেন: লেখালেখির সময় পাচ্ছিনা । তবে শিগগিরই পেয়ে যাবেন ।
ধন্যবাদ ।
১৬| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
আরজু পনি বলেছেন:
মসজিদের ব্যাপারটাতে আসলেই মজা পেয়েছি, ভালো পদ্ধতি বলতেই হবে...
চলুক পর্বের পর পর্ব ।
শুভেচ্ছা রইল নীল...।।
২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১১
নীল জোসনা বলেছেন: ধন্যবাদ , আপু ।
ভালো থাকবেন । আপনাকেও একরাশ শুভেচ্ছা ।
১৭| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪
নীল ভোমরা বলেছেন:
''চলবে....''
???!!!
২৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২১
নীল জোসনা বলেছেন: আর একটু খানি চলবে ..................
১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
শ।মসীর বলেছেন: বড় শখ ছিল যাব, এখনও হলোনা......
০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
নীল জোসনা বলেছেন: হবে নিশ্চয়ই ..............
শুভ কামনা রইলো ....।
১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।
আপনি কোথায় পড়ালেখা করছেন।
২০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৭
নীল জোসনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া , আমার ব্লগে স্বাগতম ।
আমার পড়ালেখা জামালপুরের সরিষাবাড়িতে এরপর ঢাকায় ।
কেন জানতে চাইলেন এটা বলা যাবে কি ?
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬
নীল ভোমরা বলেছেন: চলুক.....