![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুলের স্বীকারোক্তি: '১২ বছরের ক্যারিয়ারে এই প্রথম আকসু আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ১২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। এই ১২ বছরে বাংলাদেশের হয়ে প্রায় ২৫০ ম্যাচ খেলেছি ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে। চেষ্টা করেছি সবসময় আমার সেরাটা দেওয়ার। আমি যত অন্যায় কাজ করেছি, আকসুর কাছে প্রথমবারেই সব স্বীকার করে নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি কিছু অন্যায় করেছি, সেগুলোই বলার চেষ্টা করেছি। যতটুকু সম্ভব আইসিসিকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে বলেছি। আমার ১২ বছরের ক্যারিয়ারের সব ঘটনাই বলেছি, একটা কথাও মিথ্যা বলিনি। সবগুলোই সত্য। আপনারা সবাই আমাকে চেনেন আমি কেমন। ১২ বছর ধরে খেলছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমি কেমন মানুষ, সেটা আপনারা সবাই জানেন। আইসিসির প্রতিবেদন যেহেতু এখনও দেওয়া হয়নি, আপনাদের অপেক্ষা করা উচিত। সবকিছুই আমি বলেছি। আমার ক্যারিয়ারে, আমার জীবনে অন্যায় কাজ যতগুলো করেছি। এখন আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারবো না, যেহেতু প্রতিবেদনটা এখনও প্রকাশিত হয়নি। ওইটা আসলে আপনাদের বোঝানো যাবে না। আমি যে খারাপ কাজগুলো করেছি, কী অবস্থায় করেছি, ওগুলো বলে বোঝাতে পারবো না। যারা এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে, শুধু তারাই বুঝবে। আমি শুধু একটা কথাই বলবো, আমাকে সবাই ক্ষমা করে দিয়েন। আমি আসলে ক্রিকেটের ভালোর জন্যই সব সত্য কথা বলেছি। এভাবে অন্যায় করাটা আসলে ঠিক হয়নি। জাতির সঙ্গে এবং নিজের সঙ্গেও। আমি বিবেকের দংশনে ভুগছি। একারণেই আমার মনের ভিতর যত কিছু ছিলো, সব খুলে বলেছি।'
আশরাফুলের কান্নাও অপ্রত্যাশিত ছিলো না। কিন্তু যখন বললেন, 'এক ভাইয়াকে বিশ্বাস করে সব বলেছিলাম, উনি গাদ্দারি করছেন', তখন বুঝে গেলাম আশরাফুলের বিশ্বাসী 'ভাইয়া'টা উৎপল শুভ্রই। কার লেখায় যেন পড়েছিলাম, 'সাপ এবং সাংবাদিক, এই দুই 'স' এর সাথে বিশ্বাস শব্দটার সাংঘর্ষিক সম্পর্ক।' অন্য সোর্স না হয়ে আশরাফুলের মুখ থেকেই যেহেতু কথাটা শুনেছেন, বলছি না উচিত ছিলো, তবু চাইলে উৎপল শুভ্র আর সপ্তাহ দুয়েক অপেক্ষা করলেও করতে পারতেন। তাতে হয়তো কিছুই বদলাতো না, তবে বিশ্বাস ব্যাপারটাও তো কম না। যত সিনিয়র সাংবাদিকই হোন, আর কোনো ক্রিকেটার আর কোনোদিন তাকে তার ভিতরের কথা বলবে? কিছু হিট আর নাম ফাঁটানোটাকেই বড় করে দেখলেন উৎপল দা'?
এরপর আরও অবাক হয়ে দেখলাম, প্রথম-আলোতেই আশরাফুলের এপিটাফ লিখে এখন আশরাফুলকে পরবর্তী কিভাবে মনে রাখা হবে তার সমাধান খোঁজা হচ্ছে। কলম্বো, কার্ডিফ, নটিংহ্যাম, গায়ানা, জোহানেসবার্গ না চট্টগ্রাম, কোনটার মাধ্যমে মনে থাকবে আশরাফুল? উৎপল শুভ্রের আশরাফুল স্মৃতিচারণ হচ্ছে। উৎপল শুভ্র নাকি প্রেসবক্সের নিয়ম ভেঙে চিৎকার দিয়েছিলেন কলম্বোর সিংহলিজ গ্রাউন্ডে? এবারও তো বিশ্বাসের নিয়ম ভেঙে দিলেন দাদা, সেই কথাটা লিখলেন না কেন?
আশরাফুলকে মনে রাখতে তার বাংলাদেশকে জেতানো ইনিংসগুলো না হলেও চলবে। শুধু এই সরল স্বীকারোক্তি আর একটা 'গাদ্দারি'র মাধ্যমেই আশরাফুলকে একজীবন মনে রাখা যাবে।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩২
কালীদাস বলেছেন: আশরাফুলের চুরির বিচার বোর্ড/আইসিসি করবে। কিন্তু ওর ক্যারিয়ারের পতনের জন্য সবচেয়ে বড় দোষ পড়ার কারণ মাত্রাতিরিক্ত এক্সপেক্টেশনের কথাটা বাদ পড়বে কেন? আশরা ফুল, আশার ফুল.........এগুলা কি লিখত?
আমি উৎপল শুভ্রের বিচার চাই একসাথে।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২১
ৃেৃি১৩ বলেছেন: হয়না এরকম, আমার যে শত্রু, তার ভুলের জন্য ওঁত পেতে থাকি। যেকোনভাবে একটা সুযোগ পেলে হয়, হামলে পড়ি তার ক্ষতি করার জন্য। আশরাফুল ছিল এ দেশের শত্রু, আমাদের সবার শত্রু।সুযোগ পেয়েছি যখন সব ক্ষোভ সুদে আসলে আদায় হবে এবার। কেন করলো, কি করলো আর ঐ আশরাফুলই বা কে ছিল এত জানার দরকার কি?
আমরা সব অপরাধ ক্ষমা করতে শিখেছি, কিন্তু জাতীয় বীরদের এক আনাও ছাড় কেন?
জয় প্রথম আলোর, জয় উৎপল শুভ্রের, জয় আমাদের চেপে রাখা শত্রুতার!
৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪০
মেটাল বলেছেন: ভিডিওটা দেখিছি । আশরাফুল যখন '' গাদ্দার '' শব্দটা উচ্চারন করল , তখনই বোঝা হয়ে গেছে এইটা উৎপল শুভ্র ছাড়া আর কেউ নয় ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
অদ্ভুত স্বপ্ন বলেছেন: আশরাফুলের কান্নাও অপ্রত্যাশিত ছিলো না। কিন্তু যখন বললেন, 'এক ভাইয়াকে বিশ্বাস করে সব বলেছিলাম, উনি গাদ্দারি করছেন', তখন বুঝে গেলাম আশরাফুলের বিশ্বাসী 'ভাইয়া'টা উৎপল শুভ্রই
ও কি সত্যিই বলছে নাকি একথা? যদি সত্যিই বলে থাকে তাহলে উৎপল শুভ্ররে গদাম দিলে কাজ হবে না, ওরে জুতা পেটা করা উচিত। শালা বেইমান