নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিরোনামহীন

রনী মুরাদ

একজন লঘু কবি

রনী মুরাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ব্লগার বলছি

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩০

আমি একজন ব্লগার।

আমার ফাঁসির দাবীতে রাজধানীর শাপলা চত্ত্বর থেকে লক্ষাধিক মানুষ আওয়াজ তুলেছেন। তাঁদের সাথে আছে বাংলাদেশ সরকার, পেছনে আছে বিএনপি, জামায়াত, স্বৈরাচার। এত সমর্থন পেয়ে আপনাদের যে যুক্তির কথা শোনার সময় নাই তা আমার জানা আছে, তারপরও নিচের কথাগুলো তাদের জন্য যারা ভাবতে চান, নিজের মতের পাশাপাশি অন্যের মতের গুরুত্ব দেন।

হেফাজতে ইসসলাম, তাদের ১৩ দফা দাবী উত্থাপন করেছেন, সেই দাবীর একটি হলো- ব্লগারদের ফাঁসি চাই।

আগে কখনো নিজেকে ব্লগার হিসেবে এতটা পরিচিত করাইনি, যতটা এখন করছি। আমি সেনসেশোনালিস্ট নই, তবু এই পাঁচ বছরে আমার ব্লগার পরিচয় কখনো প্রধান হয়ে সামনে আসেনি, আজ আনছি, সাম্প্রতিক সময়ে যে বাংলাদেশকে প্রতিস্থাপিত করার অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করছি তাতে আজ থেকে আমি পূর্ণকালীন ব্লগার।

ব্লগারদের ফাঁসি চাই- এখন আমার প্রশ্ন হলো- শ্রদ্ধেও হেফাযতকারিরা, আপনারা কি আমার ব্লগের লেখা পড়েছেন? আপনাদের কি ধারনা আছে আমি কি বিষয়ে লিখি? আমার কয়টা লেখা আপনারা পড়েছেন? আমি জানি এই সব প্রশ্নের উত্তর 'না' তাহলে এবার বলুন, আমার কোন লেখার কোন অংশ আপনার ধর্মানুভূতিকে আঘাত করেছে?? উত্তরটা কিন্তু গৎবাঁধা- "তুই ব্লগার, সুতরাং তুই নাস্তিক, তোর ফাঁসি চাই"

তাহলে একটা বিষয়ে পরিস্কার সিদ্ধান্তে আসা যায়- সকল ব্লগার নাস্তিক নয়।

নাস্তিক। এই শব্দটা এত এত শুনছি যে এটি তার মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছে। সহজভাবে বলি, প্রচলিত ধর্মের উপর যার বিশ্বাস নেই তিনি একজন নাস্তিক। তিনি নিজেই যেহেতু ধর্মে বিশ্বাস রাখেন না তাই অন্যেরা সেটি পালন করল কি করল না তা নিয়ে তার মাথা ব্যাথা না থাকাই স্বাভাবিক। কোনো কিছুতে বিশ্বাস না করা কি দন্ডনীয় অপরাধ? বাংলাদেশের দন্ডবিধির এমন কোনো ধারা নেই যাতে আপনারা তাকে অভিযুক্ত করতে পারেন। একজন মানুষ তার জীবন চলার পথে ধর্মের সাথে দেখা না করাই কী তার অপরাধ?

আপনি বিশ্বাসী, আমি অবিশ্বাসী এই ব্যবধানের জন্য আমি তো আপনার ফাঁসি চাইছি না, তাহলে আপনারা আমার ফাঁসি চাইছেন কেনো?

এবার আসুন আরেকটু গভীরে যাই- মেনে নিচ্ছি কোনো কোনো ব্লগার তাঁর নিজস্ব ব্লগে ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। কারা তারা? তারা কোন উদ্দেশ্যে এমন করছে তা না জেনে এমন হইচই করার কি আছে? এরা ধর্ম অবমানাকারী। তারা যে প্রচলিত ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসি হবেনই এমন কোনো কথা নেই। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিবিশ্বাসি সম্প্রদায় এ কাজ করতে পারেন। যেমন, হেফাজতে ইসলাম যখন অন্য ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে তখন তারাও ধর্ম অবমাননাকারী। চরিত্রগতদিক থেকেই বলা যায় নাস্তিক ও ধর্মঅবমাননাকারী এক নয়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী ধর্মীয় বিশৃংখলা সৃস্টিকারীকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব। এমতবস্থায় আমার প্রশ্ন হলো নির্দিষ্টভাবে সেই সব ধর্ম অবমানাকারীদের ফাঁসি না চেয়ে কেনো ঢালাওভাবে ব্লগার বা নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসি চাওয়া হচ্ছে? স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় এর সাথে বৃহৎ কিছু জড়িত, কী সেটা?

এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি- 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার'

হ্যাঁ, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচাল করার জন্যই যে আজ তারা মাঠে নেমেছে তা বোঝার জন্য খুব বেশি দূরে যেতে হবে না, উদাহরণগুলো হাতের কাছেই আছে।

এক. যে সকল ব্লগারদের তালিকা (৮৪ জন, আমি তাদের মধ্যে নাই!) হেফাযতে ইসলাম সরকারের কাছে দিয়েছে তারা সবাই কম বেশি ৫-৭ বছর যাবত ব্লগিং করছেন, তাহলে কেন এই সময়েই হেফাযতীদের মনে হলো এই ব্লগাররা ধর্ম অবমাননা করেছেন? আগে কেনো হলো না?

উত্তর- ব্লগাররা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার, সবচেয়ে বড় কথা এই ব্লগাররাই তৈরি করেছেন গণজাগরন মঞ্চ।

দুই. হেফাযতে ইসলামের মহাসমাবেশের অর্থায়নের ব্যাপারে আপনাদের কি কিছু জানা আছে? কত টাকা দিয়েছে সাকা? কাসেম? এরা কারা? এরা যুদ্ধাপরাধী।

তিন. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে সোচ্চার গণজাগরণ মঞ্চকে যদি বন্ধ করা যায় তাতে কাদের লাভ? গণজাগরণ মঞ্চে কারা গিয়েছেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান এমন শিশু, বালিক- বালিকা, তরুণ- তরুণী, বৃদ্ধ- বৃদ্ধা। হিন্দু- মুসলিম, বৌদ্ধ- খ্রিস্টান। বাঙালি- উপজাতি। ছাত্র- শিক্ষক, পেশাজীবি, শ্রমিক, সাংবাদিক, কবি- এক কথায় বাংলাদেশ। হঠাৎকরেই এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক করে বৌদ্ধ, হিন্দুদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা করেছে কারা? যুদ্ধাপরাধিদের দোসর জামায়াত- শিবির। আজ কি হেফাযতে ইসলামও অভিন্ন ভাষায় কথা বলছে না?

এতএব, হেফাজতের মুরুব্বীরা ত্যানা প্যাচানো বন্ধ করুন, ১৩ দফা ভুলে যান, এক দফা এক দাবী - যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবী নিয়ে আসুন। তার বিপরীতে আমাদেরও এক দফা এক দাবী- যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি। সামনে তাই জামাত- শিবির না হেফাযতে ইসলাম তা আমরা দেখবো না। আমরা পরোয়া করিনা বিএনপি কিংবা আওয়ামি মুসলিম লীগ।

শেষ কথা (প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য) :

হেফাজতের মুরুব্বিরা যদি ভেবে থাকেন বুবু কিবা গোলাপী ধর্মের বাহক, তাই তাঁরা আপনাদের সমর্থন দিয়েছেন আমি বলবো আপনাদের মত ষাঁড় এই বাংলাদেশে দ্বিতীয় নেই। তাদের নজর আপনাদের লুঙ্গির তলায় লুকানো ভোটব্যাংকের দিকে, অতএব যেদিন ভোট শেষ আপনাদের প্রয়োজনও শেষ। তারপর দৌড়ের জন্য রেডি হন, লুঙ্গি তোলার সময় কিন্ত পাবেন না।

আর, আমরা তরুণ প্রজন্ম সহজ কথা সহজে বলতে চাই, আমরা বাল বললে বাল ই লিখি এবং বুঝাইও তাই। যখন বলছি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, তারমানে যুদ্ধাপরাধীদেরই বিচার চাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলাদেশেই হবে, জয় বাংলা



মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০২

আলাদীন বলেছেন: There is another side of this story.

1. Islami Chatra Shibir members (who are 20 to 30 years old) are called war criminals.

2. Their lives have no value, if police shoot them to kill, that is ok. that is no murder. We shouldn't talk about it.

3. Anyone talk about fare judgement is a chagu.

please open your eyes and write the whole thing, not the half.

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

রনী মুরাদ বলেছেন: @আলাদিন
১. শিবির কে যুদ্ধাপরাঢি নয়, যুদ্ধাপরাধিদের দোসর বলা হয়েছে।
২. শিবিরের জীবনের অনেক মূল্য, পুলিশের জীবনের মূল্য নেই, ছাত্রলীগের জীবনের মূল্য নেই। আমাদের এই বিষয়ে কথা না বলাই ভালো তাই না জনাব আলাদীন?
৩. সালিশ মানি, তালগাছ আমার!!
৪. আমার চোখ খোলা আছে, আপনিও খুলুন, তাহলে আর লেখাটা অর্ধেক মনে হবে না! আপনার কাছে অর্ধেক মনে হচ্ছে কারন আপনার এক চোখ বন্ধ আছে

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: অযথাই প্যচ বাঁধাইয়া লাভ কি?? তারা ব্লগারদের ফাঁসি চায় নায়, তারা নামকরা কয়েকজন ধর্ম বিদ্বেষি ব_লগারের ফাঁসি চেয়েছে।


আমাকে আবার তাদের দলে ফালাইয়েন না, আমি ধর্ম বিদ্বেষিদের বিচার চাই। ফাঁসি চাই না।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন:

রনী মুরাদ,
ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে । দেয়ালে পিঠ ঠেকে যা্ওয়াতে আপনি যে এটা লিখেছেন তা পরিষ্কার । আপনার সব বক্তব্যই সঠিক । এর সাথে এই বক্তব্যটুকু উদাহরন হিসেবে দিতে পারেন - " মনে করুন আপনার সন্তানের বিয়ের অনুষ্ঠান আজ । দা্ওয়াত করেছেন সকলকে । পাড়ার ছেলেরা্ও বাদ যায়নি । সবাই-ই আসবেন তাইনা ? নিমন্ত্রিত ছাড়াও অনিমন্ত্রিত মানুষজনও এসে হাজির হবেন । সবাই আপনার অনুষ্ঠানটি সফল করতে যতোটুকু পারবেন করবেন । কারন আপনার একার পক্ষে প্যান্ডেল নির্মানের , বাজার করার, রান্নার তদারকি করার ইত্যাকার প্রতিটি খুটিনাটি আয়োজন করা বা তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয় মোটেও । এক্ষেত্রে কি হয় ? আপনার আত্মীয়-স্বজনরা এক একটি দায়িত্ব নিয়ে নেন । কেউ রান্নার, কেউ বাজারের, কেউ বর-কনের বিয়ের সামগ্রী কেনার , কেউ ডেকোরেটর এর ব্যবস্থা করার দায়িত্বটি স্বেচ্ছায় নিয়ে নেন । কারন আপনার সন্তানটিকে তারা্ও নিজের আপন বলে ভাবেন, আপনার অনুষ্ঠানটিকেও নিজের বলে মনে করেন । পাড়ার ছেলেরা্ও দেখবেন স্বপ্রনোদিত হয়ে এটা-ওটা করছে । এটা একটি বাস্তব চিত্র ।
কিন্তু এই সব লোকজনের ভেতরে কেউ আ্ওয়ামী লীগ, কেউ বিএনপি, কেউ এরশাদপন্থী, কেউ জামাতপন্থী হতেই পারেন । এর মধ্যে একজন "নাস্তিক" ্ও থাকতে পারেন । এদের নিয়েই তো আপনার অনুষ্ঠানটি সফল করতে হবে । এখোন যদি কেউ বলেন,- "আরে এ যে দেখছি সব আ্ওয়ামী লীগ কিম্বা এ যে দেখছি সব বিএনপি কিম্বা এ যে দেখছি এরশাদপন্থী,...... ইত্যাদি , আমি এই বিয়ের অনুষ্ঠানে নেই ।" বিয়ের অনুষ্ঠান সুন্দর করার ফরজ কাজটি রেখে উনি এমোনতরো নফল নিয়ে টানাটানি করতেই পারেন । এর অর্থই হলো আপনার অনুষ্ঠানটি সফল হতে যাচ্ছে দেখে তার গাত্রদাহ । তিনি চাচ্ছেন আপনার বিয়ের অনুষ্ঠানটি যাতে ভন্ডুল হয়ে যায় বা বিশৃঙ্খলার সুষ্টি হয় । "

একই কথা প্রজন্ম চত্বরের বেলাতেও । গণমানুষের যে একটাই দাবী-
" যুদ্ধপরাধীদের বিচার" তা প্রমানিত সকল শ্রেনী-বয়সের ( যার কথা আপনি লিখেছেন এখানে ) স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহনে । সবাই এসেছেন যার যার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে । উপরের উদাহরন মতো এখানে সব ধারনার লোক আছে । কিন্তু সব ধারনা দূরে রেখে সবাই একটা বিষয়ে একাট্টা যে, যুদ্ধপরাধীদের বিচার হতে হবে । এখানে যারাই প্রশ্ন তোলেন, গণজাগরন মঞ্চে কেন অমুক লোক , কেন তমুক দল : বুঝতে হবে তারা চাচ্ছেন এই দাবী ভন্ডূল হোক যা আপনি যথার্থই বলেছেন। এই সরল সত্য আমরা সাধারন মানুষেরা বুঝি । শিক্ষিত লোকেরা বোঝেন না । কেন বোঝেন না ? উদ্দেশ্য পরিষ্কার ।
এই কথাটিই ছড়িয়ে দিতে হবে । আপনি এই কাজটি করে সঠিক দায়িত্বটি পালন করেছেন ।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

প্যারাসিটামল বলেছেন: এই মিয়া আপনার ফাসি চাইছে আপনারে এইডা কেডা কইল। তারা তো নাস্তিক কুত্তা ব্লগার গুলার ফাসি চাচ্ছে। আপনি কি এই শ্রেণীর ব্লগার? যদি নাস্তিক কুত্তা ব্লগার হোন তবে আপনার ফাসি চাইতেই পারে। আর আর যদি ভাল ব্লগার হোন তয় এতো ফালপারেন কিল্লাইগা? নাকি ক্যাচাল মার্কা পোস্ট না দিলে পেটের ভাত হজম হয়না। আমার মনে হয় আপনি ক্যাচাল বাগী এবং পেইডবাগী ব্লগার। ভাই ভালো হয়ে যান

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

স্বাধীন জামিল বলেছেন: নিজের গায়ে টেনে নেন কেন সবকিছু?

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

স্বাধীন জামিল বলেছেন: আর একটা কথা, আপনারা সব ই বুঝেন তারপর ও সমালোচনা করার জন্যে না বুঝার ভান করেন। এক পক্ষে কাঠমোল্লা আর আপনাদের কি বিষেষন দিব এখন ও কেউ ঠিক করে নাই।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

মরু বালক বলেছেন:


দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চোখ ঠিক করে আসেন.।.।।।


তারপর কথা.......

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

তাজুল_ইসলাম বলেছেন: মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: অযথাই প্যচ বাঁধাইয়া লাভ কি?? তারা ব্লগারদের ফাঁসি চায় নায়, তারা নামকরা কয়েকজন ধর্ম বিদ্বেষি ব_লগারের ফাঁসি চেয়েছে।


আমাকে আবার তাদের দলে ফালাইয়েন না, আমি ধর্ম বিদ্বেষিদের বিচার চাই। ফাঁসি চাই না।
সহমত

ভাই হেফাজতে ইসলাম এর সমাবেশ আপনি কি লাইভ দেখেছেন?
যদি বলেন না। তাহলে কিছুই বলার নাই। মিডিয়া যে কতটা মিথ্যাবাদী। এই প্রথম এই ধারনা পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.