![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সাকিব আল হাসান আচরনগত কারনে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ"
দু'দিন আগে সাকিব আল হাসান কে নিয়ে একটা লেখা লিখে ছিলাম, তার কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি সাকিব তার নিজস্ব টুইটার বার্তায় বলেছেন তিনি দেশে এসে সব পরিস্কার করবেন।
সাকিব দেশে ফিরেছেন এবং তার বক্তব্য শুনলাম। যদিও ইতোমধ্যে আমরা অনেকেই সাকিব কে আবার অনেকে বোর্ডকে জাতীয় খলনায়ক বানিয়ে ফেলেছি-
এ প্রসঙ্গে কয়েকটি কথা বলা প্রয়োজন- তবে কথাগুলো এটা মেনে নিয়েই বলছি যে
১. আমরা শুধু ফেসবুক বা ব্লগেই বড় বড় কথা বলতে পারি; মাঠে নামিয়ে দিলে সাকিব যা খেলে তার এক শতাংশও পারবোনা
২. আমাদের একটি অপেশাদার অথর্ব ক্রকেট প্রশাসন আছে
৩. ভৌগলিক ও জন্মসূত্রে আমরা স্বল্প স্মৃতি সম্পন্ন ও কম বেশি অকৃতজ্ঞ!
মূল কথায় আসা যাক-
কিছুদিন আগে দেশে ফিরে গ্রামীন ফোনের একটি বিজ্ঞাপন চিত্র আমার প্রথম বারের মত চোখে পরে- যেখানে দেখানো হচ্ছিলো সবাই সাকিবের জন্য সামান্য কিছু করতে পারাটাকেও কত মূল্য দিচ্ছে! আমার মনে হলো এটাতো সারা বাংলাদেশের প্রাণের কথা।
সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা, তাই আমার কাছে সাকিব একটি নাম নয়, সাকিব একটি প্রতিষ্ঠান! তাই তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সবাই যখন সমালোচনা করে আমার তা ভালো লাগে না। সাকিব বাংলাদেশের নাম সারা বিশ্বের কাছে আমাদের যে কারো চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত করেছেন তাই সাকিবের দু'একটি আচরগত সমস্যা আমার কাছে অনেক। ভাই সাকিব আপনাকে মনে রাখতে হবে আমাদের মত লাখো আম জনতা প্রতিদিন আপনাকে অনুসরণ করি। এইতো কিছুদিন আগে আপনি যখন আপনার মায়ের সাথে হেলিকপ্টারে উঠে বাড়িতে যাবার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়েছেন তখন কিন্তু আমার কাছে আপনার টাকার কথা মনে হয়নি, মনে হয়েছে আমিও যদি আমার মাকে নিয়ে এমন একটা ছবি তুলতে পারতাম!! এভাবেই প্রতিদিন সাকিব আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের জীবনেরই অংশ হয়ে যান।
তাই আপনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করলে তা হাজারো তরুণ, কিশোরের কাছে বিষয়টা অনেক কুল মনে হয় এবং উৎসাহিত হয় নিজেও করার জন্য,
আপনি যখন সাবেকদের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন তাদের কোন যোগ্যতা নেই আপনাদের মত বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের সমালোচনা করার তখন আমার আকরাম খানের কথা মনে হয়; যার নেদারল্যান্ডের সাথে একটি অতিমানবীয় ইনিংস আছে- আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের আজকের ক্রিকেট ঐ ইনিংসটির উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমার কাছে মনে হয়
এটি বিনয় নয় ঔদ্ধত্য, সাদা চোখে দেখলে এটিকে অহংকার মনে হয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে শাস্তি হবে এটাই স্বাভাবিক, তবে বোর্ডকে আচরণবিধি সঠিকভাবে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে দিতে হবে।
নির্বাচক মন্ডলী দেশে খেলা হবার সময় বিদেশ ভ্রমনে থাকবেন এটা মেনে নেয়া যায় না। তাদের জন্যও আচরনবিধি থাকতে হবে! আবার ভাতিজা- দুলাভাই দিয়ে দল গঠনের প্রবনতা থেকেও সরে আসতে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গের কারনে অনেক কঠিন শাস্তি হয়- তাই আশা করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এক অনন্য পেশাদারিত্বের পরিচয় দিবে যেখানে কোন সুপারস্টারকে কোড অব কন্ডাক্ট দিয়ে বিনয় শেখানো হবে না
সবশেষে: আমার মত মানুষের কোন যোগ্যতা নেই আপনাদের ভুল ধরিয়ে দেবার তবে আগে বা পরে যাই বলি না কেন তা আসলে সেই দুঃখবোধ থেকে বলা যেখানে আমার মত লাখো মানুষের আইডল খুব সহজে তার রাগ কিংবা ক্রোধের কারনে সংবাদের শিরোনাম হন।
আগের লেখার লিংক: বাংলাদেশের প্রাণ- সাকিব আল হাসান
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
শাহ আশরাফ বলেছেন: দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভাল ।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
স্বজনহারা পাখি বলেছেন: দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভাল
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
মুদ্দাকির বলেছেন: সাকিবের জন্য আমাদের মাঠে নামতেই হবে
না সাকিবের আগে পরে কেউ আছে , আর না সাকিব কারো পাচাটতে রাজি !!!!!!
ভিন দেশে ক্রিকেটের উচ্চমহলে গুঞ্জন আছে সাকিব নাকি সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হতে যাচ্ছেন..................।
লোটা বা ফাপনের মত চোর বাটপাররা কি আর এই ধরনের ট্যালেন্ট হ্যান্ডেল করতে অভ্যস্ত ??????
ইনাদের দরকার ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলা চাটুকার !!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ