নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশের সব অসুস্থ রাজনিতি নিপাত যাক

সরকার বলে বিরোধী দল দায়ী, বিরোধী দল বলে সরকার দায়ী, জামাত বলে ভারত দায়ী, ভারত বলে পাকিস্তান দায়ী, রাজাকার বলে ভাদাকার দায়ী, ভাদাকার বলে রাজাকার দায়ী। আমি বলি আপনারা দায়ী আপনারা বলবেন আমি দায়ী। তাই আমার উপর জানজট, লোডশেডিং জারী

মেকগাইভার

ফেইসবুক: www.facebook.com/samu.mcgyver দেশের সব ঘুষখোর পলিটিশিয়ানদের শহবাগে এনে ফায়ার স্কোয়াডে গুলি করে না মারা পর্যন্ত কোন সমস্যর সমাধান হবে না। দোষ আওয়ামী লীগ বা বিএনপি র না। দোষ এসব দলের ঘুষখোর নেতাদের। ঘুষখোর নেতাগুলাকে শুট করে মারতে হবে ফায়ার স্কোয়াডে। তারপর এসব দলের ভেতর থেকেই ভালো নেতা বের হয়ে আসবে।যে পর্যন্ত না আসবে সে পর্যন্ত শুটিং চলতে থাকবে। বিপ্লব দরকার এই শুটিং গুলো করার জন্য। আশা করি পরবর্তি আর্মি সরকার সেটা করে দিবে। জনগনের তখন সাপোর্ট দিতে হবে ইমেইল: [email protected]

মেকগাইভার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বিদেশে আসার গল্প ( সাথে নেশা করার গল্প একদম ফ্রি B-)

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৪

গত বার পোস্ট করার পর অনেকেই আমার কাছ থেকে আরো বেশি ডিটেইলস জানতে চায় ইউরোপে আসার ব্যাপারে। তাই নতুন করে লিখতে বসে আরো বড় করে লিখলাম পুরো কাহিনিটা।





প্রবাস জীবন:



থাকি জার্মানি। অনেকদিন বিভিন্ন অড জব করার পর জার্মানির পাসপোর্ট পাবার পরপরই, কিছুদিন আগে ছোট খাটো একটা অফিস জবে পার্মানেন্ট হলাম। বেতন অড জবের থেকে সামান্য কম হলেও অন্তত হার ভাংগা খাটুনি থেকে মুক্তি পেলাম। ( তারপর থেকেই ব্লগিং করা শুরু করলাম, এর আগে শুধু পরতাম)। অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম যে এখানে আমার কিছু কথা শেয়ার করবো। কিন্তু ট্রেনের ক্লিনিং জব যখন করতাম তখন বাসায় এসে অন্যের ব্লগ পরতে পরতেই ঘুম এসে পরতো। আর সব কথা কিভাবে গুছিয়ে বলবো বা কোথা থেকে শুরু করবো সেটা খুজে পেতাম না।

ফ্রান্কফুর্টে আরো ৩ জন বাংগালির সাথে একটা এপার্টমেন্ট শেয়ার করে থাকি। এখনো সিংগেল, দেশে তেমন একটা টাকা পয়সা পাঠানোর প্রয়োজন হয়না। বেতনের টাকা বেশিরভাগই সেইভ হয়। তাই অন্নান্য প্রবাসি বাংগালি ভাই দের তুলনায় আমার দিনকাল বেশ সাচ্ছল্লেই চলে যায়।



এ হলো আমার বর্তমান অবস্থা। তবে সবসময় এরকম ছিলো না আমার জীবন।



আমার এখন পচিশ বছর বয়স। এই পচিশ বছর বয়সে যা যা জীবনে দেখেছি বা করেছি তার কিন্চিৎমাত্র ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।



তিন বন্ধুর কথা:





শুরু করতে চাই একবারে স্কুল লাইফ থেকে। আজ থেকে আট/ দশ বছর আগের কথা। সব সময়ের সংগী আরো দুই বন্ধু। সেই ক্লাস ফাইভ থেকে। তিন জনের মধ্যে কেউই তেমন ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম না। মেট্রিকে খারাপ রেজাল্ট করার জন্য পালিয়ে গিয়েছিলাম কক্সবাজারে। তারপর থেকে আমরা হয়ে গেলাম রক্তের বন্ধু।



জীবনের প্রথম এডভ্যান্চার:



পরতাম কাকরাইলের উলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে। বাবা নেই, থাকি চাচার বাসায় মা আর বড় ভাইয়ের সাথে।আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় কোন কোচিং করতে পারি নাই। যার জন্য মেট্টিকের রেজাল্ট খুবই খারাপ হলো। আমার সাথে সাথে আমার বাকি দুই বন্ধুর রেজাল্ট ও খুব একটা সম্মানজনক হলো না ( এর জন্য অবশ্য দায়ি আমি নিজেই , কারন তাদের কোচিং ফাকি দিয়ে আমার সাথেই আড্ডা দিতো বেশি )। যেদিন রেজাল্ট পেলাম সেদিন গবেষনা করে চিন্তা করলাম যে এই রেজাল্ট সমাজকে বলে বেরানোর মতন না। তাই বাকি দুইজনকে বোঝালাম যে সামাজিক সম্মান রক্ষার কারনে বাসার কাউকে না বলেই ঢাকার বাইরে চলে যাবো কয়েক মাসের জন্য। কিছুদিন পর যখন ফেরত আসবো তখন সসম্মানে আসা যাবে। সেদিনই এক কাপড়ে চলে গেলাম কমলাপুর স্টেষন। প্রথমে ইচ্ছা ছিলো যাবো সিলেট। সেখানে আমার এক কাজিন গ্রামে থাকে। সো... থাকা খাওয়ার অসুবিধা হবে না। কিন্তু বাকি দুইজন বললো গেলে যাবো পার্বত্য চট্রগ্রাম আর নাহলে বাসায় ফেরত। বাকি দুইজনের এত সহজে রন ভংগ দেয়ার মানসিকতা দেখে আমি সাথে সাথে চিটাগাংয়ের টিকেট কিনে নিলাম। ট্রেনে একটা মহিলা আমাদের পরামর্শ করলো তোমরা এত ছোট মানুষ আর আনপ্রিপেয়ার্ড তাই পার্বত্য চট্রগ্রাম না গিয়ে কক্সবাজার যেয়ে ঘুরে আসো। কক্সবাজার যেয়ে দুইদিন থাকার পরই বোরিং লাগা শুরু করলো। খবর পেলাম যে সেন্ট মার্টিন যাওয়া যায় তবে এখন সিজেন তেমন সুবিধার না। তারপরেও ভাবলাম এই সদরঘাট থেকে ভালো হবে। পরেরদিন বাস দিয়ে টেকনাফ। টেকনাফের জেটি থেকে চরলাম সেন্ট মার্টিন যাওয়ার ট্রলারে।

ট্রলার সমু্দ্রে আসার পরেই আমরা তিনজনই বোরিং জিনিশটাকে খুব মিস করতে লাগলাম প্রচন্ডভাবে। তবে সেন্ট মার্টিন জেটিতে পা দেবার পরেই মনে হলো যে এক ধাক্কায় অনেক বড় হয়ে গেছি। তখন অফ সিজন , হোটেল খুব কম দামে পেলাম। হিসাব করে দেখলাম যে পাক্কা দুই সপ্তাহ আয়েসে থাকা যাবে। দুই সপ্তাহ একটা ঘোরের মধ্যে দি্যে কাটালাম।সারাদিন পুরা দিপে হেটে দেখতাম, আর প্রতি রাতে বিচে মাঝিদের সাথে বসে আড্ডা দিতাম আর তাস খেলতাম। কিছু মাঝিদের সাথে ভালো খাতির হয়ে গেলো। তারা অফার দিলো যে দুইশো টাকা দিলে তাদের সাথে রাতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে নিয়ে যাবে। তিন জনের কেউ সাতার পারি না, তারপরেও আইডিয়াটা শুনে খারার মধ্যে রাজি হয়ে গেলাম। সেই রাতে সেন্ট মার্টিনের মাঝিদের ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে যেই মজা টা পাইলাম, সেটা ফ্রান্কফুর্টে বসে ডেল ল্যাপটপে, ফোনেটিকে টাইপ করে বোঝানো অসম্ভব ব্যাপার। পরের দিনেই সেন্ট মার্টিন ছারলাম। কারোন তখন মনে হলো যে এখন থেকে যেকোন বিপদের মুখোমুখি হতে পারবো। আর খারাপ রেজাল্টের জন্য বকা ঝকা তো পানি ভাত। ঢাকায় আমি মোটামোটি পার পেয়ে গেলাম আমার বাসায়। তবে বাকি দুইজনের উপর দোষ পরলো যে তারা আমার মতন বোকা সোকা ছেলেটাকে পটায়া নিয়া গেছে ওদের সাথে। ওদের বাপ মা আমার মার কাছে এসে ক্ষমা চাইলো যে ওদের ছেলের জন্য আমিও পালাইছিলাম। ঐ দুইজনের চেহারার অবস্থা খুবি করুন। তবে তারা আসল কথা ফাস করলো না।





ফিরে এসে ভর্তি হলাম ঢাকার এক সাদামাটা কলেজে। পরাশুনা ফার্সট ইয়ারে কেউই করে না। আমরাও না। সারা ঢাকা চরকির মতন ঘুরতাম। কিন্তু আসল ঘটনা শুরু হলো সেকেন্ড ইয়ার থেকে। কলেজ ফাকি দিয়ে আড্ডা, ঘুরাঘুরি তখন বোরিং লাগা শুরু করছে। পরাশুনায় মন দেয়া অসম্ভব। এবারো রেজাল্ট খারাপ হবে, ভবিষ্যতের কি হবে সেটা নিয়ে না ভেবে শুরু করলাম হালকা পাতলা নেশা করা। সিগারেট ক্লাস এইট থেকেই একসাথে ধরছিলাম। এবার তিনজন মিলে আবিস্কার করতে লাগলাম নেশার নতুন নতুন বন জংগল।



প্রাইভেসির কারনে বন্ধুদের নিক নেইম শুধু বলছি। ডিজেল: এমন কোন নেশার বস্তু নাই যে সে খেতে পারে না। শরীরে সব সয়, ডিজেল খেলেও যেন তার কিছু হবে না, তাই সেই থেকে ডিজেল। ডিজেল বাবার বড় বিজনেস, সভাবতই নেশার বেশিরভাগ টাকা আসত তার পকেট থেকে। বুলেট: সাইজে একটু ছোটখাটো, পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে নেশার বস্তু পাচার করার মধ্যে তার কোন জুরি নাই। তাই এই দুইয়ের কম্বিনেশনে নাম হয়ে গিয়েছিলো বুলেট। প্রথম নেশার রাস্তা দেখাই আমি মেকগাইভার। ( শয়তানি বা দুই নং বুদ্ধিতে আমার কোন জুরি ছিলোনা তাই আমার এই নাম টা হয়। )। আমি এক কাজিনের একটা ফার্মাসিতে পার্ট টাইম জব পাই সেখান থেকেই পরিচিত হই বিভিন্ন নেশা করার ঘুমের অষুধের সাথে। কিছু কিনে কিছু চুরি করে তিন জন এর সাথে ভাগ করে কিছুদিন নেশা করলাম। কিছুদিনের মধ্যেই ফেনসিডিল থেরাপি শুরু হয়ে গেল। দিন কাটে, সাথে সাথে এগুলাও বোরিং হয়ে উঠে। তারপর বুলেট কোথা থেকে যেন একটা খবর আনলো যে একটা নতুন জিনিশ এর খোজ পাইছে। একটা ছেলেকে ৩০০ টাকা দিলেই পাওয়া যাবে হিরোইনের সিরিন্জ। তখন তিনশো টাকা জোগার করতে দুই দিন লাগলো। সিরিন্জ পাবার পর গেলাম আমাদের নেশার আস্তানায়, একটা বিল্ডিংয়ের কনস্ট্রাকশন কাজ থেমে ছিলো সেটার সাত তালায়। ছেলেটা সাহায্য করলো পুশ করতে, তারপর যে কি একটা খিচুনি আসলো শরিরে, পরে ঘুম। তারপর দেখলাম ৩০০ টাকার একটা লম্বা জাগরিত সপ্ন।



ব্যাস সেখান থেকে নেশার সিরি লাফ দিয়ে উঠতে থাকলাম। টাকার জন্য ডিজেল শুরু করলো প্রথমে মার কাছ থেকে টাকা চাওয়া, পরে চুরি , পরে ঘরের জিনিশ বিক্রি করা। বুলেট শুরু করলো জিনিশ পাচার করার রমরমা ব্যবসা। আমার ভোলাভালা চেহারা জন্য এক বছরেই খুব সহজেই বানিয়ে ফেললাম চোরাই মাল আর নেশার মালের ছোটখাটো নেটওয়ার্ক। মুলধন দেয় ডিজেল, বুলেট আনে সাপ্লাই আর আমি নেটওয়ার্কিং। টাকা, নেটওয়ার্ক আর সহজ সাপ্লাইয়ের জন্য প্রচুর টাকা আসতে লাগলো পকেটে। আর তার সবই শেষ করতে লাগলাম নেশায়। হেরোইন তখন এক্কেবারে ডাইলভাত। ফেনসি, বিদেশি মদ, পেথেডিন ছিলো ফেভারেট। এমনকি শেষের দিকে কোকেইন এর মতন দামি নেশা হয়ে গেলো আমাদের নিয়মিত ড্রাগস।



কলেজের পরে শুরু হলো আসল সমস্যা। তিন জনই কিভাবে যেন ভালো রেজাল্ট করে ফেললাম। অবশ্য এটার জন্য একটা ড্রাগ ( রিটালিন ) ইউজ করছিলাম পরিক্ষা গুলোর আগ দিয়া। ভর্তি হলাম প্রাইভেটে। এক বছর না যেতেই আমি ছারা বাকি দুইজনই ধরা খেলো বাসায়। এক সময় হঠৎ পকেট খালি হয়ে ছিলো। তিন জন মিলে বুলেটের বাসায় বসে চিন্তা করছি কি করা যায়। নেশার নিড তখন তিব্র। বুলেটের বাবা সাধারন চাকরি করে। ঘরে দামি কিছু নাই যে বিক্রি করা যাবে। আমার হঠাৎ চোখ পরল বুলেটের ঘরের নতুন সিলিং ফ্যানের দিকে। সেটা আমি আর ডিজেল খুলে নিয়ে বিক্রি করে আসলাম। বুলেট আমতা আমতা করলেও তার নিজের প্রয়োজনেই তেমন একটা বাধা দিলো না। বাসায় ফিরে পরে বুলেট দেখে যে সে ধরা খাইছে। ডিজেলের বাসায় খবর চলে যায় সেই রাতেই। আমার বাসায় বাবা নাই, শুধু বড় ভাই অনেকদিন ধরেই অনুমান করতে পারলেও প্রমান না থাকায় মাকে কিছু বলে নাই। তার‌ উপর থাকি চাচার বাসায়। এই ঘটনা ফাস হলে আমার সাথে সাথে মা ভাইকেও বাসা ছারতে হতে পারে। কারন ইতিমধ্যে চাচার টিভি চুরি করেছে ডিজেল। চাচির মনে আগে থেকেই সন্দেহ যে এটা একটা ইনসাইড জব।



ডিজেল আর বুলেট এর মা বাবা আমাকে বাসায় ডেকে সব জানতে চাইলো। কারন তাদের ধারনা আমি ভদ্র ছেলে, আমার দারা এসব কোন মতেই সম্ভব নয়। আমি তাদের কাছে প্রমিজ করলাম যে এরপর থেকে যদি ওরা নেশা করে তাহলে আমি তাদের কে বলবো। আমি এই সুযোগে ডিজেলের বাবাকে বুঝালাম যে আমরা ব্যাবসা করতে চাই। একমাত্র আমারা দেয়া গেরান্টিতে টাকা দিতে রাজি হলো তবে এক সর্তে যে টাকা পয়সার হিসাব থাকবে আমার কাছে। পড়াশুনা ছেরে ডিজেলের বাবার সাহায্যে ছোটখাটো ইন্টেনডিংয়ের ব্যাবসায় ঢুকে পরলাম তিন বন্ধু। কিছুদিন খুব ভালো কাটলো। ব্যাবসায় ঢুকে বুঝতে পারলাম যে এখানে দুই নাম্বারি করা আসলে লিগ্যাল। ব্যাস খুব চটিয়ে ব্যাবসা করতে শুরু করলাম। তবে নেশা ছারলাম না। একটু লিমিট করলাম এই যা।



দুঃসপ্নের সেই বিকেল:



ঈদের ছুটির কারনে অফিস বন্ধ। অনেক দিন পর পুশ করবো প্লাস সকাল থেকেই একটু নেশার মধ্যে ছিলাম তাই খুব অসাবধান হয়ে পরলাম। ডিজেলের বাসার ছাদেই আয়োজন শুরু করলাম, ছাদের তালা মারার সময় বুলেট ভুল করে চাবি সেখানেই রেখে দিলো। ডিজেলের মা ছাদে হঠাৎ করে উঠে আসে চা-নাস্তা নিয়ে। সেই সময়ের সিন এখনো লিখতে গিয়ে আমার গা এখনো সিউরিয়ে উঠে। জিন্স আধা নামিয়ে পুশ করার সময় দেখি আন্টি !!!!!!! হাতের চা পরে পুরে যায় আন্টির ডান হাত সাথে সাথে।



সেই দিন সারদিন কিভাবে কেটেছিলো আমার ঠিক মনেও নাই। ডিজেল আর বুলেট তখনও শুরু করে নাই, তারা আমাকে ধরে পালিয়ে আসে আমার বাসায়। আমার বাসা তখন খালি। সবাই ঈদের ছুটিতে গেছে মফস্বলের দাদার বাসায়।



দরজা বাইরে থেকে লক করে ভিতরে থাকলাম ৩ দিন যাতে ডিজেল আর বুলেটের বাসার লোকজন এসে কাউকে না পেয়ে চলে যায়। ঠিক করলাম বাসার সবাই ফিরে আসার আগেই ১৪ দিনের মধ্যে দেশ ছারবো। ফ্যামিলিকে মুখ দেখাতো পারবো না কোন মতেই।



প্রবাসে আসার গল্প:



তিন জন মিলে ব্যবসার মুলধন থেকে জোগার করলাম মোট ৫ লাখ টাকা। ইন্টেনডিং ব্যাবসার সুযোগে কিছু পাসপোর্ট দালাল আর বিদেশে লোক পাঠানোর দালালের নেটওয়ার্ক খুব ভালো করেই পরিচয় ছিলো। কিন্তু ৫ লাখ টাকায় ইউরোপ, আমেরিকা ব জাপান কোথাও একজনের পক্ষেও যাওয়া যাবে না, তিনজন তো দুরের কথা। মালেশিয়া বা মিডেল ইস্টে যাওয়ার ইচ্ছা নাই। আমার টার্গেট যে দেশে গিয়ে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যাবে সেই দেশে যাবো। খবর পেলাম যে পাচ লাখ টাকায় ইমার্জেনসি নোটিশে অরিজিন্যাল টুরিস্ট ভিসায় যাওয়া যাবে তুরস্ক। সেখান থেকে নাকি বর্ডার পার হয়ে ই্উরোপে ঢোকা যায়। ম্যাপ স্টাডি করে বুঝে নিলাম ব্যাপারটা পসিবেল। ৩ দিনের মধ্যে ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট/ টিকেট বানালাম ( সবই আমার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে)। ভিসা হতে ঠিক দুই সপ্তাহ লাগবে আর বাসার লোকজন আসবে আরো এক সপ্তাহ পরে। বাসার লোক আসার আগেই বাসা ছারলাম। গিয়ে উঠলাম এক বস্তিতে, কারন হাতের সব টাকা দালালের কাছে, ৫০০ ডলার করে রেখেছি যেটাকে ভাংগানো সম্ভব নয়। এর মধ্যে শুনতে পেলাম ডিজেলের বাবা আমার আর বুলেটের নামে অপহরনের কেস করার প্লেন করছে। বুলেটের বাপ তাকে অনেকটা তাজ্য পুত্র ঘোষনা করে ফেলেছে। আমার বাসার ঘটনা উল্লেখ করার মতন নয়। বড় ভাই মাকে নিয়ে আলাদা ফ্লাটে চলে যাবে বলে শুনলাম। দালাল আমাদের সিচুয়েশন আচ করতে পেরে আরো এক লাখ টাকা দাবি করলো ফ্লাইটের ৩ দিন আগে। বিজনেস পার্টনারদের কাছ থেকে সেই এক লাখ টাকাও লোন করলাম আমার সাদা সিদা চেহারার বদৌলতে।



টাকা এয়ারপোর্টে সেই টাকা দালালের কাছে দেবার পরই সে আমাদেরকে পাসপোর্ট দেয় যাতে উল্টা পাল্টা কিছু না করতে পারি। এয়ারপোর্টে ঢুকতে যাবার সময় দেখি ডিজেলের বাবার মাইক্রো দারিয়ে আছে। আমার ভাই, বুলেট আর ডিজেলের বাবা ভেতরে বসা। উদ্দেশ্য আমাদের আটকাবে। তবে আমাদের সন্দেহ যে মায়া করে ঘরে নিয়ে যাবার জন্য নয়, স্পট মার্ডার করার জন্যই তারা আসছে। পরে জানতে পারি যে দালাল তাদের কাছ থেকে এক্সট্রা টাকা হাতিয়ে নেবার জন্য তাদের কে খবর দিয়ে এয়ারপোর্টে আনে। আমরা যখন ইমিগ্রেশন পার করি তখন তদের কাছ থেকে আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে, তবে সেই টাকা দেয়া তো দুরের কথা ডিজেলের বাপ সেই দালাল কে উল্টো পুলিশে ধরিয়ে দেয়।



ইউরোপে ঢুকলাম যেভাবে:



তুরস্ক আসার পর একে বারেই গভির পানির মাঝখানে যেয়ে পরি। আমার নেটওয়ার্কের লোক যে তুরস্ক থাকে তার বাসায় যেয়ে দেখি সে সেখানে আসলে থাকে না। আমার নেটওয়ার্কের দৌর এই পর্যন্তই। সেখানকার বাংগালিদের কাছ থেকে অড জবের সুযোগ পেলাম ইস্তানবুলের এক কাচা বাজারে। এমনেতেই ইলিগ্যাল জব তাই যা বেতন দেয় সেটা মিডেল ইস্টের লেবার থেকেও কম। আগে থেকেই জানতাম এবং এখনে এসে বুঝলাম যে ইস্তানবুল হলো ই্উরোপের বর্ডার পার হবার পথ। ট্রাকে লুকিয়ে বা বোটে করে পার হওয়া যায় গ্রিসের বর্ডার। এক মাস পরেই প্রথম সুযোগ এলো। ট্রাকে করে পার করে নিয়ে যাবে গ্রিস। চার্জ ৫০০ ডলার পার পার্সন। প্রথম মাসের বেতন প্লাস গ্রিসে ঢুকে বাকি টাকা দিবো এই ডিল করে রাজি হলো দালাল। গভির রাতে ট্রাকের সামনে যেয়ে দেখি দুই ট্রাকে যাওয়ার জন্য দারিয়ে আছে ৪০ জন মানূষ। বেশি ভাগই চাইনিজ ইরানিয়ান আর পাকিস্তানি। বাংগালি আছে আরো দুইজন, ইদ্রিস আর পিন্টু দুই ভাই। আমি, ডিজেল এক ট্রাকে আর বুলেট, ইদ্রিস, পিন্টু উঠলো আরেক ট্রাকে। ভোর রাতে ট্রাক রওনা দিলো। সারাদিন ট্রাকের ভিতরে বসে সবার নাভিশ্বাস উঠার মতন অবস্থা। তার পরের দিন রাতে হঠাৎ ট্রাক থেমে গেলো। ড্রাইভার ট্রাকের পেছনের দর্জা বন্ধ করেই পালিয়ে গেলো। ট্রাক তখন গ্রিসের বর্ডার পার হয়ে গেছে অলরেডি।



কিন্তু ট্রাকের গেট বন্ধ থাকার কারনে কেউ বের হতে পারলাম না। আধা ঘন্টা আতংকিত বসে থাকার পর দরজা খুলে দিলো গ্রিসের পুলিশ। নেমে দেখি গভির রাত। অনেক গুলো পুলিশের গাড়ি আর ট্রাক পেছনে। সামনে দেখি বুলেটের ট্রাক পথের পাশে এক্সিডেন্ট করে পারে আছে, ভেতর থেকে এক ডজন লাশ বের করছে পুলিশ। আমাদের রক্ত হিম হয়ে গেল সেই দৃশ্য দেখে। ডিজেল দৌরে ছুটে যেতে চাইলো কিন্তু পুলিশ ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো তাকে। ডিজেলের হাটুতে আগে থেকেই একটু সমস্যা ছিলো সেই ধাক্কা খেয়ে সেভাবেই পরে রইলো হাটু চেপে ধরে। পুলিশ আমাদের সবাইকে পুলিশের ট্রাকে উঠাতে শুরু করলো। উঠে দেখি সেখানে বুলেট বসে কানতাছে। পিন্টু আর ইদ্রিস বসে আছে কিন্তু কারো মুখে কোন কথা নাই। পরে তাদের মুখে শুনি যে এক্সিডেন্ট হবার পর কি এক ভয়ংকর পরিস্থিতি হয়েছিলো ট্রাকের ভেতরে। আমাদের পরিচিত এক পাকিস্তানি যার মাধ্যমে আমরা দালালের খবর পাই মারা যায় সেই ট্রাকে।



পুলিশ আমদেরকে ট্রাকে করে আবার তুরস্ক বর্ডারে পুশ ইন করে, কিন্তু ডিজেলকে নিয়ে যায় বাকি আহতদের সাথে গ্রিসের হাসপাতালে। সেখান থেকে ডিজেল পালিয়ে চলে যায় এথেন্স।



এই ঘটনার পর বুলেট পুরোপুরি ভেংগে পরে মানসিক ভাবে। এমনেতেই হাতে টাকা নাই, তাই ঠিক করে দেশে ফিরে যাবার। ডিজেল এক মাস পর এথেন্স থেকে জানায় যে গ্রিসে অবৌধ বসবাসকারিদের কে পেপারস দিচ্ছে, কিন্তু পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যে আর দুই মাসের মধ্যে স্বশরিরে হাজির হতে হবে গ্রিসের পুলিশের কাছে। আমি তুরস্ক থেকেই আমার পাসপোর্ট পাঠিয়ে দেই ডিজেলের কাছে। পিন্টু আর ইদ্রিস খোজ পায় এক স্মাগলার চক্রের তারা ড্রাগস আর ইলিগ্যাল দের বোটে করে তুরস্কের এক ফিশার ভিলেজ থেকে গ্রিসের একটি টুরিস্ট আই ল্যান্ডে নিয়ে যায়। । কিন্তু টাকা যা দরকার সেটা নেই হাতে কারন আমি এই মাসে কোন জব করতে পারি নাই। বুলেট আমাকে তার বেতনের টাকা থেকে ৫০০ ডলার দিয়ে দেয়। সে ফাইনাল ডিসিশেন নিয়ে নিছে যে দেশে চলে যাবে। কিছুতেই ওকে আর রাজি করাতে পারলাম না।



আমি একাই রওনা দিলাম বোটে করে গ্রিসের উদ্দেশ্যে। সাথে ইদ্রিস আর পিন্টু। তিন টা ছোট রাবারের বোটে করে মোট তিরিশ জন রওনা দিলাম রাতে।বোটের মাঝখানে কয়েকটা পোটলার মতন করে রাখা প্লাসটিকের ব্যাগ। তার ভেতরে কি আছে সেটা আমার অনুমান করে নিতে কষ্ট হলো না।



গ্রিসের আইল্যান্ডের কাছা কাছি আসতেই আমাদের দেখে ফেলে গ্রিসের কোস্ট গার্ডের স্পিড বোট। দুইটা স্পিড বোট করে গ্রিসের পুলিশ যখন আমাদের রাবার বোটের কাছে আসে তখন আমাদের বোটের কিছু চাইনিজ প্যানিক করে উঠে। কয়েকজন লাফ দেয় পানিতে। হুরো হুরি আর পুলিশের স্পিড বোটের ধাক্কায় ইদ্রিস আর আর পিন্টু সহ আরো কয়েকজন পানিতে পরে যায়। দুইভাই একসাথে আমার নাম ধরে " বাচান ভাই আমারে বাচান" বলতে বলতে চোখের নিমিষে তলিয়ে যায় ঠান্ডা সাগরের পানির অতলে। আমি নিজেও সাতার পারি না। তাই অসহায়ের মতন তাকিয়ে থাকা ছারা আমার আর কোন উপায় ছিলো না। আমাদের রাবার বোটের আরো পাচ জন মারা যায় তখন। বাকি তিন জন কে পুলিশের বোটে উঠিয়ে নেয়। আমি সহ বাকি দুইজন কে গ্রিসের মেইন ল্যান্ডে নাওয়ার পর পুলিশ স্টেষন না নিয়ে নিরব একটি রাস্তায় ছেরে দেয়। আমার এখনো সন্দেহ যে পুলিশের সাথে সেই স্মাগলারদের কারসাজি ছিলো।



ছারা পাওয়ার পর সাথে সাথে ডিজেলকে ফোন করি। রাত তখন দুইটা কি তিনটা, ফোন রাখার পরেই সে রওনা দেয়। সারা রাত একটা বাস স্ট্যান্ড এ বসে ছিলাম। অনেক কষ্টের পর শেষ পর্যন্ত ইউরোপের বর্ডারে ঢুকলাম সেটা রিয়েলাইজ করতে পারলেও আমি সারা রাত ধরে চিন্তা করছিলাম ইদ্রিস আর পিন্টুর কথা। কিভাবে আমি তাদের খবর তাদের ফ্যামিলিকে যানাবো ? ওরা দুই জন বাংলাদেশের একটা পরিচিত এবং সম্মানিত ফ্যামিলির ছেলে ছিলো। দেশে কিছু করতে পারছিলোনা তাই ইউরোপে আসার চেষ্টা। দুই ছেলের একসাথে মৃত্যুর খবর আমি কিভাবে তাদের বাপ মাকে জানাবো? ফোন ধরে কি বলবো? আমিও বা কে? আমাকে তো তারা কেউ চেনেও না। সম্পূর্ন অপরিচিত মানূষের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর কথা বিশ্বাস করবে কিভাবে? কোন অফিসিয়াল ডকুমেন্টস ও নাই। লাশের দেখাও কখনো পাবে না।



পরের দিন বিকালে ডিজেল আসলো আমাকে নিতে। ওকে দেখার সাথে সাথে মন থেকে সব ডিপ্রেসিভ চিন্তা ভাবনা চলে গেলো। মনের মধ্যে জোর ফোরে আসলো যে আমরা লাইফে সাক্সেস হবার জন্য যে যুদ্ধে নামছি সেটাতে জিতবই।



( টিপস: এখনো এইভাবে তুরস্ক থেকে গ্রিসে ঢোকা সম্ভব। তবে বোট থেকে নাকি ট্রাকে আসাটাই সবচাইতে বেশি গ্যারান্টি থাকে। তবে তুরস্কের কিছু মানূষ আসে বন জংগল দিয়ে বর্ডার পার হয়ে। তবে সেটার জন্য মাফিয়া ধরনের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসতে হয়। ছিটখাটো স্মাগলারদের সেই কানেকশনটা নেই। )



ইউরোপে কাগজ যেভাবে করলাম:



গ্রিসে পেপারস হতে তেমন একটা অসুবিধা হলো না। দরকারি কাগজপত্র সব বুলেট দেশ থেকে পাঠিয়ে দিলো। তবে গ্রিসের কাগজ হবার পর বুঝলাম যে এটা আসলে কামলা খাটার কন্ট্রাক্ট। ইউরোপের কয়েকটা দেশে যেমন ইটালি, গ্রিস, স্পেইন আর পর্তুগালে কিছু দিন পর পরই এখানকার ইলিগ্যালদেরকে সাময়িক একটা কার্ড দেয় যাতে তারা লিগ্যালি কাজ করতে পারে। এসব দেশে অড জব অর্থাৎ কামলা খাটার জন্য লেবার পাওয়ারের দরকার। বলা বাহুল্য গ্রিসের বার্থ রেইট মাত্র ১,৩। যার অর্থ এ্ চলতে থাকে তাহলে এই দেশের জনসংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে।



( টিপস: আপাতত এরকম কার্ড/ থাকার পেপারের সুজোগ শুধুমাত্র পর্তুগালে দেয়া হচ্ছে। কম খরচে লিগ্যালি কার্ড করার পথ এখন নাকি শুধু সেখানেই পাওয়া যাচ্ছে। )



তিনমাস গ্রিসে থাকার পর বুঝলাম যে এখানে পাসপোর্ট বা গ্রিন কার্ড করতে আরো পাচ থেকে দশ বছর লেগে যাবে। সবচাইতে বড় কথা হলো যে এখানে মাসিক বেতন যা পাওয়া যায় সেটাতে থাকা খাওয়া বাদ দিয়ে হাতে ২০০-৩০০ ইউরো থাকে। এই বেতনের আশা করে আমি দেশ ছারি নাই। বুলেট আর আমি টার্গেট করলাম ইংল্যান্ড যাবো। তবে এটাও বুঝতে পারলাম যে সেই চেষ্টা করলে গ্রিসের পেপারসের মায়া ছারতে হবে, অনেকের জন্যে এটাই আকাশের চাদের মতন। আপাতত যেই পেপার গ্রিস সরকার আমাদের দিছে সেটা দিয়ে গ্রিসের বাইরে যাওয়া যাবে না। যদি লুকানো পথে গ্রিসের ববাইরে যাবার পর ধরা পরি তাহলে দেশে ফেরত পাঠানোর রিস্ক আছে। আর ইংল্যান্ড এ যেয়ে পেপারস করা নাকি আরো কঠিন ব্যাপার।



( টিপস : বর্তমানে গ্রিসে কোন পেপার দেয়া হয়না। গ্রিসের নিজস্ব লোকদেরই এখন অনেকটা ফকিরের মতন অবস্থা। এজাইল সিকার দের ক্যাম্পে নাকি এখন গ্রিসের গরিবদেরকে শেল্টার দেয়া হচ্ছে। গ্রিসের যত বাংগালি আছে তারা হয় দেশে ফেরত যাচ্ছে বা ইউরোপের অন্যান্য দেশে চলে যাচ্ছে। যারা এখনো গ্রিসে আছে তারা তারা কোনমতে কাজ করে নিজের থাকা আর খাওয়ার খরচ করে বেচে আছে। দেশে টাকা পাঠাতে পারছে না। )



তারপরেও দুইজন মিলে ঠিক করলাম যে দেশ যখন ছারছি তখন এর শেষ দেখে নিতে চাই। দেশে যোগাযোগ করে চেষ্টা করলাম টাকা যোগার করার কিন্তু লাভ হলো না। আমাদের ওপর থেকে সবার বিশ্বাস পুরোদমেই উঠে গেছে। চার মাসে গ্রিসে কাজ করে দুইজনের জমানো ২০০০ হাজার ইউরো। এই টাকা দিয়ে কোনমতে ইংল্যান্ড যাওয়া সম্ভব। কিভাবে যাবো সেটার তথ্য যোগার করলাম। গ্রিসের সাথে যেসব দেশের বর্ডার আছে সেসব দেশ ই, ইউ এর অন্তরগুক্ত নয় ( সেই সময় ) । সুতরাং বর্ডার চেক আছে। ফেরিতে ইটালি যাওয়া যায় তবে বিদেশি চেহারা দেখলে প্রায়ই পেপারস চেক করে পুলিশ। ইটালি থেক ফ্রান্সে কোন বর্ডার চেক নাই। ফ্রান্সের ক্যালে থেকে ইংলিশ চ্যানেল পার হয়ে ইংল্যান্ড এর ডোভারে যাওয়া যায়। যেতে হয় লরির ভেতরে লুকিয়ে। সেখানেও দালাল চক্র আছে। ইটালি চলে যেতে কষ্ট হলো না। ফেরিতে চেক হলো না কোন তবে ইটালির ফেরি ঘাটে নামার পর চেক পোস্ট বাই পাস করে পার হবার জন্য ঘুষ দিতেই চলে গেল ২০০ ইউরো। ফ্রান্সের প্যারিসে আসতে আসতেই সব টাকা শেষ হয়ে গেল। এখানে খবর পেলাম যে ক্যালে থেকে ডোভার পার হতে দুইজনের মিনিমাম ১০০০ ইউরো লাগবে। তবে কিছু বাংগালি এডভাইস করলো যে প্যারিসেই থেকে যেতে। এখানে পলিটিক্যাল এজাইল হিসাবে থেকে ইলিগ্যাল কাজ করে যা টাকা পাওয়া যাবে সেটা ইংল্যান্ড থেকে বেশি।আর কাজ করে ৪-৫ হাজার ইউরো যোগার করতে পারলে বিভিন্ন উপায়ে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স এর কার্ড বানানো সম্ভব। অনেকেই পেপার মেরেজ করে বা বাংগালি রেস্টুরেন্ট এ কুক এর কন্ট্রানক্ট দেখিয়ে রেসিডেন্ট পারমিট করে। পলিটিক্যাল এজাইলে খুব বেশি হলে দুই তিন বছর থাকা যায় কিন্তু এই প্রসেসে আজকাল নাকি কেউ রেসিডেন্ট পারমিট পায় না। তো ঠিক করলাম পলিটিক্যাল এজাইল করে ফ্রান্সেই চেষ্টা করবো। বুলেট বাংলাদেশ থেকে দরকারি কগজ পাঠালো। আওয়ামি লীগের কর্মি আমরা, আর তাই দেশে সরকার আমাদের উপর রাজনৌতিক অত্যাচার করে তাই পালিয়ে এসেছি। এরকম একটা গল্প বানিয়ে কেস রেডিও করে ফেললাম। প্যারিসে দুইমাস থাকার পর জানতে পারলাম যে ঠিক এরকম পদ্ধতিতে জার্মানিতে চেষ্টা করলে সবচাইতে ভালো হবে কারন জার্মানিতে বেতন ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আর জব পাওয়া যায় সহজেই।



( টিপস: ইউরোপের যেকোন দেশে গেলেই বাংগালি সোসাইটি পাওয়া যাবে এবং বেশিরভাগ বাংগালিরাই ভালো বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করে। তবে অনেক চিটার লোক ও আছে। এর জন্য উচিৎ একজনের কাছ থেকে বুদ্ধি না নিয়ে দশ জনের কাছ থেকে ইনফরমেশন নেওয়া। )



তাই শেষ পর্যন্ত জার্মানিতে চলে গেলাম ফ্রান্সে তিন মাস থাকার পর। এখানে এসে প্ল্যান মত এজাইল এপ্লাই করলাম। জার্মানিতে দুই বছর একটা বাংগালি রেস্টুরেন্টে কাজ করে সেই রেস্টুরেন্টের মালিকের সাথে কন্ট্রাক্ট করলাম যে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সে আমাদেরকে কাজের কন্ট্রাক্ট দেখিয়ে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স করে দিবে। আমি আর বুলেট টোটাল ২০ হাজার ইউরো মালিকের হাতে তুলে দিলাম। মালিক আমাদের সাথে ঠকবাজি করার চেষ্টা করেছিলো একটু কিন্তু সেটা সময় মত ধরতে পারলাম বলে সে আর উল্টা পাল্টা কিছু করলো না। ৬ মাসের মধ্যে জার্মানির রেসিডেন্ট পারমিট হাতে এসে গেলো।



( টিপস: এরকম কাজের মাধ্যমে ইউরোপের সব দেশেই পার্মানেন্ট পেপার রেডি করা সম্ভব তবে এখানেও অনেক চিটার মালিক আছে। এরজন্য উচিৎ যখন নাকি মালিকের সাথে মৈখিক ডিল করবেন তখন গোপনে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বা ভিডিও রেকর্ড করে রাখা বা অন্যান্য বাংগালি কে উয়িটনেস হুসাবে রাখা। যদি মালিক পরে চিট করার ট্রাই করে তখন এই রেকর্ড পুলিশ কে দেখালে মালিকের সমস্যা হবে বেশি।







বুলেট কে যেভাবে জার্মানিতে নিয়ে আসলাম:



কিছুদিন আগে আমার পাসপোর্ট বানানোর সময় আমার ছবির বদলে দেই বুলেটের ছবি, যেখানে আমাকে আর ওকে প্রায় একি রকম দেখতে লাগে এরকম করে চুল, চোখের লেন্স আর মেক আপ করে। তারপর সেই পাসপোর্ট নিয়ে ডিজেল যায় বাংলাদেশে। সেখানে সেই পাসপোর্টে এয়ারপোর্টের এরাইভাল আর ডিপার্চার সিল নকল করে মারে দালালের মাধ্যমে।

আসার সময় ডিজেল বুলেট কে সাথে করে নিয়ে আসে। যেহেতু পাসপোর্ট অরিজিন্যাল আর পাসপোর্টে বুলেটের ছবি তাই তাকে কোথাও কোন প্রশ্নের মুখো মুখি হতে হয়না।



এখানে আসার পর আমার পাসপোর্ট লস্ট রিপোর্ট করি আর নতুন পাসপোর্ট এপ্লাই করার সময় আমার নিজের ছবি দেই। ( ডিজেল টা্উন হল অফিসের এক মেয়েকে পটানোর ফলে কাজটা আরো সহজ হয় ) কিন্তু তারপরেও পুরো ব্যাপারটা চরম রিস্কের। তবে ধরা পরলে খুব বেশি হলে আমার জরিমানা হত। জার্মানি ছেরে চলে যেতে হত না। আর আমার রক্তের বন্ধু জন্য এই সামান্য কাজটা কোন ব্যাপারই ছিলোনা।





বুলাট কে প্রথমে পলিটিক্যাল কেসের মাধ্যমে টেম্পরারি কাগজ করার পর কিছুদিন পরে আমাদের মেয়ে কলিগ প্লাস বন্ধুর সাথে তার খাতির করিয়ে দেই। আপাতত তাদের মধ্যে খুব দহরম মহরম ভাবে সংসার চলতাছে।



( টিপস: ইউরোপের যেকোন দেশের মেয়ে ( বা ছেলেকে ) বিয়ে করলে সে দেশের পাসপোর্ট পাওয়া যায় ৩- ৫ বছর পরে। ৫-৬ বছর আগে বেশিরভাগ পেপারস মেরেজ হত অর্থাৎ......... মেয়ের সাথে ডিল থাকতো যে শুধু পেপারে বিয়ে হবে বাট বাস্তবে কোন রিলেশন থাকবে না। এর বদলে মেয়েটাকে ১০ - ১৫ হাজার ইউরো দিতে হবে। এখন এটা খুব কম হয় কারন বিয়ের আগে আর পরে পুলিশ কন্ট্রোল হয় যেটাতে ধরা পরলে অনেক সমস্যা হয় দুই জনেরই। বর্তমানে বেশিরভাগ বাংগালিরা অরিজিনাল রিলেশন করে বিয়ে করে। তবে আমার এক্সপেরিয়েন্সে দেখেছি যে কোন একটা কারোনে এসব বিয়ে ১০ বচরের বেশি টিকে না। অনেকে আবার চিট করে বিয়ে করে অর্থাৎ মেয়েকে বলে যে সে তাকে ভালোবাসে কিন্তু পাসপোর্ট হবার পরপরই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয় যা নাকি অনেক ঘৃনিত এবং জঘন্য একটি ব্যাপার। তবে আমরা তিন বন্ধুর কারোরই দেশে ফিরে জাবার প্ল্যান নেই তাই বুলেটের মতন আমরাও এই দেশেই বিয়ে করবো বলে চিন্তা ভাবনা আছে। )

--------------------------------------











সর্বশেষ:



বাই দা ওয়ে ডিজেলের ছাদে সেই দুঃসপ্নের বিকেলটাই ছিলো আমাদের তিনজনের ড্রাগস নেয়ার শেষ দিন।



পরে বিদেশে এসেও কোন দিন ড্রাগ্স ছুয়ে দেখেনাই এই ডিজেল, বুলেট আর মেকগাইভার।



এক্স এডিক্টেড হিসেবে ড্রাগ্স এডিক্টেডদের কে বলবো আপনারা জীবন যুদ্ধে নেমে পরেন।

আসলে জীবন যুদ্ধ ড্রাগস থেকে অনেক বেশি এক্সাইটিং।



সমাপ্তি





( ছবিতে গ্রিসের কোস্ট গার্ড ইলিগ্যাল বর্ডার ক্রসারদের কে আটক করছে । ঠিক অনেকটা এভাবেই আমরাও ধরা পরি, তবে বোট টা ছিলো আরো ছোট এবং সেটা ছিলো রাতের বেলা)

মন্তব্য ১৬৭ টি রেটিং +৯৭/-১

মন্তব্য (১৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৩

বখাটে পুলা বলেছেন: হুম,

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৯

মেকগাইভার বলেছেন: কি বুঝলেন?

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৪

দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৯

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৫

মেঘমালাকম বলেছেন: খুব রিস্কি কাজ করেছেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪১

মেকগাইভার বলেছেন: কোন উপায় ছিলো না। তখন চিন্তা করছিলাম যে দেশে বসে জীবন বরবাদ করা থেকে এভাবে জীবনের রিস্ক নিয়ে চেষ্টা করা অনেক ভালো।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০০

জটিল বলেছেন: আনন্দময় হোক বাকী সময় , শুভকামনা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৮

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০০

দি রেইনবো মেকার বলেছেন: আগে প্লাস দিলাম, এখন পড়ব

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৯

মেকগাইভার বলেছেন: প্লাস মাইনাস ব্যাপার না। কমেন্ট করছেন সেটাই বড়।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৭

গুরুজী বলেছেন: আগের বারও পরেছিলাম, আবার ও পরলাম....

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩০

মেকগাইভার বলেছেন: হুমম.... আগেরবার অনেক তারাহুরা করে পোস্ট করে ফেলছিলাম। তাই এবার আরেকটু গুছিয়ে লিখলাম।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৭

দি রেইনবো মেকার বলেছেন: আগে প্লাস দিলাম, এখন পড়ব

২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

মেকগাইভার বলেছেন: হুমম ..... আগে গিফট তারপর খাওয়া দাওয়া।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৮

খান ফেরদৌস বলেছেন: :( :( :( :( :( :( :( :( :(

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:২৮

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪১

কুন্তল_এ বলেছেন: ভালো লাগলো। +

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩১

মেকগাইভার বলেছেন: পাঠকদের ভালো লাগানোই টা উদ্দেশ্য ।

সাথে যদি অন্য কারো উপকারে আসে।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৭

অপলক বলেছেন: মনে হল একটা মুভির গল্প। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ভাল থাকুন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৫

মেকগাইভার বলেছেন: আপনার মতন গল্প লিখতে পারলে মনে হয় আরো সুন্দর করে লিখতে পারতাম। আমার জীবনে আরো অনেক ঘটনা আছে। যা লিখলে একটা বই ছাপানো যাবে। কোন লেখক রাজি থাকলে ভালো হত।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৭

আসকওয়ানমি বলেছেন: অসাধারণ লাগল ভাই, এত এত কাহিনী..... প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।


দুইভাই একসাথে আমার নাম ধরে " বাচান ভাই আমারে বাচান" বলতে বলতে চোখের নিমিষে তলিয়ে যায় ঠান্ডা সাগরের পানির অতলে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪১

মেকগাইভার বলেছেন: এভাবে আরো কত প্রান মানূষ যে মারা গেছে তার হিসাব কেই রাখে না।
অনেকের ফ্যামিলি কখনো যানতেো পারেনা কিভাবে কোথায় মারা গেছে।

দুই ভাইয়ের ফ্যামিলিকে তাদের মারা যাবার ঘটনাটা আমাকেই জানাতে হয়, গ্রিসে আসার পর।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৬

লুকার বলেছেন:
সিনেমার মত। অসাধারণ।
তবে বাবা-মা'র মনে কষ্ট দেয়া ঠিক হয় নাই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪২

মেকগাইভার বলেছেন: হুমম....

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৭

সাঈদ সৌদিআরব বলেছেন: অসাধারন। জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার। এভাবে রিস্ক নেওয়া উচিত নয়। একবার ভাবুনতো যে দুই ভাই পানিতে পড়ে মরে গেল, আপনার অবস্থান যদি তাদের মত হত?
আপনার আশা আল্লাহ পূরণ করুন। ভাল থাকুন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০১

মেকগাইভার বলেছেন: আমার নিজস্ব মানসিক অবস্থা ছিলো হইলে হয় হবো হিরো নাইলে জিরো......

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০০

বিবর্ধন রায় বলেছেন: পরে পড়বো

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:২৯

মেকগাইভার বলেছেন: পরে পড়বো বললে কখনই পড়া হয়না। যা করার এখনই করতে হবে ।

কিছু বুঝলেন?

১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৫

একটু বর্ষা... বলেছেন: আপনাকে দিয়েই হবে । এখন কেমন সেভিংস করতে পারেন মাসে ?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৭

মেকগাইভার বলেছেন: বেতন ১৬০০ ইউরো..

সেভিংস ১০০০ ইউরো.. ( ১ লাখ টাকা )

ভাবছি ছোটখাটো বিজনেস শুরু করবো ইন্টেনডিং এর।

১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৭

রাতের নিশাচর বলেছেন: আপনাদের অনেক সাহস আছে বলতে হবে। আপনাদের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০০

মেকগাইভার বলেছেন: বিপদে পরলে সবাই একি কাজ গুলোই করতো ।

আমি তো আর একা নয়। আমার মতন হাজার হাজার বাংগালি এভাবে আসে

১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৩

রাতের নিশাচর বলেছেন: আর শুনেন বাবা-মা'র মনে কষ্ট দিয়েন না। আর ওনেক ভাল থাকবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০১

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৮

সায়েম মুন বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

লাইফে এত ঘটনা ঘটিয়েছেন যা সত্যি অবাক করার মত।

মাঝখানে দুইভাইয়ের মৃত্যু দৃশ্যটা যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। খুব খারাপ লাগলো ভেবে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:১৬

মেকগাইভার বলেছেন: এভাবে আরো কত প্রান মানূষ যে মারা গেছে তার হিসাব কেউ রাখে না।

অনেকের ফ্যামিলি কখনো জানতেও পারেনা।

১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৭

বিডিআর বলেছেন: অনেক কষ্ট করছেন ভাই। এইবার সুখ করেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০১

মেকগাইভার বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ।

২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: শুভকামনা......

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৩

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০৩

লাবিব ইত্তিহাদুল বলেছেন: কঠিন জীবন। পুরা টা গোগ্রাসে পড়লাম। চরম রোমান্স।

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২৯

মেকগাইভার বলেছেন: এখানেই সার্থকতা, তবে আরো সার্থক হবো যদি আমার মতন এক্স এডিক্টেড রা জীবন যুদ্ধে নেমে পরে। আসলে জীবন যুদ্ধ ড্রাগস থেকে অনেক বেশি এক্সাইটিং।

২২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৩

জাহিদ বেস্ট বলেছেন: ধ
ন্য
বা
দ। চমৎকার রিয়েল স্টোরী।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩০

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস.....

২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫২

মেঘলা মানুষ বলেছেন: অনেক টুইস্ট...

জীবন এরকমই :(

৩০ শে মে, ২০১২ রাত ৮:০২

মেকগাইভার বলেছেন: আরো যে কত টুইস্ট দেখলাম অন্যান্য প্রবাসির ভাইদের গল্প বলে শেষ করা যাবে না।

২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩৮

শুভ্র নামের ছেলে বলেছেন: বাপরে, আপনার অভিজ্ঞতা অনেক হয়েছে, রাতে সেন্টমার্টিনে মাছ ধরতে যাওয়ার ব্যাপারটা অনেক জোস তবে পুরো পরে মনে হল সারা জীবনে যা দেখছেন তার তুলনার সেন্ট মার্টিন কিছুই না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৪

মেকগাইভার বলেছেন: নাহ, সেন্ট মার্টিন ছিলো নির্ভেজাল একটা জিনিশ । সারা দুনিয়ার কোথাও সেটা পাই নাই।

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:১৮

আঠারো বছর বয়স বলেছেন: বাপরে বাপ। জীবনের সব রুপ একসাথে দেখে ফেলেছেন মনে হচ্ছে

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১১

মেকগাইভার বলেছেন: নাহ অনেক কিছু এখনো দেখা বাকি আছে, এখনো তো বিয়ে শাদিই করলাম না। হা হা

২৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮

অনিকেত বলেছেন: + হাল ছাড়বেন না কখোনই ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৪

মেকগাইভার বলেছেন: একটা কথা জীবনের অনেক বিপদের সময়ে বার বার মনে রাখছি।

সেটা হলো "এভরি পয়েন্ট ইজ এ টার্নিং পয়েন্ট। "

অর্থাৎ অবস্থা যত খারাপই হোক না কেন। সেখান থেকে বের হয়ে সুন্দর জীবন গড়ে তোলা কখনোই টু লেইট নয়।

২৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩২

মেঘকন্যা বলেছেন: নেশার জগত থেকে ফিরে নিজেকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসা...আপনার কাছ থেকে অনেকের অনেক কিছু শেখার আছে। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬

মেকগাইভার বলেছেন: আপনেও করেন নাকি? ফার্সট স্টেপ ইজ টু এক্সেপট দেট ইউ হেভ এ প্রবলেম।

এন্ড দেন সার্চ ফর হেল্প

২৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২০

বুবলা বলেছেন: ট্রুথ ইস অলওয়েস স্টেন্জার দ্যান ফিকসান

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫১

মেকগাইভার বলেছেন: জটীল বলছেন.....


২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৯

দূর্লভ রায় বলেছেন: অসাধারন !!!!!!!!

৩০ শে মে, ২০১২ রাত ৮:০৩

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস

৩০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০২

এম মেহেদী হসান(বুলবুল) বলেছেন: সব চেয়ে ভাল লাগছে আপনি ইরোপে থেকেও নেশার জগত থেকে ফিরে আসতে পোরেছেন।
যে কোন নেশা ছাড়া খুব কষ্টের ।
আপনার প্রতি শুভ কামনা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৩

মেকগাইভার বলেছেন: ইউরোপে থেকে আসলে নেশা থেকে দুরে থাকা সহজ। দেশেই অনেক কঠিন।

৩১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৮

সুখসাগর বলেছেন: অসাধারণ অভিজ্ঞতা!
লিখেছেন সুন্দর!
এককথায় খুবই ভালো লাগলো। পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩১

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস....

৩২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:০৩

রামন বলেছেন: জার্মানির পাসপোর্ট পেলেন কি ভাবে, বিয়ে করেছেন সে দেশে ? জানতে চাইলাম এ জন্য যে, আজ থেকে ২৫ বছর আগে কোনো এক সময় আমি নিজেও জার্মানিতে ছিলাম ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:৩৯

মেকগাইভার বলেছেন: ২০০০ সালের নতুন আইন অনযায়ি, রেফুজিরা এবং স্টেটলেস রা ৬ বছর পর জার্মান নাগরিত্ব পেতে পারে।

আজ থেকে ২৫ বছর আগে কেন ২০০০ সালের আগেও জার্মানির পাসপোর্ট পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিলো। ( বিয়ে ছারা )

এখনো অনেক নিয়ম কানুন আছে।

ন্যাশনালিটি পাওয়ার জন্য অনেক কিছু করতে হয়। জার্মান ভাষা ভালো করে জানতে হয়, জার্মান ইতিহাস জানতে হয়। একটা ইন্টিগ্রেশন পরিক্ষা দিতে হয়। কোন ধরনের ক্রিমিন্যাল রেকর্ড থাকা যাবে না। এমনকি ট্রাফিক জরিমানার থাকলেও অনেক সময় সমস্যা হয়। ( এই নিয়ে আমার অনেক ঝমেলা হয়েছিলো )
আরো কত কষ্ট করছি এই লাল রংগের পাসপোর্টের জন্য সেটা বলতে গেলে আরেকটা পোস্ট লিখতে হবে।

আপনে ২৫ বছর আগে জার্মানি ছিলেন? এখন কোথায়?

৩৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

এস বাসার বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। চমৎকারভাবে লিখেছেন।

আসলে জীবন যুদ্ধ ড্রাগস থেকে অনেক বেশি এক্সাইটিং।


ড্রাগ এডিক্টরা আপনার কথাটা মানলেই হয়।

২৯ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:৫০

মেকগাইভার বলেছেন: ড্রাগ এডিক্টরা আসলে অন্যের কথা কখনো মানেনা তাদেরকে এডভাইস দিলে আরো উল্টো রিয়াকশেন কাজ করে।
যদি চেন্জ হয় তাহলে নিজের মনের কথায় চেন্জ হয়।

তবে ইন্সপেরাশেন পেতে পারে।

৩৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৪২

রকিবুল আলম বলেছেন: ভাই spain এ থাকি। জার্মানিতে আসলে কিভাবে কাগজ পাওয়া যাবে?
আপ্নের cont বা e-mail দিলে যোগাযুগ করতাম।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৫৯

মেকগাইভার বলেছেন: স্পেইন এর কোন পেপার আছে সেটা আগে জানান।

রেফুজি কেইস? ১ ইয়ার কার্ড, ২ ইয়ার? নাকি ৫ ইয়ার?

৩৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:৫৭

অজানা এক পথিক বলেছেন: ব্যাপক কাহিনী।

উইলসের কোন ব্যাচ?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৩৯

মেকগাইভার বলেছেন: ২০০১....

৩৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৮

ইচ্ছে বলেছেন: পচিশ বছর বয়সে লাইফে যা যা করেছেন, উফফফ

এক নিস্বাশে শেষ করলাম, আমার এক বন্ধু একিভাবে গ্রিস হয়ে ইতালি আছে এখন... তবে আমি কখনো এইভাবে জীবনের ঝুকিনিয়ে বাইরে জাওয়াটা সাপো্ট করি না।

ভাল থাকবেন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৩:৪৭

মেকগাইভার বলেছেন: ভাইজান...........ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় ...

৩৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৪

রকিবুল আলম বলেছেন: আমার ভাই টেম্পরাল রেসিডেন্ট এবং ওয়ারর্ক পারমিট
আছে।

৩৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২৫

রকিবুল আলম বলেছেন: ২ ইয়ার কার্ড

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪৪

মেকগাইভার বলেছেন: হুমমমম.......

আপনার জন্য আপাতত যেসব অপশন আছে সেগুলো নিচে দিলাম।

১ ) ওয়ার্ক পারমিটে আসা।
কোন বিজনেসের মালিক যদি আপনাকে কাজের কনট্রাক্ট দেয় তাহলে আসতে পারবেন ( যেমন ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট এর কুক )। যদি পরিচিত না থাকে তাহলে ১০ হাজার ইউরোর নিচে কোন মালিক রাজি হবে না। মালিক কে দেখাতে হবে যে সে জার্মানিতে এই পদের জন্য কোন লোক সে খুজে পায়নি। প্রসেস টা একটু কমপ্লিকেটেড বাট ডু এবেল।

২) বিয়ে.... ( পেপার মেরেজ বা রিয়েল মেরেজ )। আপনে জার্মানিতে আসতে পারবেন।পেপার মেরেজের মার্কেট প্রাইজ আপাতত ১৫ হাজার ইউরো। তবে নিজের গুন দিয়ে রমনি পটাইতে পারলে ফ্রি তেও সম্ভব।

৩) আপনি ৫ ইয়ার কার্ড পেলে ছোট খাটো কোন বিজনেস দিতে পারবেন জার্মানিতে। যেমন রেস্টুরেন্ট বা গ্রোসারি শপ। তবে অবশ্যই একজন জার্মান নাগরিকের সাথে পার্টনারশিপ থাকতে হবে।

৪) আরো কিছু রেয়ার অপশন আছে বাট সগুলো করতে হলে শিক্ষা গত স্মার্টনেস থাকতে হবে, এবং ইমপ্রোভাইজ বুদ্ধি থাকতে হবে। যেমন ভলান্টিয়ার ওয়ার্কার, মেডিকেল গ্রাউন্ড, রিলিজেন একটিভিটি ( যেমন তবলিক )..।
বাট এগুলার জন্য নিয়ম কানুন খুব ভালো করে জানতে হয় এবং কথা বার্তায় চটপট হতে হয়। আমি নিজে চার জন বাংগালি ভাইকে এই সব ওয়ে তে সাকসেস করাইছি। ভালো করে করতে পারলে এই সব অজানা পথ গুলোই সবচাইতে সহজ।

৩৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭

অজানা এক পথিক বলেছেন: তুমি তো মিয়া তাহলে আমার ব্যাচমেট। আমি সেকশন ই তে ছিলাম। নামটা এখানে বলা যাচ্ছে না

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:২৪

মেকগাইভার বলেছেন: আমারটা সেকশন এ।

৪০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৭:০২

দুখী মানব বলেছেন: জটিল এডভেন্চার

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৩

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস.....

৪১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৫৯

রকিবুল আলম বলেছেন: দন্যাপাতা ;) ;) ;)
জার্মানীতে আইলে অবশ্যই আপ্নের লগে দেহা করুম,
তবে যদি আপনে চান।
আচ্চা ভাই আমি জদি এখন student হিশাবে আসি,
তাইলে আমি just student হিশাবেই থাকা লাগব, নাকি spain এ যেভাবে আছি সেভাবে থাকতে পারব?

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৪

মেকগাইভার বলেছেন: হুমম অনেকেই এই পোস্ট পরার পর আমার সাথে দেখা করছে। তবে আগে থেকে প্রিপারেশন নিয়ে আসা ভালো।

৪২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:২৯

ইফতেখার5555 বলেছেন: ভাই আপনার লেখার হাত খুব ভালো,নিয়মিত লিখুন,সবার এমন টা থাকে না

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১১

মেকগাইভার বলেছেন: হুমম.. ট্রাই করবো

৪৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ ভোর ৪:২১

মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: ভাই এতে বেশী ভাল লাগলো যে ..কিছুই বলতে পারলাম না... .আপনার সাথে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার অনেক মিল... আমিও যু্দ্ধে আছি :( .. জানিনা কি হবে শেষে... তবে আপনার লেখাটা সবসময় মনে থাকবে... বয়সে আপনি ছোট কিনতু অভিজ্ঞতায় আপনি এগিয়ে... কোনদিন যদি আমি সফল হই .. জানাব...

আমার চলার একমাত্র প্রেরনা... আমার দুবছর বয়সি ছেলে.. দোয়া রাইখেন..
Click This Link

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ..


২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৬

মেকগাইভার বলেছেন: জিবনের সাক্সেস একটি অবজেকটিভ ব্যাপার। শুধু যে ভালো চাকরি বা টাকা পয়সাই সাকসেস তা ভুল। আপনার ছেলেকে মানূষের মতন মানূষ করাটাও একটা সাকসেস।

৪৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৯

১১স্টার বলেছেন: লিবিয়া থেকে রাতে বোটে উঠব ১৪৮ জন উঠে গেছে। উদ্দেশ্য ইটালী। আমার সহযাত্রীরা (বাঙ্গালী ঘানাইয়া এবং মাসরি) সবাই উঠল। আমি একটু সাইজে খাটো হওয়ায় কারনে কারও হেল্প আশা করছিলাম যে আমার হাত টা ধরে টেনে উঠাবে। কিন্তু আমাকে টেনে না উঠাইয়া বরং আমার ঘাড়ে লাথ্থি দিলো এক নিগ্রো ঘানাইয়া। সাথে সাথে নৌকা ছেড়ে দিল। আমার ২০০০ ডিনার কন্টাক্ট জলে চলে গেলো। ঠিকি ১ দিন পর পত্রিকায় দেখলাম ১৪৮ জন যাত্রি নিয়ে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবি। মাত্র ২ জন ১২ ঘন্টা তেলের ড্রাম ধরে সাতরিয়ে লিবিয়ার কোস্টগার্ডের নজরে পড়ায় উদ্ধার হয়। বাকিরা সবাই মারা যায়। তারপর দেশের থেকে আরো ১ লাখ টাকা নিয়ে দেশে চলে আসি

০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

মেকগাইভার বলেছেন: হাসবো না কানবো বুঝতে পারতাছিনা।

৪৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৯

১১স্টার বলেছেন: যত পারেন হাসেন বা কান্দেন কিন্তু ঘটনা সত্য।

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৭

মেকগাইভার বলেছেন: হুমম এরকম অনেকেই ধরা পরে কিন্তু উল্টো দেশ থেকে টাকা এনে তারপর দেশে ফেরত যাওয়া এই প্রথম শুনলাম।

৪৬| ১৭ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

শায়েরী বলেছেন: ++++
valo laglo

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৭

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৭| ০৬ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৫৩

বায়োবোট বলেছেন: অনেক দিন ধরে ভালো এডভেঞ্চার পড়ি না, টাইম পাই নাই।
আজকে আপনার লেখা পড়ে সেই তৃপ্তিটাই পেলাম, যেটা অসাধারন কোনো বানানো কাহিনী থেকে পাই।


এই কাহিনীটা নিয়ে একটা মুভি বানানোর ইচ্ছে হচ্ছে।


ভাল থাকবেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:০৩

মেকগাইভার বলেছেন: ধন্যবাদ

৪৮| ০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪১

বুবলা বলেছেন: আপনার ইমেল টা বা ফোন নাম্বারটা দেবেন? আমার ইমেল
[email protected]

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৮

মেকগাইভার বলেছেন: [email protected]

৪৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪

কেতাদুরস্ত বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ভালো থাকবেন।

৫০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪৩

বোরহান উদদীন বলেছেন:
অসাধারন জীবন যুদ্ধের কথা লিখেছেন। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

৫১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৮

ইন্জিনিয়ার জনি বলেছেন: পুরো লেখাটি পড়লাম, দুঃখ লাগল, হাসিও পেল।
সে যাই হোক, দোয়া করি ভালো থাকুন আর দেশের মুখ উজ্জল করুন নিজ কর্মের দ্বারা।

৫২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৫

উণ্মাদ তন্ময় বলেছেন: সত্যিই, জীবনটা অনেক ড্রামাটিক।


যেখানেই থাকেন, ভালো থাকবেন।


মা-ভাইয়ের সাথে কী যোগাযোগ আছে?

৫৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:২৬

কলমদানি বলেছেন: আপনার সাথে কী যোগাযোগ করা যাবে?

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

মেকগাইভার বলেছেন: [email protected]

৫৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪২

এলোমেলো রকস বলেছেন: এই গল্প দিয়ে মুভি বানানো যায়। অনবদ্য লেখা

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

মেকগাইভার বলেছেন: কেউ যদি এখটা বই লিখে দিতে সাহায্য করতো তো অনেক খুশি হতাম।

৫৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০১

খান মেহেদী ইমাম বলেছেন: ভাই অসাধারন। অসারধারন বলেও কম হয়। ভাই আমিঅ একজন এক্স এডিক্টেড কিন্তু এখন টাকাই আমার বড় নেশা। আত ভাই একটা প্রশ্ন রিটালিন কই পাবো যদি একটু বলতেন। আর আমিও আপনার মত প্রবাসী। কোনও এডিক্তেড এর জন্য আপনার এই গল্প অনেক শিক্ষণীয়। আমার ছিতা করতাছি এই গল্পটা মানুষ এর সচেতনতা তৈরিতে ব্যবহার করব।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১৫

মেকগাইভার বলেছেন: বনানি ১১। সোনার বাংলা ফার্মেসি

৫৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১২ রাত ১০:২২

সবুজকনা বলেছেন: ভাইজান please আপনার email Id দিবেন।আমার আপনার সাথে একটু যোগাযোগ করা দরকার।আমি লন্ডনে আছি।আমার email Id:
[email protected]

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ১:০৪

মেকগাইভার বলেছেন: [email protected]

৫৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

তািমম বলেছেন: চমৎকা.........আর কিছু বলার নাই..............।ভালো থাকবেন

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস।

৫৮| ২১ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১২

শাকালাকা বুম বলেছেন: অবাক হয়ে এক নিশ্বাসে পরে ফেললাম, অনেক কিছু জানতাম নাহ, আপনার এই লিখা পোরে জানলাম। ধন্যবাদ ভালো থাকুন সব সময়

২২ শে জুন, ২০১২ রাত ২:৫৪

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস.....

৫৯| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:১৬

শয়ন কুমার বলেছেন: অঅসাম !!!!!!!!!!!!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস ভাই।

৬০| ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:১৯

জেমস বন্ড বলেছেন: বাপরে কি কান্ড দোয়া করি ভাল থাকুন :)

৬১| ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৫

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: শুভ কামনা রইল
আপনার জীবনের প্রতি।

২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:১১

মেকগাইভার বলেছেন: প্রিয়তে নাওয়ার জন্য থ্যাংকস

৬২| ২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:১৯

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

ব্লগে নিক খুলার অনেক আগে এই লেখাটা পড়সিলাম ।


এখন +++ দিয়ে গেলাম :)

২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:২১

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস থ্যাংকস, হ্যাপি ব্লগিং

৬৩| ২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:২৩

স্তব্ধতা' বলেছেন: চারিদিকে পরাজয়ের খবর পড়ি, পরাজয়ের খবর শুনি। এতো পরাজয়ে মনটাই ছোট হয়ে যাচ্ছিলো, এতোটাই ছোট যে আপনার জয়ের কাহিনী পড়ার পর যে বিশাল অনুভূতি হচ্ছে তা ধারন করার ক্ষমতা আমার এই ছোট পাত্রের নেই। ভালো থাকবেন।অনেক।

৬৪| ২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:৫৭

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
আবারও পড়লাম এবং প্রিয়তে নিলাম !

৬৫| ২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৪৫

মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: ভাই মেইল টা একটু চেক করেন.............পারলে একচা রিপলাই দিয়েন........

২৯ শে জুন, ২০১২ ভোর ৪:২৮

মেকগাইভার বলেছেন: দিলাম।

৬৬| ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:৫৫

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কোনো কথা হবে না।

১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:৫২

মেকগাইভার বলেছেন: ?????????????

৬৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৭:১৮

সুদীপ্ত কর বলেছেন: আপনি যেদিন এই পোষ্টটা দিয়েছিলেন সেদিন অনেক বড় বলে পরে পড়ার জন্য পিসিতে সেইভ করে রেখেছিলাম। আজকে ডেস্কটপ থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলার সময় চোখে পড়লো।

পড়ার পর আপনাকে অনুসরণ করলাম আর পোষ্টটা প্রিয়তে নিলাম।

বাংলাদেশে নাকি সিনেমার জন্য ভালো গল্প পায় না। আপনার লাইফ স্টোরি নিয়ে মুভি বানাইলে ব্লকবাস্টার হিট হবে। আপনার সাথে আমার একটা বিশাল মিল আছে। দুজনেই দু:সাহসী। কিন্তু আমার আপনার মত দু:সাহসী বন্ধু নাই। :( সব লুথা।

আপনার সাথে দেখা করার প্রচন্ড ইচ্ছা হচ্ছে। আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।
স্যালুট টু ইউ এন্ড মেনি মেনি গুড উইশেস.... :)

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

মেকগাইভার বলেছেন: সুদীপ্ত কর বলেছেন :আপনার মত দু:সাহসী বন্ধু নাই। সব লুথা।

হা হা হা....... আমার দুইটাও এত সাহসি না। যা করা আমিই করছিলাম। বাকি গুলা ফলো করছে ।

সিনেমা বানাইলে নায়কের দরকার পরলে জানায়েন । সেটাও পারবো মনে হয়।

৬৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:০২

ঝটিকা বলেছেন: কি পড়লাম!!! গল্প বললেও ভুল হবে। যে বুদ্ধি আপনার....ম্যাকগাইভার নামটা যথার্থ, বরং তার থেকেও বেশি। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন।

৬৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৫৬

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে, সব মানুষের জীবনেই কিছু থাকে বলার মত! কারওটা বেশিই ইন্টারেস্টিং +++++++

৭০| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৩৬

অসীম বেস্ট বলেছেন: bah . . . .wht an adventure !!! go on bro . . .wish u all d bst.

৭১| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯

আরমিন বলেছেন: অনেকই কমেন্ট করেছে এই গল্প দিয়ে মুভি বানানো যায়, আমি যখন পড়ছিলাম, আমারও একই কথা মনে হয়েছে!

ছোটবেলায় গুয়ান্তোনামো কারাগার থেকে পালানো এক বন্দীর কাহিনী পড়েছিলাম , সেবা প্রকাশনীর বইতে! আপনার গল্পের এক্সাইটমেন্ট সেই গল্পকেও হার মানায়!

সবশেষে আপনাকে অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি , নেশার কালো জগৎ থেকে ফিরে আসবার জন্য!

আরেকটা ব্যাপার, আপনাদের ৩ জনের বন্ধুত্ব মন ছুঁয়ে গেলো। সব সময় এভাবেই থাকুন। আপনাদের নতুন জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা!

৭২| ১৪ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৫৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কি কাহিনী পড়লামরে ভাই, মন্ত্রমুগ্ধ ! সিনেমাকেও হার মানায়... :| :|

৭৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে একটা কথাই বলব, "আসলেই মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়"

৭৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৫

ইয়ার শরীফ বলেছেন: আজ বন্ধু দিবসে আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা, আপনি ও আপনার সেই কাছের প্রান প্রিয় বন্ধুরা ভালো থাকুন। সবসময় আনন্দে থাকুন

ভালো থাকবেন

ধন্যবাদ

আপনার এই পোস্ট আমাকে অনেক কিছু ভাবতে শিখিয়েছে

++++

৭৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: বন্ধুত্বের জয় হোক। আপনার এই গল্পে সংগ্রামের পাশাপাশি অসাধারণ বন্ধুত্ব আছে।

খুব ভালো লাগল লেখাটা।

অনেকেই বলেছে, আপনার লেখাটা দিয়ে মুভি বানানো সম্ভব । আমিও বিশ্বাস করি এই গল্পটা দিয়ে চমৎকার মুভি হতে পারে।

অনেক ধন্যবাদ লিংকটা দেয়ার জন্য।

৭৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩০

সবুজ পাওয়ার বলেছেন: অসাধারণ,,, আপনার Facebook এ রিকুয়েস্ট দিসি ভই Accept Please

৭৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪০

নাঈম আহমদ বলেছেন: পড়ে মনটা ভাল হয়ে গেল। Thanks for story

৭৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০৯

অচিন.... বলেছেন: এক নিঃস্বাসে পড়ে ফেললাম। অসাধারন! ভাই আপনি এখন কেমন আছেন তা নিয়ে একটা পোষ্ট দেন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

মেকগাইভার বলেছেন: এখন অনেক বিজি আছি,

তাই পোস্ট দেয়ার টাইম নাই।

হা হা হা।

৭৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বাংলাআশিক বলেছেন: সব মিলিয়ে ২ বছরে ২০ বার এর বেশী পড়লাম।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:৩৪

মেকগাইভার বলেছেন: ২ বছরের বেস্ট কমেন্ট।

৮০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

রাজকুট বলেছেন: ব্লগে আপনাকে একটু কম কম দেখি আজকাল, কারন কি? @ লেখক

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০

মেকগাইভার বলেছেন: এখন অনেক বিজি আছি,

৮১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

জুবায়ের বিন লিয়াকত বলেছেন: অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনাদের তিন বন্ধুর প্রতি।

পৃথিবীতে এসেছিলেন একা, ফিরবেনও একা!
তাই জীবনে চলার পথে সাথীহারা হলে, হতাশ হবেন না যেন!
পথকে সাথী করে নিন, গন্তব্যে পোঁছে যাবেন নিমিষেই!

আমরাও কিন্তু থাকব না সবসময় আপনার পাশে!
কিন্তু যতক্ষণ থাকব, সঙ্গ দেব, প্রেরণা যোগাবো!
তাই সাথে থাকুন, আশা করি খারাপ লাগবে না।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪২

মেকগাইভার বলেছেন: থেংকস থেংকস।

৮২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬

শাহিন বলেছেন: অসাধারণ । আরও অনেক কথাই বলার ছিল কিন্তু .......... শুভেচ্ছা ।

৮৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: দুর্দান্ত।

৮৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

হারানো মন বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধের মত পুরো টা পড়লাম।
এত কম বয়সে কারো জীবন যে এতটা দুর্দান্ত, রোমাঞ্চকর, ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, সেটা জানা ছিল না। সবচেয়ে ভাল লেগেছে আপনাদের বন্ধুত্ব, আপনাদের হার না মানার প্রত্যয়, লড়ে যাওয়ার মানসিকতা।

৮৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

খায়ালামু বলেছেন: ভাই আপনি জলিল ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেন।। সে আপনারে দিয়া একটা মুভি বানায়া ফালাইতে পারে :P :P

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

মেকগাইভার বলেছেন: জলিল ভাই টা কে? সেটাই তো জানিনা।


৮৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫২

নানাভাই বলেছেন: দুঃসপ্নের বিকেলটাই ছিলো আমাদের তিনজনের ড্রাগস নেয়ার শেষ দিন।

পরে বিদেশে এসেও কোন দিন ড্রাগ্স ছুয়ে দেখেনাই এই ডিজেল, বুলেট আর মেকগাইভার।

এক্স এডিক্টেড হিসেবে ড্রাগ্স এডিক্টেডদের কে বলবো আপনারা জীবন যুদ্ধে নেমে পরেন।
আসলে জীবন যুদ্ধ ড্রাগস থেকে অনেক বেশি এক্সাইটিং।


সহমত। বড় এক্সাইটিং লিখা লিকছেন।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

মেকগাইভার বলেছেন: থ্যাংকস।

৮৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত

৮৮| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১০

মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: কিভাবে যে সময় গুলো চলে গেল! বুঝতেই পারিনি। অত্যন্ত থ্রিলিং লেখা হয়েছে। ঈর্ষণীয়।

শেষ দুলাইন চরম লিখেছেন। সুপার প্লাস!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০

মেকগাইভার বলেছেন: কিভাবে যে এক বসাতে লিখসি সেটাই বুঝতেই পারিনি।

৮৯| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৮

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) মা গো.............

৯০| ২২ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:০৮

মিত্রাক্ষর বলেছেন: মোবাইল এ ছিলাম, এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম।
পিসি দিয়ে ঢুকলাম শুধুমাত্র কমেন্ট করার জন্য। প্রিয়তেও নিলাম।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মেকগাইভার বলেছেন: থেংকস থেংকস।

৯১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৮

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: কী বলবো বুঝতে পারছি না।

৯২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

কাব্যপ্রেমী রিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটির জন্য। ভালো লাগলো

৯৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০

গোলক ধাঁধা বলেছেন: আপনাদের ৩জনাকে দেখার ইচ্ছা আছে, দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।বুলেট কে শেষে নিয়ে এসে বন্দুত্বের চরম মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।এমন মানুষদের জীবনে সফলতা অবধারিত।নেশামুক্ত জীবনের জন্য শুবেচ্ছা রইল।

৯৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩

জল পািন বলেছেন: ভাই আপনার সাথে দেখা করা লাগে ।। আমিও জার্মানি তে আছি একটা আওয়াজ দিয়েন :-B

৯৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৩

লিখেছেন বলেছেন: ও বন্ধু আরেক বার আসিয়া যাও মোরে কান্দাইয়া

৯৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:২৫

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
ডিজেল আর বুলেট ভাইদের ছবি যদি শেয়ার করতেন!
মনে দেখার ইচ্ছা ছিলো!!

৯৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আপনার লেখাটা যতবার শেষ করি মনে হয় একটা টানটান উত্তেজনাপূর্ণ চমৎকার ধুন্ধুমার ম্যুভি দেখে উঠলাম।


শুভকামনা রইল।

৯৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: আপনাদের ৩জনাকে দেখার ইচ্ছা আছে, দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।বুলেট কে শেষে নিয়ে এসে বন্দুত্বের চরম মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন।এমন মানুষদের জীবনে সফলতা অবধারিত।নেশামুক্ত জীবনের জন্য শুবেচ্ছা রইল।

৯৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২৩

মুহাম্মাদ তাসনীম বলেছেন: ভাই আপনারা তো দূর্দান্ত! তবে সবগুলোই কিন্তু দুই নম্বর কাজে । হা হা হা. . . .! দেশ ছাড়লেন গর্হিত কর্মে ধরা পড়ে লজ্জার ভয়ে। কিন্তু ওপরওয়ালার কাছে যদি ধরা পড়েন তখন যাবেন কোনদিকে? তাই আগ থেকেই সব গুছিয়ে ফেলুন। ধন্যবাদ।

১০০| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:২৪

অরণ্যতা বলেছেন: বুলেট কে শেষে নিয়ে এসে বন্দুত্বের চরম মহত্বের পরিচয় দিয়েছেন

১০১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: দারুন লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.