গোধুলী বেলার রক্তিম আকাশ

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১

দুপুরের কটকটে রোদে যখন প্রকৃতিপূজারীরাও জানালার কপাট খানি লাগিয়ে রাখতে বাধ্য হোন,সেইসকল প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্যই যেন প্রকৃতি নিজ হাতে সেজে আসে এই গোধুলীবেলায় তাদের সম্মানার্থে। এই মোহযুক্ত আকাশ,বাতাস তাদের তখন ভাসিয়ে নিয়ে চলে কোন যেন স্বপ্নের রাজ্যে,যে স্বপ্নেরর সৃষ্টি ঘুমের মধ্যে হয়না,"কল্পনা" করতে হয়।কল্পনায় তারা দেখে এক অন্য জগত,সাজাতে পারে সবকিছু তাদের মত করে,কোন বাধ্যবাধকতা যেখানে থাকবেনা,ভয়ের কিছু থাকবেনা,কোন বিশৃঙ্খলা থাকবেনা,থাকবে শুধুই চিরসবুজ শ্যামল বিস্তীর্ণ এক স্বপ্নময়ী আকাশ,যার নিচে বসে থাকবে হাজারো পূজারিরা।তাদের কাছে জগত কখনোই এক হবেনা,সবাই দেখবে তাদের নিজস্ব পৃথিবী।একই আকাশকে তারা কল্পনা করবে নিজেদের ক্যানভাস রূপে,আর তাতে অতি নিঁখুত ভাবে আকিয়ে যাবে,রঙিন করবে তাদের সেই ক্যানভাসগিলি।তারা একভ আকাশ কেউ দেখবে প্রাণময়,কেউ দেখবে বিষাদময়,কেউ প্রলয়ঙ্করী,তো কেউ আবার শরতের স্নিগ্ধ রূপ,কেউ হেমন্তের আভা,শীতের শুভ্রতা,কিন্তু এত অমিল এর মধ্যেও একটি বিষয় সর্বদায় একই রেখায় চলবে আর তাহল তারা কল্পনাপ্রবন,তারা ফ্যান্টাসিতে বিশ্বাসকরে,তারা প্রকৃতিপূজারি।তাদের আকাশ যেমন ভিন্ন হবে তদ্রুপ ভিন্ন হবে তাদের চারিপাশ,তারা কেউ কল্পনা করবে তাদের শৈশবকে-শৈশবের আনন্দ, ছুটোছুটি,ঘুরে বেড়ানো,কেউ দেখবে কৈশরের এক ডানপিটে ছেলেকে,কেউ দেখবে তাদের প্রথম সৌন্দর্যময়তার শ্রেষ্ঠ রূপকে, তো কেউ আবার নিজের মৃত্যুকে।তারা শুধু দেখবেইনা কল্পনায় অংশগ্রহণ ও করবে এই কাল্পনিক মিলবন্ধনে।তারা খেলবে,তারা দৌড়াবে,তারা তাকিয়ে থাকবে একটি মুখের প্রতি ঘন্টার পর ঘন্টা,তারা ভালবেসে যাবে তারা যা দেখছে।তাদের এই অত্যাঃশ্চর্য ক্ষমতার বলীয়ানে তারা সৃষ্টি করবে এক স্বর্গপুরীর।তাদের জীবনের নানান জটিলতাকেও তারা হার মনাবে তাদের এই অমোঘ ক্ষমতার বলে।।তারা নিজেদের জগতে নিজেদের পরিচায়ক হবে,নিজেদের জগতকে সাজবয়ে তুলবে একদম তাদের মত করেই,যার একটির সাথে অন্যটির কোন বিরোধ সৃষ্টি হবেনা।।।আর "আমি" তো বঙ্কিমের মত দিব্যদৃষ্টি পেয়ে পড়ন্ত বিকেলের,গোধুলি বেলার আকাশকে করে তুলব এক বায়োস্কোপের ময়দান,যেখানে দেখা যাবে............যা থাকবে মানুষের কল্পনায় এবং তার ও অতীত।।।

০ টি +০/-০