নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই বিষয়ে কথা বলা নিষেধ, তা নয়। তা যে নয়, ঠিক তা ও নয়!

ট্রিপল আর

যন্ত্রেরও ভাষা আছে!

ট্রিপল আর › বিস্তারিত পোস্টঃ

♥♥♥ আমি কিউটের ডিব্বার অসহায় শিক্ষক ♥♥♥

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৬

তখন আমি মাত্র কলেজে পড়ি। কলেজ থেকে এসে এক কিউটের ডিব্বাকে পড়াতে যেতাম।
ও খুব মজার ছিলো।ওর অযুহাতের শেষ নেই।
একদিনের ঘটনা টা শেয়ার করছি...(কিডি=কিউটের ডিব্বা)
♥♥♥ আমি কিউটের ডিব্বার অসহায় শিক্ষক ♥♥♥
=================================
আমি বাসায় গেলাম। ওয়েটিং রুমে বসে আছি, এবার উনি একটা উকি দিলো..
কিডিঃ আমি নাস্তা করছি, বসো আমি এক্ষুনি আসছি।
আমিঃ হুম...
কিডিঃ খালি হুম করো কেন? বলো, হ্যাঁ
আমিঃ হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি চলে আসো
কিডিঃ পারবো না, তুমি জানো না আমি তাড়াতাড়ি খেতে পারি না
আমিঃ হুম, ঠিক আছে খাবার শেষ করে আসো
এরি মধ্যে উনি খাবার রেখেই হুট করে চলে আসলো
এসেই পিছন থেকে আমার চোখ চেপে ধরে বললোঃ
বলো তো আমি কে?
আমিঃ তুমি তাল্লাত
কিডিঃ হিহিহি, না না হবে না তুমি দেখেছো
আমিঃ না দেখিনিতো, এখন পড়তে বসো
কিডিঃ আমি কত ভেরি গুড দেখছো, কত তাড়াতাড়ি খেয়ে শেষ করে ফেলছি, আমি ভেরি গুড না?
আমিঃ হুম তুমি ভেরি গুড, এইচ ডব্লিউ করেছো?
এবার উনি পুরো স্কুল ব্যাগ টেবিলের উপর ঢেলে দিলো, তারপর বললোঃ
খাতা পাই না তো, খাতা নিয়ে আসি
(খাতা আনতে গেলে পরে উনাকেই গিয়ে আমাকে খুঁজে আনতে হবে)
আমিঃ না থাক, লাগবে না, এখন লিখে দেখাও
কিডিঃ আমার না হাতে ব্যাথা, আমাকে হাত ধরে লিখে দাও
আমিঃ ঠিক আছে, আমার কাছে আসো
কিডিঃ দাঁড়াও আমি হিসু দিয়ে আসি
আমিঃ আচ্ছা যাও...
কিডিঃ এমন করে তাকাও কেনো! পড়তে বসলেই তো খালি আমার হিসু আসে
ওপাশ থেকে কিউটের ডিব্বার আম্মুঃ
আজ টিচার যাবার পর তোমার বিচার হবে।
তুমি খুব পাজি হয়ে গেছো। পড়তে বসলেই ডেলি ডেলি তোমার হিসু পায় না, ঢং করো...
ওমনি ওর কান্না শুরু, আমার কাছে এসে বললোঃ আমি কী মিথ্যুক?
আমিঃ না কে বলছে তুমি মিথ্যুক!
কিডিঃ ওই যে আম্মুনি বলে, আমি এখন আর পড়বো না...
আমিঃ তাহলে আমি চলে যাই, তুমি তো পড়বাই না
কিডিঃ না, তুমি চলে গেলে আম্মুনি আমাকে মারবে
আমিঃ তাহলে কী করবো?
কিডিঃ গল্প শোনাও
আমিঃ না পড়ো
কিডিঃ কিভাবে পড়বো? আমার তো এখন ঘুম পাচ্ছে, আমি ঘুমাবো
ওর আম্মুঃ তাল্লাত কী হইছে, তোমার পড়ার আওয়াজ শোনা যায় না কেন?
কিডি এবার কান্না করে বললোঃ
তুমি ডেলি ডেলি আসো কেনো, আমি তোমার কাছে পড়বো না... :'( :'( :'(

এভাবে যে কত দিন কত ঘন্টা সময় ও নষ্ট করেছে এখনো মনে পড়ে। খুব দুষ্টু ছিলো। কিন্তু চেহারাটা এতো মায়াবী ছিলো যে, কখনো বকা দেওয়া যেতো না। চোখ একটু বড় করলেই ও আন্দোলন শুরু করতো এবং ওর আন্দোলনগুলো খুব মজার ছিলো। আমার আগে না কী কত টিচারকে চুল টেনে, উর্না টেনে, স্কেল দিয়ে পিটিয়েই বিদায় করেছে। শুধু আমার কাছেই কয়েক মাস পড়েছিলো। সত্যিই কিউটের ডিব্বা ছিলো... অনেক শুভ কামনা তাল্লাতের জন্য :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.