![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামে প্রেমের যত নাম, আর যত কাহিনী...
=====================================
সালঃ ১৯৯৭
প্রেম ট্রেম তখন খুব একটা বুঝি না। স্কুলে পড়ি তখন। পিটি করে ক্লাসে ঢুকা মাত্র একজন আমাকে কিছু বলতে চাইছে। আর একজন ওর মুখ চেপে ধরছে। যে মুখ চেপে ধরছে তাকে একটা ঝাড়ি দিলাম। দেন যা বললোঃ
ও বলছে নৃত্য না কী তোমার লাভার।
পুরো ক্লাসে হাসির রুল। আমি এতটুকু বুঝেছিলাম বিষয়টা খারাপ কিছু।
বেছ আর কোন কথা চিন্তা না করে দিলাম ঠাস করে একটা চড়...
তারপর বিচার আচার নিয়ে বাসায়....
সালঃ ২০০১
প্যাকটিক্যাল পরিক্ষার খাতায় নিজের মতো করে লিখছি বর্ণনা। কারন আমি একাই খাতা রেডি করে দিয়েছিলাম ১৪ জনের। পরিক্ষার দিন আমার সাথে পড়েছিলো একজন। যিনি অসম্ভব সুন্দরী। দেমাগও বেশি। বাট এক কিডির আন্টি। উনি আমাকে কিছু দেখাতে বললো। আমি একটু দেখালাম। তারপর অন্য কারো কাছ থেকে আর একটু দেখে লিখলো। আবার আমাকে দেখাতে বললো। কিন্তু তখন যেটা লিখছিলাম, সেটা মাত্র সে অন্য কারো কাছ থেকে দেখে লিখছে। এবার তাকে দেখাতে গেলে খাতার পেইজ উল্টে দেখানো লাগবে। দেখাতে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু এক টিচার এসে আমাকে অন্য বেঞ্চে সরিয়ে নিলো। সেই রমনী সেদিন পরিক্ষার হলে সবার সামনে বললোঃ
কী সব বানাইয়া লেখে, আবার আমারে দেখায় না। কিছু তো পারেই না।
পর দিন পরিক্ষার আগে সবাই আমারে নিয়া হাসি তামাশা শুরু করলো। তোমার ডারলিং রে না দেখাইয়া তো মহা অন্যায় করছো। গিয়া মাপ চাইয়া আসো।
বেছ মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। সারা হল খুঁজে বের করলাম সেই রমনীকে। দেন এক হাজার মাইল বেগে কথা শুনাইলাম। হলের ভেতর ই কান্না শুরু করছিলো সেই রমনী। তারপর একদিন বাসায় বিচার আচার...
সাল ২০০২
ঢাকায় এসেই কোন কারন ছাড়াই ফারহানা নামটা খুব পছন্দ হইলো। আপন মনে একদিন সব বইয়ের পেছনে লিখলাম ফারহানা। পরদিন বড় ভাইয়ের চোখ পড়লো।
বেছ সেদিনই বিচার আচার...
সাল ২০০৪
যাকে কোন দিন কল্পনাই করি নি তাকে নিয়ে ...। ঈদের বাড়ি যাবার সময় মাত্র এক বার আমার দুলাভাইয়ের মোবাইল নাম্বার দিয়েছিলাম তাকে যেনো স্কুলের দরকারে উনার বাবা ফোন দিতে পারে। তাতেই কাজ.. উনার বাবা না, উনিই দিনে চার পাঁচ বার ফোন দিয়ে শুধু জানতে চাইতো স্যার আছে না কী?
বাসার সবাই ভাবলো ছাত্রীর সাথে ইটিস পিটিস। কিন্তু তারে জীবনেও আমি এক অক্ষর পড়াই নাই।
বেছ ঈদের দ্বিতীয় দিনেই আমার নামে পুরো ফ্যামেলি মিটিং...
সাল ২০০৫
নতুন ডিজিউজ সিম। ধানমন্ডির এক মেয়ে পড়াশোনার বিষয়ে মাঝে মাঝে ফোন দিতো। আর বেশি ফোন দিতো মন খারাপ থাকলে। ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করতো বেকুবের মতো। শান্তনা দিতাম। শর্ত ছিলো কোন দিন দেখা করবো না। একদিন আমার মোবাইল থেকে আমার এক ফ্রেন্ড মেয়েটির নাম জানার অনেক চেষ্টা করলো। ফোন দিয়ে শুধু হ্যালো হ্যালো করলো। আমি যখন ফোন কানে নিলাম। ও পাশ থেকে শোনা গেলো
আমি সিলভীর বড় কোন, সিলভী সিলভী... এটা কে... প্রেম করো...
বেছ বিচার আচার দেন মোবাইল সিজ ৩ মাসের জন্য...
সাল ২০০৭
কোন এক স্কুলে গেলাম চাকুরীর জন্য। হেড ম্যাম নাই। যিনি ছিলেন উনি শুধু আমার নাম জানতেন। কিন্তু কোন দিন না কী দেখেন নাই। তো সেই রমনী আমাকে পরদিন আসতে বললো সকালে। হেড ম্যামের সাথে দেখা কারানোর কথা বলে। পরদিন সকালে গিয়ে দেখি কেউ নাই শুধু সেই রমনী। হেড ম্যাম আসে দুপুরে। আর উনি আমাকে আসতে বলতো সকালে। এভাবে তিন দিন পার হবার পর সত্য জানতে পারলাম। জানার পর তেমন কিছু বলি নি। কিন্তু যেদিন কিছু বলতে গেলাম। সেদিন উনার আম্মাজান ফোন দিয়ে
বাবা আমার মেয়ের সাথে তুমি কোন রকম যোগাযোগ কইরো না। ওর বিয়ে ঠিক করা আছে। আমি তোমার হাতে পরি পায়ে পরি..
দেন বিচার আচার মেয়ের নামে....
সাল ২০০৯
মেয়ে শুধু আমাকে ফোন দিয়ে কেমন আছি, কী করি খবর নিয়েই লাইন কেটে দেয়। আমাকে ফোন দিতে দেয় না। কোন দিন দেখেও নাই। শুধু মোবাইলে কথা হয়। আচমকা একদিন আমার মোবাইল নষ্ট হইলো। টানা এক সপ্তাহ মোবাইল নাম্বার অফ ছিলো। যেদিন ফোন দিলাম সেদিন বলতেছে
এক্ষুনি না কী আত্নহত্যা করতে যাইতেছিলো। পরে সব হ্যাঁ আর জ্বী বলে বাসায় ফেরালাম। দেন ওর আম্মু কাছে সব খুলে বললাম
বেছ নামে বিচার আচার, ওর মোবাইল টুবাইল সব সিজ...
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
ট্রিপল আর বলেছেন:
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার তো বাজার ভালো! সবই কপাল! ১৬ সালের কাহিনী কী?
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
ট্রিপল আর বলেছেন: ২০০৯ সালে আছি তো ২০১৬ আসুক
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ২:১৪
শেয়াল বলেছেন: না হাইসা ফারলাম্না