![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♣♣♣ ছ্যাকা খাইছেন, সব মেয়ে এক না ... ♣♣♣
*********************************************************
সালটা ২০১০। আমার ছোট বোন ইডেন কলেজে পড়ে। ও একটা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকুরি করে সাথে পড়াশুনাটাও চালিয়ে যায়। তাই অধিকাংশ সময় ও ঢাকার বাইরে থাকে। পরিক্ষার সময় এসে পরিক্ষা দেয়। আর পরিক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ বই টই সাজেশন আমাকেই কালেক্ট করে দিতে হতো। কাজটা অনেক ডিফিকাল্ট ছিল। একে তো মহিলা কলেজ তারপর ইডেন কলেজ! নাম শুনলেই অনেকের চোখ বড় বড় হয়ে যায়, সেখানে আমাকে প্রায়ই অনেক কিছু করতে হতো বড় ভাই হিসেবে... তারচেয়ে বড় কথা মেয়েদের দেখলেই আমি নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রাখতাম। তাছাড়া মেয়েদের সামনে আমার মুখ দিয়ে কথা বের হতে চায় না। কথায় বলেনা "যেখানেতে বাঘের ভয় সেখানেতেই রাত হয়"। আমারও সেদিন ওই অবস্থা হলো। ছোট বোনের ফরম ফিলাপের লাস্ট ডেইট। কপালের ফের সেদিন ছিল মার্স্টারস এর ভর্তিরও লাস্ট ডেইট। চারদিকে শুধু পেত্নী আর পেত্নী(মেয়েদের ফান করে আমি পেত্নী ডাকি)। তাও আবার ইডেন কলেজের পেত্নী। আমি শেষ। কিন্তু ছোট বোনের ফরম তো ফিলাপ করতে হবে। অনেক ভাবার পর মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো। সাথে সাথে... একটা সুন্দর কিউট পেত্নীকে টার্গেট করলাম।
পাশে গিয়েঃ আপা, আমারে একটু হেল্প করবেন। মেয়েটিঃ কী হেল্প ভাই?
-আমার ছোটো বইনেতো আফনের কলেজে পড়ে, হের ফরম ফিলাপের আজকে না কি লাস্ট ডেইট। ফরমটা ফিলাপ করতে পারতাছিনা।ফরমটা ফিলাাপ কইরা দেয়ন যাইবো? দেন
মেয়েটিঃ ঠিক আছে, আমি বলে দিচ্ছি, আপনি ফিলাপ করেন। দু'একটা শব্দ বলার পর... বিরক্ত হয়ে। উফ! আপনি কি লিখতেও জানেন না! দেন আমি ফিলাপ করে দিচ্ছি। ফিলাপ করলো।আমাকে বললোঃ এখানেই থাকেন। আর একটু কাজ বাকি আছে আমি ভেতর থেকে করে নিয়ে আসছি। তারপর বাইরে এসে আমাকে বললোঃ আসেন ওই পাশে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। আমাকে সাথে করে রাস্তা পার হলো। দেন স্কুলের সাথের ওই ব্যাংকটাতে গিয়ে তো মাথাই খারাপ! এতো বড় লাইন।তাও আবার লাইনে সব পেত্নী। আমি ওই কিউট পেত্নীকে বললামঃ আপা, আমি একটু সাইডে গিয়া দাড়াই। এখানে.... পেত্নীটি বললোঃ বুঝতে পেরেছি, ঠিক আছে আপনি ওখানটাতে থাকেন। লাইন কাছে আসলে আমি আপনাকে ডেকে দিবো। আমি পাশে গিয়ে চুপচাপ দারোয়ানে হাতে চকচকা ১০০টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে, ফরম জমা দিয়ে পাশের পুকুরের যে বসার সিটটা ছিল, সেই সিটের উপর আমার ফ্রেন্ডের কাছে এতোকক্ষন রাখা আমার তিনটা ফাইল রেখে ফোনে কথা বলছি। অফিসিয়াল কথা এবং খুব ফর্মাল কথা বার্তা এবং কিছু ছিলো বিভিন্ন ইস্যুর সলিউশন সংক্রান্ত। ঠিক ওই মুহুর্তে সেই কোত্থেকে উড়ে গিয়ে ওই পেত্নী আমার পাশে গিয়ে দাড়ালো। আর চোখ দু'ইটা বড় বড় করে আমার ফাইল আর আমার দিকে তাকাচ্ছে। তখনের যে অবস্থা!!!...আমার কথা শর্টে শেষ করলাম। পেত্নীটি ততক্ষনাৎ বললোঃ এ রকম করা আপনার মোটেও ঠিক হয় নি! আমি পেত্নীটিকে বললামঃ তখন ওরকম না করলে আপনি কি আমার কাজটা আদৌ করে দিতেন!তখন মেয়েটি বললোঃ ছ্যাকা খাইছেন!সব মেয়ে এক না....
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
ট্রিপল আর বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:২৮
বাস্পিভূত বাস্প বলেছেন: হাহাহা...।। :p ছ্যাকা পুষ্টিকর মেয়েটার জন্য
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
ট্রিপল আর বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হা হা হা কথা সত্য সব মেয়ে এক না তবে বেশীর ভাগ মেয়ে বা ছেলেই বদ
