![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সময়ের কীট
======================
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির নিত্য নতুন কিছু ফালতু ব্যবহার দেখে আমি রীতিমত হতাশ হই। এরা প্রযুক্তি ব্যবহার যতটুকুই শিখে তা কিভাবে ভালো কাজে লাগানো যাবে তা শেখার আগেই কু-কর্ম বা অপকর্মে ব্যবহারে পারর্শী হয়ে ওঠে।
কারনটা সম্ভবত সহজ লভ্যতা। আপনার আমার ডানে বায়ে অপব্যবহার গুলোই বেশি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। পরিবেশটা এমন থাকে যেনো সেই কু-কর্ম বা অপকর্মগুলোই হচ্ছে খুব সাধারণ এবং গতানুগতিক। নিত্য নতুন কিছু কু-রুচি পূর্ণ শব্দ বা প্রকৃত অর্থে মূল্যহীন বা অর্থহীন শব্দ ব্যবহার ওরা আত্বস্ত করে নিজেকে হেভি স্মার্ট বা যুগোপযোগী হিসেবে ধরে নেয়। এবং সেই স্মার্টনেস নিয়েই শুরু হয় তাদের সবত্র বিচরণ। তা কারনে হোক বা অকারনে। যৌক্তিক হোক বা অযৌক্তিক। এরা কী করছে? কেনো করছে? তার উত্তর ওরা নিজেরাই দিতে পারে না। যা করছে, তা না কোন স্মার্টনেস? না কোন বিনোদন? না কোন নতুন ধারা চিন্তার বহিপ্রকাশ? যা করছে তার সবই এক প্রকার বিকৃত আচরণ কথা বার্তা আর রুচিহীন চিন্তা ভাবনার বহিপ্রকাশ।
শুধু তাই নয়, বাবা মার টাকা পয়সা নষ্ট করে যে সব নামি দামি স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে সেই শিক্ষা কেও ছোট করছে। ছোট করছে নিজের এবং নিজের বাবা মার পরিচয় এবং সম্মান। এদের সেই বিকৃত আচরণ চিন্তা ভাবনা আর প্রযুক্তি ব্যবহারে ওরা যা করছে তা থেকে বর্তমান সময়ে কেউ ই ছাড় পাচ্ছে না। তা তার সমবয়সী বড় বা ছোট সবাই। তাদের সেই বিকৃত চর্চার শিকার হচ্ছে। আবার কখনো কখনো সেই বিকৃত আচরণ ই ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের চারপাশে। এদের কথা বার্তা আচরণ মূল্যবোধ দিন দিন তলানিতে যাচ্ছে। এরা চোখ থাকতেও অন্ধ। কান থাকতেও এরা বয়রা। হাত পা থাকতেও এরা পঙ্গু বা লোলা। এরা বর্তমান সময়ে যত ধরনের নোরাং বিষয়বস্তু আর নামে বিনোদন ছড়িয়ে আছে তাতে এদের সময় কাটে। এরা যেখানে যায় এবং যতটুকু সময় যাদের সাথে ব্যয় করে তার অধিকাংশ ই সময় অপচয় করে একি ইস্যু নিয়ে।
এরা গরুর রচনা শেখার পর, রচনার লেখার কথা বললেই শুধু গরুর রচনা লিখতে বসে। রচনা মানে ই গরু বা গরুর রচনা। এর বাইরে রচনা বিষয় নিয়ে এদের মাথায় কিছু কাজ করে না। আপনি আমি এদের কে কুকুর, বিডাল, ভেড়া মহিষ যা নিয়েই রচনা লিখতে বলি না কেনো, এরা ঘুরে ফিরে আপনাকে আমাকে গরুর রচনা লিখে দেখাবে। এবং সেটা কিভাবে গরুর রচনা হলো সেটা অনেক হাস্যকর যুক্তি দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করবে। যদিও সেই হাস্যকর যুক্তিগুলো ওদের কাছে পিথাগোরাসের উপপাদ্যের মতো।
এরা আজকে যেগুলো কে বিনোদন আর স্মার্টনেস হিসেবে মাথায় ধারন করছে। সাধারণ মানুষ আর সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ভালো ভালো উদ্যোগ কে নিয়ে উপহাশ করেছে। একটা সময় সেই সাধারণ মানুষগুলোর খুঁজেই রাস্তায় রাস্তায় কুকুরের মতো ঘুরে বেড়ায় নিজের জীবন আর জীবিকার জন্য । এদের নিয়ে পুরো বিশ্ব তখন হাসি তামাশায় মাতে। তখন অবশ্য এরা কাপুরুষের মত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে ওপারে গিয়ে বাঁচার মিথ্যে চেষ্টা করে। যদিও সেই কাপুরুষের মতো কাজটিকে তারা নিজেদের বীরত্ব ভেবেই করে। পরিবার আত্মীয় স্বজন এবং সমাজ সবার কাছে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে চিরতরে কলঙ্কিত করে চলে যায় ওপারে।
এরা পরিবার সমাজ জাতি এবং দেশের কীট। এরা আমাদের সুস্থ্য সুন্দর থাকার পরিবেশ, বোধ চর্চার জায়গা, মূল্যবোধ, সংস্কৃতি চর্চা এবং সর্বোপরি পুরো দেশেকে কোলষিত করছে। এরা আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ছন্মনামে মুখোশ পড়ে থাকে। এরা ভালো মানুষদের বিচরণের জায়গাগুলোতে চোরের মতো লুকিয়ে থাকে। আর ওদের সৃষ্ট নষ্ট পরিবেশে অন্যকে ছোট করে, খাটো করে বা হাসি তামাশার বস্তু বানিয়ে নিজেকে মহা কিছু হিসেবে উপস্থাপন করে। আর তার মতো আরো কিছু কুলাঙ্গার বাহ্ বাহ্ বলে এলিয়ে বেলিয়ে দাত কিলিয়ে বিলিয়ে... লাইক আর কমেন্টে মশগুল থাকে।
সাবধান এ রকম যে কোন ব্যক্তি গোষ্ঠী বা গ্রুপ থেকে নিজেদের বিরত রাখুন। নিজে ভালো থাকুন অন্যজনকে ভালো থাকতে দিন। যদি সময় করতে পারেন...
নিজে বই পড়ুন। অন্যকে বই পড়াতে উৎসাহিত করুন।
নিজে গল্প কবিতা লিখুন। অন্যকে গল্প কবিতা লিখতে উৎসাহিত করুন।
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪
ট্রিপল আর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
এম্বিগ্রামিষ্ট জুলিয়ান বলেছেন: লেখা ভাল লেগেছে।
একটা টিপস দিই, যদি কিছু মনে না করেন।
লেখার সময় প্যারার দিকে খেয়াল রাখবেন। একটা প্যারা বেশি বড় করলে লেখার সৌন্দর্য্য ক্ষুন্ন হয়। বড় প্যারাকে ভেঙ্গে দুইটা বা তিনটা করবেন। এতে পাঠকদের পড়তে সুবিধা হবে, লেখার গুনগত মানও উন্নত হবে।
ধন্যবাদ
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
ট্রিপল আর বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। টিপসটাও ভালো লাগলো। আবারও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩২
মুহাম্মদ মুস্তফা মুশাররফ বলেছেন: সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।