![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জন্ম ০৬ মে, ১৯৫৬ খৃস্টাব্দ (আমার এস এস সি সনদ, জাতিয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনপত্রে জন্ম তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ খৃস্টাব্দ - যাকে আমি রাষ্ট্রিয় জন্ম দিন বলি)- বরিশাল উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ খৃস্টাব্দে এস এস সি (বিজ্ঞান) - ১৯৭৫ খৃস্টাব্দে ব্রজমোহন কলেজ , বরিশাল থেকে এইচ এস সি (বিজ্ঞান) - মাস্টারদা সূর্য সেন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাঙলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাশ করি - আমি জানুয়ারি, ১৯৭২ খৃস্টাব্দ থেকে জানুয়ারি, ১৯৮৫ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সি পি বি) সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় ছিলাম - আমি বরিশাল শহরে অনামি লেন, সদর রোডে বড়ো হলেও - আমার নিজের বা বাবার কোনো বাড়ি নেই - আমার দাদার বাড়ি (দাদার বা তার বাবারও কোনো বাড়ি নেই - ওটিও দাদার দাদার বা তারও আগের কোনো পূর্ব পুরুষের) পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার ০১ নং বলদিয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়িতে - আমি ১৯৬৫ খৃস্টাব্দে প্রথম আুষ্ঠানিক ভাবে স্কুলে যেতে শুরু করি - তৃতীয় শ্রেনিতে - স্কুল থেকে পাক ভারত যুদ্ধ বিরোধি এবং ফাতেমা জিন্নার হেরিকেনের পক্ষে মিছিল করে বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে হাটু পর্যন্ত ধূলা বালিতে একাকার হয়ে বাসায় ফিরি - সাদা জুতা মোজা প্যান্ট নষ্ট করে - তারপর ১৯৬৯ পাকিস্থান দেশকৃষ্টি বিরোধি আন্দোলন ও ১১ দফা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনে বরিশালের ততকালিন ছাত্র নেতা শহীদ আলমগির, আ স ম ফিরোজ, মনসুরুল আলম মন্টু, নওশের জাহান, আনোয়ার হোসেন, আনেয়ার জাহিদ, আব্দুল হালিম, কাশি নাথ দত্ত সহ আরো অনেকের সান্নিধ্যে যাবার সৌভাগ্য হয় - ১৯৭০ এর ভয়াল জলোচ্ছাসে উদয়ন স্কুলের বন্ধুদের নিয়ে আমি \"কাকলি ছাত্র সংঘ\" গড়ে তুলি - আমরা জুতা পালিশ করে, খবরের কাগজ বিক্রি করে, পেয়ারা বিক্রি করে, অর্থ সংগ্রহ করি ও বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে পুরনো জামা কাপড় সংগ্রহ করে ভোলার দুর্গত এলাকায় পাঠাই - ১৯৭১ এর পয়লা মার্চ থেকে মিছিল মিটিং ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণে অংশ নিলে মামা ও নানার সাথে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিলে, স্বরূপকাঠী কলেজ মাঠে জাহাঙ্গির বাহাদুর ও আবু বকর ছিদ্দিকের নেতৃত্বের মুক্তি বাহিনির সাথে সক্রিয় ছিলাম এবং সেপ্টেম্বর/অক্টোবরে মহসিন ভাইর মুজিব বাহিনি এলে কাটাপিটানিয়া ক্যাম্পে ০৮-১২-১৯৭১ (বরিশাল মুক্ত দিবস) পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম - যেহেতু আমি নিজে কোনো পাকিস্থানি মিলিটারি মারিনি - অতএব মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়া সমিচিন মনে করিনি - আজো করি না - যে সব অমুক্তিযোদ্ধা মিথ্যে সনদ নিয়ো রাষ্ট্রিয় সুবিধা নিচ্ছে - তাদের কারণে অসহায় অসচ্ছল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা আজ মানবেতর জিবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে - সনদ পাবে - চাকুরি পাবে - ভাতা পারে - ছেলে মেয়ে নাতি পুতি সুবিধা পাবে - এমন আশা করে কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাও মুক্তিযুদ্ধে যায় নি - প্রত্যেকে জিবন বাজি রেখে দেশকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধে গেছে - সুবিধাবাদি অমুক্তিযোদ্ধারাই ভূয়া সনদ নিয়ে প্রকৃত হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত করছে - হাজার হাজার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয় নি - তারপরেও লাখ লাখ সনদধারি মুক্তিযোদ্ধা কোথা থেকে এলো ? আমি মনে করি, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই স্বাধিনতা বিরোধিরা (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুরা) সুকৌশলে সনদ নিয়ে, আজ এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে - আসলে সরকারের নিতি নির্ধারণেও কিছু ত্রুটি ছিলো - উচিত ছিলো -“মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” এই সনদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে দেয়া - কিন্তু ভাতা - চাকুরির বয়স বৃদ্ধির সুবিধা - পোষ্যদের চাকুরি প্রদানের সুবিধা - মাসিক ভাতা - এগুলো কেবলমাত্র হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদেরই দেয়া সংগত ছিলো - এখানেও আমলাদের বা নিতি নির্ধারণে স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) বিশাল ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনে করি - দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি - না হলে খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও বিতর্কের কারণ কি হোতে পারে ? খেতাব প্রদানের সময় থেকেই স্বাধিনতা বিরোধিদের (স্বাধিনতার পরাজিত শত্রুদের) সক্রিয়তা বুঝতে পারেনি - মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সমর্থকরা ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা - কারণ যারা ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্থান সরকারের আজ্ঞাবাহক ছিলো সেই সব আমলারাই ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ সরকারের নিতি নির্ধারক হলেন ? স্বাধিনতার শত সহস্র লক্ষ কোটি ‘সুফল’ আছে - কিন্তু একটি মাত্র ‘কুফল’ - যা আজো জাতিকে পিছু টানছে - প্রতিনিয়ত - তা হোলো “উচ্চাসনে (নিতি নির্ধারণে) অযোগ্যরা (রাজনিতিক ও আমলা) ।। ।। আমি নিজ সামর্থানুসারে চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হত দরিদ্র শিক্ষার্থিদের আর্থি ক সহায়তা করে থাকি । দু’টি এতিমখানাতে ও চার - ছয়টি মসজিদে মৃত মা বাবা ও অকাল প্রায়াত ভাতিজির (স্বপ্নীল) নামে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের ব্যবস্থা করি। সকলের দোয় প্রার্থি ।
‘জামাত ই ইসলামী বাংলাদেশ’ এবং ‘ইসলামি ছাত্র শিবিরের’ সক্রিয় নেতা কর্মিরা প্রকৃত পক্ষে ইসলাম (নামায, যাকাত, রোজা, হজ্জ) চায় না - ওরা চায় দেশে বিশৃংখলা - সমাজে বিশৃংখলা - সংসারে বিশৃংখলা - সৃষ্টি করতে -
গতকাল (০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : শুক্রবার) এক ‘জামাত ই ইসলামী বাংলাদেশ’ কট্টর সমর্থক এবং ছেলেরা ‘ইসলামি ছাত্র শিবিরের’ সক্রিয় নেতা কর্মি এমন এক প্রতিবেশি পরিবারের এক শিশুর জন্ম দিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা - না লিখে লোভ সামলাতে পারছিনা - বন্ধুদের (facebook friend) মতামতের লোভ ।
আমি গৃহে প্রবেশ করতেই দাড়িওয়ালা অল্প বয়সি জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের ( গৃহ কর্তার নাতিদের) উদ্দেশ্যে একাধিকবার বললাম, ‘নাতি দোয়া পড়াও’ - ‘নাতি দোয়া করো’ - গৃহকর্তা পাশেই বসা - কেউ কোনো রা শব্দ করলেন না - আমি অরণ্যে রোদন করতেই থাকলাম ।
আমি এও বললাম আমার একমাত্র নাতির প্রথম জন্ম দিনে গেল বছর (০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ খৃঃ) আমি দিনাজপুরে ছিলাম ঘরে ওরা কি করেছে না করেছে আমি জানি না । তবে আমি দুটো এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার নিশ্চিত করেছিলাম - (দুটোতেই কোরআন খতম করানো হয়েছিলো) - অর্থাত গরুর মাংসের মূল্য পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ও এলাকার পাচটি মসজিদে জুমা বাদ দোয়া পড়িয়ে জিলিপি (তাবারক) খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম ।
এবারও (০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ খৃঃ বিস্যুদবার জন্ম দিন - পরের দিন শুক্রবার) বারোটি মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় জুমা বাদ দোয়া পড়িয়ে জিলিপি (তাবারক) খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছি ।
এ কথাগুলোও অনবরত বলেই চলেছি - যতোক্ষণ ছিলাম- তাদের কোনো ইসলামি (কোরআন হাদিসের আলোকে) প্রতিক্রিয়া ছিলো না ।
এই লেখার লোভ জাগার কারণ ঘটলো কেক দেখে গৃহকর্তা কিছু মনে করলেন না - কিন্তু মোম দেখে আপত্তি করলেন - বললেন এটা হিন্দুয়ানি - আমি বললাম, কেক কাটা খৃস্টিয় কালচার এবং খাজা মঈনুদ্দিন চিসতি (রহঃ), ৩৬০ অলির নেতা হযরত শাহ জালাল (রহঃ), হযরত শাহ পরান (রহঃ) সহ দেশের সকল পির, দরবেশ, অলিদের মাজারে মোম দেয়া হয়- দেশের কোনো আলেম, ওলামা, পির, মাশায়েক, মওলানা, মৌলভি, ইমাম, মোয়াজ্জিন, এর বিরুদ্ধে কেউ কোনো ওয়াজ নসিহত করে না - সকলেই কেবল আছে ওরশ আর কামাই বানিজ্যের দলে - সদকায়ে জারিয়া বলতে যা বোঝায় “ তাতেও দেশে হিন্দুরাই অগ্রগামি” - স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব তাদেরই গড়া - মুসলমানরাতো কম দিন ভারতবর্ষ শাসন করেনি ? সে তুলনায় তাদের কির্তি কোথায় ? সব মুসলমানতো ভিখেরি ছিলো না ? কেন তারা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা মক্তব মসজিদ করলেন না বা করতেন না ?
আমার জানা মতে, ঐ পরিবারের সদস্যরা সকলে নিয়মিত পাচ ওয়াক্ত মসজিদে নামাজের যামাতে যায় না । এমন কি জুমার নামাযেও নিয়মিত নয় সকলে ।
সহি হাদিস হচ্ছে, “মুসলমান ও অমুসলমানের পার্থক্য হোচ্ছে - মুসলমান মসজিদে যায় আর অমুসলমান মসজিদে যায় না ।
অথচ ‘জামাত ই ইসলামী বাংলাদেশ’ এবং ‘ইসলামি ছাত্র শিবিরের’ সক্রিয় নেতা কর্মিরা অধিকাংশই এই হাদিসেকে গুরুত্ব দেয় না।
‘জামাত ই ইসলামী বাংলাদেশ’ এবং ‘ইসলামি ছাত্র শিবিরের’ কট্টর সমর্থক ও সক্রিয় নেতা কর্মিরা প্রকৃত পক্ষে ইসলাম চায় না -
ওরা চায় দেশে বিশৃংখলা - সমাজে বিশৃংখলা - সংসারে বিশৃংখলা সৃষ্টি -
পাকিস্থানে ১৯৪৭ থেকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে আজো করছে - আর আমাদের দেশেতো ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামের নামে খুন, হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নি সংযোগ, দেশান্তর করা, জোর করে ধর্মান্তর করা, শিশু হত্যা, নারী হত্যা, ধর্ষণ সহ সকল অপকর্ম করিয়ে পাকিস্থানকে ধ্বংশের শেষ সিমায় নিয়ে গেছে -
বাংলাদেশে তা পারছে না ৩০ লাখ শহীদের ‘পবিত্র জিবন উৎসর্গ’, চার লাখ মা বোন কন্যার ‘পবিত্র সম্ভ্রমের বলি দানের’ অভিশাপ আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে - হা হা কার করছে - অভিশাপ দিচ্ছে বলে -
তাইতো ‘জামাত ই ইসলামী বাংলাদেশ’ এবং ‘ইসলামি ছাত্র শিবিরের’ পরিচালিত “জঙ্গি গোষ্ঠি”কে দেশবাসি প্রতিরোধ করে চলেছে ।
সমূলে ধ্বংশও করবে ইনশাল্লাহ ।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:০৮
এ পথের পথিক বলেছেন: তাদের নির্মুল করতে গিয়ে আম্লিক আজ নিজেই অস্তিত্বের সংকটে, তাদের মা দিল্লির দাসী খুনি হাসু এখন পুরাপুরি দিল্লীর দাসী ।
যাইহোক জামাত এখনো ইসলাম কায়েম করতে পারেনি, গণতন্ত্র দিয়ে ভবিষ্যতেও পারবেনা বলে আমার ধারনা ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০১
দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: প্রকৃত ইসলামের ঝান্ডধারী হল দেওয়ানবাগীরা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল বিরানিরা....তাই নয় কি ?