নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গবেষক, পাঠক ও লেখক -- Reader, Thinker And Writer। কালজয়ী- কালের অর্থ নির্দিষ্ট সময় বা Time। কালজয়ী অর্থ কোন নির্দিষ্ট সময়ে মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর বিজয়। বিজয় হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী চিন্তার বিজয়।

*কালজয়ী*

সভ্যতার উৎকর্ষ শুরু মানুষের মেধা, শ্রম, বুদ্ধি, আধ্যাত্মিকতা ও লেখনীর মাধ্যমে। ক্রম উন্নয়নের ধারায় শিক্ষা-ক্ষেত্রে কলমের কালীর রং কখনো কালো, কখনওবা সাদা। প্রাথমিক যুগে আবক্ষ শক্ত ভিত্তিতে (ব্লাকবোর্ডে) লিখতে ব্যবহৃত হত সাদা চক যা এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে সাদা বোর্ডে কালো মার্কার কলম ও কালো বোর্ডে সাদা মার্কার কলম। কি-বোর্ডে সাদা-কালো অক্ষর বাটন নব প্রযুক্তির অবদান। Believes in the ultimate potential of Human Mind……

*কালজয়ী* › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা মহামারী ও লকডাউনের সময়ে নাগরিকের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতিঃ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন কিন্তু আত্মহত্যার হার কমে নাই-----(১২)

২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫

করোনা মহামারীর কঠিন সময়ে মনের ওপর ক্রমাগত চাপ সামলে নেয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে৷ হতাশা ও আত্মহত্যার হার বেড়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য গবেষকেরা লক্ষ্য করেছেন, প্রযুক্তি নির্ভরতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, প্রতিনিয়ত নিজের এবং আপন মানুষগুলোর আক্রান্ত হওয়ার আশংকা আমাদের মধ্যে মারাত্মক উদ্বেগ, ভয় ও অসহায়ত্বের জন্ম দিয়েছে। এর সাথে সাথে ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক অনিশ্চয়তা।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় ২২কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় অর্ধ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২০ সালের শুরু থেকেই আমরা করোনার ভয়াবহতা লক্ষ্য করেছি। এই ভয়াবহতা আমাদের করেছে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন, অর্থনৈতিকভাবে অনিশ্চিত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যত দিন যাচ্ছে আমরা অনুধাবন করতে পারছি যে, করোনা ভাইরাস আমাদের শারীরিকভাবে না যতটা প্রভাবিত করেছে তার চেয়েও বেশি প্রভাবিত করেছে মানসিকভাবে। শারীরিকভাবে আমরা এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছি প্রায় ২২ কোটি মানুষ কিন্তু মানসিকভাবে প্রভাবিত হয়েছি পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ। পৃথিবীর এমন কোনো প্রান্ত নেই যেখানে করোনা ভাইরাস তার ছোবল দেয়নি।



মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরিস্থিতি বিশ্লেষণঃ

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও শিক্ষক বলছেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়টা একটা বড় ব্যাপার। আমরা যেন মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে মানসিক রোগকে এক না করে ফেলি। মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় মানে যে মানসিক রোগ হয়ে গেছে সে কথা বলা যাবে না। এখন আমরা বলছি, মানসিক স্বাস্থ্য স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, সেটা করোনাতে মারাত্মক বিপর্যয় হয়েছে। আমি বলব, বিষন্নতাজনিত রোগ বা উৎকন্ঠাজনিত রোগ এগুলোর কিন্তু একটা সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরি আছে। এগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে থাকলে আমি বলব যে, এই রোগ হয়েছে। আবার আমি বিষন্নতায় ভুগছি, কিন্তু এটা এমন পর্যায়ে যায়নি যে এটাকে আমি রোগ বলতে পারি। কিংবা আমি উদ্বেগ বোধ করি, কিন্তু এটা এমন পর্যায়ে যায়নি যে এটাকে আমি রোগ বলতে পারি। তাহলে যেটা দাঁড়াচ্ছে যে, আমি স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বেশি বিষন্ন বা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বেশি উদ্বিগ্ন কিন্তু বিষয়টা এমন না যে আমি রোগে পড়ে গেছি। জরিপগুলো যখন হয়েছে তখন এভাবে করা হয়েছে। এখানে রোগ আর সমস্যা এর মধ্যে পার্থক্য আছে। তবে এটা নিশ্চিত যে, এটা স্বাভাবিক অবস্থা না।

মানসিক স্বাস্থ্যের যে বিপর্যয় ঘটে তার তিন ধরনের কারণ আছে।

১। একটা জৈব বিষয়,
২। একটা মনস্তাত্ত্বিক এবং
৩। আরেকটা হলো সামাজিক


বায়োলজিক্যাল বা জৈব বিষয়টা হচ্ছে, করোনার কারণে আপনার ব্রেন আক্রান্ত হতে পারে এতে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয় হতে পারে। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়নি এমন লোকও করোনাকালে কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত। সবচেয়ে বেশি মানুষ এ্যাফেকটেড হয়েছে অর্থনৈতিকভাবে। এটা আমরা সবাই জানি এবং বিভিন্ন গবেষণায়ও প্রমাণিত। করোনাতে মানুষ সামাজিকভাবেও আক্রান্ত হয়েছে। এটা কী? আমাদের সামাজিক দূরত্ব মানতে হয়েছে। আমাদের বিনোদন সবকিছু বাধাগ্রস্থ হয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল, শিশু কিশোরেরা খেলাধূলা করতে পারেনি, সবকিছু মিলে এক ধরনের সামাজিক বিপর্যয় হয়েছে। এই আর্থিক ও সামাজিক বিষয়গুলো মানুষকে কোনো না কোনোভাবে স্পর্শ করেছে। পাশাপাশি করোনাভীতির একটা বিশাল চাপ সমগ্র জনগোষ্ঠীর ওপর পড়েছে। অর্থনৈতিক এবং সামাজিক প্রভাবটাই পড়েছে সবচেয়ে বেশি।

আত্মহত্যার মনস্তত্ত্বঃ

মানসিক স্বাস্থ্য কিন্তু আলাদা করা যায় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর যে সংজ্ঞা সেটাই সবচেয়ে ভালো সংজ্ঞা। স্বাস্থ্য হচ্ছে পরিপূর্ণ শারীরিক, মানষিক ও সামাজিক সুস্থ্যতা। মানষিক স্বাস্থ্য কিন্তু নানা কারণে আক্রান্ত হতে পারে। শারীরিক কারণেও হতে পারে, সামাজিক কারণেও হতে পারে। এইটার একটা প্রকাশ হচ্ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যা যখন কেউ করে তখন সে মানসিক সমস্যায় ভুগুক আর না ভুগুক তাতে কিছু এসে যায় না, যখন সে আত্মহত্যা করে তখন সে স্বাভাবিক ছিল না। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না। এটা করার সময় সে কোনভাবেই সুস্থ ছিল না। অনেক সময় মানসিক রোগাক্রান্ত হলেও করে। করোনাকালে নানা ধরনের চাপ বেড়ে গেছে, এই কারণে আত্মহত্যা বেড়ে গেছে। যেমন ধরেন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার পর কেউ আত্মহত্যা করল, আপনার মনে হবে এখানে তো করোনার কোন বিষয় নেই। কিন্তু এখানেও করোনার বিষয় থাকতে পারে। করোনার কারণে হয়ত স্বামীর উপার্জন কমে গেছে, এ নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছে। সেটা থেকে এই ঝগড়া। বাহ্যিকভাবে আপনার মনে হতে পারে করোনার কারণে হয়ত এটা হয়নি, কিন্তু আপনি যদি তলিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন করোনা কোন না কোনভাবে ভূমিকা রেখেছে। আমরা দেখেছি, করোনাকালে আত্মহত্যা অনেক বেড়ে গেছে।

আত্মহত্যা ও মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় নিয়ে জাতীয় গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশঃ

সর্বশেষ জাতীয় সমীক্ষা বলছে, কয়েক কোটি মানুষ নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় থাকলেও সেবা পান মাত্র ৭.৭ শতাংশ মানুষ৷ এ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সময়ে আত্মহত্যার হার নিয়ে ২০২১ সালের মার্চে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন৷

দেশে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তথা ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্য, পুলিশ ও হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত ডেটা বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি দেখিয়েছে, এই সময়ে বাংলাদেশে ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছে৷ যা এর আগের বছরের চেয়ে ৪ হাজার জন বেশি

আত্মহত্যার এই সংখ্যাটি ওই নির্দিষ্ট সময়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী মানুষের সংখ্যার চেয়েও বেশি ছিল৷

সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা, যা মোট সংখ্যার ৪৯ শতাংশ৷ এরপরেই সব থেকে বেশি আত্মহত্যা করেছেন ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মানুষেরা, ৩৫ শতাংশ৷ ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী আত্মহত্যাকারী ১১ শতাংশ এবং ৪৬ থেকে ৮০ বছর বয়সী শতাংশ৷

মহামারীর এই সময়ে তরুণ-তরুণীদের অবস্থা জানতে আঁচল ফাউন্ডেশন ‘করোনায় তরুণ তরুণীদের মানসিক বিপর্যয়' শীর্ষক একটি জরিপ করে, যার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের জুলাই মাসে৷ এতে দেখা যায়, ৬১.২ শতাংশ তরুণ-তরুণী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন৷ জরিপে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের ৩.৭ শতাংশ তরুণ-তরুণী এ সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন৷ শারিরীকভাবে নিজের ক্ষতি করেছেন ২৯ দশমিক ২ শতাংশ তরুণ-তরুণী, যেটাকে আত্মহত্যার প্রাথমিক লক্ষণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি৷ ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী করোনাকালীন সময়ে আত্মহত্যার কথা ভেবেছেন৷

‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর করোনা মহামারীর প্রভাব: একটি প্রায়োগিক জরিপ'- শীর্ষক আরেকটি কাজ করে আঁচল ফাউন্ডেশন, যার ফলাফল চলতি অক্টোবরে প্রকাশিত হয়৷

জরিপে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৪.৬ শতাংশই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন৷ এর মাঝে পুরুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০.৩৮ শতাংশ এবং নারী শিক্ষার্থীদের ৮৭.৪৪ শতাংশ এই মহামারীতে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, এতো বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যায় ভোগা পরিবার, সমাজ ও দেশকে নিঃসন্দেহে আতঙ্কিত করে তোলে৷

প্রশ্নের জবাবে এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থীদের যে অংশটা ডিপ্রেশনে ভুগছে৷ এদের কিন্তু উৎপাদনশীলতা কমে যাবে



মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতিঃ

যেসব অসুখগুলোর ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক ফ্যাক্টরগুলো ভূমিকা পালন করে সে ক্ষেত্রে মেয়েরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাদের এখানে পরিবারে হোক, সমাজে হোক মেয়েরাই অনেক বেশি বৈষম্যের শিকার। সে হিসেবে আমরা বলতে পারি, করোনাকালে মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের বেশি বিপর্যয় ঘটেছেগবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ‘Anxiety UK’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নিকি লিডবেটার বলছেন, দুশ্চিন্তার সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু মানসিক সমস্যার একটা বৈশিষ্ট্য হলো, অনিশ্চয়তা সহ্য করতে পারার অক্ষমতা, এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার ভয়। এধরণের সমস্যা যাদের আছে, তারা যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন - তা সহজেই বোধগম্য। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক দাতব্য প্রতিষ্ঠান 'মাইন্ড'-‘Mind’-এর মুখপাত্র রোজী ওয়েদারলি বলছেন, "অজানা যে কোনো কিছুর ব্যাপারে দুর্ভাবনা, এবং কিছু একটা ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে থাকা - এ দুটি হলো এই সমস্যার মূলে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এটাই একটা বিরাট আকার নিয়ে হাজির হয়েছে।"

This writing adapted from several sources:
Writing & Data Courtesy:
১। Bulletin of World Health Organization
২। Professor & Psychiatrist, National Mental Health Institute; Bangladesh
৩। German public state-owned international broadcaster Deutsche Welle
৪। Psychiatrist, National Neurosciences Centre, West Bengal, India

৫। Journalist & Researcher; BBC World Service

এই সিরিজের পুরোনো লেখাগুলি পড়তে ক্লিক করুন

করোনা মহামারী নিয়ে দরকারি আলাপ---পর্ব (১)
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট---পর্ব (২)
করোনা সংক্রমণ প্রশমন ও উপায়---(৩)
করোনা ভাইরাস মহামারী ও এর প্রধান প্রধান ভ্যারিয়েন্ট---(৪)
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও এশিয়া মহাদেশ---(৫)
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ মিথ ও বাস্তবতা----(৬)
সহজাত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার উপর SARS-CoV-2 এর প্রভাব---(৭)
অভিযোজিত রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর SARS-CoV-2 এর প্রভাব---(৮)
দেশের মানুষ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পেরে উঠছে কি??---(৯)
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাক্সিনঃ বাঙ্গালীর টিকা দর্শন ও অভিজ্ঞতা---(১০)
বর্তমান কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন/প্রতিষেধক কেন আজীবন ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম নয়??----পর্ব (১১)


চলবে......................


মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: নাগরিক নামের মানসিক বিকারগ্রস্থের যেই গবেষণা রিপোর্ট বের হইতেছে এতো জাতীয় দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাইতেছে। এরমধ্যে বেশি খারাপ অবস্থা মায়ের জাতী নারীদের। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম???

করোনা ধনপতিদের ধন যেমন বাড়িয়ে দিয়েছে তেমনি গরীবকে আরও গরীব করেছে। চাকরি-বাকরি হারিয়ে সংসার নিয়ে পড়েছে মুছিবতে। শহর ছেড়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে হাজারো পরিবার। এসব পরিবারে অশান্তি মানসিক অসুস্থতা স্বাভাবিক। কিন্তু সমাজপতি, রাষ্ট্র, বিত্তবানেরা কি করছে এই পরিস্থিতিতে?? ওদের জুতা মারা দরকার। দেশে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি আত্মহত্যা করতেছে জনগন। আর এরা বিকারগ্রস্থ সম্পদ আর ক্ষমতা নিয়ে।

দেশে সম্পদের সুসম বণ্টন হচ্ছে না, হরিলুট হচ্ছে জনতার হকের আমানত। ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট। মানসিক অশান্তিতে থাকা এই বাঙ্গালিরা সামাজিক সহিংসতা, খুন, অন্যের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হামলা করা নানান অপকর্মে জড়িত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে কোন সিরিয়াল কিলার-খুনি আবির্ভূত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

মানুষ শান্তিতে বাস করতে চায়। কিন্তু সিস্টেম তাকে বেঁধে ফেলে আস্টেপৃষ্ঠে অক্টোপাসের মত। পরিনতিতে মানুষ অশান্তিতে নিপতিত হয়, আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে সহযোগিতা করা দরকার, মানসিক-আর্থিক সাপোর্ট দেওয়া দরকার। এই নষ্ট সমাজ বিপরীত। সমাজ বিনির্মাণ করা দরকার। এই ধরণের গবেষণাসমৃদ্ধ লেখা দিতে থাকুন। প্রকৃত পরিস্থিতি জানা দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.