নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা পড়ে দেখুন। ফেসবুক থেকে কপি করেছি।
• সোহেল রানার পিতা আব্দুল খালেক গ্রামে তেল ফেরি করতো। সেজন্য মানিকগঞ্জের গ্রামে কলু পরিবার হিসেবে পরিচিত।
• ১৯৮৯ সালে সাভার বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ছোট বলিমেহের মৌজার ১৫,১৬, ১৭ ও ২৩ নম্বর দাগের কিছু জমি ক্রয় করে সাভার চলে আসেন আবদুল খালেকের পরিবার। এসে তেলের ঘানি স্থাপন করেন, পুরনো ব্যবসার সুত্র ধরে। জড়িত হন বিএনপির রাজনীতিতে।
• ১৯৯৪ সালে জাকির নামক এক বন্ধুর মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতা ও সাভার কলেজের ভিপি হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। জাকির ছিল ছাত্রদলের সন্ত্রাসী হেলালউদ্দিনের গাড়ির ড্রাইভার। রানা তখন এক ছিঁচকে সন্ত্রাসী।
• ড্রাইভার জাকিরের সঙ্গে রানার বোন সুফিয়া আক্তারের প্রেম থেকে পরে বিয়েও হয় এবং হেলালের সঙ্গে যোগসুত্র আরো বেড়ে যায়।
• ছাত্রদল নেতা হেলালউদ্দিনের মদদে সাভারে রানা গড়ে তোলে রানা বাহিনী।
• ২০০১ সালে বিএনপি নেতা আবদুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা জোর করে ২৭ শতাংশ জমি দখল করেন। জমির মালিক রবীন্দ্রনাথ সরকার মামলা করলে বিএনপি-জামাতের ক্ষমতার প্রভাবে সাভার ছাড়া হতে হয় তাকে।
• পরে বিএনপি-জামাতের প্রভাবে এই হিন্দু পরিবারের কাছ থেকে নামমাত্র অর্থ দিয়ে এই জলাভূমিটি নিজের নামে লিখে নেন। জলাভূমিতেই নির্মাণ শুরু করেন রানা প্লাজার কাজ।
• রানা প্লাজার অনুমোদন পায় ২০০৫ সালে পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের সুপারিশে।
• ২০০৬ সালে ৬ তলা ভবনের কাজ শুরু।
• একই বছরে নিয়ম ভঙ্গ করে ৬ তলা থেকে ৯ তলায় পরিনত করার সুযোগ দেয়া হয়।
• এই অনিয়মকে বৈধ করতে মির্জা আব্বাস, রাজউক ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা ৪ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।
• নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেডের মালিক বজলুস সামাদ আদনান ও নিউ ওয়েভ স্টাইলের মালিক মাহবুবুর রহমান তাপস উভয়েই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
• প্রতি হরতালেই তারা শ্রমিকদেরকে পিকেটিং এর কাজে ব্যবহার করতো। সেদিনও একই কাজে শ্রমিকদেও আনেন।
• গত দুই মাস ধরে রানা নিজের নামে যুবলীগের নেতা হিসেব পোষ্টার ছাপায়। স্বঘোষিত নেতা বনে যান রানা।
• আজকাল ফটোশপের মাধ্যমে ছবি কাটছাট করে যার-তার সঙ্গে লাগিয়ে পোষ্টার বানানো সহজলভ্য, একথা সবাই জানে।
• এখন এসব ছবিকে একটি কুচক্রী মহল আরো রঙ চড়িয়ে ব্যবহার করছে।
• ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে এসবের চারনভুমিতে পরিনত করা হয়েছে।
• যেভাবে কুখ্যাত রাজাকার সাঈদীকে চান্দে দেখা গেছে বলে মিথ্যাচার করেছিল, ঠিক সেভাবেই ছবি বানিয়ে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
• ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে পড়ে। তারপর থেকে চলছে উদ্ধারকাজ।
• চলছে কতিপয় প্রতিক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের অপরাজনীতির খেলা।
• এটাকে পুজি করে শ্রমিকদের উস্কানি দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রুপ দিতে বিরোধী দল মরিয়া। জামাতের পরে হেফাজতের উপরে নির্ভর করেও সরকার বিরোধী আন্দোলন জমাতে না পেরে এখন ভবন ধসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকার করতে চাইছে তারা।
• মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষ্পষ্ট ভাষায় দায়ীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
• সরকার সকল শক্তি নিয়োগ করে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
• অথচ প্রধান বিরোধীদল বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে। তারা একেক সময় একেক কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
• মওদুদ আহমেদ সেনাবাহিনীর উদ্ধার কাজকে সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, ‘উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনীর তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি’। এরপরে তাদের সাগরেদ জামাত-হেফাজতসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতারাও একই বক্তব্য দেন।
• অথচ দেশবাসী দেখছে কিভাবে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী বিজিবি, ফায়ার সাভিস, পুলিশ সহ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সকল সরকারি সংস্থা উদ্ধার কাজে ভুমিকা রাখছে। পাশাপাশি জনসাধারন ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতার ভুমিকাও অনন্য।
• কিন্তু পরিকল্পিতভাবে একটি চক্র এসব দেশপ্রেমিক বাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
• বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।
• বিবিসির সংলাপে এম কে আনোয়ার বলেন, তিনি শতভাগ নিশ্চিত যে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
• কাদের সিদ্দীকিও অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার সোহেল রানাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে দিয়ে মিথ্যাচার করে বিচারের কথা বলছে।
• কিন্তু আজকে জাতি দেখল সোহেল রানা গ্রেফতার হয়েছে।
• আজকে যে পোশাক খাতে অস্থিরতার শুরু সেটি প্রধানত ২০০৫ সালে সাভারের স্পেকট্রাম কারখানার মাধ্যমেই যাত্রা করে। এই কারখানার মালিক ছিলেন বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতার জামাতা। এজন্য তখন কোন বিচার করা হয়নি। আর সেই বিচার না করাতেই আজকের এই অস্থির অবস্থানে পোশাক খাত।
• বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মৌলিক চেতনার অবকাঠামোগত অ-দর্শনের রাজনীতির সুচনা ১৯৭৫ সাল থেকে। সেই থেকে এদেশে অন্যায়ের হোলি খেলা চলছে। কোন অন্যায়ের বিচার প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী কখনো করেনি। তাই তারা এদেশে কোন বিচার আওয়ামী লীগের সরকার করুক সেটিও চায়না। কারন এতে আওয়ামী লীগ জনগনের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে, এটা তাদের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন। আইন না মানার সংস্কৃতি এবং অন্যায় করে শাস্তি ভোগ না করার সংস্কৃতির জনক জিয়াউর রহমান। রাজাকারদের মুক্তি দেয়া, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পূরষ্কৃত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করে জিয়া এটি করে গেছেন। খালেদা জিয়া শুধু ধারাবাহিকতা রক্ষা করছেন।
• সরকারের পক্ষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ ইতোমধ্যে বলেছেন, তদন্ত চলার সময় কোনো ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করা ঠিক নয়। কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল চক্র অনৈতিকভাবে উলটাপালটা মন্তব্য, বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
• আজকেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সাভারে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যদের যুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন। অথচ সেখানে সেনাবাহিনী সর্বশক্তি নিয়োগ করেই উদ্ধার কাজ করছে।
• এই মওদুদ আহমেদ হলেন জিয়া, এরশাদের হাত ধরে এখন জামাত-বিএনপি জোটের অন্যতম নেতা। ২০০৭ সালে ১/১১ আনয়নে উনার ভুমিকাই প্রধান। কিছুদিন আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির মিটিং এ বেগম জিয়া ১/১১ এর জন্য মওদুদকে ধমক দেন।
• এখন উনি সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে জল ঘোলা করতে চাইছে। এটা লক্ষ্যনীয়।
• অনেকে সামাজিক সাইট সমূহে সরকার ও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করছেন। প্রকাশ্য বক্তব্য লিখছেন।
• অথচ বিশ্বজিত হত্যাকান্ডে ২১ জন কথিত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হয়েছে।
• আপনারা যারা বেশী বোঝেন তাদের নিয়ে আমরা হতাশ। জামাত-বিএনপি সাভার নিয়ে রাজনীতি করে তা আপনাদের চোখে পড়ে না।
• আসলে অনেক মিডিয়া ও পতিত সুশীলগন শুধু আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেই মজা পান। হেয় করে ক্রেডিট নিতে চান।তাদের আজ ধিক্কার জানাই। আপনারা সমালোচনা ও গীবতের পার্থক্যই জানেন না।
• আপনারা আসলে ভালো চান না দেশের বরং শুধু দোষ দিয়ে আওয়ামী লীগকে মানুষের কাছ থেকে দূরে ঠেলে নিয়ে যেতে চান।
• রানা ছাত্রদলের সাবেক নেতা, তাই তাকে বাচাতে একটি মহল নানা কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছিল। কিন্তু পারেনি।
• কোন দেশ বা সমাজ অন্যায় বিহীন হয় না, এটা অসম্ভব। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রেও কাজ আইন প্রয়োগ কওে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। যাতে এরকম অপরাধ আর কেউ করতে না পারে। বর্তমান সরকার আইন প্রয়োগের কাজটি দৃঢ়তার সহিত করছে। বিশ্বজিত হত্যাকান্ডসহ অনেক ক্ষেত্রেই এর উজ্জল প্রমান রয়েছে।
• সাভারের ভবন ধ্বসের ঘটনায় সোহেল রানাসহ দায়ী সকলের শাস্তি নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং শেষ করাও হবে ইনশাল্লাহ।
• আওয়ামী লীগ জনগণের দল, মানুষের প্রাণের দল। আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে দেখায়।
• আপনাদের কু উদ্দেশ্য আমরা বুঝি। আপনাদের আমরা চিনি কিন্তু দেশের স্বার্থে নীরব থাকি।
• আজ সকালেও জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মোশাররফ অভিযোগ করেন, সোহেল রানাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে সরকার। কিন্তু সোহেল রানা গ্রেফতার হয়েছে।
• উনারা যেসব কথা বলেছেন সেগুলো যে মিথ্যাচার এবং অপরাজনৈতিক বাক্যবাগীশ এটা সোহেল রানার গ্রেফতারের মাধ্যমেই আজকে প্রমানিত।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
আিম এক যাযাবর বলেছেন: ভাই কি লীগ করেন, তাইলে ঠিক আছে, আচ্ছা শিবির করেনাই রানা, কোনোভাবে একটু মিলাননা, তাহলে তো ষোলোকলা পূর্ণ হবে। যা পাবেন তাই শেয়ার করবেন, দলের বাইরে আসতে পারলেন না......
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
পত্রদূত বলেছেন: আম্মাদের দেশে ফরমালিনও মনে হয় রাজনীতিমুক্ত নহে
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সাইফ সানি বলেছেন: একই রকম একটা পোষ্ট দেখলাম একটু আগে। ঐখানকার কমেন্ট টাই কপি পেষ্ট করে দিচ্ছি,
আবালীয় পোষ্ট, বরাবরের মত। হাম্বালীগের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী কিছু আশা করা ঠিক ও না।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: এতদিন মনে করছিলাম মখার মতো আমলীগের নেতাদের মাথায়ই শুধু সমস্যা! এখন দেখি আমলীগের সমর্থকদের মাথার সমস্যা তাদের নেতাদের চাইতেও বেশি!
বন্যেরা বন্যে সুন্দর আর হাম্বারা হেমায়েত পুরে!
৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন:
মানুষের ব্রেন যে কিভাবে কৃতদাসে পরিনত করা হয়! এরা ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যার তফাৎ টাও ধরতে পারেনা।
৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৭
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: খবরে একটু আগে দেখালো রানার যেটা অফিস ছিল সেটা মোটামুটি অক্ষত আছে। সেই অফিসের বিভিন্ন অংশের ভিডিও যখন দেখাচ্ছিল। তখন দেখলাম তার অফিসের দেয়ালে নৌকার একটা খোদাই করা ছবি।
সে আওয়ামীলিগ হতে পারে বিএনপিও হতে পারে। কোন দোষ নাই। কিন্তু আমরা যেটা চাই সেটা হচ্ছে তার উপযুক্ত শাস্তি।
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
রুমি আলম বলেছেন: এই লেখাটা আমি ফেসবুক থেকে কপি করেছি। আর এসব বিষয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে। আপনারাও যা জেনেছেন সেগুলোও যেমন বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছেন, এই তথ্যগুলোও বিভিন্ন পত্রিকার মারফতেই এসেছে।
আমার জানামতে রানার উত্থানকাহিনী প্রথম আলো, জনকন্ঠ, আমাদের সময় সহ একাধিক পত্রিকায় এসেছে। এবং এখানে উল্লুখিত সকল তথ্যই পত্রিকার রেফারেন্সে দেয়া যাবে। কেউ যদি কোন বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেন এবং আমি পত্রিকার ও অনলাইনের রেফারেন্স দিতে পারলে তিনি তারা আগের সকল মিথ্যা অবস্থান ত্যাগ করবেন, তাহলে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে আপত্তি নাই।
গালাগালির জন্য এই নিক না ভাই। দয়াকরে গালি থেকে বিরত থাকুন।
আর হ্যা, রাজাকার রক্ষক যে কেউ এখানে অগ্রহনযোগ্য। সমালোচনাকে সাধুবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
সুমন জেবা বলেছেন: ভাই ..আপনি তো মনে হয়..ব্যাবহার হইতেছেন..
মিছা কইলাম নাকি ??