নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দৈনিক প্রথম আলোর ৯-২০ এপ্রিলে পরিচালিত একটি জরিপ নিয়ে জনমনের প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি। আমি সব সময় বিষয়ের গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করি, এখানেও করব। প্রথমে ভেবেছিলাম কিছু তত্ত্ব কথা নিয়ে আসব, পরে ভাবলাম যে একজন গবেষকের ভাষায় নয় খুবই সাধারণ ভাষায় লিখব এবং সেই চেষ্টাই চালাব। আমার টার্গেট গ্রুপ রাজনীতি সচেতন সবাই, কিন্তু তাদের সবার গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে আমার ধারণা নাও থাকতে পারে। তাই প্রথম আলো এ ধরনের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো পদ্ধতিতে গবেষণা করতে পারত কি পারত না সেই বিতর্কে আমি যাব না। তবে আমি কিছু প্রশ্ন করব যার উত্তর আপনারা নিজেরা মিলানোর চেষ্টা করবেন এবং সে বিষয়ে সিদ্ধান্তও আপনাদের।
অনেকেই বলছেন, মাত্র তিন হাজার মানুষের উপর চালানো জরিপে পরিপূর্ণ কোনো ফল বা চিত্র পাওয়া যায় না। আমি বলব যায়, সেই তিন হাজার জন যদি ওই বিষয়গুলো সম্পর্কে মোটামুটি হলেও জ্ঞান রাখে। সহজ একটি উদাহরণ দেই, ধরুন আপনি বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধের জন্য একটি জরিপ চালাচ্ছেন এবং আপনার জরিপে আপনি ১০০০০ জনের ইন্টারভিউ নিলেন যাদের অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করে না তো আপনার সেই জরিপ আসলে কোনো কাজে দেবে না। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ৫০০ ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপরও জরিপ চালান সেটি বেশ উপযোগী হবে।
এবার লক্ষ্য করি, প্রথম আলো কোন কোন বিষয় এর উপর জরিপ চালিয়েছিল-
১. নির্বাচনকালীন সরকার ২. দেশের চলমান পরিস্থিতি ও এই প্রেক্ষাপটে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ ৩. জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ৪. বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সেনা হস্তক্ষেপের শঙ্কা এবং ৫. বিতর্কিত বিভিন্ন দলের সাথে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জোটবদ্ধতা।
তো এরকম জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জরিপ চালানোর ক্ষেত্রে আমরা আসা করতেই পারি প্রথম আলো এই বিষয়ে যাদের সচেতনতা আছে তাদেরকে জরিপের নমুনা হিসেবে বেছে নেবেন। এই সাধারণ জ্ঞানটুকু আমরা আশা করতেই পারি।
চলুন দেখি প্রথম আলো তাদের প্রাপ্ত ফল কে কিভাবে প্রকাশ করেছে
১. তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ
২. শতকরা ৮৫ ভাগ মনে করে দেশের অবস্থা খারাপ
৩. শতকরা ৮১ ভাগ মনে করে, মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ের পর পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি সরকার
৪. প্রায় প্রতি ৫ জনে একজন মানুষ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সম্পর্কে জানে না ( দয়া করে এই বিষয়টি একটু মাথায় রাখবেন)
৫. বেশির ভাগ মানুষ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বিতর্কিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্রব ও সম্পর্ক অপছন্দ করে
৬. বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে পক্ষে-বিপক্ষে মানুষের মতামত প্রায় কাছাকাছি।
এবার আমার পয়েন্টগুলোতে আসছি।
১. প্রথম বিষয়টিতে আসছি, শতকরা ৯০ ভাগ মানুষের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে মত দিতে গিয়ে প্রথম আলো লিখেছে “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সম্পন্ন করার ব্যাপারে দেশের মানুষ প্রায় একযোগে মত দিয়েছে” দেখুন তাদের জরিপে নমুনা সংখ্যা ছিল ৩০০০। আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটির উপর। ১৫ কোটি ধরলেও নমুনাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখে ২ জন। তো এক লাখ মানুষের মাঝে মাত্র ২ জন মানুষের মত নিয়ে কিভাবে তারা সেটি ১ লাখ মানুষের মত হিসেবে চাপিয়ে দেয় সেই প্রশ্নটি আপনাদের কাছে আর সেটি কতটুকুই গ্রহণ যোগ্য? চাপিয়ে দিয়েছে বলছি এই জন্য যে তারা যখন বলে “দেশের মানুষ একযোগে মত দিয়েছে” তখন ব্যাপারটি তাই দাঁড়ায়।
২. এবার একটু ক্রম ভেঙ্গে ৪ নাম্বার পয়েন্টে আসছি। তারা জরিপে পেয়েছে যে দেশের প্রতি ৫ জনে একজন মানুষ গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন সম্পর্কে জানে না অর্থাৎ দেশের ৩ কোটি মানুষের এই ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই! এটাকি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? এই মিডিয়ার যুগে যেখানে দেশের প্রায় সব যায়গায় ক্যাবল সংযোগ চলে গেছে সেখানে দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রায় ২ মাস ধরে চলা আন্দোলন সম্পর্কে কিছুই জানবে না!
ধরে নিলাম শতকরা হিসেবে ৫ জনে এক জন জানে না। তো আমার প্রশ্ন যে শতকরা ৫ জনের একজন দেশে ২ মাস ধরে আন্দোলন সম্পর্কে জানে না তারা কিভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জামায়াত নিষিদ্ধ, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে কি নেবে না এই ব্যাপারগুলোর মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মত দেবে বা দিলেও সেটিকে আপনি কিভাবে জাতীয় মত হিসেবে গ্রহণ করবেন? সিদ্ধান্ত আপনাদের।
৩. প্রথম আলো তাদের পুরো রিপোর্টটি একটি লিঙ্কে দিয়েছিল। Click This Link
এই লিঙ্কটি পরবর্তীতে মুছে দেয়। প্রশ্ন হলো আপনারা কেন এই তথ্যগুলো মুছে দিয়েছেন? ভয়টি কোথায়?
আপনারাতো রিপোর্টটি মুছে দেননি? তবে কেন রিপোর্ট এর পুরো বিবরণ মুছে দিয়েছেন? প্রিয় পাঠক কেন মুছে দিয়েছে আপনারাই উত্তরটি খুঁজে বের করুন।
তবে সৌভাগ্যক্রমে আমি সেটি সেভ করে রেখেছিলাম, কারণ সেটি দেখার পরই একটি সন্দেহ আমার মনে জেগেছিল।
প্রথম কমেন্ট এ আপনারা সেই তথ্যের লিঙ্ক পাবেন। আসছি সেখানে,
a. জরিপটি চালানো হয়েছে ১১৩৭ জন গ্রামীণ পুরুষ, ১১১৩ জন গ্রামীণ নারী, ৩৭৫ জন শহুরে পুরুষ ও ৩৭৫ জন শহুরে নারীর উপর
b. যাদের উপর এ জরিপটি চালানো হয়েছে পেশাগত দিক বিবেচনায় তাদের সংখ্যা ৪৪.৮ শতাংশই গৃহিণী অর্থাৎ ১৪৮৮ নারীর মধ্যে ১৩৪৪ জনই গৃহিণী এবং অধিকাংশই গ্রামীণ গৃহিণী। প্রশ্ন হল আমাদের এই গ্রামীণ গৃহিণীর কয়জন এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সচেতন, প্রশ্নটি আপনাদের কাছেই।
c. এরপর কৃষকদের সংখ্যা ১৫.৪ শতাংশ অর্থাৎ এই তিন হাজার জনের ৪৬২ জনই কৃষক। অনেকে বলতে পারেন কৃষকরা আমাদের বিশাল একটি অংশ এবং অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু তারা আমাদের রাজনীতি নিয়ে কতটুকু মাথা ঘামান সেটি প্রশ্ন সাপেক্ষ আর যদি সচেতনই হতেন আমাদের সমাজে কৃষকদের এই দুরবস্থা হতো না। বিবেচনার ভার আপনাদের। দেখুন এই তিন হাজার জনের মধ্যে ১৮০৬ জনই কৃষক এবং গৃহিণী।
d. দেখুন আরো একটি ব্যাপার এই রাজনৈতিক অস্থিরতায় যারা বেশি দুর্ভোগের শিকার যেমন আমাদের গার্মেন্টের বোনেরা, কর্মজীবী নারী, তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব এই জরিপে ছিল না। কেন করা হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তরটি আপনারাই খুঁজে বের করুন।
e. এই অবস্থায় বেশি ক্ষতির শিকার হন বড় এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা, তবুও দেখুন এই জরিপে তাদের প্রতিনিধিত্ব কী রকম। দশজনের বেশি কর্মচারী আছে এ রকম ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ০.২ শতাংশ, অর্থাৎ পুরো জরিপে এমন ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ৬ জন, আর ১-৯ জন কর্মচারী আছে এরকম ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ৩৯ জন। অথচ জামায়াত-শিবির এর তাণ্ডবে এবং বিএনপির হরতাল অবরোধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বোধ হয় তারা হয়েছেন। যেখানে গৃহিণীর সংখ্যা ১৩৪৪ সেখানে সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীর সংখ্যা মাত্র ৪৫ জন, যাদের অধিকাংশই আবার অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
f. এই জরিপে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল ইত্যাদি পেশায় জড়িত এরকম মাত্র ৬ জনের মতামত নেয়া হয়েছে, উল্লেখ্য কোনো অধ্যাপক বা সমমর্যাদার কারো অভিমত নেয়া হয়নি। সবচেয়ে মজার বিষয় যেটি দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (পুলিশ, ট্রাফিক, আনসার ইত্যাদি) পেশার মাত্র ৯ জনের মতামত নেয়া হয়েছে। আরো একটি ব্যাপার লক্ষণীয়, পরিবহন মালিকদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়নি, কেন নেয়া হয়নি তারা কি জামায়াত-বিএনপির বিপক্ষে মতামত দিতেন কি না সে কারণে? না, সেটি আপনাদের বিবেচনা।
g. এবার আসি শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনায়। ২২.২ শতাংশ ই নিরক্ষর অর্থাৎ ৩০০০ জনের ৬৬৬ জন এর কোনো অক্ষর জ্ঞান নেই, ৩.৭ শতাংশের অর্থাৎ ১১১ জনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান নেই, মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৭৭, এটা কিভাবে সম্ভব যাদের কোনো অক্ষর জ্ঞান নেই তারা এই জাতীয় ইস্যুতে সঠিক মত দেবেন আর আপনি সেটি জাতীয় মত হিসেবে চালিয়ে দেবেন।
h. এর মধ্যে ১১.৬ শতাংশের, মানে ৩৪৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণী বা তারও নিচে। এই অবস্থায় মোট সংখ্যা ১১২৫। ৫ম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত আছেন ৩৬.৫ জন মানে ১০৯৫ জন। অর্থাৎ তিন হাজার জনের কেউই ১০ম শ্রেণী পাশ করেনি। খুব জানতে ইচ্ছে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কিংবা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ ( অন্য অর্থে গণতন্ত্রের যবনিকা) এই বিষয়গুলোতে এই মানুষেরা কতটুকু সচেতন। প্রিয় প্রথম আলো তাদের সম্পর্কে আপনাদের দেয়া রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে সত্যি বলে ধরে নিলে আপনারা যে বলেন নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হয়, শাড়ি বা লুঙ্গির বিনিময়ে ভোট বিক্রি হয় এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা এত সভা সেমিনার করেন, রাজনীতিবিদদের ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করেন, তো এই মানুষগুলো এত সচেতন হলে এই কালো টাকা যায় কোথায়? না কি অন্য কারো ভুঁরিভোজ হয় যাতে নির্বাচনের আগে কোনো জনপ্রতিনিধির কোনো বাজে খবর কোথাও না ছাপানো হয়।
সর্বশেষ যে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আলোকপাত করব, সেটি হচ্ছে এই অবস্থায় সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিবে কি নেবে না, এই বিষয়টি জনমনে আছে কি নেই সেই প্রশ্ন করার অধিকার প্রথম আলোকে কে দিয়েছে? তারা তো এই অবস্থায় জনগণ কী ভাবছে সেটিও জানতে পারত, যেহেতু তারা রাজনৈতিক সচেতন তাই বিকল্প ব্যবস্থা সম্পর্কেও তারা নিশ্চিত জানত? কেন সেনাবাহিনী? প্রশ্ন রেখে গেলাম আপনাদের কাছে। জয় বাংলা, জয় গণতন্ত্র।
লেখক:
মোফাজ্জল হোসাইন সুমন,
সাবেক সভাপতি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি
বর্তমানে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের নেগোসিয়েশন এন্ড অরগানাইজেশনাল কনফ্লিক্ট বিষয়ে অধ্যয়নরত।
Click This Link
২| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: হাস্যকর অদ্ভুত যুক্তি!! বাকোয়াস!
৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
সাফায়াত কাদির বলেছেন: অনেকেই প্রথম আলোয় আজ প্রকাশিত জরিপ টা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার কারণ নিজের চিন্তার বিরুদ্ধে গেলে সেটা অবিশ্বাস্য বলে মনেই হবে। আবার নিজের মনের সাথে মিলে গেলে সেটাকে মনে হবে একদম ঠিক।
আমি আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি যে জরিপটা সঠিক। যদিও জরিপে প্রকাশিত সব ফলাফল আমার মনের চিন্তা-চেতনার সাথে মিল নাই তবু্ও।
তো আমার কাছে কেন সঠিক মনে হল?
সাধারণভাবে আমরা সবাই জানি যে প্রথম আলো তথা মতিকন্ঠ তথা মতিউর রহমান নিজে নাস্তিক এবং ধর্ম বিরোধী। সেক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবে মতি মিয়া জামাত বিরোধী। কিন্তু জরিপে দেশের ৬৭% মানুষ জামাত নিষিদ্ধ হোক চায়না- মতি মিয়া এটা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেন নাই। আবার গজাম (গণ জাগরণ মঞ্চ)- নিয়ে প্রথম আলো যথেষ্ট আহ্লাদিত। কিন্তু জরিপে গজামে বিপক্ষে জনমত বেশি। আর এটা যক্তি হল বাস্তবিক ভাবে গজাম যখন প্রতিষ্ঠিত হয় সেটা তার শুরু আবেগ উত্তেজনা ধরে রাখতে পারে নি।
মতি মিয়া যদি সরকারে চামচা হয় তাহল্ওে সরকারের বিপক্ষে গিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মানেুষের সরকার বিরোধী মতামত প্রকাশ করত না।
তো সবকিছু মিলিয়ে মনে হয় জরিপ ঠিক আছে।
৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
হাসি বলেছেন: ভাইয়া ভাবছিলাম আপনার প্রত্যেকটা যুক্তির ব্যাখ্যা দিব। আজিব শিমু অনেকটাই দিলেন বলে দিলাম না। আমি একটি রিসার্চ ফার্মে কনসাল্টেন্ট হিসেবে আছি এবং জনমত জরীপ নিয়ে অনেক দিন কাজ করছি। যা বুঝি তাতে এটুকু বলতে পারি, প্রথম আলোর জরীপের মেথোডোলজীতে আমি তেমন কোনো ভুল পায়নি যদিও জরীপের ফলাফল দেখে আপনার মত আমারও মন খারাপ হয়েছে।
৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
কয়েস সামী বলেছেন: সাফায়াত কাদির বলেছেন: অনেকেই প্রথম আলোয় আজ প্রকাশিত জরিপ টা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তার কারণ নিজের চিন্তার বিরুদ্ধে গেলে সেটা অবিশ্বাস্য বলে মনেই হবে।
৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
রুমি আলম বলেছেন: আপনাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমি একমত। অন্তত নিজের জরিপ বিষয়ক অজ্ঞতার অবস্থান থেকে।
কিন্তু সমস্যা হলো, আমার মতের সঙ্গে এই জরিপ যায়না। ফলে আমি দ্বিমত পোষন করছি।
তাছাড়া এই লেখাটি আমার নয়। আমি পত্রিকা থেকে ব্লগে দিয়েছি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪
আজিব শিমু বলেছেন: অদ্ভুত , হাস্যসক সব যুক্তি দিলেন।
আপনি জরিপের কনসেপ্টকেই প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। জানিনা আপনি কোন বিভাগের ছাত্র, তারপরেও বলি, জরিপ যে সকল নিয়ম মেনে করার কথা তার প্রত্যেকটা নিয়ম একখানে ফলো করা হয়েছে।
পপুলেশন কিভাবে বাছাই করতে হয়? মোট জনসংখ্যার মধ্য থেকে অবস্থান , জেলা , শহর , গ্রাম, ও লিঙ্গ অনুপাতে পপুলেশন বাছাই করা হয়।
দেশের যে কোনো বিষয়ে জনমত জরিপ মানেই হলো সেই দেশের সকল পপুলেশন এই বিষয়টি সম্পর্কে কি ধারনা রাখে ও তাদের মতামত কি তা জেনে নেয়া।
আপনি সবথেকে বড় যে যুক্তিটি দেখাতে চেয়েছেন তা অত্যন্ত খোঁড়া যুক্তি বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। এখানে তত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে বলা হয় নি। তারা কি ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন চান তাই জানতে চাওয়া হয়েছে। যারা বোঝেননি তারা সেটাই বলেছেন যে বুঝিনি। আর যারা বুঝেছেন তারা মতামত দিয়েছেন।
আপনি দু' কলম পড়াশোনা করেছেন, ঢাবির ব্যাকগ্রাউন্ড দেখছি। যাই হোক, আপনার কোনো ধারনাই নাই যে সাধারন মানুষ আপনার থেকে রাজনৈতিক এসব বিষয় কম বোঝে না।
তাদের অভিজ্ঞতার মূল্য আছে। তারা অনেকেই পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেক নির্বাচন হতে দেখেছেন। আপনি চার দেয়ালের মধ্যে থেকে বাংলাদেশের একপেশে মিডিয়ার নিউজ পড়ে যা জানেন, তার থেকে ওনারা অনেক বেশিও জানতে পারে, এবং বুঝতে পারে।
এটা স্রেফ জনমত। তাদের সিদ্ধান্ত নয়। আর তারপরেও সিদ্ধান্ত যদি খুব শিক্ষিত মানুষরাই নিতে পারবেন বা তাদেরই নিতে হবে , এমন হলে তো শুধু একজন সিদ্ধান্ত দিলেই হতো।
ধরেন ড ইউনুস , ড কামাল বা ব্যারিষ্টার রফিকুল হক কি বলেন তাই শুনলেই হতো। অথবা আদালত যে বলেছে আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক থাকতে পারে। সেটা মানলেও তো জাতিকে এখনই এই সমস্যা ফেস করতে হতো না।
যাই হোক আপনি এক ধরনের সাধারন জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছেন। যা বোকামী ও নিন্দনীয়।
আপনার হয়তো ধারনাই নেই যে সাধারন জগগণ আপনার চেয়ে অনেক বেশি বুঝতে পারে। আর নিয়ম অনুযায়ী জরিপ চালালে তাতে সঠিক মতামতেরই প্রতিফলন হওয়ার কথা।
আপনার বয়স কত জানি না, তবে আমার ধারনা জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন , তাদের বেশিরভাগই সেই ১৭ বছর আগে যখন কেয়ারটেকার সরকার হয়েছিলো, বিষয়টি নিয়ে যখন ১৭৬ দিন হরতাল করেছিলো আওয়ামী লীগ, তাও মনে রেখেছে। হয়তো আপনার বয়সের কারনে মনে নাই।
আপনি যা নতুন শিখছেন , হয়তো অনেক অশিক্ষিত মুরব্বি তা অনেক আগেই শিখে বসে আছে।