নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি লিখতে ভালোবাসি। তাও আবার শুধুই বাংলায়..........

রুপালী তারা

রুপালী তারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবং তনুজা

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

২।।
হিমশীতল এক গাছের ছায়ায় বসে আছে তনুজা। এমনিতে প্রচন্ড গরম; কিন্তু এই মুহূর্তে একটা ফুরফুরে বাতাস তনুজাকে ছুঁয়ে দিচ্ছে। মনটা বারবার আনমনা হয়ে যাচ্ছে। তনুজা আবিরের অপেক্ষায় বসে আছে। আজ আবিরের সাথে দেখা করার কথা। তাই সে আগে আগেই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বের হয়েছে। সকালে বাসা থেকে বের হবার সময়েই চাচী বলে দিয়েছেন, সে যেন কিছুটা সময় আগেই ছুটি নিয়ে অফিস থেকে বের হয়। রাস্তাঘাটে ট্রাফিকের কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আগে ভাগেই যাওয়া ভালো। এমনকি অফিসে কাজ করার সময়ও দুইবার ফোন এসেছে বাসা থেকে।
তনুজা গ্রামীন ফোনের কাস্টমার কেয়ারে জব করে। এরকম জবের ক্ষেত্রে সাধারনতঃ হুটহাট করে ছুটি পাওয়া যায়না। কিন্তু তনুজার বস একটু অন্যরকম। তিনি মনে করেন, অধীনস্থ স্টাফদের পারসোনাল প্রবলেম বা পারসোনাল কোন কাজ থাকতেই পারে। সেক্ষেত্রে হুটহাট করে ছুটি দেয়া তেমন কোন ব্যাপার না। তবে সেটা নির্ভর করে কতটা জরুরী তার উপর। তনুজা অবশ্য দুইদিন আগেই বসকে বলে রেখেছিল। তাই আজকে নির্দিষ্ট সময়ে ছুটি নিতে কোন অসুবিধা হয়নি। সে এখানে এসেছে প্রায় ১০ মিনিটের মত হয়ে গেছে। এখনো আবিরের কোন খবর নেই। অবশ্য সময় পার হয়ে যায়নি। সময় ছিল বিকেল ৪টায়। এখনো ৫ মিনিট বাকি আছে চারটা বাজতে। ভালোই হয়েছে। এই সুযোগে প্রকৃতির একটা শান্ত রুপ দেখতে পাচ্ছে তনুজা। আবির আস্তে ধীরে আসুক। কোন সমস্যা নেই।
হঠাত তনুজা দেখলো, একটু দূরে আবির; হেটে হেঁটে এদিকেই আসছে। দূর থেকেই হেঁটে আসা আবিরকে সে আপাদমস্তক দেখতে শুরু করলো। কালো প্যান্টের সাথে রয়াল নীল রঙের ফুল হাতা শার্ট পড়েছে আবির। গরমের জন্য শার্টের হাতা কনুইয়ের নিচ পর্যন্ত গুটিয়ে রেখেছে। সাথে ম্যাচিং টাই। টাইটা ঢিলা করে রেখেছে। শার্টের দুইটা বোতাম খোলা। বুঝাই যাচ্ছে, প্রচন্ড গরমে ওর অবস্থা খুব খারাপ। ওকে দেখতে কেমন যেন অন্য রকম লাগছে। একটু পরে বুঝা গেল অন্য রকম লাগার কারনটা। আগে তনুজা আবিরের ছবি দেখেছিল। ছবিতে ওকে খুব বেশি ফরমাল দেখা যাচ্ছিল। এখন একেবারে ইনফরমাল সাজ। একটু উলট পালটা। শার্টের ইন করাটা কুঁচকে গেছে। মনে হচ্ছে সকালেই রেডি হয়ে বের হয়েছিল। কোন কাজে গিয়েছিল। সেখান থেকেই হয়ত আসছে। এই অবস্থা দেখে কে বলবে, আবিরের আজকে পাত্রীর সাথে দেখা করার কথা। তনুজা একবার কলেজের এক বান্ধবীর কাছে শুনেছিল, ঢাকাইয়াদের নাকি সাজগোজের কোন বাহার নাই। স্পেশালি ছেলেরা। তারা নাকি স্মার্টনেস ব্যাপারটাই বুঝেনা। সেদিক থেকে ঠিক আছে। তবে, আবিরকে এত অগোছালো অবস্থার মধ্যেও বেশ স্মার্ট লাগতেছে। একেবারেই ফালতু বলা যাবেনা। বরং যথেষ্ঠ স্মার্ট বলা যায়। তনুজা খেয়াল করলো, আবিরের হাটার মধ্যে একটা স্টাইলও আছে। নিজের অজান্তেই ওর মুখে হাসি চলে এলো। অনেক কষ্টে হাসিটা চাপলো সে। আবির চলেই এসেছে প্রায়। এই সময়ে ওকে হাসতে দেখলে না জানি কি মনে করে বসে।
কাছাকাছি আসতেই আবির বললো,
- আমি কি অনেক দেরী করে ফেললাম?
- নাহ, আপনি দেরী করেননি। আমিই একটূ আগে চলে এসেছি।
- অনেক গরম পড়েছে আজকে।
- হ্যা আজকে গরমটা একটু বেশি।
- কি বলেন? একটু বেশি না অনেক বেশি। এই গরমে কেউ টিকতে পারে নাকি?
তনুজা মনে মনে বললো, নাহ, মানুষ কিভাবে টিকবে এই গরমে? আমরা তো সব গরু ছাগল। তাই টিকে আছি। মুখে বললো,
- আপনি তো বাংলাদেশে থাকেন না। তাই হয়ত বেশি গরম লাগছে।
- হতে পারে। সব সময় তো শীতের মধ্যেই আসা হয়েছে। এই প্রথম গরমের সময় আসলাম। এসেই বুঝতে পারছি, অনেক বড়ো ভুল হয়ে গেছে। শীতের মধ্যেই আসার দরকার ছিল।
তনুজার মুড খারাপ হতে লাগলো। এই ছেলে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন সে কোন কালে বাংলাদেশেই ছিলনা। বিদেশেই তার জন্ম, বিদেশেই বড়ো হয়ে উঠা। যত্তসব......
- তারপর...আর কি খবর? কেমন আছেন?
- ভালো। আপনি?
- এইতো চলতেছে ...
কথাবার্তা শুরু হলো ইনফরমালি। আবিরের জন্য এটাই স্বাভাবিক। তনুজা একটু ফরমালিটি আশা করেছিল। ভেবেছিল, সামনে এসে জিজ্ঞেস করবে, আপনি কি তনুজা? যদিও এমনটা জিজ্ঞেস না করলেও চলে। আবির তো তনুজার ছবি দেখেছে আগেই। তারপরেও প্রথম কথাটা হতে পারতো, কেমন আছেন? তারপর নাহয় অন্য কথা বলা যেত। সেটা না করে শুরুতেই গরমের প্যাঁচাল। কিন্তু পরে মনে হল, নাহ, ইনফরমাল কথাবার্তাই ঠিক আছে। বিয়ের পরে তো আর ফরমাল কথা বলবেনা।
বাসায় ফেরার সময় রিকশায় বসে আবিরের কথা ভাবছিল তনুজা। প্রথম বার ফোনে কথা বলে যেমন লেগেছিল, আজকে তেমন লাগলোনা। রান্না জানো কিনা এই কথা জিজ্ঞেস করার অপরাধে তো আর ওকে মানা করে দেয়া যায়না। যে কোন ছেলেই চাইবে, রান্না জানে এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করতে যাতে করে বিয়ের পর বউ রান্না করে খাওয়াতে পারে। তারপরেও ফোনে সরাসরি রান্না জানার কথাটা শুনে কেমন যেন লেগেছিল। আরে বাবা, সব মেয়েই মোটামুটি কমবেশি রান্না করতে জানে। বাবার বাড়িতেই রান্নার হাতেখড়ি হয়। সেটা ঢাকঢোল পিটিয়ে জিজ্ঞেস করা লাগে নাকি?
ফোনে যেমনই মনে হোক, আজকে আবিরকে একেবারেই অন্যরকম দেখাচ্ছিল। কথা বার্তা ইনফরমাল হলেও বেশ গোছানো। বোঝাই যায় খুব হিসেব করে কথা বলে সে। বলতে গেলে, পুরোটাই তনুজার বিপরীত। তনুজা খুব চঞ্চল স্বভাবের। যখন যা মন চায়, বলে ফেলে। ছোট বেলা থেকেই জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড়ো হয়েছে সে। ভাই বোন কাজিনরা সবাই মিলে হই হই করে দিন পার করেছে। এছাড়াও, সে স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। সেদিক থেকে আবির খুব বাস্তবমুখী। ওর কথা শুনে মনে হল, স্বপ্ন দেখা ওর ধাতে নেই। অবশ্য বয়সের জন্যও এমন হতে পারে। কে জানে আগে হয়ত সে তনুজার মতই ছিলো। স্বপ্ন দেখতো খুব। রঙ্গিন দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াতো। এখন বয়স বেড়েছে। দায়িত্ব বেড়েছে। সেই সাথে মন মানসিকতা পালটেছে। কিন্তু আবিরের তো তনুজার বয়সটা ভাবার দরকার। এই বয়সের মেয়েরা কেমন হয় সেটা ওর জানার কথা। নইলে বিয়ের পরে বনিবনা হবে কি করে?
তনুজা হেসে ফেললো। একবার দেখা আর একবার ফোনে কথা, এতেই সে মনে মনে বিয়ে পর্যন্ত ভেবে ফেলছে। বিয়ের পরে বনিবনা হবে কি করে, সেটা ভাবতে বসে গেছে। অনেক কষ্টে নিজের মনটাকে ঠিক করলো। এভাবে ভাবলে তো হবেনা। আবিরের সাথে বিয়ের কথা বার্তা চলা মানেই বিয়ের পর সারাজীবন কাটবে কিভাবে সেটাই ভাবা। আবির যেহেতু বাস্তববাদী, আর তনুজা স্বাপ্নিক, দুইজনের মধ্যে মন মানসিকতায় অনেক অমিল হবেই। তনুজা নাহয় আবিরের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চেষ্টা করবে। কিন্তু একা একা একটা সম্পর্ক কতদুর টেনে নিয়ে যেতে পারবে সে? আবিরকেও তো চেষ্টা করতে হবে। আবিরের সাথে কথা বলে তেমন কিছু মনে হলো না। সে তার মত করে কথা বলে গেলো। তনুজার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখালো না। ভাবটা এমন যে, বিয়ের পরে তনুজাকেই ওর সাথে এডজাস্ট করে নিতে হবে, তাই তনুজারই ওর সম্পর্কে সবটা জানা উচিত। তনুজার সম্পর্কে তার না জানলেও চলবে। তার মানে সে তার মতই থাকবে। তনুজাকে তার সাথে এডজাস্ট করে নিতে হবে।
বাসায় এসে তনুজা সরাসরি নিজের রুমে গেলো। এই মুহূর্তে কারো সামনে পড়তে চায়না সে। সবাই এখন উদগ্রীব হয়ে আছে আবিরের সাথে দেখা হলো কিনা, কি কথা হল এসব জানবার জন্য। তনুজা আরো একবার মন শক্ত করার চেষ্টা করলো। সামনে বিশাল ঝড় ঝাপটা অপেক্ষা করছে ওর জন্য। আবিরের সাথে দেখা করার পরেও তার সিদ্ধান্তের কোন নড়চড় হয়নি, এটা জানা মাত্রই ওর উপর দিয়ে একটা সাইক্লোন বয়ে যাবে, এটা সে একশ ভাগ নিশ্চিত।
আবির খুব ভাল একটা ছেলে। পাত্র হিসাবে খুবই যোগ্য। তারপরেও তনুজা নিজের মনটাকে বুঝ দিতে পারছেনা। ওর কেন জানি মনে হচ্ছে, আবিরের সাথে ওর একেবারেই বনবেনা। অনেক খুঁটিনাটি ব্যাপার নিয়ে লাগবে। তাছাড়া তনুজা তো একদিনেই নিজেকে পালটে ফেলতে পারবেনা। সময় লাগবে। তার চেয়েও বড়ো কথা, আবিরকে এগিয়ে আসতে হবে। ওকে সাপোর্ট করতে হবে। কিন্তু তাকে যেমন গোয়াড় মনে হল...... আর তনুজাকেই বা কেন পালটাতে হবে? আবির ছাড়া কি এই দুনিয়াতে আর কোন ছেলে নাই? কি আছে আবিরের মধ্যে যে, তাকেই বিয়ে করতে হবে আর নিজেকে তার মত করে পালটে ফেলতে হবে?
নিজের উপর অহেতুক রাগ হতে লাগলো তনুজার। এতসব ভাবার কি আছে? বাসায় সবাই ওকে চেপে ধরেছিল আবিরের সাথে একবার দেখা করার জন্য। সে দেখা করে এসেছে। এখন নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে। ব্যস। তারপর কি হলো না হলো, কে কি বললো না বললো সেসবে তো কান দেবার কোন দরকার নেই। তাই না?
মনে মনে যত যাই ঠিক করুক, তনুজা ভেতরে ভেতরে ঘামতে শুরু করলো। ডাইনিংয়ে কারো পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে। আম্মা নাকি? চাচীও হতে পারে। তনুজা যখন বাসায় ঢুকেছে তখন ওদের কাজের মেয়েটা দরজা খুলে দিয়েছিল। সেই হয়ত ওর বাসায় ফেরার খবর দিয়েছে সবাইকে। মনে মনে প্রস্তুত হলো তনুজা। বুঝতে পারলো ওর হাত পা কাঁপছে। খুব নার্ভাস লাগছে। ওর কথা শুনে কে কেমন করে রিএক্ট করবে, কে জানে। অন্য কাউকে নিয়ে ওর খুব একটা মাথা ব্যাথা নেই। শুধু আম্মা ছাড়া। সমস্যাটা এখানেই। আম্মার খুবই পছন্দ হয়েছে আবিরকে। দেখা করার পরেও তনুজার মত পাল্টায়নি শুনলে আম্মা হয়ত চিৎকার করে বাড়িঘর মাথায় করবে।
অবশ্য আম্মাকেও খুব একটা দোষ দেয়া যায়না। বাপ মরা মেয়েকে ভালোভাবে সুপাত্রের কাছে বিয়ে দিতে পারলেই আম্মার শান্তি। আব্বা মারা যাবার পর থেকে তো ওদের উপর দিয়ে ঝড় ঝাপটা কম গেলো না। প্রথমে আব্বার চলে যাওয়া, তারপর তনিমা এমন অঘটনা ঘটালো। আম্মা এখন তনুজার একটা ব্যবস্থা করতে মরিয়া হয়ে উঠবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আর আবিরকেও তো না করে দেবার মত কিছু নেই। পাত্র হিসাবে আবির একেবারেই ফেলনা নয়। ঢাকাইয়ারা একটু অন্যরকম হয়, তারপরেও তারাও তো মানুষ। বরং আবিরের সাথে ওর বিয়েটা ওর জন্য খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। শুধু মন থেকে সায় পাচ্ছেনা তনুজা। ওর মন বারবার বলছে, এই বিয়েটা হলে সেটা হবে ওর জীবনের অনেক বড়ো একটা ভুল।
যা ভেবেছিল তাই, একটু পরেই দরজায় নক করার শব্দ হলো। তনুজা দরজা খুলে দেখলো, আম্মা।
- কিরে? আবিরের সাথে দেখা হয়েছে?
- হুম
- কি বলল?
- কি বলবে? এমনিই টুকটাক কথা হয়েছে।
- আবির তো অনেক পছন্দ করেছে তোকে।
- তুমি কিভাবে জানলা?
- ওদের বাসা থেকে ফোন এসেছিল।
- কখন ফোন করছে? আমি তো মাত্রই দেখা করে আসলাম।
- বেশিক্ষন হয়নাই। তুই আসার একটু আগেই আবির সুমনকে ফোন করেছিল।
- বাব্বাহ, মনে হচ্ছে তাড়া বেশি।
- হ্যা, ওরা চাচ্ছে তাড়াতাড়ি বিয়েটা সেরে ফেলতে। আবির তো আবার লন্ডনে চলে যাবে। তোর কথা জানতে চাইলো। আবিরকে তোর কেমন লাগলো?
- ভালো না।
- মানে কি?
- মানে ওনাকে আমার ভালো লাগেনি।
- কেন?
- ওনার সাথে কথা বলে বুঝলাম, আমাদের মধ্যে শুধু বয়সের পার্থক্য বেশি না, মন মানসিকতায়ও অনেক পার্থক্য। এই বিয়ে হলে আমাদের মধ্যে বনিবনা হবেনা।
- ওসব কিছু না। বিয়ের পর সব ঠিক হয়ে যাবে।
- বিয়ের পর কি ঠিক হবে না হবে, সেটা তো এখন থেকেই দেখতে হবে, তাইনা? বিয়ে তো কোন ছেলে খেলা না যে, বিয়ের পরে বনিবনা হলো না, অসুবিধা নেই ডিভোর্স করে ফেললাম। এটা আমার সারা জীবনের একটা ব্যাপার।
- তাই বলে, এত ভালো একটা ছেলে...
- তোমরা অন্য ছেলে দেখো। এই ছেলেকে আমি বিয়ে করতে চাচ্ছিনা।
তনুজার চাচা রাতের খাবার খেতে বসে সব শুনলেন। শুনে খুব রাগারাগি করলেন। এত ভালো একটা ছেলে আর তনুজার কিনা এই বিয়েতে মত নেই! কোন দিক দিয়ে কমতি আছে আবিরের মধ্যে? তিনি তনুজাকে ডেকে অনেক কড়া কথা শোনালেন। জানিয়ে দিলেন, ওকে মত পালটাতেই হবে। এত ভালো ছেলে কোনভাবেই হাত ছাড়া করা উচিত হবেনা। চাচীও সাথে সাথে সুর মেলালেন। (চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ভালো লাগলো । তবে ছবিটা শেষে কেন

০১ লা মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৩৬

রুপালী তারা বলেছেন: ধন্যবাদ। ইচ্ছে হলো, তাই শেষেই দিলাম ছবিটা। বিশেষ কোন কারন নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.