নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

রূপম রিজওয়ান

ঙ্কঞ্ছঞ্জ

রূপম রিজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপমহাদেশে সহমরণ প্রথা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭



মেয়েটি খুব বিচিত্র এক অনুভবের জগতে ছিল। এহেন পরিস্থিতি কারুর জীবনে একবারই আসতে পারে,দ্বিতীয়বার আসবার সুযোগটি নেই। সবার অবশ্য এ সুযোগ মেলে না;মর্ত্যলোকে কন্যারূপে ভূমিষ্ঠ হওয়াও আবশ্যক।...অদ্ভুত এক টানাপোড়েনে মেয়েটির মন;যেন নিজের মধ্যে বাস করা ভিন্ন দুটি সত্তা টেনে চিরে নিয়ে যেতে চাচ্ছে তাকে ভিন্ন দুটি সিদ্ধান্তের দিকে।একদিকে বশিষ্ট মুনির স্ত্রী অরুন্ধতীর সমান মর্যাদা নিয়ে মৃত্যুর পর পাক্কা সাড়ে তিন কোটি বছরের স্বর্গবাস এবং পরজন্মে উচ্চতর বংশে জন্মলাভের নিশ্চয়তার হাতছানি।অন্যদিকে বেঁচে থাকার সহজাত আকুতি।জন্ম-মৃত্যু তফাৎ;মধ্যিখানে কেবল চন্দন কাঠের একটা চিতা।মনের অন্তর্দ্বন্দ্বে সদ্য স্বামী হারানোর শোকও শুকিয়ে গেছে।

অবশ্য তার সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকতে কারুর বয়েই গেছে,আয়োজন চলছে মহাসমারোহে।বদ্ধমূল বিশ্বাসে প্রথাটি এতটাই সমাজনিষ্ঠ যে মাতৃস্নেহও হার মেনে নেয়। উপর্যপরি আফিম খাইয়ে আচ্ছন্ন চেতনাকে পাকাপাকিভাবে অবশ করে দিয়ে সতীকে নিয়ে যাওয়া হলো চিতার উপর,গতরাতে মনসা দেবীর প্রকোপে প্রাণ হারানো তার স্বামীর মৃতদেহের কাছে।সব আচার শুদ্ধভাবে পালনের পর ব্যস্ত কন্ঠে মন্ত্রজপের সাথে সাথে অগ্নিসংযোগ করা হলো চিতায়;চিতার উপর একটি দেহ এবং একটি মৃতদেহ।দেহটি আচমকা আর্তনাদ করে উঠলো,কিছু বললও হয়তো ।কিন্তু সে যে দৈববাণী-কানে পৌঁছুলে ঘোর অমঙ্গল।তাই বিপুল উদ্যমে বাজানো ঢাকের আওয়াজ এবং চারিদিকে 'জয়,সতীর জয়' ধ্বনিতে শাস্ত্রের সুনিপুণ আচারে সে বাণীকে প্রতিহত করা হয়।কিন্তু মেয়েটা যে বড্ড বেশি চিৎকার করছে!লোকে বলে এ হলো পাপ পুড়বার আওয়াজ। মুখুজ্যে বাড়ির আপাত লক্ষীমন্ত বউটাকে দেখে আগে তো কেউ ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারে নি সে এত পাপ করেছে জীবনভর।

বীভৎসতম দৃশ্যের অবতারণা হলো যখন পোড়া মৃতদেহের সঙ্গ ছেড়ে পোড়া দেহটা আরেকটু বেঁচে থাকবার আকুতিতে ঝলসানো হাতটাকে চিতার কাঠের বূহ্য ভেদ করে বাইরে বের করে আনলো।তা দেখে নবীন দর্শকদের হৃদস্পন্দন বাড়লো বৈ কি,কিন্তু সন্নিকটে তদারকি করতে থাকা অভিজ্ঞরা কায়দামত লাঠির কয়েক ঘা লাগিয়ে দিলো তৎক্ষনাৎ;তাতে পাপী হাতটা অন্তর্গত হলো না কি কয়লার মত খসে পড়লো,তা অবশ্য বুঝা গেল না।চারিদিকে ভিড় জমানো আত্মীয়-অনাত্মীয় আপামর জনতা বিপুল উৎসাহের সাথে সতীর সহমরণ শেষ অবধি দেখলো।




এগুলো 'বীভৎস রস'এ টইটুম্বুর কোন কল্পকাহিনী নয় মোটেও,এ হলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অন্ধবিশ্বাসকে পুঁজি করে ভারতবর্ষে প্রচলিত সতীদাহ বা সহমরণ প্রথার জীবন্ত খন্ডচিত্রের কোলাজ।এর শেষ বিশ শতকের প্রারম্ভে,কিন্তু শুরু বহুকাল আগে।কতকাল আগে তা অবশ্য স্থির করা যায় নি।তবে খ্রিস্টপূর্ব ৩১৬ সালে স্বপক্ষের ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুর পর দুই বিধবার সহমরণে সঙ্গী হবার পাল্লা দেখে মহাবীর আলেক্সান্ডারের হতবুদ্ধি হবার কথা অবশ্য জানা যায়।ইবনে বতুতা মুলতান থেকে দিল্লি যাবার পথে তিন নারীর সহমরণ প্রত্যক্ষ করেন।

ভাইয়ের সম্পত্তির সম্ভাব্য অংশীদার কমানো এবং খামোখা একটা প্রাণিকে আমৃত্যু ভরণপোষণের দায় এড়ানোর চিন্তাকে মনে ঠাঁই দেবার মতো পরিণত হয়ে উঠেনি,এহেন কিশোর দেবরের বিশুদ্ধ মনে হয়তোবা এরূপ অমানবিক ঘটনা আঁচড় কাটতো;কিন্তু সমাজের বিরুদ্ধে যাওয়া কি চাট্টিখানি কথা?একজন অবশ্য নিজের প্রিয় বৌদিমণির সহমরণ মেনে নিতে না পেরে পণ করেছিলেন এ নির্মম প্রথাকে সমাজ থেকে চিরতরে মুছে ফেলবার-তিনি রাজা রামমোহন রায়। গোঁড়া সনাতন যাজকতন্ত্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন।তিনি 'প্রবর্তক ও নিবর্তক' প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে ভারতের য়ুরোপীয় শিক্ষার সংস্পর্শে আসা শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছিলেন।



ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বড়লাটেরা বরাবরই সতীদাহপ্রথার ঘোর বিরোধী ছিলেন বটে। কিন্তু স্থানীয় স্থূলবুদ্ধি গোঁড়াদের চটাতে চাননি বিধায় কেউই একে আইন করে নিষিদ্ধ করার ঝুঁকি নেননি।অবশ্য লর্ড কর্নওয়ালিস,লর্ড ওয়েলেসলি,লর্ড মিন্টো ধাপে ধাপে সহমরণ প্রথাকে সীমিত করবার চেষ্টা চালান।অবশেষে যখন রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে স্থানীয় শিক্ষিত সমাজে সতীদাহপ্রথা বিরোধী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠে,বড়লাট উইলিয়াম বেন্টিংক প্রথাটিকে আইনত নিষিদ্ধ করবার তোড়জোড় শুরু করলেন।প্রতিক্রিয়াশীল মহলও বসে রইলো না। তৈরি হলো দু'টি মেরু-সতীদাহ রদের বিপক্ষে 'ধর্মপক্ষ' এবং পক্ষে 'শীতলপক্ষ'। শেষ পর্যন্ত ১৮২৯ সালের ৭ ডিসেম্বর কলকাতা গেজেটে 'Regulation XVII of 1829' খ্যাত সতীদাহ রহিত বিষয়ক আইন জারি করা হয়।আইনত রামমোহন রায়দের বিজয় ঘটলেও বাস্তবে উনিশ শতকের শেষ অবধি এ ঘৃণ্য প্রথাটিকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায় নি।




৪৭ পরবর্তী ভারতে সতীদাহ প্রথাকে বিলুপ্তই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ১৯৮৭ সালে যখন রাজস্থানে রূপ কানোয়ারের সহমরণের সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চাউর হলো,ভারতের সচেতন সমাজ নড়েচড়ে বসলো।এমনকি ১৯৯৯ সালেও অনুরূপ ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেলেও একে 'আত্মহত্যা' আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

একবিংশ শতাব্দীতে এসে শিউরে উঠতেই হয় একথা ভেবে যে এরূপ অবিশ্বাস্য রকমের অমানবিক প্রথাকে আমাদের অতীত সমাজ সহস্রাব্দ ধরে লালন করে এসেছে।এ কি কেবলই অন্ধবিশ্বাসের ফল?সন্দেহ নেই,অন্ধবিশ্বাসই মূল কারণ ছিল।তার সাথে যোগ করুন সম্পত্তি করায়ত্ত এবং ভরণপোষণের দায় থেকে মুক্তি।

সত্যিকার অর্থে সনাতন ধর্মশাস্ত্র যে সহমরণকে সমর্থন করে না,তা আজ সর্বজনস্বীকৃত।মহাভারতে পান্ডুর মৃত্যুর পরে মাদ্রীর 'আত্মহত্যা' কোনভাবেই সহমরণের উদাহরণ হতে পারে না;নতুবা নিজের দুই পুত্র কর্ণ-অর্জুনের লড়াই দেখবার জন্য পান্ডুর অপর স্ত্রী কুন্তি বেঁচে থাকেন কিভাবে?(ভাবুন তো,কুন্তিও তখন দেহত্যাগ করলে মহাভারতের কাহিনীতে কি একটা টুইস্ট আসতো!)।আর সতীদাহের পক্ষে শাস্ত্রীয় রেফারেন্সগুলোর ভিত্তি এবং বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন খোদ হিন্দু সমাজ থেকেই উঠেছিল।ঋগ্বেদে 'যৌনীম অগ্নে'(অগ্নিগৃহে) বনাম 'যোনীম অগ্রে'(অগ্রে গৃহে) বিকৃতি তো শ্লোকটির অর্থে রীতিমতো আকাশ-পাতাল পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল।(আকাশ-পাতাল নয়,একদম জন্ম-মৃত্যু ফারাক!)

মানা গেল যে বদ্ধমূল অন্ধবিশ্বাসেই না হয় প্রথাটি সমাজনিষ্ঠতা অর্জন করেছিল।কিন্তু এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠতে কেন এতটা বিলম্ব হলো? খ্রিস্টের জন্মের বহু আগে থেকে প্রচলিত কুপ্রথাটি কেন ব্রিটিশ বড়লাটদের আমলেও বলবৎ রইলো?তুর্কী ও মুঘল শাসকদের অনেকে এবং ব্রিটিশ লাট সাহেবরা এর বিরুদ্ধাচারণ করলেও 'ধর্মীয় অনুভূতি'তে আঘাত হেনে বিদ্রোহ ডেকে আনতে চাননি।প্রতিবাদের শুরুটা তাই হিন্দু সমাজ থেকেই হওয়া আবশ্যক ছিল।তাহলে এ সুদীর্ঘ কাল ব্যাপ্তিতে কেন কোন রামমোহন এলেন না?সত্যিই কি আসেন নি?হয়তো এসেছিলেন,কিন্তু বৃহত্তর সমাজের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।বীভৎস নির্মমতাকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মেনে নেওয়ার এ মানসিকতা তাই আমাদের পূর্বপুরুষেরা যুগ যুগ ধরে লালন করেছেন।

আজকে আমরা হয়তো অন্যায়ের প্রতি নিজেদের সহনশীলতা এবং নির্লিপ্ততা দেখে নিজেদের ধিক্কার জানাই।চাক্ষুস মানবহত্যা 'উপভোগ' করি,এবং তা ভিডিও করে অন্যদের 'উপভোগ'এর সুযোগ করে দেই!অবশ্য খেল খতমের পর সোফায় গা এলিয়ে চায়ের আড্ডায় রাজা-উজিরও মারি।ধরামন্ডলের যাবতীয় দায় ওপরওয়ালার,আর দেশের যাবতীয় দায় সরকারের।আমরা কেবল চুপচাপ দেখব,অন্যকে দেখাব,পরিশেষে গা বাঁচিয়ে চম্পট দিব। কিন্তু এ ভয়ানক মানসিক বিকৃতি কি আমাদের সমাজের ডিএনএ-তে আধুনিক যুগের আমদানি?নাকি যুগের পর যুগ ধরে ভারতবর্ষের সমাজ ডিএনএ-তে এ জিনকে লালন করে আসছে?আমাদের উপমহাদেশের অতীত কি সত্যিই গৌরবান্বিত?ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসন ব্যতিরেকে ভারতীয় সমাজ কি খুব সহজে এ সকল অন্ধবিশ্বাস এবং কুপ্রথার নিগড় থেকে মুক্তি পেত?

যদি গলদটা উপমহাদেশের সমাজব্যবস্থার ডিএনএ-তেই থেকে থাকে,তবে বলতেই হয় বর্তমান সমাজের বিবর্তিত অসংগতিগুলোও রাতারাতি উধাও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।পশ্চিমা কায়দায় শিক্ষিত হয়ে জাতে উঠেও তাই আমাদের মন থেকে প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতা মুছে যায়নি,কেবল আত্মপ্রকাশের ধরণ এবং অজুহাত বদলেছে(কিম্বা বিবর্তিত হয়েছে)। ডিএনএ কে উপেক্ষা করা কি এতটাই সহজ?

তথ্যঋণঃ
উইকিপিডিয়া;
বাংলায় নবচেতনার ইতিহাস -স্বপন বসু;
এবং আমার পরলোকগত কালাচান কাকু।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

শায়মা বলেছেন: জয় রাজা রামমোহন রাজের জয়!!!!!!!!!

তিনি না জন্মালে আজও হয়তো সতীদাহ প্রথা রয়েই যেত!!!!!!!
ব্লগে সুস্বাগতম আমার প্রিয় পিচ্চি ভাইয়ু!!!!!!!!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: থ্যাংক য়্যু,ম্যা'ম।
হয়তোবা! হিন্দু সমাজ থেকে কোন রামমোহন উঠে না এলে বড়লাটদের সাধ্য ছিল না বহুকালচর্চিত এ প্রথা রাতারাতি উচ্ছেদের।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: স্বাগতম ভাইয়া .....।
আপনার এই পথ চলা শুভ হোক ।
শুভসন্ধ্যা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ,ভাইয়া।
পাশে থাকুন।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লাগলো সহস্রাব্দ প্রাচীন সহমরণ প্রথার উপর আপনার বিশেষ নিবন্ধ। আপনার লেখার ধরন দেখে মনে হচ্ছে না যে আপনি একজন নতুন ব্লগার। প্রথম পোস্টে এমন পাওয়ারফুল লেখা খুব কমই চোখে পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে। আগামীতে আপনার ব্লগিং যাত্রা আরো মসৃণ হোক কামনা করি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
আসলে ব্লগে সদ্যই একাউন্ট খুলেছি বটে।কিন্তু পাঠক হিসেবে সামুতে নিয়মিত আনাগোনা বহুদিনের।তাই আপনাদের লেখালেখির ধরণ সম্পর্কে ধারণা আছে।আশা করি,ভবিষ্যতে পরামর্শদাতা হিসেবে আপনাদের মত গুনিজনদের পাশে পাব।
ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে প্রথম পোস্ট দিলেন এবং সেই সাথে শক্তিশালী আপনার লেখনী । আপনার মাধ্যমে সামু আরো সমৃদ্ধ হবে আশা করা যায়। শুভকামনা। হ্যাপি ব্লগিং।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ,ভাইয়া।
পাশে থাকুন।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৫

ওমেরা বলেছেন: চমৎকার লেখনী দিয়ে ব্লগিং শুরু করলেন ! শুভ ব্লগিং।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
ভালো থাকুন।

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,
কঠিন লেখা লিখেছেন তো ! প্রশ্নগুলোও কঠিন -- কেন এতো দেরি হলো এমন বীভৎস একটা সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে সংস্কার দাবির । চমৎকার শক্তিশালী লেখা । স্বাগতম ।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে!
ভালো থাকুন।

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

সোহান পরবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই। শুভ কামনা!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ! আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সহমরন প্রথা আগে সমাজে প্রচলিত ছিল এতটুকুই জানতাম।তোমার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
তবে শেষে এসে কিছু কথা বলেছ যে গুলৌ আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে।
তোমার পরলোকগত কালাচান কাকুকে নিয়ে একদিন লিখ।
শুভেচ্ছা ও অনেক শুভ কামনা রইল তোমার জন্য।আশা করি দ্রতই ব্লগের নক্ষত্র হয়ে উঠবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাইয়া! আপনার সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণার কথা সব সময় মনে থাকবে।
ভালো থাকুন।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: কীপ গোয়িং। আপনার লেখায় সাবলীলতা আছে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনুপ্রেরণার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

জুন বলেছেন: হিন্দু ধর্মের প্রাচীন প্রথাটি বিলোপ করার জন্য লর্ড বেন্টিংক আর রাজা রামমোহন রায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সেই সাথে বিদ্যাসাগর ও। খুব সুন্দর সাবলীল ভাষায় লিখেছেন। প্রমথ নাথ বিশির কেরী সাহেবের মুন্সী বইতে একটি প্রধান চরিত্র ছিল রেশমী নামে যে কি না চিতা থেকে পালিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে আগুনে পুড়েই মরতে হয়েছিল। লেখা চালিয়ে যান। সাথে আছি।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: চিতা থেকে পালালেও ওদের শেষ রক্ষা হত না। তবে জানা যায় একবার এক ইংরেজ সৈন্য এমনই এক সতীকে দাহের আগে বাঁচিয়ে বিয়ে করেছিলেন এবং পরবর্তীতে হিন্দুধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন।
আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম।সাথে থাকবার জন্য ধন্যবাদ।আজকের দিনটা ভালো কাটুক।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
স্বাগতম ব্লগে।

সহমরণে যে কত রমনীর জীবন গেছে তা সঠিক ইতিহাস ইতিহাসেও নাই।

সুন্দর করে তুলে ধরেছো। দ্রুতই সেফ হবে আশা করছি।++++++++++++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম।জ্বি,সত্যিই অগণিত নারী এ কুপ্রথার বলি হয়েছেন।তাদের জীবনগুলো কি নির্মমভাবেই না অকালে ঝরে গিয়েছিল!
আমি ব্লগে তৃতীয় দিন(১৮ তারিখ) সেফ হয়েছি। অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা নিবেন।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মাত্র ০৩ দিনে সেফ। ওয়াও! ব্লগকে এবার তাহলে নিজ রং-এ রাঙিয়ে দিন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনারা তো ঝানু লিখিয়ে। আশা করি আপনাদের সহযোগিতা এবং পরামর্শ সবসময় সাথে পাব।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি চমৎকার পোস্ট দিয়ে শুরু হলো আপনার ব্লগযাত্রা। অব্যাহত থাকুক আপনার ব্লগীয় পথচলা!!!
একটি বীভৎস ইতিহাসের কথা তথ্য উপাত্ত দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিলেন। লর্ড বেন্টিংক, রাজা রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছে হিন্দুসমাজের নারীকূল চিরঋণী হয়ে থাকবেন বলে মনে করি, এ কুপ্রথাটি বিলোপ করার জন্য।
ডিএনএ কে উপেক্ষা করা কি এতটাই সহজ? - না, মোটেই সহজ নয়।
সহমরণে যে কত রমনীর জীবন গেছে তার সঠিক ইতিহাস ইতিহাসেও নাই (১১ নং মন্তব্য) - অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি তথ্য! :(

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আগমনে আপনাকে সাদর সম্ভাষণ জানাচ্ছি।
যথার্থই তাই -বড়লাট উইলিয়াম বেন্টিংক সাহসী সিদ্ধান্তটি না নিলে কিংবা রাজা রামমোহন রায়সহ শীতল সভার সভ্যগণ হিন্দুসমাজে সংস্কারের দাবিতে জনমত গঠন করতে না পারলে আরো বহুকাল হতভাগ্য অগণিত নারীকে অমানবিক প্রথাটির বলি হতে হত। তাদের কাছে আমাদের সমাজ ঋণী হয়ে থাকবে।
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.