নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

রূপম রিজওয়ান

ঙ্কঞ্ছঞ্জ

রূপম রিজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃহন্নলা-কথন এবং নিউটনের তৃতীয় সূত্রের একটি সামাজিক বাস্তবায়ন

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮



মধ্যরাত। মুহুরিপাড়ার জোড়া-খাম্বার সামনের সুনশান রাস্তাটায় দু'টো মাত্র প্রাণী। একটি আপনমনে পায়চারি করছে এদিক-সেদিক;অন্যটি খাম্বায় আলতো হেলান দিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে।উভয়ের মধ্যেই অসম্ভব মিল। দু'টোই ম্যামিলিয়ান ভার্টিব্রেট। তাই একটা সময় পর্যন্ত অকৃত্রিম মাতৃস্নেহে বেড়ে উঠেছে। কিন্তু তারপর সে বন্ধন ছিন্ন করে নিষ্ঠুর জীবন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে;একটিকে প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে;অপরটিকে সমাজের কৃত্রিম নিয়মে কিংবা ভাগ্যের প্রবঞ্চনায়। প্রথম প্রাণীটি খানিকটা লোম ওঠা সাদা-কালো একটি আহত কুকুর।দ্বিতীয়টি মানুষ;তবে পরিহাসের এ পরিচয় ছাপিয়ে ওর বড় পরিচয়-ও একজন বৃহন্নলা,আমাদের ভাষায় 'হিজড়া'। ওর অপলক দৃষ্টি রংচটা ছয়তলা বিল্ডিংটার তৃতীয় তলার দক্ষিণের বারান্দায়। চোখজুড়ে অভিমান,স্মৃতি আর জল। বছরের কেবল এদিনটাতেই ও অভিমানে পাথর হয়ে যাওয়া ওর পাথুরে চোখজোড়াকে সিক্ত হতে দেয় আর মনের গহীনতম প্রকোষ্ঠটায় বন্দি শৈশবের স্মৃতিগুলোকে উল্টেপাল্টে দেখে।আজ যে ওর জন্মদিন-ওর মানুষবেলায় দিনটা সবাই ঘটা করে পালন করত।

প্রতিবছরই এরাতটাতে ও গুরুমাকে ফাঁকি দিয়ে ছুটে আসে শৈশবের স্মৃতিবিজরিত বাড়িটার সামনে। গুরুমা জানতে পারলে অবশ্য রক্ষে নেই! সেই বারো বছর বয়সে হঠাৎ করেই অচেনা হয়ে যাওয়া ওর প্রিয় ছোট চাচ্চু ওকে ফেলে রেখে যায় শিবগঞ্জের হিজড়া-পল্লীটার গুরুমার কাছে। শুধু ছোট চাচ্চুই না,ওই ভয়ংকর সময়টাতে অচেনা হয়ে গিয়েছিল সবাই-কেবল ওর মা বাদে। মাকে ঘুমের ওষুধ গিলিয়ে তবেই তো ওকে গুরুমার কাছে নিয়ে যাওয়া গেছে। আচ্ছা,ওর মা-ও কি ওকে ভুলে গেছে? এদিনটায় ওর খুব ইচ্ছে হয় মায়ের হাতে পায়েস খাওয়ার।ওর একটা ইচ্ছা আছে-একদিন এমনি এক জন্মদিনে হঠাৎ করেই তিনতলার ঐ বাসাটায় উঠে বলবে-মা,একটু পায়েস রেধে খাওয়াবা?এ-ই শেষ,আর কোনদিন মুখ দেখাব না। দিবা?

কিন্তু সেদিন যদি আর সবার মত ওর মা-ও ওর দিকে ভয় আর ঘৃণাভরা চোখে তাকায়?মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়? এ ভয়েই ও যায় না। অন্তত মায়ের অচেনা হয়ে যাওয়াটা ওকে নিজ চোখে দেখতে হয়নি,দেখতেও চায় না।

এই 'ও'রা কিন্তু আমাদের সামনে মোটেও এমন অনুভূতিপ্রবণ নয়। ওদের আবেগ-অনুভূতি থাকতে নেই। ওরা নির্লজ্জ,বেহায়া,অসভ্য,অসামাজিক। সমাজের চাপিয়ে দেওয়া ঘৃণা আর লজ্জার বোঝা বইতে ওদের বয়েই গেছে! যে সমাজে ওদের স্থান নেই,সে সমাজের নিয়মনীতি ওরা কেন মানবে? সমাজের তীর্যক দৃষ্টি যে ওরা পরোয়া করে না,তা দেখিয়ে দিতে হবে না!

ভাবুন তো,মা সন্তানকে শাসন করলে সন্তানটা কি অভিমানে গাল ফুলিয়ে বসে থাকে না-কখন মা এসে আদর করে ওর রাগ ভাঙাবে? তাহলে আচানক মাথায় আকাশ ভেঙে পড়া হতভাগা ওই তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানগুলোকে যখন হিজড়া-পল্লীতে ফেলে আসা হয়,ওরা কি কিছুকাল অভিমানে অপেক্ষা করে না,কখন মা-বাবা আদরের সোনামণিটাকে এসে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে? ওদের ছাড়াও মা-বাবা থাকতে পারবে-এও কি ওদের বিশ্বাস করতে হবে!কিন্তু দিনের পর দিন কেটে যায়,ওরা বুঝতে পারে ওদের অপেক্ষা কোনদিনও ফুরাবে না। ওদের জীবন্ত অভিমানগুলোও তাই জীবাশ্ম হয়ে ধীরে ধীরে পাথর হয়ে যায়,সারা জীবনের জন্য।

জানি না সময় নষ্ট করে আদৌ লেখাটা কেঊ পড়ছেন কি না। যদি পড়ে থাকেন,তবে অনুরোধ করব আরেকটু সময় নষ্ট করে একটিবার ওদের পরিস্থিতিতে নিজেকে কল্পনা করে দেখুন তো। আপনি কি পারতেন এত বড় একটা ধাক্কা সয়ে যেতে? আপনার মনোজগতে যে ঝড় বয়ে যেত,তারপর কি পারতেন নিজের স্বাভাবিক চিন্তাশক্তি আর সম্মানবোধ ধরে রাখতে? বড় মানসিক আঘাতে মানসিক ভারসাম্য হারানোর ঘটনা তো বিরল না। আচ্ছা,ওদের মনোজগতে যে তোলপাড় ঘটে যায়,তা কি মানসিক ভারসাম্য হারানোর জন্য যথেষ্ট না?তাহলে ওদের অসভ্য আচরণকে কেন আমরা একপ্রকার মানসিক ভারসাম্যহীনতা ভাবতে পারি না? এর দায় কি ওদের নাকি আমাদের সভ্য সমাজের?

এবার একটুখানি বিজ্ঞান আনা যাক। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে জন্মানোর পেছনে অনেকগুলো কারণ এবং ব্যাখ্যা রয়েছে। তন্মধ্যে সহজতম উদাহরণটা দেওয়া যাক।...মানবদেহে ২২ জোড়া অটোজোমের সাথে একজোড়া সেক্স ক্রোমোজোম থাকে।মায়ের থেকে একটি আসে-X;আর বাবার থেকে আসতে পারে X কিংবা Y এর যেকোনটি। বিধাতার পাশার চালে যদি XX উঠে থাকে তবে আপনি নারী,আর XY উঠে থাকলে আপনি পুরুষ।কিন্তু ধরুন বিধাতার খেয়ালে মিয়োসিস-১ এ গন্ডগোলের কারণে মা থেকে হ্যাপ্লয়েড X না এসে ডিপ্লয়েড XX চলে এল,আর বাবার থেকে Y। তাহলে XXY সেক্স ক্রোমোজোমবাহী সন্তানের দেহে XX এবং XY সহাবস্থান করে। কোন একজোড়ার আধিপত্যে শিশুকালে বুঝা না গেলেও বয়ঃসন্ধিকালে জটিলতাগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠে।

আচ্ছা,প্রকৃতির নিয়মে যদি মানুষের চারটি আঙ্গুল থাকত,তবে দৈবক্রমে পাঁচ আঙ্গুল নিয়ে জন্মানো মানবসন্তানকেই তো আমরা 'অস্বাভাবিক' আখ্যা দিতাম,বাঁকা চোখে তাকাতাম। তার অর্থ দাঁড়ায় আমাদের কাছে স্বাভাবিক এবং ত্রুটিপূর্ণের মানদন্ড সংখ্যাগরিষ্ঠের সাথে সামঞ্জস্য।তাহলে নারী-পুরুষের ১:১ অনুপাতের মত যদি নারী-পুরুষ-বৃহন্নলার জনমিতিক অনুপাতও ১:১:১ হত,তবে কি পারতেন এতটা অবহেলে এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠীকে সমাজে অবাঞ্চিত আখ্যা দিয়ে দিতে?শারীরতাত্ত্বিক তফাৎ তো নারী-পুরুষের মাঝেও রয়েছে। আমরা কেন তবে ওদের শারীরতত্ত্বকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারি না-বিধাতার সৃষ্টির ক্রুটি ধরার স্পর্ধা আমরা কি করে দেখাই?

"প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া রয়েছে।"-নিউটনের তৃতীয় সূত্রটি কেবল বলবিদ্যায় নয়,মানবজীবনের এবং মানবসমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরম সত্য এবং বাস্তব। বৃহন্নলাদের ক্ষেত্রেও তাই।ক্রিয়াটা আসে সমাজ থেকেই। উন্নত দেশগুলোতে তো ওদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের মত না। ওসব দেশের বৃহন্নলারা কি আমাদের দেশের বৃহন্নলাদের মত উৎপাত করে? বরং সমাজ কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ওরা যোগ্যতা অনু্যায়ী কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত রয়েছে। শুনেছি ইন্দোনেশিয়ায় নাকি ওদের মসজিদে সবার সাথে নামাজ পড়তেও দেখা যায়। তবে আমাদের দেশে কেন এ হাল? কারণ আমাদের সমাজে বৃহন্নলার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া মাত্রই পরিবারের এক চিন্তা-মানসম্মান বাঁচাতে চাও তো ওটাকে ফেলে দিয়ে এসো। সমাজে ওর কোন স্থান নেই। আর এ অপক্রিয়াটিকে যুগের পর যুগ আমাদের সমাজব্যবস্থা লালন করে এসেছে-আর প্রতিটি ক্রিয়ার তো সমান প্রতিক্রিয়া থাকবেই,তাও আবার বিপরীতমুখী। তবে জেনে রাখুন,যদি কখনো বৃহন্নলাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন,তবে তা আপনার,আপনার পূর্বপুরুষে,আপনার সমাজব্যবস্থার অপক্রিয়ারই উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া!!

আমাদের অবশ্য যুক্তি প্রস্তুত থাকে,আজকাল তো অনেক 'হিজড়া'ই নকল।হ্যাঁ,তা সত্য।কিন্তু ওরা তো কেবল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এরকমটা করতে পারছে। তাতে তো আর আমাদের সমাজের 'ক্রিয়া'দোষ মিত্থ্যে হয়ে যাচ্ছে না। পরিস্থিতিটা তো আমরাই তৈরী করে দিয়েছি। কাজেই শাক দিয়ে মাছ ঢেকে লাভ কি?

বাস্তবতা হচ্ছে,সরকার এবং এনজিওগুলো যত যা-ই উদ্যোগ নিক না কেন,বৃহন্নলাদের জীবনমান এবং সমাজে ওদের উৎপাতের চিত্র খুব একটা বদলাবে না। ওদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই পারে এ অসাধ্য সাধন করতে;যদিও রাতারাতি না সমাজ বদল সম্ভব,না তার ফল পাওয়া সম্ভব। যদি আমরা বৃহন্নলাদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের বার্তা একটু একটু করে ওদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি,তবে তার প্রতিক্রিয়া কি ওদের থেকে পাওয়া যাবে না? অভিমানী মানবসন্তানগুলোর সমাজের প্রতি অভিমানের বরফ কি এতটুকুও গলবে না?

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার বিষয় নিয়ে পোষ্ট ।
লিখতে থাকুন।
হ্যাপি ব্লগিং

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
পাশে থাকুন।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৫

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষদের হিজড়া বা অন্যরকম যাই হোক না কেন সবাইকে সাধারন বাকি সবার মতন ব্যবহার করতে হবে।

এদের কাজ না দিলে কি করবে? খাবে কি?

হিজড়ারা সমস্যা হয়েছে কারন আমরাই তাদের না খেয়ে মরতে পাঠিয়েছি।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: এটাই বাস্তবতা-আমরাই ওদের আজকের দুর্দশার জন্য দায়ী।সমাজ ওদের ঠাঁই দেয় নি বলেই ওরা সমাজের নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না।
আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন।

ভাবনার বদল হোক।
মানবতার দাবী তাদেরও আছে।
খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
ভাল লাগলো।

আমাদের এলাকার সবগুলো আমাকে সম্মান করে শুধু এই কারণে -তাদের দেখে হাসিমূখে কথা বলি।
শুধু একটু ভালবাসা পেলে বুঝি জীবনটা্ও দিয়ে দিতে চায়।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি,সত্যিই তাই। চিরকাল বঞ্চনার শিকার এই মানুষগুলো আমাদের তরফ থেকে সামান্য সহানুভূতি পেলেও ওরা অসম্ভব রকমের খুশি হয়। আসলে আমাদের বুঝা উচিত যে ওদেরও মন আছে,সমাজের প্রতি অভিমানে তা কেবল পাথর হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং বৃহন্নলাদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণের জন্য সাধুবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ওদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। লেখাপড়া শেখার ব্যবস্থা করতে হবে।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সহমত। মানুষ হিসেবে ওদের প্রাপ্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে পারলেই ধীরে ধীরে ওরা সমাজের মূলধারায় ফিরতে পারবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

ঢাকার লোক বলেছেন: দারুন। খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
শারীরিক প্রতিদ্বন্দ্বী (অন্ধ, বিকলাঙ্গ, অসুস্থ) মানসিক প্রতিদ্বন্দ্বী (মেন্টালি রিটার্ডেড), এমন ছেলে মেয়ে অনেক পরিবারেই আছে এবং তাদেরকে যথাসম্ভব যত্নের সাথেই পরিবারে রাখা হয়। এদের বেলায় কেন পরিবার তাদের দূরে ঠেলে দেয় বুঝে আসে না, উপযুক্ত লেখা পড়া করালে ওরাতো নিজেরাই নিজের দায়িত্ব নিতে সক্ষম হতে পারে? শুধু দরকার ওদেরকে ওদের মতো থাকতে দেয়া, প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে না দেয়া যে ওরা আর সবার থেকে আলাদা !

ভাল লাগলো।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সত্যিই তাই। শারীরতাত্ত্বিক এবং মনস্তাত্ত্বিক কিছু ভিন্নতা ব্যতিরেকে মেধা এবং যোগ্যতার দিক থেকে এরা নারী-পুরুষের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই। সমাজে ওদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হলে,ওরাও আর পাঁচটা মানুষের মত সুস্থ সামাজিক জীবন কাটাতে পারে। কেবল সমাজের বিরূপ মনোভাবের জন্যই ওরা সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।ভালো থাকুন।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

ঢাকার লোক বলেছেন: দুঃখিত, প্রতিদ্বন্দ্বী হবেনা, হবে প্রতিবন্ধী !

৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।++
সময় পেলে আবার কমেন্ট করতে আসব।

শুভকামনা জানবেন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। সর্বদাই স্বাগতম।
ভালো থাকবেন।

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০০

শায়মা বলেছেন: বৃহন্নলা নাটক দেখেছিলাম।

আগে রাস্তায় কখনও তাদেরকে দেখলে ভয়ে শিউরে উঠতাম আমি।

তারপর বিশেষ করে এই নাটক দেখবার পর ও তাদের সম্পর্কে জানবার পর ভয়টা কষ্ট হয়ে গেছে।

সমাজের প্রতিটা মানুষের উচিৎ এদের প্রতি সদয় হওয়া। বুকে টেনে নেওয়া । পরিবারের ভালোবাসা বড় বেশি প্রয়োজন!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ম্যা'ম,আমিও খুব ভয় পেতাম ওদের।২০১১ তে ক্লাস ফোরে থাকতে একবার ওরা এসেছিল বাসায়।আমি খেয়াল না করে দরজা খুলে দিয়েছিলাম,বাবা-মা অফিসে ছিল,কাজের বুয়াও যেন কোথায় গিয়েছিল।আমি তো ভয়ে অস্থির!
কিন্তু বাসায় কেউ নেউ জানতে পেরে হাসিমুখে "আরে এত ভয় পাইস নাহ রে" বলে ওরা সুন্দরমত চলে গিয়েছিল। সেদিন থেকে ওদের প্রতি ভয়টা কেটে গিয়েছিল।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,
বাস্তবতা হচ্ছে,সরকার এবং এনজিওগুলো যত যা-ই উদ্যোগ নিক না কেন,বৃহন্নলাদের জীবনমান এবং সমাজে ওদের উৎপাতের চিত্র খুব একটা বদলাবে না। ওদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই পারে এ অসাধ্য সাধন করতে;যদিও রাতারাতি না সমাজ বদল সম্ভব,না তার ফল পাওয়া সম্ভব। আমাদের দেশে এই সমস্যাটার মূল কথাগুলো আপনিইতো বলেছেন । সময় লাগবে । এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমেরিকার মতো দেশেও খুব ওপেনলি কথাবার্তা হয় না সামাজিক বাধার কারণেই । আমাদের দেশে তাহলে কি অবস্থা সেটাতো বলা রোপেক্ষ রাখে না । আমাদের দেশের ট্রান্সজেন্ডারদের অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে এদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । আমাদের দেশে ছোটবেলায়ই এদের যেমন করে ফ্যামিলি, সমাজ থেকে আলাদা করা, হয় যার কথা আপানি লেখার শুরুতে বলেছেন, তাতে একটা জিনিসের অভাব এদের থেকেই যাচ্ছে সেটা হলো শিক্ষা । শিক্ষা না থাকাতে এরা সামাজিকভাবে নিজেদের অবস্থায় পরিবর্তনেরও কোনো সুযোগ পায় না। আর এখনো সমাজতো এদের এক্সসেপটই করে না তাই সেখান থেকেও কোনো সাহায্য পায় না । যাহোক, খুবই কম আলোচিত একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন । ভালো হয়েছে লেখা ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সহমত। একবিংশ শতকে এসে আমাদের জীবনধারা,জীবনমান,রুচি দ্রুত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেলেও আমাদের সমাজব্যবস্থার এ অন্ধকার দিকগুলোর দিকে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না-বরং ট্যাবু আখ্যা দিয়ে এগুলো নিয়ে আলোচনা আমরা এড়িয়ে যাই।অথচ ওদের এ মানবেতর অবস্থার দায় আমাদের সমাজ কোনভাবে এড়াতে পারে না।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সহমত। মানুষ হিসেবে ওদের প্রাপ্য অধিকারসমূহ নিশ্চিত করতে পারলেই ধীরে ধীরে ওরা সমাজের মূলধারায় ফিরতে পারবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

সবচেয়ে খারাপ লাগে অনেক শিক্ষিত মানূষ ওদের নিয়ে হাসাহাসি করে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: এটা আমাদের শিক্ষাদীক্ষার অন্তঃসারশূন্যতা এবং হিপোক্রেসিকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ধন্যবাদ।

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯

বিষাদ সময় বলেছেন: বৃহন্নলাদের প্রতি আমাদের এবং রাষ্ট্রের আচরন দেখলে মনে হয় আমরা এখনও মধ্যযুগে আছি।
সামান্য আশার কথা হচ্ছে অনেক দেরিতে হলেও রাষ্ট্র তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিয়েছে।
আনেক আনেক ধন্যবাদ একটি মানবিক লেখনির জন্য।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি। ২০১৩ সালের নভেম্বরে ওদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।তার আগে যেকোন ফর্ম পূরণে ওদেরকে নিজেদের নারী কিংবা পুরুষ হিসেবে উল্লেখ করতে হত। এজন্য ওদের জন্য পাসপোর্ট পাওয়া দুরূহ ছিল।এখন এ সমস্যাগুলোর একটা সমাধান হয়েছে বটে।কিন্তু ৬ বছরে ওদের জীবনমানের দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন আসে নি। সামাজিক স্বীকৃতি ব্যতিরেকে কেবল নথি-সর্বস্ব রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতে আদৌ কোন পরিবর্তন হয়তোবা আসবে না।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।ভালো থাকুন।

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। এদের নিয়ে আমারো অনেক আগে একটি পোষ্ট আছে। আসলে এদের কে আমরা যতটা না মানুষ ভাবি তার থেকে অনেক বেশী জন্তু হিসাবে দেখি এটা আমাদের ই অজ্ঞতা। ধন্যবাদ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম। আপনার মতন গুণী লেখক আমার লেখাটা পড়ে দেখেছেন জেনে অসম্ভব রকম আনন্দিত এবং অনুপ্রাণিত হলাম।ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
সত্যিই তাই।ওদের প্রতি আমাদের এ অযথা বিরূপ মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে।
ভালো থাকবেন।

১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১

শের শায়রী বলেছেন: হিজড়া সম্প্রদায় কিছু অজানা তথ্য

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি,পোস্টটি পড়েছি। ওদের বিষয়ে আরো অনেক কিছু জানলাম।আগে পোস্টটির সন্ধান পেলে অবশ্যই এখান থেকেই তথ্য টুকে নিতাম। দুর্ভাগ্য আমার।
ধন্যবাদ।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম। অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকুন।

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

সোহানী বলেছেন: প্রয়োজনীয় বিষয় ও চমৎকার কথামালা।

আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী না বদলানো পর্যন্ত এভাবেই ওরা শাস্তি পেতে থাকবে। কিন্তু এ দৃষ্টিভঙ্গীতো একদিনেই পাল্টানো সম্ভব নয়, দরকার সদূর প্রসারী পরিকল্পনা। এবং সেটি হতে হবে সরকারী পর্যায় থেকে।

প্রচুর পজিটিভ লিখা, পাঠ্য বইতে উল্লেখ, সামাজিকভাবে হেয় না করার মানসিকতা, সাধারন মানুষের সচেতনতা, ওদের সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়া রোখা সহ ওদের প্রয়োজনীয় পূর্নবাসন এর মাধ্যমেই ওদেরকে মূল স্রোতের সাথে মেশাতে হবে।

উন্নত দেশে এর সমাধান একদিনে হয়নি। এর জন্য দিনের পর দিন সঠিক পরিকল্পনাই এগিয়ে নিয়ে গেছে সবার মানসিকতা। এখন বলতে গেলে ওরা সহজভাবেই বলে আমি তৃতীয় লিঙ্গ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি,পুরোপুরি একমত। এটার সমাধান প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী। রাতারাতি কিছুই বদলাবে না,সত্য।কিন্তু পরিবর্তনের শুরুটা এখনি করতে হবে।
আমার পাতায় স্বাগতম এবং সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪

নেক্সাস বলেছেন: দারুন পোস্ট

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম। ধন্যবাদ জানবেন।
ভালো থাকুন।

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

হাবিব বলেছেন: ভরে যাক সামু পাতা নতুনের পদচারণায়

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম। ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকুন।

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনি চমৎকারভাবে এগুচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে অসাধারণ লেখা। ++
ব্লগার শের শায়রী - হিজড়া সম্প্রদায় কিছু অজানা তথ্য এর লিংক শেয়ার করেছেন দেখলাম। উনি কিন্তু সেই পর্যায়ের ব্লগার। উনা কেউ ধন্যবাদ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন। দিনটা ভালো কাটুক আপনার।

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মায়ের হাতের পায়েস(পায়ের) হয়ে গছে। বানান ঠিক করে দিন।

আসলে ওদেরকে আমরা মানুষ বলেই গন্য করি না।

আমরা ভয় পাই, ভয় দেখাই, মজা নেই, উপহাস করি, গালি দেই কিন্তু সুন্দর করে বাঁচার জন্য সাহায্য করি না। কি নির্মম ওদের জীবন!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য একটি আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন।
আপনার বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত। সমাজের এই অমানবিক মনোভাবের ফলস্বরূপই ওদের এই দুর্দশা এবং সেই সাথে আমাদের আক্রান্ত হওয়া কিংবা ওদের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়া।
আমার পাতায় স্বাগতম এবং আবারো অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। তবে লেখার মাঝে হুট করে টোন চেঞ্জ করবেন না।
যদি দরকার পরে সুনির্দিষ্ট অংশটুকু বোল্ড বা ইটালিক করে পৃথক করে দেবেন পাঠকের জন্য।
বিষয়বস্তু ভালো। যদি এক ধর্মীয় দৃষ্টীকোন থেকে দেখতে চান তাহলে আবার ভিন্ন অবস্থা।
তবে এদের পূর্ণবাসনের অবশ্যই ব্যবস্থা করা দরকার।
চলমান সমাজ থেকে একটা জনগোষ্ঠি এভাবে দিনের পর দিন আলাদা হয়ে থাকতে পারে না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম।
প্রথমেই আপনাকে জানিয়ে রাখছি,আপনার এই মন্তব্যটিকে এখনও পর্যন্ত আমার পাতায় সেরা মন্তব্য মানছি।

আসলে আমি উচ্চমাধ্যমিকে পড়ুয়া একজন ছাত্র এবং ব্লগে বয়স আটদিন।পরীক্ষার খাতা ব্যতীত অন্যত্র লেখালেখির অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই।ব্লগে আপনারা যারা অভিজ্ঞ এবং গুণী অনেক লেখক আছেন,তারা যদি ভুলগুলো ধরিয়ে দেন,তবে আমাদের মতন নবীনরা খুব উপকৃত হই।

তাহলে আমাকে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে:
১)লেখার সিকুয়েন্স নিয়ে আরো সতর্ক হতে হবে। হুটহাট টোন চেঞ্জ করা যাবে না।
২)পঠনের সুবিধার্থে প্রয়োজনমত অংশ বোল্ড,ইটালিক করে দিতে হবে।মোটকথা ওয়ার্ড ফরম্যাটিং নিয়ে আরো কাজ করতে হবে।
আমি পরবর্তী পোস্ট থেকেই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করব।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই ভুলগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য এবং আশা করছি আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে কি না বা আর কি কি ভুল হচ্ছে তা ধরিয়ে দেবার জন্য ভবিষ্যতেও আপনাকে পাশে পাব।ভালো থাকবেন।

২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমি সবসময় সব ব্লগারদের এভাবেই সাহায্য করি। আমি আপনাকে নতুন কোন পোস্ট দেবার আগে নীচের কিছু লেখা পড়ে আসার জন্য অনুরোধ করবো; -
১। ব্লগে পোস্ট দেয়া বিভিন্ন ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লেখার ব্যাপারে কিছু অপ্রিয় সত্যকথা
২। ব্লগে পোস্ট দেয়া বিভিন্ন লেখায় ছবি দেয়ার ব্যাপারে কিছু কথা
৩। ব্লগের লেখক, মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য, উত্তর ও প্রাসন্গিক আলোচনা

এইগুলি পড়ার পর যদি আরও কোন সাহায্য লাগে কিংবা জানার দরকার হয়, আমার ব্লগবাড়ির দরজা আপনার জন্য সব সময়
খোলা থাকবে। আমার যেকোন নতুন পোস্টে মন্তব্যে যেয়ে লিখে আসবেন কি জানতে চাইছেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি! আমি সবগুলো পোস্ট পড়েছি এবং সত্যিই সামুতে একজন নবীন ব্লগারের জন্য এর চেয়ে ভালো গাইডলাইন হতে পারে না।এ পোস্টগুলোকেই অথবা সম্মানিত মডারেটরদের লিখিত ব্যক্তিনিরপেক্ষ অনুরূপ কোন পোস্টকে সদ্য একাউন্ট খোলা ব্লগারদের শুরুতেই সরবরাহ করা হয়,তবে নবীনদের জন্য যাত্রা আরম্ভ আরো মসৃন হবে।
পরবর্তী পোস্ট থেকেই আমি বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করব এবং আপনার উপদেশগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার চেষ্টা করব।
সামুতে আসার পর নানান ধাঁচের ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচিত হয়েছি এবং প্রত্যেকের কাছ থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি।তবে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা অবশ্যই আলাদাভাবে স্বীকার করতে হবে।
আবারও ধন্যবাদ।ভালো থাকুন।সুস্থ থাকুন।

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২০

নীল আকাশ বলেছেন: প্রবন্ধ কিভাবে লিখতে হয় সেটা জানার জন্য আমার এই লেখাটা পড়ে আসতে পারেন। ভালো করে পড়বেন। থীম, স্ট্যাইল, টোন, প্যারা, সমালোচনা কিভাবে লিখতে হয় বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।
শাড়ি নিয়ে তথাকথিত সাহিত্য রচনা - শাড়িত্ব নাকি দেহত্ব?
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

ঢাকার লোক বলেছেন: একজন ১৭ বছরের উচ্চমাধ্যমিকে পড়া তরুনের কাছ থেকে এ লেখাকে আমি নির্দ্বিধায় একটি অসাধারণ লেখাই বলবো ! আসছে দিনগুলোতে আরো ভালো লেখা আমরা পাবো এই কামনাই করছি, উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ নির্মাণে আল্লাহ আপনার সহায় হোন !!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,অনুপ্রাণিত করবার জন্য ।আমি এখনো শিক্ষানবিশ। আপনাদের কাছ থেকে শিখবার জন্যই তো ব্লগে আসা। সামুতে অভিজ্ঞ এবং নবীনদের মধ্যে এই গুরু-শিষ্যের মিথস্ক্রিয়াটি সত্যিকার অর্থেই অসাধারণ।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব কঠিন একটা বিষয় কঠিন কঠিন শব্দে খুব সুন্দর করে লিখেছেন। শুভ কামনা।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম! সামুতে আমার প্রিয় লেখকদের একজন স্বয়ং আমার লেখাটি পড়ে দেখেছেন জেনে অত্যন্ত প্রীত এবং অনুপ্রাণিত হলাম।
মন্তব্য এবং শুভকামনা জানানোর জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন।

২৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে লিখেছেন, অনেক সহজ করে ব্যাখ্যা করেছেন, এজন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন!

হিজড়াদের অসভ্যতা ও উপদ্রব ইদানীং অনেক বেশি বেড়ে গেছে পথে ঘাটে, এলাকায় এলাকায়। ওদের এহেন উপদ্রবের শিকার হতে দেখেছি বেশ কিছু নিকটাত্মীয়কেও। তাই ওদের দেখা মাত্রই মনে একটা বিরক্তির উদ্রেক হয়। কিন্তু তবুও, আপনার এই পোস্টটা পড়ে ওদের প্রতি মনটা আর্দ্র হয়ে উঠলো। সত্যিই তো, ওদের তো অভিমানী হবারই কথা, ক্ষেত্রবিশেষে হিংস্রও! এটা সুন্দরভাবে বুঝাতে পেরেছেন, এখানেই একজন লেখকের সার্থকতা!

বিদ্রোহী ভৃগু এবং শায়মা এর সহানুভূতিমূলক মন্তব্যদুটো ভাল লেগেছে।

পোস্টে দশম ভাল লাগা + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.