নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

রূপম রিজওয়ান

ঙ্কঞ্ছঞ্জ

রূপম রিজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দি গ্রেট আর্ক-মিথ অব নোয়া/নূহ(আ) কিংবা মৎস্য অবতার গাথা:দুরুপিনার বুকে রহস্য

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২


ফ্লাড মিথ বা মহাপ্লাবন গাঁথা -ঘোর অবিশ্বাসীর মনেও কৌতূহল এবং অনুসন্ধিৎসা জাগানিয়া এক পৌরাণিক কাহিনী কিংবা ঐতিহাসিক ঘটনা। সত্যতার পক্ষে এবং বিপক্ষে যুক্তিগ্রাহ্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের মিশেলে নিরপেক্ষ অনুসন্ধিৎসু মানুষের কাছে আজও যা রহস্যের চাদরে মুড়োনো। আর বিশ্বাসীদের কাছে এ হলো ঈশ্বরপ্রদত্ত এক ঐতিহাসিক শিক্ষা। ঐশী নির্দেশকে অমান্য করে পাপ এবং দূরাচারে নিমজ্জিত মনুষ্যজাতির অধঃপতনে ক্রুদ্ধ সৃষ্টিকর্তা মনস্থির করলেন পাপীদের নিশ্চিহ্ন করে পৃথিবীকে নবরূপে গড়ে তোলার। তাই তিনি আয়োজন করলেন প্রলয়ংকরী এক ধ্বংসযজ্ঞের, এক মহাপ্লাবনের। যার প্রকোপে দুনিয়া থেকে বিলীন হয়ে গেল তাঁর অকৃতজ্ঞ পাপী সৃষ্টিকূল,নিষ্কলুষ হলো পৃথিবী-বাঁচিয়ে রাখলেন কেবল তাঁর প্রিয় বান্দা নোয়া/নূহ(আ)/মনু ও তাঁর অনুসারীদের এবং প্রাণিজগতের কিছু সৌভাগ্যবান প্রতিনিধিকে;তাঁদের এবং এদের মাধ্যমেই নবরূপে প্রাণপ্রাচুর্যের সঞ্চার ঘটালেন ধরাপৃষ্ঠে।---মোটা দাগে এই হলো বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ এবং পুরাণে বর্ণিত মহাপ্লাবন বা ফ্লাড মিথের সারসংক্ষেপ।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ধর্মগ্রন্থ এবং পুরাণসমূহে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ঐতিহাসিক মহাপ্লাবন বা ফ্লাড মিথকে।

ইহুদি এবং খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের ধর্মগ্রন্থ ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত মহাপ্লাবন:
সেমেটিক ধর্মসমূহে মহাপ্লাবনের বর্ণনায় খুব একটা তফাৎ নেই বললেই চলে।ঈশ্বরের প্রেরিত দূতের সতর্কবাণী অমান্য করায় রুষ্ট হলেন ঈশ্বর-
“আমার সৃষ্ট মানুষকে আমি দুনিয়ার উপর থেকে মুছে ফেলব; আর তার সঙ্গে সমস্ত জীবজন্তু, বুকে-হাঁটা প্রাণী ও আকাশের পাখীও মুছে ফেলব। এই সব সৃষ্টি করেছি বলে আমার মনে কষ্ট হচ্ছে।"(জেনেসিস-৬:৫-৮)

তাই তিনি নোয়াকে নির্দেশ দিলেন বিপুলায়তন এক জাহাজ নির্মানের-
"তুমি গোফর কাঠ দিয়ে তোমার নিজরে জন্য একটা জাহাজ তৈরি কর। তার মধ্যে কতগুলো কামরা থাকবে; আর সেই জাহাজের বাইরে এবং ভিতরে আল্কাত্রা দিয়ে লেপে দিবে। জাহাজটা তুমি এইভাবে তৈরি করবে; সেটা লম্বায় হবে তিনশো হাত, চওড়ায় পঞ্চাশ হাত, আর উচ্চতা হবে ত্রিশ হাত। জাহাজটার ছাদ থেকে নীচে এক হাত পর্যন্ত চারদিকে একটা খোলা জায়গা রাখবে আর দরজাটা হবে জাহাজের একপাশে। জাহাজটাতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থাকবে। আর দেখ, আমি দুনিয়াতে এমন একটা বন্যার সৃষ্টি করব যাতে আসমানের নীচে যে সব প্রাণী শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে আছে তারা সব ধ্বংস হয়ে যায়। দুনিয়ার সমস্ত প্রাণীই তাতে মারা যাবে।"(জেনেসিস-৬:১৩-১৭)

“তুমি ও তোমার পরিবারের সবাই জাহাজে উঠবে। আমি দেখতে পাচ্ছি, এখনকার লোকদের মধ্যে কেবল তুমিই সৎ আছ। তুমি পাকপশুর প্রত্যেক জাতের মধ্য থেকে স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে সাত জোড়া করে তোমার সঙ্গে নেবে, আর নাপাকপশুর মধ্য থেকেও স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে এক জোড়া করে নেবে। আকাশে উড়ে বেড়ায় এমন পাকপাখীদের মধ্য থেকেও স্ত্রী-পুরুষ মিলিয়ে সাত জোড়া করে তোমার সঙ্গে নেবে।"(জেনেসিস-৭:১-৫)
অতঃপর চল্লিশ দিন চল্লিশ রাতের প্রলয়ংকরী ভারি বর্ষণ এবং প্লাবনে বাকি সকল জীব পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল।



আল কুরআনে বর্ণিত মহাপ্লাবণ:
আল কুরআনের সাথে ওল্ড টেস্টামেন্টের বর্ণনার একটি মৌলিক পার্থক্য কুরআনে সমগ্র পৃথিবী জুড়েই প্লাবন সংঘটনের কথা স্পষ্টত বলা হয় নি , বরং কেবল নূহ(আ)এর কওমের উপর আজাবের কথা বলা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাছাড়া জেনেসিসের জাহাজের আকার-আকৃতির বিবরণও নেই। হাদিসে চল্লিশ জোড়া বিশ্বাসী নারী-পুরুষ এবং প্রতিটি প্রাণি প্রজাতির একজোড়া করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
"তুমি আমারই তত্ত্বাবধানে আমারই ওহির আদেশে একটি নৌকা বানাও এবং যারা জুলুম করেছে, তাদের ব্যাপারে তুমি আমার কাছে (কোনো আবেদন নিয়ে) হাজির হয়ো না, নিশ্চয়ই তারা নিমজ্জিত হবে।"(সুরা হুদ, ১১:৩৭)
নূহ(আ) এর নামে আল কুরআনে একটি সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সূরা আ'রাফ,সূরা মুমিনুন,সূরা হুদ সহ বেশ কয়েকটি সূরায় এর বিবরণ পাওয়া যায়। ১২০ দিন ধরে বর্ষণ চলে এবং জাহাজটি জুদি পর্বতের কাছে নোঙর ফেলে।
বাদবাকি বিবরণ অন্যান্য সেমেটিক ধর্মের অনুরূপই।


সনাতন ধর্মের মৎস্যপুরাণেে বর্ণিত মহাপ্লাবণ:


সনাতন ধর্মের অবতারবাদ অনুসারে মৎস্য অবতার বিষ্ণুর প্রথম অবতার। বিষ্ণুভক্ত দ্রাবিড়রাজ রাজা সত্যব্রত (মনু) একদা নদীর জলে হাত ধোয়ার সময় ক্ষুদ্রকায় একটি মাছ তাঁর হাতে চলে আসে এবং তাঁর কাছে প্রাণভিক্ষা চায়। রাজা সত্যব্রত মাছটিকে একটি পাত্রে ছেড়ে দেন। তিনি লক্ষ্য করেন মাছটি বিস্ময়করভাবে ক্রমশ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হচ্ছে। তিনি সেটিকে প্রথমে একটি পুকুরে স্থানান্তর করেন,পরে নদীতে এবং শেষে সমুদ্রে ছেড়ে দেন। কিন্তু মাছটি এতটাই বৃদ্ধি পায় যে সকল আধারই পূর্ণ হয়ে যায়। অবশেষে মাছটি বিষ্ণুর রূপে আত্মপ্রকাশ করে সত্যব্রতকে জানান যে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রলয় সংঘটিত হবে এবং সমগ্র জীবকূলের বিনাশ ঘটবে। তাই সত্যব্রতকে নির্দেশ দেন সকল প্রকার ঔষধি, সকল প্রকার বীজ, সপ্তর্ষি,বাসুকি নাগ ও অন্যান্য প্রাণীদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তুত হতে এবং তাঁর কাছে আশ্রয়প্রার্থী হতে। প্রলয় শুরু হলে মৎস্যরূপী বিষ্ণু পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুসারে পুনরায় আবির্ভূত হন। তিনি সত্যব্রতকে একটি নৌকায় আরোহণ করতে বলেন এবং তাঁর শিঙে বাসুকি নাগকে নৌকার কাছি হিসেবে বাঁধতে বলেন।[ si](মৎস্যপুরাণ)
মৎস্যপুরাণের বিভিন্ন সংস্করণে বর্ণনার কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পরিত্রাণই মহাপ্রলয়ের উদ্দেশ্য ছিল-তা সুনিশ্চিত।

বিভিন্ন আঞ্চলিক পুরাণে মহাপ্লাবনের উল্লেখ:

বিশ্বজুড়ে নানান অঞ্চলের আঞ্চলিক পুরাণে কেবল চরিত্রগুলোর নাম পরিবর্তন করে ফ্লাড মিথকে প্রায় একই আঙ্গিকে
বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন সুমেরীয় গাঁথায় ঈশ্বর দেবতা এনলিল আর নূহ(আ)/নোয়ার স্থানে রাজা জিউসুদ্র; রোমান পুরাণে দেবতা জুপিটার;গ্রিক পুরাণে দেবতা জিউস;চৈনিক পুরাণে স্বর্গপিতা সিজুসিহ। পূর্ব আফ্রিকার মাসাই পুরাণে টামবাইনোতের কাহিনীকেও মহাপ্লাবনের অনুরূপ মনে করা হয়।

যদি সত্যিই ঘটে থাকে এ মহাপ্লাবন তবে কোথায় আছে ঐ আর্ক/জাহাজ?

সেমেটিক ধর্মগুলোর বিবরণ অনুযায়ী ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যে ঘটেছিল। বাইবেলে সরাসরি আরারাত পর্বতের কাছে আর্কের অবস্থান নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে,যা বর্তমান তুরস্কের অন্তর্গত। অধিকাংশ মুসলিম ঐতিহাসিকের মতেও টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীবেষ্টিত দোয়াব অঞ্চলেই নূহ(আ) এর কওমের বাস ছিল। প্রাচীনকালে এ নদীদ্বয়ে ঘনঘন বন্যার তান্ডবের প্রমাণও বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃত। সবমিলিয়ে এটি ঈশ্বরপ্রদত্ত শাস্তি(বিশ্বাসীদের মতানুসারে)হোক,কিংবা আঞ্চলিক কোন বন্যার অতিকথিত রূপ(অবিশ্বাসীদের মতানুসারে)-প্লাবনটি টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদীর কাছাকাছি মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও হয়েছিল বলেই ধরে নেওয়া যায়।

দুরুপিনার পাহাড়ের বুকে.........কী ওটা...........?



১৯১৬ সালে রুশ লেফটেন্যান্ট রস্কভিতস্কি তুরস্কের আরারাত পর্বতের আকাশ থেকে উপর আর্কের সদৃশ কিছু দেখতে পাওয়ার দাবি করেন। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে এ নিয়ে খুব বেশি গবেষণা করা হয় নি তখন। তাই ঐ স্থানটিকে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত অবধি করা যায় নি। তবে স্থানটি অনুসন্ধানে অভিযান থেমে ছিল না। অবশেষে ১৯৫৯ সালে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ের ওপরে হুবহু জাহাজ আকৃতির একটি জায়গার সন্ধান পান বিখ্যাত মানচিত্রকর ক্যাপ্টেন ইলহান দুরুপিনা । চার্চ থেকে শুরু করে অন্যান্য সেমেটিক ধর্মসমূহের বিশ্বাসীদের তরফ থেকেও জোর দাবি উঠলো-এর নিচেই নিহিত আছে নোয়ার আর্ক বা নূহ নবীর সেই নৌকার ধ্বংসাবশেষ। কেননা এতো আরারাত পর্বতেরই সন্নিকটে;বাইবেলের বর্ণনা এবং মুসলিম ঐতিহাসিকদের অনুমানের সাথেও যা মিলে যায়। দুরুপিনা ওই অঞ্চল আবিষ্কার করায় জায়গাটির নাম রাখা হয় দুরুপিনার পাহাড়।

তবে দুরুপিনারের ওই নৌকা আকৃতির জায়গাটির নোয়ার আর্কের ধ্বংসাবশেষ হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন ভূতত্ত্ববিদদের একটি বড় অংশ। তাদের দাবি,জায়গাটি পাহাড়ের অস্বাভাবিক এক ধরনের ভাঁজ বৈ আর কিছু না। কিন্তু বিশ্বাসীরা তাদের দাবিতে অনড়-বেছে বেছে কেন আরারাতেই থাকবে এহেন ভাঁজ? হয়তোবা এ ভাঁজের নিচেই লুকিয়ে আছে সে ঐতিহাসিক জাহাজ।



দুরুপিনা নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে গবেষণা করে আসছেন গবেষক এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা সেম সেরতেসেন ও তাঁর দল। ২০১৭ সালে এ নিয়ে তাঁর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। দুরুপিনার নিচে জাহাজ পাওয়ার সম্ভাবনার পক্ষে তিনি যুক্তি- প্রমাণ এবং ভূ-গর্ভের ত্রিমাত্রিক চিত্র উপস্থাপন করেন। তবে দুরুপিনার নৌকোটিই যে নোয়ার আর্ক-তার নিশ্চয়তা তিনি দিতে পারেন নি। তবে শীঘ্রই এ নিয়ে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য-প্রমাণাদি নিয়ে হাজির হবার ঘোষণা দিয়েছেন এ গবেষক।



ডাচ শিল্পী জোহান হুইবার ২০১২ সালে জেনেসিসের বিবরণ মোতাবেক একটি আর্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন ১৬ লাখ ডলার খরচে নির্মিত বিশাল নৌকা বা আর্কটি বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে রাখা হয়েছে।

আজকের কৃষ্ণসাগরের তলদেশে প্রাচীন বসতি ছিল?

নোয়ার আর্কের খোঁজ কেবল দুরুপিনাতেই থেমে নেই। ২০০০ সালে দুই মার্কিন সামুদ্রিক ভূতত্ত্ববিদ উইলিয়াম রায়ান এবং ওয়াল্টার পিটম্যান দাবি করেন,বর্তমান কৃষ্ণসাগর ২০ হাজার বছর আগে একটি ছোট্ট লেক ছিল। এর তীর ঘেঁষে জনবসতি থাকারও প্রমাণ পাওয়া যায়। শেষ আইস এজের সময় হিমবাহ গলে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে এটি অতিকায় কৃষ্ণসাগরে পরিণত হয়। ২০১৬ সালে বুলগেরিয়ার নেসেবার উপকূলে কৃষ্ণসাগরের এক হাজার থেকে ছয় হাজার ফুট গভীরে একটি প্রাচীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে নোয়ার আর্ক সন্ধ্যানীদের কৌতূহলের কমতি নেই। কৃষ্ণসাগরের তলদেশে অক্সিজেনের মারাত্মক অভাবে প্রাচীন কাঠের জাহাজটি পঁচন ধরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি।

গণিতবিদ ইয়াকভ পেরেলম্যানের যুক্তিতে মহাপ্লাবনের বিবরণের অসংগতি:

লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি থেকে শুরু করে চার্লস ডারউইন-অনেকেই ফ্লাড মিথের বর্ণনার অসংগতি প্রমাণে যুক্তি দিয়েছেন।
রুশ গণিতবিদ ইয়াকভ পেরেলম্যানের ব্যাখ্যাটা বোধহয় সবচেয়ে সহজবোধ্য। তাঁর 'মহাপ্লাবন অধ্যায়' অনুবাদিত সংস্করণেই যুক্তিগুলো পেয়েছি। দয়া করে ভুল বুঝবেন না। সাধারণ পাটিগণিতের সাহায্যে তাঁর উপস্থাপিত যুক্তিগুলো জেনে নেওয়া যাক:

১)জেনেসিসের বিবরণ অনুযায়ী কল্পিত ৩০০ হাত লম্বা ও ৫০ হাত চওড়া তিনতলা জাহাজটির বাসযোগ্য স্থান ছিল
(৩০০×.৪৫)×(৫০×.৪৫)×৩ বর্গমিটার=৯১২০ বর্গমিটার
অথচ কেবল স্তন্যপায়ী প্রাণিই রয়েছে অন্তত ৩৫০০ ধরণের। নোয়ার অনুসারী,অন্যান্য প্রজাতি এবং প্রয়োজনীয় খাদ্যকে স্থান দেবার জন্য এ স্থান পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া মাথায় রাখতে হবে জাহাজটিকে ২০০০০ টন পানি স্থানচ্যুত করতে হত।

২)প্রতি বর্গমিটার বায়ুস্তরে সর্বোচ্চ ২০ কেজি বাষ্প থাকতে পারে। যদি তার সবটুকুও পুরো পৃথিবীতে ঝরে পড়ে,তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হবে ২.৫ সেমি (পৃথিবী জুড়ে পানির গড় গভীরতা)। কাজেই এটি বড়জোড় একটি স্থানীয় মহাপ্লাবন হতে পারে,পুরো পৃথিবী জুড়ে হওয়া সম্ভব নয়।

তবে কি মহাপ্লাবন অকাট্যভাবে ডাহা মিথ্যে প্রমাণিত হয়???

না,বিষয়টি এতটাও সহজ নয়। আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধির আহবানে কয়েকটা যুক্তি কিংবা প্রশ্ন মাথায় আসে। এগুলো আজগুবি,হাস্যকর কিংবা ডাহা ভুল শোনালে ক্ষমা করে দিবেন।

১)নোয়া/নূহ(আ) তো নিশ্চয়ই ক্যারোলাস লিনিয়াসের সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রজাতি ধরে আনেন নি। মানে গ্রিজলি ভাল্লুক,মেরু ভাল্লুক,কালো ভাল্লুক আলাদা আলাদা প্রজাতি হলেও তিনি নিশ্চয়ই এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন ভৌগলিক পরিমন্ডলে একই প্রাণির আলাদা আলাদা প্রজাতিগুলোকে সংগ্রহ করতে পৃথিবী চষে বেড়ান নি। তাছাড়া,সে সময় প্রাণিজগতে প্রজাতি সংখ্যাও কি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব?

২)ইয়াকভ পেরেলম্যান এক হাত বলতে ০.৪৫ মিটারকে ধরে নিয়েছেন। কিন্তু এটা কি নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব? সে সময়কার একহাতের মাপ ভিন্নও ধরা হয়ে থাকতে পারে। কাজেই,কল্পিত আয়তনের সাথে আর্কের প্রকৃত আয়তনের হেরফের থাকতেই পারে। বিশেষত এটা যদি আমলে নেওয়া হয় যে ঘনকাকার বস্তুর একমাত্রিক বাহুর দৈর্ঘ্য ২ গুণ করলে এর ত্রিমাত্রিক আয়তন ৮ গুণে বেড়ে দাঁড়াবে। আর তাছাড়া আল কুরআন এবং মৎস্যপুরাণে কিন্তু জাহাজের মাপ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় নি।

৩)বায়ুমন্ডলের বর্তমান অবস্থার সাথে সে সময়কার অবস্থানের তুলনা করা কতটা যৌক্তিক? আবার বৃষ্টির সাথে হিমবাহের বরফ গলেও যে এ প্লাবনে অংশ নেয় নি-তার নিশ্চয়তা কি? আইস এজে বরফ গলে সাগর তৈরির উদাহরণই বিবেচনা করুন। আচ্ছা,ঠিক আছে,তবু তা পুরো পৃথিবীকে ডুবিয়ে দিতে হয়তো যথেষ্ট হত না,এটি না হয় আঞ্চলিক একটা প্লাবন। কিন্তু অন্তত আল কুরআনে আঞ্চলিক প্লাবনের তত্ত্বকে সমর্থন করা হয়েছে। তাছাড়া অনেক চার্চ বর্তমানে বৈশ্বিক প্লাবনের ধারণা থেকে সরে এসে একে রূপক আখ্যা দিয়েছে।

৪)বিষয়টি যেহেতু ঐশ্বরিক,কাজেই আপাত স্বাভাবিক যুক্তি মেনে চলতে এর বয়েই গেছে।

প্রধান ধর্মসমূহে মহাপ্লাবনের বিবরণ কি তবে সকল ধর্মের অভিন্ন ভিত্তিকে প্রমাণ করে?

সেমেটিক ধর্মসমূহের অভিন্ন ভিত্তির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু হিন্দুধর্ম,চীনের উপকথা,গ্রিক পুরাণ,রোমান পুরাণ,গিলগামেশের কাব্য,আফ্রিকার মাসাই উপকথা-পৃথিবীজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের ধর্ম এবং লোকগাথায় ফ্লাড মিথ স্থান পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই চমকপ্রদ। যদি এটি বৈশ্বিক প্লাবন না হয়ে থাকে,তবে অবশ্যই মানতে হবে যে সবগুলো বিবরণের আদি উৎস একই। তাই যদি হয় তবে মহাপ্লাবনকে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে পৃথক পৃথকভাবে একেকটি ভিন্ন ধারার(যেমন সেমেটিক এবং প্রকৃতি পূজারি)ধর্মের উৎপত্তির পরিবর্তে একই উৎস থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্নরূপে ধর্মের বিস্তারের পক্ষে একটি যুক্তি (হোক না দুর্বল) বলে কি ধরে নেওয়া যায় না?


পরিশেষে কিছু কথা.......................

আমি আমার ক্ষুদ্র জীবন অভিজ্ঞতায় লব্ধ একটি অনুধাবনকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,স্থান-কালের অসীমতট চাদরের দুটি অনন্য এবং সুনির্দিষ্ট স্থানাঙ্ক বিন্দুতে অবস্থান নেওয়া যেকোন দুজন মানুষের জীবন এবং জগত নিয়ে পর্যবেক্ষণ অভিন্ন হওয়া সম্ভব নয়। তাই সমগ্র মানবজাতির পক্ষে যুগপৎ ধ্রুব সত্য বলে কিছুকে স্থির করাটা অসম্ভব। কেউ হয়তোবা মানসিক প্রশান্তি পায় অদৃশ্যের প্রতি আনুগত্য এবং আত্মসমর্পণে; কেউ বা প্রমাণ বিনে কোন কিছুকে সত্যজ্ঞান না করার দম্ভে। ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার;মানুষের স্বাভাবিক যুক্তিগ্রাহ্যতা এবং জ্ঞানের অতীত অদৃশ্য সত্তাকে বিশ্বাসের নামই তো ঈশ্বরে বিশ্বাস। তাহলে ধর্মকে বিজ্ঞানের ছাঁচে ফেলে এর সত্যতা যাচাইয়ের কিংবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করবার প্রয়াস চালানো কতটুকু যৌক্তিক? চলুক না ধর্ম এবং বিজ্ঞান আপন ছন্দে! দুরুপিনার বুক চিরে যে রহস্যই উন্মোচিত হোক,কিংবা ডারউইন-ভিঞ্চি-পেরেলম্যানরা যে যুক্তি নিয়েই হাজির হোক,তাতে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসীরা নিশ্চয়ই দলে দলে নিজেদের লালিত বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করবে না। কিছু বিষয় না হয় অমীমাংসিত বা রহস্যই থেকে যাক। তবু যে যার বিশ্বাসে অটল থাকবে; অন্যের মত,দর্শন ও বিশ্বাসের প্রতিও সহিষ্ণু এবং শ্রদ্ধাশীল হবে-এটাই তো পরমতসহিষ্ণুতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সৌন্দর্য-তাই নয় কি?

...........................................................................................................................................................................
তথ্যঋণ:
উইকিপিডিয়া(বাংলা সংস্করণে যদিও সরাসরি 'প্রমাণ পাওয়া যায় নি' লেখা);
মহাপ্লাবন অধ্যায়(অনুবাদিত)-ইয়াকভ পেরেলম্যান;
মহাপ্লাবনের বাস্তবতা:পৌরাণিক অতিকথন বনাম বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধ্যান:অনন্ত বিজয় দাস।

(আমার সবশেষ পোস্টটিতে গঠনমূলক সমালোচনা এবং মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেবার কৃতজ্ঞতায় এই লেখাটি শ্রদ্ধেয় নীল আকাশ ভাইয়াকে ভয়ে ভয়ে উৎসর্গ করছি। ভয়ে ভয়ে-কেননা বিষয় নির্বাচনের যৌক্তিকতা নিয়ে আমি নিজেই শঙ্কিত,সেই সাথে কাঁচা হাতের অসংখ্য ভুলভ্রান্তি তো রয়েছেই।আশা করি,উনি এজন্য অসম্মানিত বোধ করবেন না এবং ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআনের ২৯টি সূরায় নূহ (আঃ)-এর ঘটনা তুলে ধরেছেন। কোন কোন সূরায় একাধিকবারও বর্ণিত হয়েছে। একটি সূরা তো পূর্ণাঙ্গভাবে তাঁর ও তাঁর জাতি প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাটির নাম ‘নূহ’।

আল্লাহ বলেন,
‘আমি বললাম, আপনি উহাতে (জাহাজে) প্রত্যেক যুগল হ’তে দু’টি করে তুলে নিন। (তুলে নিন) যাদের প্রতি আগে ভাগেই শাস্তির কথা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের বাদে আপনার পরিবারের সদস্যদেরকে এবং (তুলে নিন) তাদের, যারা ঈমান এনেছে। স্বল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত তাঁর কওম তাঁর উপর ঈমান আনেনি। কথিত আছে, তাদের সংখ্যা নূহ (আঃ) সহ তেরজন। ইবনু ইসহাক্ব বলেছেন, তারা হ’লেন নূহ, তাঁর তিন পুত্র সাম, হাম, ইয়াফিছ, তাদের তিন স্ত্রী এবং অন্য দু’জন লোক।
তাঁর স্ত্রী ও এক পুত্র তাঁর উপর ঈমান আনেনি। ইতিপূর্বে সে কথা বলা হয়েছে। অথচ তারা ছিল তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠজন।

‘আর নূহের নিকট অহি প্রেরণ করা হ’ল যে, আপনার জাতির মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তারা ব্যতীত আর কেউ কখনও ঈমান আনবে না। সুতরাং তারা যা করছে সেজন্য আপনি দুঃখবোধ করবেন না। আপনি আমাদের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধান মত একটি জাহাজ তৈরী করুন। আর যালিমদের সম্বন্ধে আমাকে সম্বোধন করবেন না। ওরা ডুবে মরবে’ (হূদ ১১/৩৬, ৩৭)।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমি অন্য একটি বর্ণনায় ৪০ যুগল নারী পুরুষের উল্লেখ দেখলাম। আমরা আমাদের ধর্ম বইয়েও এমনটিই পড়েছিলাম। আসলে সংখ্যাটি আল কুরআনে উল্লেখ করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারে বিভিন্ন সাহাবায়ে কেরামদের কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রেফারেন্স সমেত মন্তব্যটির জন্য। বিষয়টি আবারও দেখা প্রয়োজন।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এই এই বিষয়ে আমার সুচিন্তিত মতামত দিবো না।
মন্তব্য করতে গেলেই আমাকে নাস্তিক টাস্তিক বলবে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: বিবরণ এবং যুক্তিগুলো যথাসম্ভব নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি;যদি পুরোটা পড়ে থাকেন তবে এটা নিশ্চয়ই বুঝবেন।
আশা করছি,লেখাটা আংশিক পড়ে কেউ ভুল বুঝবেন না। অন্তত শেষ তিনটি প্যারা পড়ুন,তাহলে অনেকটাই স্পষ্ট হবে,কি বলতে চেয়েছি।
আবারও বলছি,কেউ দয়া করে হুট করে কেউ ভুল বুঝবেন না! প্লিজ!

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার লেখা গুলো সত্যি অন্য ধারার ।
আপনার লেখা গুলোর সঠিক মূল্যায়ন করতে হলে তা একবার নয় বেশ কয়েকবার গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়্। আমি পড়েছি । ততোটা সময় দিতে পারিনি বলে মন্তব্যে যাইনি।
লেখা চালিয়ে যান।
আপনার সাফল্য কামনা করছি এবং সেইসাথে সাহসী উদ্যোগ যা প্রশংসার দাবি রাখে।
ধন্যবাদ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,ভাইয়া। ভালো থাকবেন।
সেই সাথে আবারও বলছি,কেবল নবম প্যারাটি পড়ে কেউ ভুল বুঝবেন না,প্লিজ!

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: আমি সহজে কাউকে ভুল বুঝিনা ভাইয়া।আর কি লিখবেন সেটা অবশ্যই আপনার স্বাধীনতা ।লেখা চালিয়ে যান।দিন শেষে পাঠক আপনার লেখার মূল্যায়ন করবে।নিশ্চয় সেটা পজেটিভ হবে ।আপনার পরিশ্রম সার্থক হোক

ধন্যবাদ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ,ভাইয়া! ভালো থাকবেন।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৯

শের শায়রী বলেছেন: রূপম আপনি আপনার এ্যাবাউটে লিখছেন "আমি সতেরো বছর বয়সী এক কিশোর(কিম্বা তরুণ)।" কিন্তু লেখায় সেটা প্রমান করেনা। আপনি লেখা অনেক ঋদ্ধ তথ্য প্রমানে। এনিয়ে আমিও একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম অনেক আগে নুহ নবীর কিস্তির খোজে বাট নির্দ্ধিধায় এটা বলছি আপনার লেখা আমারটার থেকে অনেক ভালো হয়েছে। বয়সের এবং অভিজ্ঞতার তুলনায় আপনি অনেক পরিপক্ক। জাষ্ট কীপ গোয়িং। থামবেন না। আমি নিশ্চিত সামু একজন ভালো ব্লগার পেতে যাচ্ছে।

সাথে আছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় গুরুজি,সকালে উঠে ঘুম ঘুম চোখে আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝে উঠতে পারছিলাম না,কি বলব!
প্রথমত অকপটে স্বীকার করে নিচ্ছি এবং আপনিও হয়তোবা বিষয়টা ধরতে পেরেছেন যে আপনার শ্রাউড অভ তুরিন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি এ ধরণের বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি(সোজা কথা অনুকরণের দুঃসাধ্য এবং ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছি)। এক্ষেত্রে আপনি আমার আইডল।
মিথোলজি/মাইথোলজি আমার আগ্রহের বিষয়। তাই আপনার আর্কাইভটার সন্ধান পাওয়ার পর যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিলাম। গত দুদিন ওই লেখাগুলোতেই (আর সেই সাথে স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাইয়ার দেওয়া রুশ গল্পকাহিনীগুলোর সংগ্রহটাতে) বুঁদ হয়ে ছিলাম। ওগুলো শেষ করেই এটা লিখবার চেষ্টা করলাম।
এটা সামুর মাহাত্ম্য যে,নবীনদের দিক নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার মতন অভিজ্ঞ এবং গুণী ব্লগাররা অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ী ভূমিকা পালন করেন। আপনি অবশ্যই আমাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য বাড়িয়ে বলছেন! অনেক বিষয় টানতে গিয়ে আমি একটু হ-য-ব-র-ল করে ফেলেছি। আমি চেষ্টা করব ভবিষ্যতে আরো সতর্ক হবার।
সত্যিই আপনাকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষা আমার জানা নেই! আশা করছি, শিষ্য হিসেবে আপনার দিকনির্দেশনা এবং উপদেশ সব সময় সাথে পাব।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: বাই দ্যা ওয়ে পৃথিবীর গিলগামেশের মহাকাব্যেও কিন্তু এক মহাপ্লাবনের কথা এসেছে। গিলগামেশ মহাকাব্য এখানে দেখতে পার ( তুমি করেই বললাম, এই কারনে তোমার প্রায় তিন গুন আমার বয়স। রকমারিতে পাবে গিলগামেশ মহাকাব্য (হার্ডকভার) তোমার লেখাটা আমার আর্কাইভে যোগ করলাম শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম

গিলগামেশ না পড়ে থাকলে অবশ্যই পড়বে অনেক কিছু জানতে পারবে। গিলগামেশের মহাকাব্য একটি মেসোপটেমীয় মহাকাব্য। এটি প্রায় ২১০০ খ্রিস্টপূর্বে রচিত হয়েছে। একে প্রায়ই সবচেয়ে প্রাচীন সাহিত্যকর্ম হিসেবে গণ্য করা হয়।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: গিলগামেশ মহাকাব্যের কাহিনী সংক্ষেপ পড়েছিলাম আগে। কিন্তু আসল লেখাটা পড়া হয় নি। অসংখ্য ধন্যবাদ লিংকটা দেবার জন্য। আমি শীঘ্রই বইটা সংগ্রহ করে নিব।

আমি আপনাদের প্রায় সবার থেকেই অনেক ছোট। তাই 'আপনি' না ডাকলেই স্বস্তি বোধ করি।

আমার অসম্ভব রকমের প্রিয় আর্কাইভটিতে এ লেখাটিকেও অন্তর্ভুক্ত করায় আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। আপনাকে কিভাবে ধন্যবাদ জানাব বুঝতে পারছি না! আর্কাইভটার সবগুলো পোস্ট আমি পড়েছিলাম এবং খুবই ভালো লেগেছে।

আপনাকে আক্ষরিক অর্থেই অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি! ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৯

সোহানী বলেছেন: আসবো আবার ফিরে ........+++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ! আমার পাতায় সর্বদাই স্বাগতম। ভালো থাকবেন।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লেখার মান খুবই প্রশংসনীয়, বাকিটা অন্য ব্লগাররা তাদের পোস্টে বলে দিয়েছেন | আপনার কাছ থেকে এরকম অনেক সমৃদ্ধ লেখার অপেক্ষায় রইলাম |

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!! খুব ভালো থাকুন।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

হাবিব বলেছেন: দারুণ পোস্ট। নীলআকাশ ভাইকে উৎসর্গে ভালো লাগা

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন! ভালো থাকুন,স্যার।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনি আশা হত করছেন না। আরো একটা চমৎকার পোস্ট পেলাম আপনার থেকে। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে অনেক ভেবেছি এবং আরো ভাববো। পোস্ট প্রিয়তে ++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই। ভাইয়া,রুশ গল্পকাহিনীর আর কোন লিংক থাকলে দিবেন প্লিজ!
ভালো থাকবেন।

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার! অসাধারণ!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার লেখাটি পড়ে দেখবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি! অনুপ্রেরণার জন্য কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: রূপম,
আমার মতো একজন খুব সাধারণ ব্লগারকে উৎসর্গ করায় খুব লজ্জা পেলাম। আমি সবসমই আমার সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু পারি সবাইকে সাহায্য করি। ইনসা আল্লাহ করেও যাবো। ব্যক্তিগত ব্যস্ততার জন্য গতকালকে ব্লগে বেশি সময় দিতে পারিনি দেখে পোস্টটা পড়তে পারিনি, লজ্জিত।

১। লেখা ভালো হয়েছে। আমার পছন্ড হ্যেছে। প্রচুর তথ্য নিয়ে এসেছেন। যেটা লেখাটাকে দুর্দান্ত করে তুলেছ।
২। যখন এই ধরনের তথ্য ভিত্তিক লেখা লিখবেনঃ তথ্য যেখান থেকে নিবেন সেটা নীচে ক্রম করে দিয়ে দিবেন আর লেখার মাঝখানে (সূত্র১) (সূত্র২) এভাবে দিয়ে যাবেন। যার দরকার সূত্রগুলিতে যেয়ে পড়ে আসবে।
৩। আল কুরআনে ব্যাখ্যাটা আমার পছন্ড হয়নি। আমি যত টুকু জানি সারা পৃথিবী জুড়েই এটা সংঘটিত হয়েছিল। কারণ এর পর নূহ (আলাইহিস সালাম) এর পূত্ররা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পরেছিল। আমি এটা চেক করে দেখবো। পরে জানাবো আপনাকে।
৪। নূহ (আলাইহিস সালাম) সমস্ত পশু পাখীদের আল্লাহর ওয়াস্তে জাহাজে উঠতে বলেছিলে আর সবাই এক এক করে উঠে গিয়েছিল।
৫। জাহাজের মাপ তৌরাতে কি দেয়া আছে আর বিজ্ঞানীরা কি বলেছে সেটার পার্থক্য থাকতেই পারে।
৬। খুব গুরুত্ব পূর্ণঃ এই ধরনের বিষয়ে কখনও আবার বলছি কখনই নিজে কোন সিদ্ধান্ত দিতে যাবেন না। নিজের কিছু কথা বলতে যাবেন না। কারণ আপনি কোন বিখ্যাত বিজ্ঞানী নন যে আপনি পরীক্ষা শেষে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। এটা কোন পরীক্ষা নয়।
৭। সমস্ত তথ্য এবং ব্যাখ্যা লিখে পোস্ট দিয়ে পাঠকের কাছে দিয়ে দিন সিদ্ধান্ত নেবার। খুব ভালো হতো শের শায়রী ভাইয়ের লেখাগুলি পড়ে আসলে। উনি এই ধরনের বিষয়ের সেরা লেখক।

লিখতে থাকুন, কোন ভাবেই থামবেন না । হাতের কিংবা লেখার জড়তা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে।
খুব করে আমার পক্ষ থেকে শুভ কামনা নিবেন। আমি খুব খুশি হয়েছি। প্রিয় তে নিয়ে রাখলাম।
ধন্যবাদ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!

আসলে এটি বৈশ্বিক প্লাবন না আঞ্চলিক প্লাবন এ সম্পর্কে ইসলামের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সূত্রে বিভিন্ন ব্যাখ্যা পেয়েছি। তবে বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যায় দেখেছি বলা হয়েছে যে নূহ(আ) উনার কওমের কাছে দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন;তাই তার দাওয়াত প্রত্যখ্যানকারী জাতিকেই ধ্বংস করা হয়েছিল এবং সেই সাথে সেই অঞ্চলটিকে। আল কুরআনে সম্ভবত বিষয়টি সরাসরি বলা নেই। তাই জেনেসিসের সাথে সামঞ্জস্য করে অনেকক্ষেত্রে 'বৈশ্বিক' ধরে নেওয়া হয়। আমি তাই বিষয়টিকে 'বিতর্কসাপেক্ষ' উল্লেখ করেছি। লেখার সময় আমিও বিষয়টা নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছিলাম। বিষয়টা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,প্লিজ।

আমার প্রথম ড্রাফটে নিচের অংশগুলো ছিল না। আমি নিজের কোন সিদ্ধান্ত কিংবা অভিমত দিতে চাইনি। আসলে পেরেলম্যানের যুক্তিগুলো উল্লেখ করায় যদি কেউ বিশ্বাস বা অনুভূতিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন-এই আশঙ্কা থেকেই বলতে পারেন নিজেকে সেফ রাখতে কথাগুলো লিখেছি।

আমি অবশ্যই চেষ্টা করব যে বিষয়গুলো বলেছেন,সেগুলো নিয়ে আরো সতর্ক থাকতে। টপিকটা আমার খুব প্রিয় হলেও একটু সেনসিটিভ হওয়ায় আমি শুরু থেকেই অস্বস্তিতে ছিলাম লেখা ঠিক হবে কি না। এমনকি লেখা শেষ হবার পর একবার (রাজীব নূর ভাইয়ার কমেন্ট দেখে) ভেবেছিলামও লেখাটা ডিলিট করে দিব কি না। শায়মা ম্যা'ম কে ম্যাসেঞ্জারে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। সম্ভবত এরকম বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আমি খুব বেশি অপরিণত। আশা করছি,বিষয়টা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ভবিষ্যতে বিষয় নির্ধারণের ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকার চেষ্টা করব।

অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন।


১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

নীল আকাশ বলেছেন: ইমাম তিরমিযী হযরত সামুরা (রাঃ) প্রমুখাৎ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে সূরা ছাফফাত ৭৭ আয়াতের তাফসীরে বর্ণনা করেন যে, নূহের প্লাবন শেষে কেবল তাঁর তিন পুত্র সাম, হাম ও ইয়াফেছ-এর বংশধরগণই অবশিষ্ট ছিল।[4] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আরও বলেন যে, سام أبو العرب وحام أبو الحبش و يافث أبو الروم. ‘সাম আরবের পিতা, হাম হাবশার পিতা এবং ইয়াফেছ রোমকদের (গ্রীক) পিতা’।[5]ইবনু আববাস ও ক্বাতাদাহ (রাঃ) বলেন, পরবর্তী মানব জাতি সবাই নূহের বংশধর’।[6]
[তিরমিযী হা/৩২৩০-৩১; আলবানী সনদ ‘যঈফ’ বলেছেন; আহমাদ হা/১৯৯৮২ তাহকীকঃ হামযাহ আহমাদ; হাকেম ২/৫৪৬ পৃঃ; তিনি একে ‘ছহীহ’ বলেছেন ও যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।]

উপরের ঠিক আগের মন্তব্য ডিলিট করে দিবেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি,সত্যিই বিষয়টি একতরফাভাবে উপস্থাপন করা উচিত হয় নি। দুটো ব্যাখ্যাই রেফারেন্সসহ উল্লেখ করা উচিত ছিল। আর সবচেয়ে বড় কথা,আবারও বলছি,আমি সম্ভবত এরকম বিষয় নিয়ে লেখার মত যথেষ্ট পরিণত নই। তাই টপিক নির্বাচনে আরো সতর্ক হতে হবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এবং সেই সাথে আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
জ্বি,ডিলিট করেছি।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি লিখুন। না লিখলে ভুল হচ্ছে কোথায় সেটা বুঝবেন কিভাবে?
ভুল হলে আমরাই ঠিক ঠিক ধরিয়ে দেব।
১। প্রধান ধর্ম সমূহে
২। পরিশেষে
এই দুইটা প্যারা না লিখলেও চলতো।
বেশি বড় সাব্জেক্ট হলে ২ পর্বে দিবেন। লেখা যে ২৫০০ - ৪০০০ শব্দের চেয়ে বেশি না হয়। পাঠক বিরক্ত হয়ে যাবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ভবিষ্যতে আমি সতর্ক থাকব এ নিয়ে। আমাকে অপরিসীম কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। আপনার দেওয়া দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী সংশোধিত হবার চেষ্টা করব।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট!!! শের শায়রী ভাই আপনার ব্যাপারে যা বলার বলেছেন। আমি ফিরে এসে পোস্টের ব্যাপারে বলব।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম! আপনি সম্ভবত সামুর মডারেটরদের একজন। প্রথমত,আমাকে তিন দিনের মাথায়ই সেফ করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি!
আমি পোস্টটা নিয়ে একটু শঙ্কিত। তাই গতরাতে পরামর্শ চেয়ে সম্ভবত আপনার কাছেই ম্যাসেঞ্জারে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলাম। কেননা হয়তোবা এ ধরণের সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আমি খুব উপযুক্ত নই,তবে এটা আমার খুব আগ্রহের একটা টপিক। আর নীল আকাশ ভাইয়া অপর ব্যাখ্যাটির কথা যেমনটি বললেন-ইসলামের দুইটি ব্যাখ্যাই হয়তোবা আমার সমানভাবে উল্লেখ করা উচিত ছিল। আশা করি,পোস্টটি কোনভাবে সামুর নিয়মনীতির সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আর যদি হয়ে থাকে,তবে প্লিজ ভুল বুঝবেন না,আমি ভবিষ্যতে আরো সতর্কভাবে বিষয় নির্বাচন করব। ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

নতুন বলেছেন: খুবই চমতকার লেখার হাত আপনার :)

নূহ আ: এর সময়ের মহা প্লাবন অবশ্যই অতিরন্জিত হয়ে আমাদের কাছে পৌছেছে।

* সারা বিশ্বে এমন বন্যা সম্ভবনা।
* একজন মানুষের পক্ষে এতো বড় কাঠের নৌকা বানানো সম্ভবনা ।
* সারা বিশ্বের সব প্রানী সংগ্রহ সম্ভবনা।
* একটা নৌকাতে এতো গুলি প্রানী রাখা, খাবার দেওয়া, যত্ন করা সম্ভব না।
* যদি আরব বিশ্বে ক্যাঙ্গারূ প্লাবনের পরে নৌকা থেকে নেমে অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে থাকে , তবে পথে কেন কোথাও নেই বা ফসিলও নেই?
* বিশ্বে কিছু স্হানে কিছু প্রানী আছে যা অন্য কোথাও নেই, তারা কিভাবে আরব থেকে ঐ খানে যেতে পারে।
* অল্প কয়েকজন মানুষ থেকে নূহু আ: এর সময় থেকে বত`মানের ৭ বিলিওন মানুষ হওয়াও অসম্ভব।

এরকম অনেক বিষয় আছে যেটা নিয়ে ভাবলে বোঝা যায় এই মহা প্লাবনে পৃথিবির মানুষ, প্রানী ধ্বংস করে আবার নতুন করে শুরু হতে পারেনা।

ইতিহাসে হয়তো বড় কোন বন্যা হয়েছিলো, ধুমকেতুর আঘাতে বা হিমবাহুর বরফ গোলে সেটাই হয়তো ইতিহাসে বিভিন্ন ভাবে পরিবত`ন হয়ে আজকের কাহিনিতে পরিনত হয়েছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: মন্তব্য এবং অনুপ্রেরণার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা!
দেখুন,এটি বিশ্বাসের ব্যাপার এবং আপনি কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন তার উপর নির্ভর করছে। ধর্মীয় বিবরণ বিজ্ঞানের সব যুক্তি সর্বদা মানবে-তা তো নয়। কারণ ঐশ্বরিক ক্ষমতা আমাদের জ্ঞানের অতীত- এ জন্যই তিনি ঈশ্বর। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য তো আর বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা থমকে যাবে না,কাজেই দুটো বিষয়কে নিজ নিজ ছন্দে চলতে দেওয়াটাই বোধহয় শ্রেয়।
আপনার বক্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাই!আর একটি বিষয়-সম্ভবত বর্তমানে সক্রিয় ব্লগারদের মধ্যে আপনিই সব থেকে 'পুরাতন'! সক্রিয়দের তালিকায় আপনার নামের ক্রম সেটাই বলে। ভালো থাকুন।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবিশ্বাসীদের অবিশ্বাস যাই বলুক, যেহেতু আল কোরআনে এটি বর্ণিত সূরায় এসেছে এটাই ১০০% সত্য।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। বিশ্বাসীদের অবশ্যই উচিত কায়মনোবাক্যে নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থের বাণীকে বিশ্বাস করা এবং মেনে চলা। কেননা এটা তাদের জন্য ফরজ এবং বিশ্বাসই ধর্মের ভিত্তি। পোস্টে আমি ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপারে সতর্ক থাকবার চেষ্টা করেছি। আশা করি,ভাইয়া,আপনি আমাকে ভুল বুঝেন নি!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই। চমৎকার পোষ্ট। পোষ্ট টি তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করেছেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া! ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

শায়মা বলেছেন: হা হা আমিও প্রথমে বিশ্বাস করেছিলাম না তোমার বয়স ১৭/১৮। :P
পরে গোয়েন্দাগিরি চালিয়ে নিশ্চিৎ হয়েছিলাম তুমি সত্যিই একটা পিচ্চি কিন্তু মাথাটা বুড়া মানুষের!!!!!!!!! :P
আমি বুঝেছিলাম তোমার মত মানুষেরাই তথ্যবহুল লেখা লিখতে পারে।
আর তোমার জন্য লেখালিখি এক মহৌষধ!

তুমি তোমার সঠিক পথ খুঁজে পেয়েছো!

এখন লিখতে থাকো পিচ্চু.....

গো এহেড!!!!!!!!!!! :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: থ্যাংক ইউ,ম্যা'ম!
আপনার ব্যাপারে এখন টু শব্দটাও করব না! সঠিক দিনক্ষণে পোস্ট করে সব ফিরিস্তি দেব!

২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মহাপ্লবান নিয়ে পোষ্টে আপনার মতামত নেই বললেই চলে, প্রচলিত রূপকথার সারমর্ম লিখেছেন; আপনার মতামত আছে, " পরিশেষে কিছু কথা.." প্যারাগ্রাফে

-এখানে আপনি যা বলেছেন, আশা করেছেন, সেটাই ভুল, ও সেই ভুলের কারণে দুনিয়ার অনেক রূপকথা ধর্মে যোগ হয়েছে: বর্তমান মানুষ, আগের দিনেরমানুষের কম-জ্ঞান-জনিত ভুলকে ক্রমেই পরিশাধন করেছে যুগে যুগে, এটাই বিজ্ঞান

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ব্লগের বহুল আলোচিত চরিত্র আপনি,আমার পাতায় আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
আপনার গঠনমূলক এবং সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

২১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জুন বলেছেন: প্রাচীন যুগে পৃথিবীর অল্পটুকু নিয়েই ছিল মানুষের পৃথিবী। তাই মহাপ্লাবন কতখানি জায়গা জুড়ে হিয়েছিল তা সত্যি ভাববার বিষয়। নুহ (আঃ) এর ঘটনাটি অনেক ধর্মেই দেখা যায়। সাবলীল লেখা, ভালো লাগলো।
+

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,আপু!
হ্যাঁ,সত্যিই তাই। কিন্তু এ নিয়ে সর্বজনস্বীকৃত কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া আদৌ সম্ভব হবে না হয়তোবা।
ভালো থাকবেন।

২২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

সোহানী বলেছেন: আবার আসলাম।

মহাপ্লাবন নিয়ে প্রায় সব ধর্ম এবং মিথে লিখা দেখার পর আমার কিন্তু এক সময়ে ধারনা হয়েছিল অবশ্যই এমন কিছু হয়েছে। এবং আপনার কথার সমর্থনে বলি সেটা হয়তো আঞ্চলিক পর্যায়ে ছিল তবে হয়তো অনেক বড় পরিসরে। পুরো পৃথিবীতে এ ধরনের প্লাবন হলে অনেক বৈজ্ঞানীক সূত্রের মুখোমুখি হতে হয় যা আমি বা অনেকেই মানবে না। কারন সবার উপর বিজ্ঞান সত্য.............

বাই দা ওয়ে, শায়মা বা শের ভাইয়ের লিখায় তোমার বয়স দেখে আমি থমকে গেছি এবং অসম্ভব ভালোলাগায় মনটা ভরে গেল এই ভেবে যে, টিন এজ শুধু মোবাইলেই বুদ হয়ে থাকে না সেখানে তোমার মতো কেউ কেউ ও আছে যারা ভাবে ও ভাবনাকে ব্লগে শেয়ার করে।

সাথে আছি ও থাকবো, তোমার লেখালেখি চালিয়ে যাও সবসময়ই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ আপনাকে! আপনার মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। বিজ্ঞানের কাছে তাই সত্য যা প্রমাণিত। বিজ্ঞানকে অস্বীকার করবার সুযোগ নেই। কিন্তু একজন অতি সাধারণ মানুষের কথা ভাবুন,যার পক্ষে বিজ্ঞানকে দেবার কিছু নেই। তার মতন কারো অনাস্থায় বিজ্ঞানের কিছু যাবে-আসবে না। কাজেই সে যদি সারাজীবন পৃথিবীকে সমতল মেনে মারা যায়-তবে দোষ কি? জনসংখ্যার ক্ষুদ্রতর একটি অংশই বিজ্ঞানের দৃশ্যমান অগ্রযাত্রায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়,বড়সড় একটা অংশ একে বিশ্বাস করে এবং বিজ্ঞানমনস্ক হয়,আর বাদবাকিরাও উপকৃত হয় সবাই,স্বীকার করুক আর না করুক। প্রথমোক্ত সেই ক্ষুদ্র অংশই বিজ্ঞানের মস্তিষ্ক। শেষোক্তরা যেমন আছে,থাকুক না।

উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা! ভালো থাকবেন।

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩০

নুরহোসেন নুর বলেছেন: বিশ্লেষণ মুলক আলোচনা ভাল লাগলো।
তবে ধর্ম টর্ম নিয়ে ভাবলেই কেন জানি চোখে ভাসে প্রতিশোধ, হানাহানি, দলাদলি মানুষের বিভেদ।
তাই আর ধার্মিক হতে ভাল লাগেনা।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম!
মসজিদের ইট আর মন্দিরের ইট এক-ই ইটের ভাটা থেকে তৈরি হয়-ওদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। বিরোধে ইট ছোড়াছুড়ি করি আমরা মানুষরাই। দায়টা মসজিদের না,মন্দিরের না,ইটেরও না। দায়টা আমাদের।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

২৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৪

অপু তানভীর বলেছেন: চমকপ্রদ লেখা । পড়ে মুগ্ধ হয়েছি ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

২৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ছোট থেকে নুহু নবী সম্পর্কে শুনে আসছি। আপনি সেইসঙ্গে অন্য ধর্মগুলোর সহযোগে যেভাবে বিষয়টিকে একটা ছাতার তলায় নিয়ে এলেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পরিশ্রমী পোস্ট। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। গতকাল লাইক করার সময় সবটা শেষ করতে পারেনি। আজ শেষ করলাম।

শুভকামনা জানবেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে !!
ভালো কথা,মরীচিকা পড়া শেষ সবগুলো পর্ব। এমন আরেকটা সিরিজের দাবি রইল!
ভালো থাকবেন।

২৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,
লেখাটা ভালো হয়েছে কিন্তু কেন যেন আমার মনে হয়েছে আমি একটা অনুবাদ পড়ছি । কতগুলো জিনিস একটু অন্যভাবেও লেখা যেত মনে হয় । যেমন একটা লার্জ স্কেল ফ্লাড কিন্তু মিথ না ।কারণ লাস্ট আইস এইজের শেষে যখন পৃথিবী আবার কিছুটা উত্তপ্ত হলো তখন যে পরিমান আইস গলেছিলো তাতে অনেক বড় একটা ফ্লাড কিন্তু হতেই পারে । তাই সেই সময়ে ব্ল্যাক সি এরিয়ার মানব বসতি সেই বন্যায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া খুব অসম্ভব কিছু নয় ।আপনি যে উইলিয়াম রায়ান আর ওয়াল্টার পিটম্যানের বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছেন সেটা কিন্তু এই হাইপোথিসিসের পক্ষে একটা খুব ভালো একটা রিসার্চ ।তাদের মূল বক্তব্য নিয়ে কিন্তু খুব বেশি দ্বিমত নেই মেইনা স্ট্রিম সাইন্টিসদের মধ্যে । এটা খুবই প্লজেবল একটা হাইপোথিসিস । যদিও উইলিয়াম রায়ান আর ওয়াল্টার পিটম্যান ব্ল্যাক স্যার তলদেশের প্রায় একশো ফিট নিচের মাটির ভিন্ন লেয়ার এনালাইসিস করে দেখিয়েছেন যে ব্ল্যাক সির নিচে মেডিটারনিয়াইনের মাটির সেডিমেন্ট রয়েছে । একটা মহাপ্লাবন অকাট্যভাবে মিথ্যে প্রমান করা কিন্তু যায় নি । যেমন উইলিয়াম রায়ান আর ওয়াল্টার পিটম্যান বলেছেন আইস এইজের আগে আমেরিকার ইস্ট কোস্ট সাগরের ভেতর প্রসারিত ছিল ৭৫ -১৫০ মাইল ! যার মানে এখনকার নিউইয়র্কের ম্যানহাঁটুন সি শোরের কোনো শহর ছিল না ছিল ইংল্যান্ডের কোনো জায়গা ! একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে একটা বন্যার সম্ভাবনা তাই আছে সাইন্টিসদের ধাৰণা অনুযায়ী ।

আরেকটা কথা, এই দু'জনের হাইপোথিসিস কিন্তু কুরআনের বক্তব্য সমর্থন করে । এত বড় অঞ্চল জুড়ে বন্যা হলেও কুরআন হজরত নূহের কওমের কথাই বলেছে । কুরআন কিন্তু বলেনি অন্য কোনো জায়গায় অন্য কোনো মানব গোষ্ঠী সেই প্লাবনে ধ্বংস হয়নি । আর কুরআনতো সব সময়ই বলছে সব নবীর ধর্মই ছিল ইসলাম ।তারা একই বাণী প্রচার করেছে ।তাই সব মনোথিস্ট ধর্মের উৎস অবশ্যই এক --ইবরাহীম আলাইহিসসালামের থেকেই এখনকার তিন প্রধান ধর্মের উৎপত্তি । সেটা কোনো প্রশ্ন হতে পারে না এখন স্বাভাবিক ভাৱেই।কিন্তু মনে হলো আপনি সেই প্রশ্নটি করেছেন লেখায় ? আর জেনেসিসের ব্যাপারগুলোতো ডিভাইন কোনো ব্যাপার না মানুষের লেখা।তাই সেখানে ভুল ভ্রান্তি আছেই। সেটা এখনকার ক্রিশ্চিয়ান অথরিটি যারা তারা স্বীকার করেন ।তাই আপনি বাইবেলের রিভাইজ এডিশন দেখবেন সব জায়গাতেই । তাই সেটাকে ভিত্তিতে ধরে কিছু বলা খুবই রিস্কি সব সময়ই ।

যাক এগুলো কিন্তু কেন সমালোচনা নয় আপনার লেখার । এই এঙ্গেলগুলো আসতে পারতো আপনার এই লেখায় বলে আমার মনে হয়েছে । সেগুলো না থাকাতেই হয়ত আমার অনুবাদ অনুবাদ মনে হয়েছে আর একটু ফ্যান্টাসি ধরণের লেগেছে । তবে আপনার লেখা ভালো হয়েছে আবার বলছি ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: য়প্রি মলাসইলমুইনা য়াইভা,

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুচিন্তিত,গঠনমূলক এবং চমৎকার মন্তব্যটির জন্য!

১)আপনি বলেছেন,"তাই সব মনোথিস্ট ধর্মের উৎস অবশ্যই এক --ইবরাহীম আলাইহিসসালামের থেকেই এখনকার তিন প্রধান ধর্মের উৎপত্তি । সেটা কোনো প্রশ্ন হতে পারে না এখন স্বাভাবিক ভাৱেই।কিন্তু মনে হলো আপনি সেই প্রশ্নটি করেছেন লেখায় ?"

"সেমেটিক ধর্মসমূহের অভিন্ন ভিত্তির কথা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই"একথা আমি উক্ত প্যারাটির শুরুতেই উল্লেখ করেছি-বিষয়টি নিশ্চয়ই আপনার চোখ এড়ায়নি। কাজেই আমার প্রশ্ন আব্রাহামিক রিলিজিওনগুলোর অভিন্ন ভিত্তি নিয়ে নয়-বরং হিন্দু ধর্ম এবং চৈনিক উপকথায়ও মহাপ্লাবনের উল্লেখ থাকা নিয়ে। আপনি নিশ্চয়ই জানেন-ভারতে আসা আর্যজাতির আদিভূমি নিয়ে একটি 'স্বল্প' প্রচলিত অনুমান,একত্ববাদীদের দাপটে মধ্যপ্রাচ্য ত্যাগ করা বহুত্ববাদী আজরি জাতিই ভারতে পৌঁছেছিল। অতএব.....

২)লেখাটাতে আমি ফোকাস রাখার চেষ্টা করেছিলাম বিভিন্ন ধর্মীয় এবং পৌরাণিক বিবরণগুলোতে ঘটনাটির উঠে আসা এবং সেই সাথে দুরুপিনার ভাঁজটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বাসীদের কৌতূহলের উপর। বিজ্ঞানের বক্তব্য তাই সেভাবে উপস্থাপন করতে পারিনি। এজন্যই হয়তোবা লেখাটা 'ফ্যান্টাসি' গোছের হয়েছে-আমি স্বীকার করছি। যদি বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করেন,তবে অবশ্যই ঘটনাটির সহজবোধ্য একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যায়-শেষ বরফ যুগ পরবর্তী হিমবাহ গলনের ব্যাপারটি ছাড়াও টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিসের তীরবর্তী অঞ্চলে যে একটা সময় খুব ফ্রিকুয়েন্টলি বেশ বড়সড় আকারের বন্যা হত-এমনই কোন বন্যার বিবরণ অতিরঞ্জিত এবং অতিকথিত হয়ে ধর্মগ্রন্থ এবং পুরাণগুলোতে স্থান পেয়েছে-এমনটি বলতেই পারেন। কিন্তু,ঐ যে বললাম-পৌরাণিক বিবরণ এবং দুরুপিনার উপর ফোকাসটা রাখাতেই এমনটা মনে হচ্ছে-শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সাহেবের ভাষায় 'প্রচলিত রূপকথার সারমর্ম'। আমার এ ব্যর্থতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

৩) আপনি যেমনটি বললেন, "এই দু'জনের হাইপোথিসিস কিন্তু কুরআনের বক্তব্য সমর্থন করে । এত বড় অঞ্চল জুড়ে বন্যা হলেও কুরআন হজরত নূহের কওমের কথাই বলেছে ।" আমিও কিন্তু সেটিই উল্লেখ করেছি। কিন্তু কমেন্টে নীল ভাইয়ার দেওয়া রেফারেন্সগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন এ বিষয়টি নিয়ে ইসলামের বক্তব্য নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে।আমিও কিন্তু ধর্ম বইয়ে বৈশ্বিক মহাপ্লাবনের কথা পড়েছিলাম। জুন আপুর মন্তব্যটাও বিবেচনা করতে পারেন-সে সময় 'মানুষের পৃথিবী' কতটুকু ছিল তাও ভাববার বিষয়। তবে স্বাভাবিক যুক্তিতে একটা নির্দিষ্ট কওমের উপর আজাব আসাটাই বোধহয় স্বাভাবিক-যেহেতু নূহ(আ) উনার কওমের কাছেই দীনের দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন।

৪)এ ধরণের লেখার অভিজ্ঞতা আমার একেবারেই নেই। তাই অপরিণত বুদ্ধিতে কাঁচা হাতে অনেক গড়বড় করে ফেলেছি। গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারিনি+ভাষাতেও জড়তা আছে। তাই 'অনুবাদ অনুবাদ' মনে হয়েছে। আমি ভবিষ্যতে ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করব। আপাতত ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

২৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১

আলামিন১০৪ বলেছেন: I am very slow in typing in Bengali, so please accept my apology for not to take the pain.

First of all, take my sincere appreciation for this excellent and informative write-up. I was also doing a bit of study on this issue and was thinking to attempt like what you have done here. Many of my findings you have addressed here already that include universal nature of this food legend even found in indigenous communities like aborigines in Australia, However, I suppose a few more points are worth mentioning.
1. In my opinion, this flood inundated whole of the world not just part of middle east. The elevation of highest peak in mount Ararat is about 5000 m. With flood above this level should not leave any habitable land dry elsewhere.

2. I dont think Noah (A) was the only prophet in his time. It is possible that there were several messengers during his time sent to different areas. For example Manu to India, one to Australia and so on. All of them were given divine guidance separately to save their righteous and local animals. Needless to say that the Quran or the Bible mentions us only the superior prophet Noah (A) of that time, This explains uniqueness of some fauna which are only found in their native habitat (for example, marsupials in Australia),

3, One might ask that worldwide flood should leave a sediment layer which many geologists claim they have not found any. But from Quranic description, it was not an ordinary river flood so that it would leave some sediment trace, It was rather caused by continuous heavy downpour and another very unusual source which is groundwater. A very recent study suggests that most of the water reserve of the world lies beneath the ground water. Remember the first sign of flood mentioned in the Quran? Water started to gush forth from the cooking pit.

4.Having said all these, there is still a question of mass extinction worldwide during Noah's era which is apparently absent. To my opinion, recession of flood took along with it most of the dead carcasses to ocean and I am hopeful that future technological advance reveal us some of them if fossilized beneath the ocean bed.

5. My last point is regarding appearance of diverse animal kingdom in almost no time (As per the ancient most record of Gilgamesh, the event took place not more that 5000 years ago(?)). One clue we find in the BIble which says, after the flood subsides, God blessed the saved species so that they multiply and diversify.
This is obviously a divine clue to me to explain how the creator brought in so many species. Whoever studied evolution knows that the suggested mechanism of variation among the offspring is mutation or genetic miscalculation which they consider random to me which is impossible unless directed by God Himself. And of course, origin of homo sapiens as suggested from homo erectus does not make sense to me as the brain size suddenly doubled and its beyond any comparison of our intellect with the bipedal apes of the evolutionary tree which is another story.

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার তথ্যবহুল এবং মূল্যবান মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুধু আরারাত পর্বত নয়,জেনেসিস মোতাবেক মহাপ্লাবনের পানি মাউন্ট এভারেস্টকেও ছাড়িয়ে যাবার কথা! কিন্তু গাণিতিক হিসেব-নিকেশ দিয়ে বিষয়টির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না।

আপনার অন্য পয়েন্টগুলোও ভেবে দেখবার মতন। বিশেষত দ্বিতীয়টি। বিষয়টিকে এভাবে ভেবে দেখিনি।

যাহোক,আপনার মন্তব্যটির জন্য একটি আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন। সেইসাথে আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম। ভালো থাকুন।

২৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: Please delete my 2nd post which is a repetition.
Basically there is no contradiction between Biblical and Quranic statement about landing spot. Judi is an individual summit of Ararat mountains where Noah's ark finally landed.
Here it says in Quran,
"Noah called to his son who was apart "O my son, come aboard with us and be not with the disbelievers." He said, "I will take refuge on a mountain to protect me from the water." [Noah] said, "There is no protector today from the decree of The lord our God, except from whom He gives mercy." And the waves came between them, and Noah's son was among the drowned."
So, its obvious that there was not mountain peak left dry in the surrounding area as per Quran.

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: প্রত্যুত্তরে বিলম্বের জন্য ক্ষমা করবেন। নোটিফিকেশন খেয়াল করিনি।
জ্বি,আমিও আপনার সাথে একমত। তবে প্লাবন কতদিন যাবদ হয়েছিল,তা নিয়ে জেনেসিস ও হাদিসের বিবরণে ভিন্নতা রয়েছে।
আর জানেন হয়তো যে বর্তমানে অনেক চার্চই কিন্তু বৈশ্বিক মহাপ্লাবনের ঘটনাটিকে রূপক অভিহিত করছে।

আসলে এসকল বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়াটাই হয়তো শ্রেয়।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহুল মন্তব্য দিয়ে পোস্টটিকে ঋদ্ধ করার জন্য(লেখকের লেখা আর পাঠকের মন্তব্য-দুই নিয়েই ব্লগপোস্ট)।

ভালো থাকুন।

২৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যেহেতু নুহ নবীর কথা কোরানে আছে তাই একজন মুসলিম হিসেবে এটাকে অবিশ্বাস করার কোন উপায় নেই।
তোমার পোষ্ট গুলো বেশ বড় হয় তাই সময় করে পড়তে হয়।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক দিন পর আসলেন,ভাইয়া! স্বাগতম।
হ্যাঁ,তা তো অবশ্যই। মুসলিম হিসেবে মহাপ্লাবনে বিশ্বাস করা আবশ্যক। আমি কেবল বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা নিয়ে বক্তব্য আর যুক্তিগুলোকে একত্র করার চেষ্টা করেছি। বিশ্বাসী হিসেবে কোনভাবেই নূহ (আ) এর ঘটনাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া! ভালো থাকুন।

৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এত কম বয়সে এসব জটিল বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, এবং তা আমাদের জানিয়েছেন- এজন্য আপনাকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন!
"পরিশেষে কিছু কথা..." - পরিশেষের কথাগুলো ভাল লেগেছে। উৎসর্গও ভাল লেগেছে।
অনেকগুলো ভাল ভাল মন্তব্য এসেছে এ পোস্টে, প্রাজ্ঞ এবং এ বিষয়ে লেখায় অভিজ্ঞ ব্লগারদের কাছ থেকে। সেসব মন্তব্যে এবং কিছু কিছু প্রতিমন্তব্যেও, প্লাস ++।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.