নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

রূপম রিজওয়ান

ঙ্কঞ্ছঞ্জ

রূপম রিজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাচ্চাকালটুকু ফুরিয়ে যাবার আগে বড়দের প্রতি শিশুতোষ কিছু প্রশ্ন এবং অভিযোগ.......

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩



ক্যালেন্ডারের আর দুটো মাত্র পাতা ওল্টাবার অপেক্ষা.....

আচ্ছা,বড় হয়ে যাওয়া মানেটা কী? ধাম করে কেউ বড় হয়ে যেতে পারে? না কি ভান করতে করতে শিখে নিতে হয়? কোন বয়সসীমা আছে বড় হবার-আঠারো বছর? সতেরো বছর তিনশত পয়ষট্টিতম দিনে ঘড়ির কাঁটার শেষ স্পন্দনটুকুর মধ্য দিয়ে নিমিষেই একজন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায়? তাহলে ক্যালেন্ডারের লম্বা লম্বা পাতাগুলো আর মাত্র দু'বার ওল্টাবার অপেক্ষা-তারপরই...........

জানি, 'আজকালকার ছেলেপুলে'দের নিয়ে তোমাদের** অভিযোগ-হতাশার অন্ত নেই। আমাদের অপরিণত মনগুলোতেও কিন্তু তোমাদের কান্ডকারখানা নিয়ে অনেক প্রশ্ন,অনেক চিন্তা,অনেক অভিযোগ জমে। তোমরা বুঝ না;আমরাও বলি না-কারণ তোমাদের মনের সাথে যে আমাদের মনের যোজন-যোজন ফারাক;পুরো এক প্রজন্মের সমান।
শেষ দুটো মাস ফুরাবার আগেই আমার নিজের এবং নিজ চোখে দেখা সমবয়সী বন্ধুদের 'বাচ্চাকাল' নিয়ে মনের মধ্যে বুদবুদিয়ে ওঠা কিছু চিন্তা এবং প্রশ্নকে অক্ষরবন্দি করতে চাই। শিশুর কথা(সংবিধান দেখুন) শিশুতোষই শোনাবে-তবু কথাগুলো একটু ভেবে দেখতে পার।

তোমাদের ব্যারোমিটার-ভাঙা প্রত্যাশা...........

আব্বু-আম্মুরা,আমাদের নিয়ে তোমাদের স্বপ্নগুলো অসীম আকাশে ঘুড়ি হয়ে উড়ে বেড়ায়,প্রত্যাশার কোন সীমা-পরিসীমা নেই। আমাদের শখ,আগ্রহ,মেধা,সামর্থ-এগুলোর কোন পরোয়াই কর না তোমরা। এর কারণটা কি?
মনে করে দেখ তো,তোমরা যখন ছোট ছিলে,আমাদের মতন তোমরাও অনেক সময় বইগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবতে-পরীক্ষার আগে ধুম সে পড়ব! পরীক্ষার আগে প্রত্যাশিত 'ধুম সে পড়তে' না পেরে ভেবেছ পরের পরীক্ষা থেকে......। সব স্বপ্ন পৃথিবীতে কারোরই পূরণ হয় না-তোমাদেরও হয় নি-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরের দিন,পরের সপ্তাহ,পরের পরীক্ষা,পরের ক্লাস-এ খেলাটাকে তোমরা কিন্তু পরের প্রজন্ম পর্যন্ত টেনে এনেছ! ভেবে দেখো,আমাদের উপর তোমাদের পর্বতসম প্রত্যাশার বোঝার আড়ালে নিজেদের জীবনের অপূর্ণতাগুলোর আক্ষেপগুলোই লুকিয়ে আছে কি না। তোমাদের উচ্চাশা-আমার ছেলে 'এটা' হবে। কিন্তু দীর্ঘশ্বাসগুলো বলে-আমি 'এটা' হতে পারি নি,আমার ছেলে হবে।

এক প্রজন্মের আক্ষেপগুলোকে আরেক প্রজন্মের উপর চাপিয়ে দেবার অধিকার কি তোমাদের আছে?

তোমরা না বড্ড হুজুগে...............

আচ্ছা ঠিক আছে,আমাদের নিয়ে তোমাদের বাড়বাড়ন্ত প্রত্যাশার হক আছে। কিন্তু আমাদের ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,বিসিএস ক্যাডারই কেন হতে হবে? এজন্য-যে অমুক তার ডাক্তার মেয়েকে,তমুক তার ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে নিয়ে বড়াই করে-তাই? জানো? অলিম্পিকে মেডেল না জেতা সবচেয়ে বড় জনসংখ্যার দেশে আমরা থাকি। খোদা আমাদের দেশে যাদেরকে ওমন টিকা দিয়ে পাঠিয়েছিল,তারা এখন কেউ কলে কাজ করে,কেউ বা আমলা অফিসের চেয়ারে ঠুটোঁ জগন্নাথ হয়ে বসে আছে।
অন্যদেশের মেধাবী ছেলেরা বিজ্ঞানী হয়ে নোবেল জেতে,আর তোমার গুণধর সন্তানগুলো সেই নোবেল বিজয়ীদের নাম মুখস্ত করে বিসিএস ক্যাডার হয়!

তোমরা মোবাইলফোনগুলোর মতন কেন হতে পার না?............

তোমরা ভীষণ ব্যস্ত। বাবা-মা-চাচ্চু-ফুপিরা-সব্বাই খুব ব্যস্ত। অবশ্য আমাদেরও খেয়াল রাখো-আমাদের মানে আমাদের স্কুল,কোচিং,রেজাল্ট-এগুলোর। আমাদের আবদার পূরণ কর,সময় সময় বেড়াতে নিয়ে যাও। কিন্তু কখনো কি ইচ্ছে করে না-আমাদের মনের আবোলতাবোল চিন্তাগুলো শুনতে? ছোটবেলায় আমাদের মনে কত কথা,কত কল্পনা,কত গল্প জমা হয়,তা জানো? আমাদের সেই বাচ্চা-বাচ্চা মনগুলোকে সঙ্গ দেবার জন্য কাউকে আমাদের চাই-ই-চাই।
তোমরা ব্যস্ত;ক্লান্তির দোহাই দাও-মোবাইল কিন্তু দেয় না। মোবাইলের কিন্তু ক্লান্তি নেই। সব্বার অফিস আছে,ওদের কিন্তু নেই। ওদের মত করে আমাদের মনকে আর কেইবা পড়তে পারে?
এজন্যই তো মোবাইলের সাথে আমাদের এত সখ্যতা।



আমরা 'যান্ত্রিক', না কি 'যন্ত্র'?................

তোমরা বল আমরা খুব ঘরকুনো,আত্মকেন্দ্রিক,সমাজবিচ্ছিন্ন;সারাদিন মোবাইল টিপি। আমরা যান্ত্রিক হয়ে গেছি-আমাদের মধ্যে কোন মানবীয় উদ্দীপনা নেই,প্রাণশক্তি নেই। আমাদের বয়সে তোমরা কত কি করতে-খেলাধুলো,হৈ-হুল্লোড়, গাছে চড়া,সাঁতার কাটা,আরো কত কি! আচ্ছা বলতো তোমাদের এই যান্ত্রিক হৃৎপিন্ডের শহরগুলোতে মাঠ,পুকুর কেন রাখ নি? আমরা হাটতে শেখার পরপরই যখন বারান্দার গ্রিল বেয়ে উঠতাম,বাইরে হাত দুটো বাড়িয়ে দিতাম,তখন কি তোমরা এর অর্থ বুঝতে পারতে না? তিল তিল করে আমাদের প্রজন্মের প্রাণপ্রাচুর্যকে খুন করে কারা আমাদের যান্ত্রিক বানিয়েছে? তোমাদের বাবা-মাও কি ঐ মস্ত-মস্ত ব্যাগগুলো কাঁধে চড়িয়ে তোমাদের নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতন স্কুলগুলোতে ছুটত? বিকেলের আদুরে ঘুমটুকু কেড়ে নিয়ে প্রাইভেট টিউটরের হাতে তুলে দিত? যন্ত্রের সাথে সখ্যতার গল্প তো আগেই বললাম। তোমাদের প্রজন্মের নির্বুদ্ধিতাই আমাদের প্রজন্মকে যন্ত্রবৎ বানিয়ে ছেড়েছে।
যন্ত্রের কাছ থেকে মানবীয় উদ্দীপনা কিভাবে আশা কর?

আমরা কেন বড়দের সম্মান করতে ভুলে গেছি? জানতে চাও?............

তোমাদের মুখে গল্প শুনতাম-তোমাদের দাদা,না হয় কোন এক বড় চাচা-যাকে তোমরা বাঘের মতন ভয় করতে! ওনাদের কত সম্মান করতে। তাদের কড়া শাসন আর তোমাদের বাঘের মত ভয় পাবার কেচ্ছার আড়ালে যে কথাটা ঢাকা পড়ে যেত,তা হলো ওনারা ন্যায়-নীতি-আদর্শের আধার হয়ে পুরো পরিবারকে বটবৃক্ষের মত ছায়া দিতেন। বাড়ির সামনের বটগাছ যে চেনে,সে ভিনদেশি বটগাছও চিনবে। আচ্ছা বলতো আমাদের এই আণবিক পরিবারগুলোতে কোন বটবৃক্ষ নেই কেন? যদিও বা কেউ থাকে-চুলপাকা,অশীতিপর,তবু তোমাদের চোখের 'পরে ওনাদের প্রতিবিম্ব দেখে বটবৃক্ষের মত তো মনে হয় না!
আচ্ছা,তোমরা কি বটগাছকে গুল্ম কিংবা বিরূৎ বলো?

আরো আছে...দিনে দুপুরে তোমরা যে একের পর এক পাপ করে চলেছো....কি বলছো? পাপ শুধু ছিঁচকে চোরেরাই করে,তোমরা সাধু? নিপাট সভ্য ভদ্রলোক? সত্যিই তাই? আমরা কিছু দেখি না,বুঝি না ভেবেছো? এতকিছু দেখার পর,এত কিছু বুঝার পর,আমাদের কাছে তোমাদের সম্মান কোথায় থাকে তা কখনো ভেবে দেখেছো? পাপ তো সবাই করে,তোমাদের 'বড়'রাও করেছে,কিন্তু তাই বলে এখনকার যুগের মতন এতটা সাবলীলভাবে?

আমরা খুব উচ্ছৃঙ্খল..............কিন্তু কেন?

একটা মজার জিনিস কি জানো? তোমরা মুখে যা বলো,তার চেয়ে তোমরা কি কাজ করো তা আমাদের মস্তিষ্ককে ঢের বেশি আলোড়িত করে। আমরা তোমাদের কথা না বরং কাজ দেখে শিখি। আচ্ছা,ভালো সরকার মানে কি? কোন সরকার ভালো? কোন সরকার এলে তোমরা সরকারের সিদ্ধান্ত সমালোচনা করা থামাবে,কোন সরকার এলে তোমরা সেই সরকারের জারি করা রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা করবে? বলো? তোমরা ট্রাফিক আইন মানো? "আরে,আইনে তো কত কিছুই লেখা থাকে!"," আইন শুধু আমাদের জন্যই?","ওরাও তো করে-আমরা করলেই দোষ"-নিজের কীর্তির পক্ষে সাফাই গাও। জানো,এগুলো কিন্তু আমরা দেখি! একদম ছোট্টকাল থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে দেখি। দেখে দেখে শিখি। আয়ত্ত্ব করি,রপ্ত করি। অতঃপর তোমাদের বেঁধে দেওয়া নিয়মগুলো ভেঙেও নিজেদের গঠনন্মুখ বিবেককে অজুহাত দেখাতে শিখে নিই-ঠিক তোমাদের মত করে। মিলিয়ে দেখে নাও।

"নইলে বড় হয়ে রিকশা চালাতে হবে".............

পড়ালেখা না করার মত একটা সাংঘাতিক অপরাধের শাস্তি এটা! রিকশাওয়ালা হতে হবে আমাকে? কত নীচ ওরা,ওদের সম্মান দিতে নেই-কর্ম এবং ফলের সামঞ্জস্যতা বিধান করে এ শিক্ষাই তো আমরা ছোটকাল থেকে পেয়েছি। এরকম হাজারো 'শিক্ষা' তোমরা আমাদের দিয়েছো, তোমার বাবা-মা তোমাদের দিয়েছেন-তাদের বাবা-মাও......দেখেছো কিভাবে আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিজেদের অন্তঃকরণে শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি অসম্মান আর ঘৃণাকে পুষছি? বইয়ের দুটো লাইন কি কখনো অন্তঃকরণকে ধুয়ে মুছে সাফ করতে পারে? কাজেই বইয়ে তো কত কিছুই লেখা থাকে,টিচাররা তো কত কিছুই বলে-কিন্তু কোন রিকশাওয়ালা ভাই বলে ডাকলে তা বরদাস্ত করতে হবে? আচ্ছা,কখনো কাউকে দেখেছো কোন রিকশাওয়ালাকে সালাম দিতে? তালিম শেষে আরবি হুজুরকে যখন এগিয়ে দিয়ে আসতাম,তখন ওনার মুখে শুনতাম,"এই রিকশা,যাবি?"। কেন শুনতাম না "আসসালামু আলাইকুম,যাবেন?"? সব কিছু এত গোলমেলে কেন বলতো?? কিতাবের অক্ষরগুলো কেন হেটে হেটে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না?

আমাদের রুচিবোধ,সংস্কৃতিবোধ এত বাজে কেন?..............

আমরা যখন ডিজে খলিদ,উইজ খলিফা,হানি সিং,বিটিএস এর গান শুনি-তখন তোমাদের মুখগুলো দেখলে মনে হয় যেন শিশি ভর্তি তেতো নিমপাতার পাঁচন খেয়ে নিয়েছ। সত্যিই আমাদের রুচিবোধ এত তেতো কেন? বিদেশি সংস্কৃতির প্রতি আমাদের কিসের এত টান? তার আগে তোমরা বলো,তোমরা কি আমাদের পুতুলনাচ বা যাত্রাপালা দেখাতে নিয়ে গিয়েছ? ওগুলো কি এখনো আছে? ওগুলো জিইয়ে রাখতে না পারার দায় কি তোমাদের প্রজন্মের নয়? তারপর বলো,ছোট্টকাল থেকে তো কম মগজধোলাই কর নি,কখনো কি রবীন্দ্রসংগীতের মাহাত্ম্য নিয়ে মগজধোলাই করবার চেষ্টা করেছো? ব্যস্ত তোমরা,সময় দিতে পার না,ছেড়ে দিয়েছ চারকোণা একটা জাদুর বাক্সের সামনে,হাতে ধরিয়ে দিয়েছ সব কাজের কাজি একটা যন্ত্র। আচ্ছা,তোমরাই বলো ওটা হাতে নিয়ে ইউটিউবের ট্রেন্ডলিস্টে রবি ঠাকুরকে পাব না কি ডিজে খলিদকে পাব?

তোমাদের হিপোক্রেসি আমরা না দারুণ উপভোগ করি!.........

তোমরা ভারি অদ্ভুত! মুখে বলো এক,করো আরেক। মুখে বলো মিথ্যে না বলতে অথচ পাড়ার আংকেল,পাশের বাসার আন্টির সাথে যখন গল্পগুজব কর,শুনি না ভেবেছো? মুখে খুব বলো নিয়মকানুন সব অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে,কিন্তু নিষিদ্ধকে সিদ্ধ করবার,অনিয়মকে "সবাই করে,তাই করি" বানাবার উপায় তোমরাই দেখিয়ে দাও। আবারও বলছি,আমরা তোমাদের কথা শুনে শিখি না,বরং তোমাদের কাজ দেখে শিখি। বইপঁচা নীতিবাক্যগুলো যে আমাদের কাছে অসার বুলি হয়ে গিয়েছে তা তোমরা বুঝ না? তোমরা শিক্ষাব্যবস্থার দোষ দাও,বলো যে এই শিক্ষাযজ্ঞ আমাদের কেবল গ্র্যাজুয়েট বানাচ্ছে;মানুষ হওয়া শিকেয় উঠেছে। আচ্ছা,নীতিবাক্য যে প্রজন্মের কাছে অসার বুলি,তাদের তোমরা কোন কলে ফেলে মানুষ বানাবে শুনি?

পৃথিবীটা না সত্যিই রসাতলে যাচ্ছে। চারিদিকে দেখো, সবাই হাসছে,খেলছে,গাইছে,নাচছে-কৃত্রিম হর্ষের কলরবের মাঝে একটা মহাবিপর্যয়ের দিকে আমরা ধীর পায়ে এগিয়ে চলেছি,অবচেতনভাবে;হ্যামিলনের বাশিওয়ালার পেছন পেছন যারা গিয়েছিল,ঠিক তাদের মতন। আজকে তোমরা পাত্তা দিচ্ছো না,হয়তো 'আমরা' যখন 'তোমরা' হব,আর নতুন আরেক প্রজন্ম এসে 'আমরা' হবে,তখনও দিব না। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন একটা দিশেহারা অসহায় প্রজন্ম মর্ত্যলোকে এসে আমাদের সবাইকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। স্বর্গ থেকে কি জবাব দিবে তখন?

তোমরা ঠিকই বলো 'ঘোর কলিযুগ'। কিন্তু চিন্তা করে দেখো,আমাদের মাঝে খারাপ যা দেখতে পাও,তার দুটো উৎসই থাকতে পারে। এক ডিএনএ-তোমাদের থেকে পাওয়া;দুই উদ্ভূত পরিবেশ-পরিস্থিতি যা তোমাদের প্রজন্মের ও তোমাদের পূর্বসুরীদের অসতর্কতা এবং নির্বুদ্ধিতার ফল। পৃথিবীর আলো আমাদের চোখ ছোয়ার পর থেকেই আমরা এমন আজব একটা জগত-সংসার দেখেই বড় হচ্ছি। তাহলে আজকের এ 'ঘোর কলিযুগ'এর দায় আমাদের কতটুকু,আর তোমাদের প্রজন্মের কতটুকু? দ্বিতীয়বার 'আজকালকার ছেলেপুলে'দের অধঃগতি নিয়ে কিছু বলবার আগে একটু বিচার করে দেখো তো! খাড়া পাহাড়ি চড়াইয়ের মধ্যিখানে উলটোমুখ করিয়ে যাদের নামিয়ে দিয়েছো,তাদের অধঃগতি বিনা আর কোন্ গতি থাকতে পারে?

.........................................................................................................................................................................

*বেয়াদবি মাফ করবেন; 'আপনি' করে লিখলে বেখাপ্পা শোনাত।
ডায়েরির পাতা থেকে কিছু পরিবর্তনসমেত কপি করা পোস্ট। আবোলতাবোল কথা,খাপছাড়া লেখা (শিরোনাম দেখুন) বিরক্তির উদ্রেক ঘটালে ক্ষমা করে দিবেন। তবে কথাগুলো বিচার দেখতে পারেন।
যথেষ্ট যোগ্যতা থাকলে লেখাটা শায়মা ম্যা'মকে উৎসর্গ করতাম। কেননা উনি আমার জানা অন্যান্য 'বড়'দের থেকে একদম আলাদা! সবিস্তারে লিখবো অনেকদিন পর....

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ক্যালেন্ডারের আরও দুটি পাতা উল্টাতে হবে !!
এটা কোন যুগের আর কোন গ্রহের ক্যালেন্ডার।

ব্যতিক্রমধর্মী চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: হা হা! :)
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বলন্ত প্রশ্ন!!!

প্রজন্মান্তরের ব্যবধান কমাতে হলে উত্তরগুলো চাই। দ্রুতই।
নইলে বুঝি অনেক বেশি দেরী হয়ে যাবে।


দারুন ভাবনায় ভাললাগা

++++

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: মন্তব্য এবং অনুপ্রেরণার জন্য অনেক ধন্যবাদ!
ভালো থাকবেন।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: অন্যরকম পোষ্ট ।
সত্যি প্রতিভা আছে আপনার .......চালিয়ে যান । +++

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,ভাইয়া! সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২

সাইফ নাদির বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন, আর ‘আপনি’ করে না লিখে আরো সুন্দর হয়েছে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: বয়সে মানুষ বৃদ্ধ হয় না, মূলত সংসারের ছাপেই—পৃথিবীর ঘরে মানুষ দ্রুত বৃদ্ধ হয়!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: হু,সত্যিই তাই!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাবনা ভালো। আগামী কাল আবার আসব পূর্ণাঙ্গ কমেন্ট করতে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমারও বিশ্বাস কনসেপ্টটা ভালো ছিল। কিন্তু টাইপ করে দেওয়ার পর নিজের লেখা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল :( :(
অনেকটা গোলমেলে আর খাপছাড়া ভাব আছে। এটা কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই ডায়েরীর পাতা থেকে কপি করা। ব্লগে পোস্ট করার জন্য লিখিনি। খুব একটা সচেতনভাবে লেখা হয় নি। তাই...
যাহোক,মন্তব্য এবং সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!! আপনার পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য এবং দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রইলাম..

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: মানুষ ছোট কিন্তু ভাবনাগুলো ম্যাচিওরড। লিখে যাও। সাথে আছি।।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: হা হা! আসলে অন্য একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট দেওয়ার চিন্তা ছিল।
মন্তব্য,অনুপ্রেরণা এবং সাথে থাকার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!!!
ভালো থাকুন!

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৪

সোহানী বলেছেন: প্রিয় রুপম, তোমার প্রতিটি অভিযোগ আমি মাথা পেতে নিয়েছি। তোমার মনের কথাগুলো যেভাবে তুলে এনেছো তা আমি দশটা মায়ের মতো নয় ঠিক একই জায়গায় আমাকে বসিয়ে ভাবি। ঠিক এ বয়সটায় আমি কি ভাবতাম বা করতাম। তোমার এ ভাবনাগুলোর একটা প্রতিউত্তর লেখার জন্য মনটা চাচ্ছে। সময় সুযোগ পেলে উত্তর দিবো। যাহোক, সংক্ষেপে একটুই বলি। ঠিক তোমার বয়সী আমারও একটি ছেলে আছে। তোমার মতই ভাবনাগুলো ও আমার সাথে সে শেয়ার করে। আমার সাথে তার কোন বিষয়ে ডিজএগ্রিমেন্ট হলে তা নিয়ে আমরা দু'জনেই খোলাখুলি কথা বলি। ওকে নিয়ে আমার বেশ ক'টি পোষ্টও আছে। শুধু একটি বিষয়ই ওকে বলি যে তুমি কোন কম্পপ্লেইন করার আগে আমার জায়গায় বিজেকে বসিয়ে দেখো। এর অর্ধেক উত্তর তুমি পেয়ে যাবে, আর বাকি উত্তরের জন্য তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে বাবা হবার পর্যন্ত।

আবার আসছি, একটা কাজে বের হতে হচ্ছে এখন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে।
সত্যি বলতে কি,আমিও এখন অনেকটা বুঝি যে ছোটবেলায় বড়দের প্রতি আমাদের মনে অনেক অনুযোগ,অভিযোগ ছিল যা আসলে আমাদের 'বাচ্চা-বাচ্চা' চিন্তাতেই ধরে;আমাদের চিন্তার পরিধিটা খুব ছোট ছিল,জগত সংসারের তেমন কিছুই আমরা বুঝতাম না। তাই বড়দের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যে বিষয়গুলো খুবই সঙ্গত এবং তারাই যে ঠিক,এটা তখন না বুঝলেও এখন খুব বুঝি। কিন্তু আপনি দেখুন,আমাদের প্রজন্মের যে নানান সমস্যা আর অধঃপতনের কথা বলা হচ্ছে বা সামনের দিনগুলোতে যে এ পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে,এটা ধারণা করা হচ্ছে,তার পেছনে মূল দায়টা আসলে কাদের? দুনিয়ায় কোন কিছুই ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়-বিশ্বায়ন এবং প্রযুক্তি বিপ্লব হেতু দ্রুত পরিবর্তনশীল সমাজবাস্তবতায় আপনাদের প্রজন্মের অভিভাবকত্বের কৌশল তো একেবারেই নয়!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং আবারো স্বাগতম!

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭

হাবিব বলেছেন: পোস্ট করে কোথায় হারিয় গেলেন? দারুণ একখান পোস্ট। শায়মাপু কই?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,হাবিব স্যার!
আসলে অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। টাইপটাও অন্য একজন করে দিয়েছে। এই এখন আসলাম ব্লগে।
ভালো থাকুন।

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে।
অভিযোগ তো ২ পক্ষ থেকেই আসতে পারে।
বাবা মার এক্সপেক্টেশন বেশি থাকে দেখেই সন্তানদের কাছে অনেক কিছু আশা করে।
নিজেরদের গোপন লালায়িত স্বপ্ন গুলি পূরণ করার চেস্টা করে সন্তানদের দিয়ে।
কখনও ভুলে যাবে না, এই পৃথিবীর কোন বাবা মা'ই সন্তানের খারাপ চায় না । নিজের
সব কিছু বিসর্জন দিয়ে হলেও প্রতিটা বাবা মা সন্তানদের ভালো চায়।
হুম, লেখা দিন দিন ভালোই হচ্ছে। লেখাপড়া ঠিক মতো চলছে তো ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
জ্বি,আমিও স্বীকার করছি। কিন্তু উদ্দেশ্য ভালো থাকলেও আবেগকে প্রশ্রয় দিয়ে যুক্তিবোধকে দমিয়ে রাখায় শেষমেশ হিতে বিপরীত হবার উদাহরণও কম না। সবার সামর্থ্যের তো একটা সীমা থাকে।
জ্বি,ভালোই চলছে। ১০ তারিখ থেকে মডেল টেস্ট(কোচিং এ) শুরু।
আবারও ধন্যবাদ!

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কি সুন্দর করে লিখেছ!!!
পড়ে শান্তি পেলাম।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,ভাইয়া!
ভালো থাকুন।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লেগেছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

নুরহোসেন নুর বলেছেন: আরো একটি চমৎকার পোস্ট!
শুভ কামনা রইলো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: শুকরিয়া! আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
ভালো থাকুন।

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৬

শায়মা বলেছেন: পিচ্চু,
তোমার লেখাটা পড়লাম। উৎসর্গটাও দেখলাম। এবং তারপরে হাসছি। এবং হাসছি। তুমি যেমনই চিন্তুক, তেমনই ভাবুক, তেমনই বুদ্ধিমান এবং ইমোশন্যালও বটে। তুমি যে আমাকে ম্যাম ম্যাম করো মানুষ কি ভাববে জানো তুমি মনে হয় আমার কোনো স্টুডেন্টই হবে। হা হা হা

তুমি অনেক ভাবো আমি জানি। অনেক ভাবো বলেই মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার। এটা কিন্তু না তুমি নিজেই মোটামুটি সকল প্রশ্নের জবাব জানো। তোমার লেখাগুলো দেখে আমার কি মনে হয় জানো? তুমি মনে হয় অনেক বিতর্ক প্রতিযোগীতার জন্য তৈরী হয়েছিলে। যদিও সাধারণ তর্ক তুমি এড়িয়ে চলো। কারণ তুমি বিনয়ী কিন্তু তোমার ভেতরে কিছু ক্ষোভ বা আক্ষেপ কি উঠে এসেছে এই লেখায়?


এই ক্ষোভ বা আক্ষেপগুলি অবশ্যই বাবা মায়েদের ভেবে দেখবার মত বিষয়। তবে বাবা মায়েদেরও কিছু যুক্তি অবশ্যই আছে সেসবও ভাবনার বিষয়!

যাইহোক আগের লেখাগুলো পড়ে সবাই ভালো বলছিলো কিন্ত চাঁদগাজী ভাইয়ার মত দু একজন ভাবছিলো তাতে চিন্তার খোরাক নেই। এই লেখাটা মনে হয় সেই ভুল ভেঙ্গে দেবে। ব্লগ তোমার জায়গা। লেখালিখিও তোমার এক পরম বন্ধু! কাজেই সামনে এগিয়ে যাও .....

অনেক অনেক ভালোবাসা! :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ!

১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,
'মাথায় কত প্রশ্ন আসে/ দিচ্ছে না কেউ জবাব তার' নজরুলের সংকল্পের মতো হচ্ছে তো দেখছি প্রশ্ন আপানার ! প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর নেই । আমাদের দেশের ইতিহাস, সংষ্কৃতি, ইকোনোমি সব কিছু একসাথে মিলে উত্তর দিতে হবে । তবে শায়মার দীর্ঘ মন্তব্যের পরে আর কিছু বলার আছে বলে মনে হচ্ছে না । ওগুলো আমারও কথা । ধন্যবাদ ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রশ্ন করতে করতেই শিখবে। শায়মাপুর মতো আমিও তোমাকে পিচ্চু বলবো। ওকে ?

বয়স আসলে তুমি কত অভিজ্ঞ সেটার এক ধরনের পরিমাপক বলতে পারো। সবচেয়ে বেশি দরকারী জিনিসটা হলো এই অভিজ্ঞতা। এর কারনেই বিদ্বান লোক সাঁতার না জেনে ডোবার অতিক্রম হয় আবার মাঝি খুব সহজেই উতরে যায়। বয়সের সাথে আমাদের মনে প্রশ্নরা উঁকি দেয়। কিভাবে, কেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তোমার করা প্রশ্নগুলো যৌক্তিক। আমরা যে ট্রানজিশনাল স্টেজ দিয়ে যাচ্ছি তার কারনে এক ধরনের জেনারেশন গ্যাপের সৃষ্টি হয়ে গেছে। এর ফলে তোমার বাবা-মা কিংবা বড়রা অনেক কিছু বুঝবে না। একই কারনে তোমার চোখেও নানান অসংগতি ধরা পড়বে। এগুলোকে সাথে নিয়েই এগুতে হবে।

১৮ বছরের শুভেচ্ছা রলো......

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম!
জ্বি,অবশ্যই ওকে।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ! "আমরা যে ট্রানজিশনাল স্টেজ দিয়ে যাচ্ছি তার কারনে এক ধরনের জেনারেশন গ্যাপের সৃষ্টি হয়ে গেছে।"-এটাই আসল কথা। কিন্তু অসংগতিগুলোকে অন্তত মডারেট পর্যায়ে নিয়ে যেতে না পারলে সামনে খুব বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে! কারণ সামনের দিনগুলোতে ট্রানজিশন আরো দ্রুত এবং শার্প হবে। তখন উদ্ভূত সমস্যাগুলো হয়তোবা আরো বড়সড় হবে,যা এখন হয়তো আমাদের ধারণার বাইরে। আমাদের দুই-তিন জেনারেশন পর যারা আসবে তারা হয়তো আমাদেরকে অভিশাপ দেবে মর্ত্যলোকে বসে! হয়তোবা প্রকৃতি চূড়ান্ত প্রতিশোধ নেবার আগেই মানুষ নিজেই নিজেদের কেয়ামত ডেকে আনবে! কে জানে!
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে বোঝাই যাবেনা আপনি ইয়াং কেউ! কি ভীষন গভীর চিন্তা, চেতনা! অসাধারণ! নিজের ব্লগবাড়িকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন, ব্লগের "আমার পরিচয়" অংশটুকুও খুব সুন্দর!

বাবা মা বা আমাদের আগের জেনারেশনের যেকোন আনফেয়ার থট এন্ড এক্সপেক্টটেশনকে জাস্টিফাই করতে শুধু একটি কথাই বলা হয়, তারা আমাদের খারাপ চান না। এমন একটি কথার ঠিক জবাবই দিয়েছেন ওপরে। খারাপ না চেয়ে খারাপ করে ফেলা কোন মহত্ত্ব নয়।

আমি মনে করি, বড়রা একসময়ে ছোট ছিল তাই তাদের বোঝার ও বোঝানোর দায়িত্বটা বেশি, ছোটরা তো আর বড় হবার অভিজ্ঞতা অর্জন করেনি যে বুঝবে। কিন্তু উল্টো তাদেরকে সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে দিতেই জীবন জেরবার! আমাদের কোন প্রশ্নের জবাব না থাকলে, "বড়রা খারাপ চায়না, বড়রা বেশি বোঝে, তর্ক আর বেয়াদবী কোথা থেকে শিখেছ?" ইত্যাদি বলে থামিয়ে জেনারেশন গ্যাপের গ্যাপটিকে আরো অনেক বিস্তৃত করা হয়ে থাকে। এমন করলে চলবেনা। ছোটদের প্রশ্নকে সিরিয়াসলি নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ছোটদের কাছ থেকে সম্মান পেতে হলে ছোটদেরকে সম্মান করতে হয়। সম্মান ও শ্রদ্ধা যে বয়সের ওপরে নির্ভরশীল নয় সেটা জাতিগতভাবে বুঝতে হবে।

আামাদের জেনারেশনকে সবচেয়ে বেশি পঁচে যাওয়া বলা হয়, সব দোষ আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়! আপনি অনেক অমূলক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন পূর্বের প্রজন্মকে। এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি রোস্ট পোস্ট লেখার ইচ্ছে ছিল, আর লিখতে হবেনা। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো আমি নিজেই লিখেছি! হাহাহা।

তর্ক বিতর্ক টপিক হয় আড্ডাঘরে, দেখেছেন নিশ্চই? কোনদিন আমাদের আড্ডার মতো একটি টপিক সিলেক্ট করে আসবেন। আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর সেখানকার নানা বয়সের মানুষ আলোচনার মাধ্যমে দিতে পারবেন হয়ত। :)

শুভকামনা সকলললল!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: প্রিয় সা.পা.০০৭ ভাইয়া/আপু(?),প্রথমে খুব করে আন্তরিক একটা থ্যাংকস নিন! পোস্টটার বিষয়ে যে টাইপের সাপোর্ট চেয়েছিলাম,একটু দেরীতে হলেও অবশেষে তেমন কিছু পেলাম :)। আর হ্যা,আমার ব্লগবাড়িতে পদধূলি দেওয়ায় আরেকটা থ্যাংকস!

"আামাদের জেনারেশনকে সবচেয়ে বেশি পঁচে যাওয়া বলা হয়, সব দোষ আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়!" -আপনি এই জেনারেশনেরই বুঝি(?)! :)

আড্ডাঘরের বিষয়টা দেখেছি। দারুণ একটা জিনিস। বোরিং লাগলে শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্য পড়ার পাশাপাশি আড্ডাঘরেও ঢু মারি। আগের আড্ডাঘরগুলোও ঘুরে দেখেছি। কিন্তু নবীন আর অপরিচিত হওয়ায় মন্তব্য করার সাহস হয় না।

যাহোক,আবারো অনেক অনেক থ্যাংকস! ভালো থাকুন!

১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আপু! ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম!

সাপোর্ট পাননি কেননা পোস্টটিকে অনেকে নিরপেক্ষ, যুক্তির জায়গা থেকে না দেখে বাবা মা/মুরুব্বীর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে পড়েছেন। হনেস্টলি উত্তর দিতে গেলে মানতে হবে যে, হ্যাঁ আমরা ভুল পথে হেঁটেছি তাই ছোটরা এমন হয়ে যাচ্ছে (সবসময় না কিছু ক্ষেত্রে ছোটরা নিজেই অবাধ্য হয়ে বিগড়ায়)। আমাদের দেশের প্যারেন্টিং স্টাইলে যুগে যুগে যে অনেক ভুল হয়ে এসেছে এবং হচ্ছে সেটা স্বীকার করা বড়দের জন্যে কঠিন; দুটো কারণে: ১) এত বছরের ধ্যান ধারণা, এবং মুরুব্বীদের অশ্রদ্ধা করতে চান না কেউ ২) ছোটদের সামনে ভুল মানলে তারা আর মানতে চাইবে না কোন আদেশ এবং বিগড়ে যাবে সে ভয়!

যারা প্রবলেম আইডেন্টিফাই করতে চান না, তারা সলভ কিভাবে করবেন? আমাদের বড়রা পাল্টাবেন না এই গ্যারান্টি আমি দিতে পারি। :) আমাদের হাতে শুধু একটাই রাস্তা, নিজেদের ছোটদের সাথে সেসব ভুল না করা সেসব ওনারা করেছেন। ছোটদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া, তাদের সামনে মিথ্যা/পরনিন্দা সহ কোন খারাপ কাজ না করা, বয়স অনুযায়ী মানানসই টিভি শোজ দেখানো, বই পড়ানো, খেলার সময় দেওয়া এবং পড়াশোনার গুরুত্ব মারধোর বা অপমান (ড্রাইভারের ছেলের ব্রেইন তোর চেয়ে ভালো) টাইপ কথায় না বুঝিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝাতে হবে।
আমি ওপরে যেসব সহজ কথা বললাম অনেক বাবা মাই এসব করেন না। এসব তো বাচ্চাদের মৌলিক অধিকার! খুব দুঃখজনক।

আরেকটা ওয়েলকাম!

এক্স্যাক্ট আপনার জেনারেশনের না, বেশ কিছু বছরের বড় তবে কাছাকাছি। আর এই টম এন্ড জেরীর জেনারেশন গ্যাপের খেলা সবসময় চলে এসেছে। আমাদের দাদা দাদীর বড়রাও ভাবতেন আমাদের দাদাগুলো সবচেয়ে বদ এবং দাদীগুলো সবচেয়ে নির্লজ্জ। হাহা। তবে আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে অন্তর্জাল এবং সাইকোলজি/হেলথ সহ নানা বিজ্ঞানের উন্নতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞান লাভ করার সুযোগ, আমাদের বড়রা যা পারেননি, প্যারেন্টস হয়ে আমাদেরকে সেটা পারতে হবে। জেনারেশন গ্যাপকে সম্পর্কের গ্যাপ হতে দেওয়া যাবে না। :)


কিন্তু নবীন আর অপরিচিত হওয়ায় মন্তব্য করার সাহস হয় না।
এই বিষয়টি বুঝতে পেরেই নিমন্ত্রণ দিতে এসেছিলাম। আপনার মতো অনেক নতুনই আড্ডাঘরে এসেছেন। অনেকে তো ব্লগিং লেখা শুরু করার আগে আড্ডাঘরে এসেছেন কমফর্টেবল হবার জন্যে, হাহা। আড্ডাঘর অনেক ফ্রেন্ডলি জায়গা, আপনি দু এক সপ্তাহ মন্তব্য করলে আপনার মনে হবে আপনি পুরোন সদস্য। আসুন একদিন সময় করে। আমার মনে হয় আপনার ভালো কিছু সময় কাটবে এবং আপনার মাথায় এত টপিক গিজগিজ করছে সেটা আড্ডাঘরের জন্যেও একটা পাওয়া হবে। :)

আবারো অনেক ওয়েলকাম।
শুভেচ্ছা সকল!

১৯| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

কি চমৎকার লিখেছেন! কি চমৎকার ভাবনা!++
আপনি আসলেই অন্য ধাঁচের।

২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা নয়, দুটো ক্যালেন্ডারের মোট ১৩টি পাতা ইতোমধ্যে উল্টে গেছে, আপনিও অফিসিয়ালী 'সাবালক' হয়েছেন, এবং তার পরে হয়েছেন ব্লগ থেকে (সাময়িকভাবে, আশাকরি) নিরুদ্দেশ! তবে আপনি সাবালক হবার আগেই আপনার কথাগুলো শুধু সাবালকত্বেরই নয়, প্রবীণত্বের স্বাক্ষর ও পরিচয় বহন করেছে।
লেখা যেমন, ছবিটাও তেমন দারুণ হয়েছে।
‘আপনি’ করে না লিখে ভাল করেছেন।
শায়মা এবং সামু পাগলা০০৭ এর মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।
পোস্টে ষোড়শ ভাল লাগা + +।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.