নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

রূপম রিজওয়ান

ঙ্কঞ্ছঞ্জ

রূপম রিজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপারেশন মাউন্টেন ঈগল : চট্টলার পাহাড়ে তিব্বতি ভূতেদের বীরত্বগাথা

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৯


নভেম্বর,১৯৭১। চট্টলার পাহাড়ে হাড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যে সেনা চৌকির বাইরে সতর্ক প্রহরায় খাকি পোশাক এবং ধাতব টুপি পরিহিত এক পাক সেনা। খচখচ......হঠাৎ কিসের যেন একটা আওয়াজ আলোড়িত করলো তার সচেতন কর্ণপটহকে। না তো! কোথাও কেউ নেই। কিন্তু হিমশীতল ইথারে ভেসে সে রহস্যময় অশরীরী শব্দসত্তা যেন ধীমতালে এগিয়ে আসতে লাগলো আরো কাছে। স্নাইপার ট্রেনিং খতম করা একজন সেনার পক্ষে সহযোদ্ধার কাছে ভূতের ভয় স্বীকার করে কাপুরুষের তকমা মাথা পেতে নেওয়া চলে না বটে;কিন্তু চাকমা অধ্যুষিত আপাত নিরাপদ এ পাহাড়ি মুল্লুকে মুক্তিবাহিনীর উৎপাতও তো নেই। তবে? দ্বিধাভরা সংযত পদক্ষেপে এগিয়ে গেল সেই শব্দের দিকে। কিন্তু......কিছু বুঝে উঠবার আগেই ধাঁরালো কিছুর জখমে শিশিরস্নাত ঘাসের উপর লুটিয়ে পড়ল সে।
চৌকির বিপরীত পার্শ্বে প্রহরারত অপর খান সেনাটা আজিব সে শব্দের অনুসরণে এসে সহযোদ্ধার ভূপতিত নিথর দেহ পেল। অদ্ভুত জখমগুলো চারপেয়ে প্রাণির না দুপেয়ে প্রাণির তা নিরসনের পূর্বেই চারদিক থেকে বুলগেরিয়ান একে-৪৭ গর্জে উঠলো-ঢলে পড়লো দ্বিতীয় খানসেনাটিও। চাঁদতারা পতাকা উড়ানো সেনা চৌকিতে অতর্কিত আক্রমণ শেষে আবারও চট্টলার পাহাড়ে মিলিয়ে গেল দুপেয়ে পাহাড়ি ভূতগুলো।
'৭১ এর শেষ দুমাসে এ পাহাড়ি ভূতেদের ঘনঘন উৎপাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল চট্টলার খানসেনারা। বিশেষ ধরণের ছোরা চালানো আর মাঝে মধ্যে বুলগেরিয়ান একে-৪৭ এর গর্জন-আক্রমণ শেষে আবার শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া-এদের আক্রমণের অভিনব কৌশল না মিলে মুক্তিবাহিনীর সাথে,না মিত্র বাহিনীর সাথে। পাহাড়ি প্রতিকূল পরিবেশে চাকমা অধ্যুষিত জনপদে অবস্থান নিয়ে গোটা পাকবাহিনীর মধ্যে ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়াটা যেনতেন বাহিনীর কম্ম নয়। এরা যে ছিল 'ফ্যান্টমস অব চিটাগাং'

অপারেশন মাউন্টেন ঈগল:
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং ভৌগোলিক অবস্থানের বিশেষত্বের কারণে মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম উভয়পক্ষের কাছেই কৌশলগতভাবে আলাদা গুরুত্ব পেত।ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসহ চট্টগ্রামের একটা বড় অংশ শত্রুমুক্ত করে মুক্তাঞ্চল গঠনের উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সমন্বিত কভারট সামরিক অভিযান চালানো হয়,তারই পোশাকি নাম 'অপারেশন মাউন্টেন ঈগল'।

'ফ্যান্টমস অব চিটাগাং' আসলে কারা ছিল?

কথিত এ পাহাড়ি ভূতেদের দল ছিল আসলে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রশিক্ষিত একটি অনানুষ্ঠানিক এক প্যারামিলিটারি বাহিনী;যাদের পোশাকি নাম 'স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স'(SSF)। ১৯৬২ সালে ইন্দো-চীন যুদ্ধ শেষে একঝাঁক তরুণ তিব্বতি যোদ্ধাদের নিয়ে গোপন এ বাহিনীটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আনুমানিক ১০,০০০ সদস্য বিশিষ্ট স্পেশাল ফোর্সটির সদরদপ্তর উত্তর ভারতের চকরতায়। আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলেও আধাসামরিক বাহিনীটি ভারত সরকারের বেতনভুক্ত । প্যারাট্রুপারস ট্রেনিং সম্পন্ন এ যোদ্ধারা পাহাড়ি এলাকায় গেরিলা হামলা,গুপ্ত অভিযান,নজরদারিতে দক্ষ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষে তারা অপারেশন ব্লু-স্টার,অপারেশন ক্যাকটাস,অপারেশন পবন,কার্গিল যুদ্ধ ও অপারেশন রক্ষক-এ গেরিলা যোদ্ধা এবং ফিফথ আর্মি হিসেবে অসামান্য নৈপুণ্যের পরিচয় দেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অক্টোবর মাসে ভারতীয় সেনাবাহিনী 'অপারেশন মাউন্টেন ঈগল' এর অংশ হিসেবে এবং একই সাথে মিজো বিদ্রোহীদের দমন করতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে সীমান্তবর্তী দেমাগিরিতে এসএসএফ এর ৩,০০০ তিব্বতি যোদ্ধা মোতায়েন করে। তিব্বতি ছোরা এবং বুলগেরিয়ান একে-৪৭ হাতে একের পর এক দুর্ধর্ষ আক্রমণে সফল এ গোপন বাহিনীর বিষয়ে পাকবাহিনী দূরে থাক-ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাধারণ সেনারাও জানতেন না। তাই আক্ষরিকভাবেই চট্টলায় ঘাঁটিগাড়া পাকসেনাদের কাছে এই তিব্বতি যোদ্ধারা ছিল এক 'ভূতুড়ে বাহিনী'।

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তিব্বতি যোদ্ধা কি করে এল?


এসএফএফ এর সদস্যরা ছিলেন চীন হতে স্বাধীনতাকামী, ভারতে আশ্রয়প্রাপ্ত তিব্বতি যুবক। তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মীয় নেতা দালাই লামার অনুসারী এবং অনুগামী হিসেবে তারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের পরপরই উড়িষ্যার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পাটনায়েক কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিব্বতি যুবকদের নিয়ে একটি স্পেশাল ফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন। ওদিকে তিব্বতি যোদ্ধারাও চীনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে উৎসুক। তিব্বতি বিচ্ছিন্নতাবাদী জাগো নামগিয়াল দর্জি,গনপো তাশি প্রমুখ দলভারি করতে তিব্বতি যুবকদের মধ্যে জোর প্রচারণাও চালাচ্ছিলেন। অতএব দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে তিব্বতি যুবকদের নিয়ে একটি আধাসামরিক বাহিনী গঠনে কৌশলগত কোন বাধাই ছিল না।

অবশেষে ১৯৬২ সালের ১৪ নভেম্বর নেহেরু সরকারের সম্মতিক্রমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর 'রিসার্চ এন্ড এ্যানালাইসিস উইং' (RAW) তিব্বতি 'চুসিগ্যাংদ্রাগ' নেতাদের যোগসাজশে প্রতিষ্ঠা করে 'স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স (SFF) যা পরবর্তীতে 'Establishment 22' এর মোড়কে আত্মপ্রকাশ করে। পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান ভোলানাথ মল্লিক। ভারতীয় বাহিনী ও তিব্বতি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে এক গোপন চুক্তির মধ্য দিয়ে ৫,০০০ সদস্য নিয়ে SFF যাত্রা শুরু করে। এ বাহিনীর চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল চীন হতে তিব্বতের স্বাধীনতা অর্জন।

দেরাদুনে সিআইএ(CIA) এর অধীনে এসএফএফ-এর তিব্বতি যোদ্ধাদেরকে প্রথমে দু'বছরমেয়াদী গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত কারণে ভারত সরকার এসএফএফ-এর দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করছিলো। তাই প্যারামিলিটারি বাহিনীটির দায়ভার অর্পণ করা হয় মেজর জেনারেল সুজান সিং উবান এর নেতৃত্বাধীন 'Establishment 22' এর উপর। শীঘ্রই বাহিনীর তিব্বতি তরুণরা হয়ে ওঠেন প্রতিকূল পাহাড়ি এবং জংলি পরিবেশের একেকজন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। বিভিন্ন সামরিক অভিযান এবং মিজোরামে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট মিজো বিদ্রোহীদের দমনে অসামান্য সাফল্য দেখিয়ে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এসএফএফ ভারতের বিশ্বাস এবং নির্ভরতা অর্জনে সমর্থ হয়। এভাবেই শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল সমীকরণে সুদূর তিব্বতের কিছু বীর যোদ্ধা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে জড়িয়ে যায়।

যুদ্ধের শেষ তিন মাসে কী ঘটেছিল চট্টলার পাহাড়ি রণাঙ্গনে?

বিএলএফের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার এবং অপারেশন মাউন্টেন ঈগলের অন্যতম কলাম কমান্ডার গোলাম রব্বানের বয়ানে সামরিক অপারেশনটির ধারাবাহিক বর্ণনা পাওয়া যায়। দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে গেরিলা হামলা পরিচালনা বাঙালি মুক্তিফৌজ এবং বিএলএফের জন্য মোটেও সহজ ছিল না। গোলাম রব্বানের ভাষ্যমতে, বিএলএফের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মণি মিত্রবাহিনীর হাইকমান্ডের কাছে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স-কে অপারেশন মাউন্টেন ঈগল-এ সম্পৃক্ত করবার প্রস্তাব দেন। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। তদুপরি চট্টগ্রামে মিজো বিদ্রোহীদের ঘাঁটিও ভারতের জন্য চিন্তার বিষয় ছিল। অবশেষে অক্টোবরে সীমান্তবর্তী দেমাগিরিতে তিন হাজার তিব্বতি গেরিলাকে মোতায়েন করা হয়।

তাদের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গেরিলা যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল সুজান সিং উবান।

নেপালি গবেষক থাসি ডুন্ডাপের গবেষণায় উঠে আসা একটি চিঠিকে স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের কাছে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লেখা চিঠি বলে দাবি করা হয়,যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে এসএফএফ কে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানের সরাসরি আহ্বানের প্রমাণ পাওয়া যায়। চিঠিটির একটি অংশ উদ্ধৃত করা হলো:
"We cannot compel you to fight a war for us, but the fact is that General AAK Niazi is treating the people of East Pakistan very badly, the same way the Chinese are treating the Tibetans in Tibet. India has to do something about it. It would be appreciated if you could help us fight the war for liberating the people of Bangladesh.”
নেপালি রিভিউ ম্যাগাজিন 'Himal Southasian' এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।



দেমাগিরিতে এসএফএফ এর প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল মিজো বিদ্রোহীদের সাথে লড়াই। নভেম্বরের মধ্যভাগে প্রথমে তাদের কিছু সদস্য নয়টি নৌকায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে। অপারেশন মাউন্টেন ঈগল এ অংশগ্রহণকারী তিব্বতি যোদ্ধারা মূলত তিব্বতি ছোরা এবং বুলগেরিয়ান একে-৪৭ দিয়েই একের পর এক সফল গেরিলা হামলা সম্পন্ন করে। তাদের 'Hit and Run' যুদ্ধকৌশলের অভিনবত্ব,ব্যবহৃত অস্ত্র,ইত্যাদি কারণে নব্য এ হামলাকারী বাহিনী সম্পর্কে পাকবাহিনী কোন কূলকিনারা করতে পারছিল না। যশোরসহ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা যখন একের পর এক মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে যাচ্ছিল,বাতাসে যখন 'ঢাকা পতন' এর জোর গুঞ্জন ভেসে বেড়াচ্ছিল,চাকমা রাজা এবং মিজো বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ মদদ পাওয়া চট্টলার পাকবাহিনী পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া দূরে থাক,'পাহাড়ি ভূতেদের' উৎপাতে নিজেদের ঘর সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছিল। আরো বড় ধরণের অভিযানে সম্পৃক্ত করতে পরবর্তীতে তিব্বতি যোদ্ধাদের ৪ টি এম-ফোর হেলিকপ্টার দেওয়া হয়। কাপ্তাই বাঁধ ধ্বংসে পরিচালিত সামরিক অভিযানে মুক্তিবাহিনীর মোড়কে তিব্বতি এসএফএফ এর সদস্যরা অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করে।

তিব্বতি যোদ্ধাদের আরেকটি কৃতিত্ব ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে আশ্র‍য় নেওয়া মিজো বিদ্রোহীদের প্রতিহত করা। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী মিজো বিদ্রোহীদের পাকিস্তান সেনাবাহিনী বহুকাল আগে থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ এবং মদদ দিত। মুক্তিযুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই তারা মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর বিপক্ষশক্তি হিসেবে অবতীর্ণ হয়।



বছরখানেক আগে এসএফএফ এর ব্রিগেডিয়ার রাতুক স্মৃতিচারণায় বলেন-'৭১ এ এসএফএফ এর প্রথম এবং প্রধান লড়াই পাকিস্তান সেনাবাহিনী নয়-বরং মিজো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধেই ছিল। মিজোদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে এসএফএফ কে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে মিজো ঘাঁটিগুলো মুক্ত করতে খুব একটা বেগ পেতে হয় নি। যা ছিল চট্টগ্রামের দায়িত্বে থাকা পাকবাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় যখন কেবল সময়ের অপেক্ষা,পলায়নপর পাকবাহিনীর বার্মায় আশ্র‍য় নেবার পথ রুদ্ধ করে দিতে তিব্বতি এসএফএফ দোহাজারী ব্রিজ গুড়িয়ে দেয়। এমনকি ১৬ ডিসেম্বর নিয়াজির বাহিনী যখন ঢাকায় আত্মসমর্পণ করছে,সেদিনও চট্টলার পাহাড়ি ভূতুরে যোদ্ধারা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান নিয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিল। ১৮ ডিসেম্বর এসএফএফ বন্দি প্রায় ১,০০০ মিজো বিদ্রোহীকে জড়ো করে।

কেন তিব্বতি যোদ্ধাদেরকেই নির্বাচন করা হয়েছিল?


১) মুক্তিযুদ্ধে চাকমা জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। কেননা তৎকালীন চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় '৭১ এ সরাসরি পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সমর্থন জানান;এমনকি দেশ স্বাধীনের পর তিনি পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে পশ্চিমে চলে যান। খানসেনারা পাহাড়ের চাকমা জনগোষ্ঠীকে তাই 'বিপদের কারণ' হিসেবে গণ্য করত না। চেহারা এবং শারীরিক অবয়বে চাকমাদের সাথে সাদৃশ্যের পুরো ফায়দাটাই তিব্বতি যোদ্ধারা নিতে পেরেছিল। রেকি কিংবা হামলার প্রয়োজনে চাকমা জনগোষ্ঠীর মাঝে মিশে যাওয়াও তাদের জন্য সহজ ছিল। সেনাচৌকিতে হামলা চালানো 'ভূতেদের দল'কে চিহ্নিত করতে না পারার পেছনে এটা একটা বড় কারণ ছিল।

২)এসএফএফ এর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দশ্যই ছিল তিব্বতের স্বাধীনতা। তাই দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় তাদেরকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলতে ভারত সরকার সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিল। পাশাপাশি মিজো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে পাহাড়ি রণাঙ্গনে যুদ্ধের অভিজ্ঞতাও তাদের দুর্ধর্ষ পাহাড়ি যোদ্ধায় পরিণত করেছিল। অন্যদিকে মুক্তিফৌজ এবং বিএলএফ-এর সদস্যদের পাহাড়ি পরিবেশে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ছিল না বললেই ছিল। এজন্যই চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় সেনাচৌকি আক্রমণের জন্য ফিফথ আর্মি হিসেবে এসএফএফ অনেকটা অটোচয়েজ ছিল।

মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতি যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ:

অপারেশন মাউন্টেন ঈগলে এসএফএফ এর জন্য শুরুতেই একটি বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছিল। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের পর একদম শুরুর দিকেই এসএফএফ-এর দাপোন(কমান্ডার) ধন্দুপ গিয়াৎসু শত্রুর গুলিতে নিহত হন। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে মুক্তিযুদ্ধে ৪৯ জন তিব্বতি যোদ্ধা শহিদ হন। তবে বিগ্রেডিয়ার রাতুকের স্মৃতিচারণ এবং মেজর জেনারেল সুজান সিং উবানের 'ফ্যান্টমস অব চিটাগাং:ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ' গ্রন্থে নিহতের সংখ্যা ৫৬ জন উল্লেখ করা হয়েছে। রোয়ার মিডিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৯০ জন ও আহতের অনুমিত সংখ্যা ১৯০ জন বলা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের তিব্বতি মিত্ররা তাদের বীরত্বের জন্য কী স্বীকৃতি পেয়েছেন?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসম সাহসিকতার পরিচয় এবং বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সত্ত্বেও তিব্বতি যোদ্ধারা কোন স্বীকৃতি কিংবা সম্মাননা পাননি বললেই চলে। এমনকি ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর আনুষ্ঠানিক নথিসমূহে তাদের উল্লেখ পর্যন্ত নেই। কাপ্তাই বাঁধ ধ্বংসে পরিচালিত অভিযানে তিব্বতি সেনাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও সকল নথিপত্রে তাদের 'মুক্তিবাহিনী' বা 'মুক্তিফৌজ'এর সদস্য উল্লেখ করা হয়েছে কেননা এসএফএফ একটি সিক্রেট ফোর্স এবং 'অপারেশন মাউন্টেন ঈগল' একটি 'Covert Operation'। যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক দলিলপত্রে এ ধরণের গোপন বাহিনী এবং অভিযানের বিবরণ থাকে না। তাই তিব্বতি মিত্রসেনাদের সম্পর্কে ধারাবাহিক এবং পূর্ণাঙ্গ বিবরণের একমাত্র দালিলিক উৎস মেজর জেনারেল সুজান সিং উবানের 'ফ্যান্টমস অব চিটাগাং :ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ'।



ভারত সরকার ১৯৭১ সালে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ৫৮০ জন তিব্বতি গেরিলা যোদ্ধাকে বিশেষ 'অর্থ পুরস্কার' প্রদান করলেও যুদ্ধপরবর্তী কোন আনুষ্ঠানিক সামরিক উপাধি,পদক কিংবা সম্মাননা দেওয়া হয় নি। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে কোন স্বীকৃতি বা সম্মাননা দেওয়া হয় নি। তবে তিব্বতি একটি ওয়েবসাইটে বঙ্গবন্ধু অনানুষ্ঠানিকভাবে তিব্বতি যোদ্ধাদের একটি প্রতিনিধিদলকে ডেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। Tibetwrites নামক ওয়েবসাইটটিতে এ বলা হয়েছে-
"The new country’s founder, Sheikh Mujibur Rahman personally called SFF leaders to thank them for their part in that creation. But this had been a classified mission-one that officially,still does not exist. As such none of the SFF fighters have ever been decorated nor have their contributions ever been officially recognised."

বিশ্ব রাজনীতির জটিল সমীকরণে পড়ে যে তিব্বতি মিত্ররা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন,তারা আজও অনাদৃতই রয়ে গেছেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সামরিক অভিযানে নিয়মিত তাদের সম্পৃক্ত করা হলেও,এসএফএফ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য পূরণে আদৌ কোন অগ্রগতি ঘটেছে কি না-সে বিষয়ে প্রশ্নের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে তাদের সম্পৃক্ততার কারণ বা উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন,আপাত সম্পর্কহীন দূর প্রতিবেশীদের যে অর্ধশতাধিক যোদ্ধার রক্ত এদেশের মাটিতে ঝরেছে,সে ঋণ আমরা কোনদিনও শোধ করতে পারব না।

'অপারেশন মাউন্টেন ঈগল'এ অংশগ্রহণকারী সকল বাঙালি,তিব্বতি,ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম...............



..…........................................................................................................................................................
তথ্যসূত্র:
১)স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স- উইকিপিডিয়া
২)আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিব্বতী যোদ্ধারা-শ্রদ্ধেয় শের শায়রী সাহেব
৩)মুক্তিযুদ্ধের ফিফ্থ-আর্মি : অপ্রচলিত যুদ্ধের কিছু বিষয়ে আলোকপাত
৪)একাত্তরের বিদেশী বন্ধুগণঃ আমাদের দুঃসময়ের সূর্যসারথি (পর্ব-১০)
৫)মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতি যোদ্ধাদের ভুলে যাওয়া বীরত্বের ইতিহাস
৬)অপারেশন মাউন্টেন ইগল: মুক্তিযুদ্ধে একদল তিব্বতিয় গেরিলার বীরত্বগাথা
৭)অপারেশন মাউন্টেন ঈগল
৮)পাহাড়ে মুক্তিযুদ্ধ:অন্য আলোয় দেখা-২

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

ইসিয়াক বলেছেন: অসাধারণ ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,ভাইয়া। ভালো আছেন আশা করি।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।
খুব কাটনি করেছেন পোষ্টটি তৈরি করতে গিয়ে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: তা একটু তো বটেই। ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ভালো থাকুন।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রোমাঞ্চকর বীরত্বে কথা পাঠে মন বারবার শিহরিত হচ্ছিল!

আর বারবার মনে আফসোস হচ্ছে হায় এরকম বিস্ময়কর বীরত্বগাথা থাকত্ওে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মুভি
কত সীমিত পরিসরে।!!!
কত কত চলচিত্রের কাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের রণাঙ্গনে! যা দিয়ে কালজয়ী বহু চলচ্চিত্র তৈরী সম্ভব।

অজানা এক ইতিহাস জানোনোয় কৃতজ্ঞতা।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: মন্তব্য এবং অনুপ্রেরণার জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
পুরোপুরি সহমত। '৭১ এ বিভিন্ন সামরিক অভিযান ও অপারেশনে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা নিয়ে আরো অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব। গতানুগতিক কিছু কাহিনী, ক্রাক প্লাটুনের অভিযান,আর গুটি কয়েক অপারেশন ছাড়া এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট অপারেশন ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় নি বললেই চলে। এ বিষয়টা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠিত ফিল্মমেকারদের ভেবে দেখা উচিত।

আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপম রিজওয়ান ,




এদের সম্পর্কে জানা ছিলোনা।
জানানোর জন্যে ধন্যবাদ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন।
এদের উল্লেখ কোন আনুষ্ঠানিক নথিতে না থাকায় বইপুস্তকেও উল্লেখ করা হয় না। অথচ ভিনদেশী এ মিত্রদের ঋণ আমরা কোনদিনও শোধ করতে পারব না।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

হাবিব বলেছেন: ভাইরে ভাই, এমন একটা পোস্ট দিতে আপনার যে খাটা-খাটনি গেছে আমি জানি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: হাবিব স্যার ভাইয়া,আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার সবশেষ পোস্টটাও তো বিশাল বড়! 'সহানুভূতি' জানাচ্ছি। তবে আপনার মতন সনেট লিখতে পারলে তো কাজই হয়েছিল!
কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন।

৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: দুটো বিষয়ে তুমি আর আমি একই পোষ্ট দিয়েছি একটা নুহ নবীর নৌকা নিয়ে আর একটা স্বাধীনতা যুদ্ধে তিব্বতী যোদ্ধাদের নিয়ে। বলতে আনন্দ বোধ করছি তোমার দুটো পোষ্টই আমার দুটো পোষ্টের থেকে অনেক অনেক তথ্য সমৃদ্ধ আর সুন্দর হয়েছে। এ ধরনের কিছু দেখতে পাওয়াও আনন্দের। জানি সামনে তোমার পরীক্ষা তাই কিছুটা কম লিখছ, তবে আরো লেখ। আমি আনন্দিত তোমার লেখার ভিন্নতা দেখে।

কীপ গোয়িং ইয়াং ম্যান।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় গুরুজি,বিশ্বাস করবেন(?) যদি বলি যে আমি প্রথমে অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে আর্ধেকখানি পোস্ট লিখার পর সামুতে এসে দেখি আপনি মাত্র কদিন আগেই একটা পোস্ট দিয়ে দিয়েছেন। অগত্যা.....
আমি শুধু তথ্য ঠেসে গিয়েছি। আপনার মত করে কৌতুহলোদ্দীপকভাবে কাহিনী বর্ণনায় আপনার একশ ভাগের একভাগের কাছাকাছি হতে হলেও আমাকে আরো বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে।
ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আপনাকে ছোট করতে চাই না। আশা করি সামুতে সবসময়ই শিক্ষক,অভিভাবক এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে পাশে পাব আপনাকে।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৪

ওমেরা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কত কিছু অজানা আমার, আপনার লিখা থেকে একটু কিছু জানলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি ভালো আছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সামরিক অপারেশনগুলোর বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে বিস্তারিত বিবরণ নেই বললেই চলে। অনেকক্ষেত্রে 'রাজনৈতিক' কারণে কিছু অভিযানে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথাকে আড়াল করা হয়। আর সত্যি বলতে কি,পোস্টটা তৈরির আগে এসএফএফ এর বিষয়ে আমারও কোন ধারণা ছিল না।
আবারও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন।

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
পরে আরো ভাল ভাবে পড়বো। ধন্যবাদ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। সকল শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। অজানা অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার পোস্টের জন্য। শুভ কামনা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।

১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ! সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমার জানার পরিধি বেড়াচ্ছে।
আমাদের এতো শক্তিশালী ইতিহাস অথচ তেমন কোন মুভিই নেই। :(

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই তাই। আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের একটা বিরাট অংশ এখনো আড়ালেই রয়ে গেছে। ঐতিহাসিক ঘটনাভিত্তিক ভালো কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে বিষয়গুলো উঠে আসতে পারে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের এক অজানা গোপন ইতিহাস তুলে ধরেছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনিও তো বোধহয় চট্টগ্রামেরই বাসিন্দা।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভালো থাকুন।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: রাতে কালকে আমার ব্লগে একটা বিরক্তিকর ব্লগার এসে খুব ঝামেলা করছিল। সেজন্য আর রাতে পড়তে পারিনি। উপরে সবাই পাঠক হিসেবে বলে ফেলেছে, এখন আমি সমালোচক হিসেবে কিছু পরামর্শ দিচ্ছিঃঃ
১। শহিদ একটা ইসলাম ধর্মে বর্নিত জিহাদে অংশগ্রহন করে মৃত্যু বরণ যারা করে তাদেরকে বলে। অমুসলিম কেউ অথবা মুসলিম কেউ জিহাদ ছাড়া শহিদ হতে পারে না। শহিদ নয় শুদ্ধ বানান হলো শহীদ।

২। লেখার সময় প্রথম দিকে দেখলাম তুমি অতিরিক্ত শব্দ যেমন কর্নপটাহ ইত্যাদি নিয়ে এসেছো। কোন দরকার নেই। যেই শব্দগুলি তুমি সাধারণত ব্যবহার করো সেগুলিই লেখার সময় ব্যবহার করবে। হুট করে লেখার মাঝখানে এই শব্দ বাকি লেখার সাথে মিল হয় না। এই সব শব্দ লেখার ফ্লোও নষ্ট করে দেয়।

৩। লেখার সৌন্দর্যের জন্য আরেকটা কাজ করতে পারো। কারও লাইন বা বিশেষ কোন অংশ লেখার পর দাড়ি দিয়ে এভাবে লিখে দেবে-
......মারা গেল। (সূত্র ১)
এভাবে পুরো লেখাটা দেবার পর শেষ একটা তথ্যসূত্র দেবে (যেটা দিয়েছ একদম ঠিক আছে) তবে এবার সিরিয়াল নাম্বার সূত্র ১ সূত্র ২ ইত্যাদির সাথে মিলিয়ে দেবে। এরপর কেউ কোন প্রশ্ন করলে বা ফালতু কোন মন্তব্য করলে সরাসরি সেই সূত্র নাম্বারটাই বলে দেবে যেখানে যা যা প্রয়োজন।

লেখা তোমার দিন দিন ভালো হচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল। ব্লগ ডেতে থাকার চেস্টা করবে। সবার সাথে পরিচিত হতে পারবে।

মাসে ১৫টা সাধারণ পোস্ট দেবার চাইতে ৪ বা ৫টা মানসম্মত পোস্ট দেয়া অনেক ভালো। কিছুদিন পরে তোমার ব্লগার নিক নাম দেখলেই সবার তখন মনে হবে, এর লেখা পড়ে দেখতে হবে, কারণ এ কখনো খারাপ পোস্ট দেয়া না। আমার ব্লগীয় জীবনে আমি এক মাসে ৬ বা ৭টা বেশি পোস্ট কখনই দেয় নি।
মনে রাখবে, যারা তোমার প্রশংসা করে তাদের চাইতে যারা তোমার লেখার সমালোচনা করে, ভুল ধরে তারাই আসল পাঠক। তোমার লেখার মান ভালো করার জন্য এরাই সবচেয়ে বেশি উপকার করবে। প্রতিটা সমালোচককে প্রচন্ড সম্মান করবে, তার কথার অর্থ বুঝার চেস্টা করবে।

লেখা ভালো হয়েছে। মনোযোগ দিয়েই পড়লাম আমি।
ধন্যবাদ

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,ভাইয়া! এজন্যই আপনার মন্তব্যের জন্য খুব করে অপেক্ষা করছিলাম।

১)ভাইয়া,শহীদ বানানটা আগে লেখা হতো। কিন্তু বাংলা একাডেমির বাংলা অভিধান-২০১৭ সালের সংস্করণে ব্যুৎপত্তির দিক থেকে ভিনদেশি শব্দগুলোতে দীর্ঘ-ঈ কারের ব্যবহার পুরোপুরি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এজন্য অভিধানে 'ইদ','শহিদ','তিব্বতি','ইংরেজি' উল্লেখ করা হয়েছে। আর 'শহিদ/শহীদ' শব্দটির সঠিক প্রয়োগের ব্যাপারে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো। ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ!
২)সত্যি বলতে কি,লেখার সময় সঠিক শব্দচয়নে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে! যে শব্দটা উল্লেখ করেছেন,ওখানে অনেকক্ষণ আটকে ছিলাম। শেষমেশ যে শব্দগুলো লিখছি তা যে অনেকক্ষেত্রেই বেখাপ্পা হয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছি। আরও চর্চা করতে হবে।
৩)ভাইয়া,সূত্রের বিষয়টা আগেও বলেছিলেন,সেটা মাথায় ছিল। কিন্তু লেখার পর লিংকগুলোর কোনটা কোন লাইনে দিব তা গুছিয়ে নিতে পারি নি। সময়ও খুব একটা দিতে পারি নি। তাই সবমিলিয়ে......

আমি চাইলেও সপ্তাহে একটার বেশি পোস্ট দিতে পারব না :(। সময়ও খুব বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে এখন মাঝেমধ্যে অল্পস্বল্প লিখে আর আপনাদের ধরিয়ে দেওয়া ভুলগুলো জেনে,অ্যাডমিশনের পর পুরোদমে ব্লগিং করবো। সবার আগে পড়াশোনা আর ক্যারিয়ার।
নতুন করে আর কি কৃতজ্ঞতা জানাব! ভালো থাকুন।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা!

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় রাকু হাসান ভাইয়ের বাংলা বানান নিয়ে অনেকগুলি পোস্ট আছে। এক এক করে সেইগুলি অবশ্যই পড়বে। আজিব স্ল্যাং শব্দ। প্রবন্ধ লেখার সময় শুদ্ধ শব্দের ব্যবহারের দিকে যত্ন নিবে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি,অবশ্যই। এমনিতেও আমাদের বাংলা দ্বিতীয় পত্রের 'শুদ্ধ বানান' এর জন্য অভিধান আর বই ঘাটাঘাটি করা লাগে। এরকম পোস্টের সন্ধান পেলে তো খুবই ভালো হয়! অনেক ধন্যবাদ!
ভালো থাকুন।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

নীল আকাশ বলেছেন: বাংলা লেখার নিয়ম কানুন

১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

নীল আকাশ বলেছেন: উনার ব্লগ বাড়িতে বাংলার উপর অনেক ভালো ভালো পোস্ট আছে। আমার সাথে উনার অন্তরঙ্গ সর্ম্পক। কিছু জানার লাগলে আমার রেফারেন্স দিয়ে উনাকে বলবে। উনি খুব অমায়িক মানুষ তবে খুব ব্যস্ত। তোমার উত্তর দিতে হয়ত দেরি করবে। আর উনার ভালো ভালো বেশ কিছু প্রবন্ধ আছে। সেইগুলিও পড়বে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: জ্বি,ভাইয়া,গিয়েছিলাম। সত্যিই জবরদস্ত বেশ কয়েকটা পোস্ট আছে। খুব কাজে দেবে।
অনেক ধন্যবাদ!

১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

নুরহোসেন নুর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট, বিজয়ের শুভেচ্ছা নিবেন।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনাকেও বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,

এই তিব্বতি যোদ্ধাদের আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে বিশেষ করে 'অপারেশন মাউন্টেন ঈগল' সম্পর্কে আমি আসলে কিছুই জানতাম না । অনেকটুকু জানা হলো । লেখা খুব ভালো হয়েছে ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,মলাসইলমুইনা য়াইভা।
এ ধরণের কভারট অপারেশন ও সিক্রেট প্যারামিলিটারি ফোর্সের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক নথিপত্র,পত্র-পত্রিকা এবং পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখে অলিখিত একটা নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অপারেশন সম্পর্কে যা কিছু জানা যায়,তার সিংহভাগই সুজান সিং উবানের বই থেকে পাওয়া। অন্য কোন দালিলিক উৎস নেই।
মন্তব্যটা যখন করেছেন,তখনও তো বোধহয় ক্যানাডায় ১৬ ডিসেম্বর ছিল। অতএব,বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা!
ভালো থাকুন।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ !! চমৎকার তথ্য বহুল লেখা !

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম! মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার সালাম জানবেন। ভালো থাকুন।

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অত্যন্ত পরিশ্রমী একটি পোষ্ট , সরাসরি প্রিয়তে ।
এটি পার্যত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের গুঢ় গবেষণাকর্ম তাতেকোন সন্দেহ নেই।
সাবেক চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধকে বহুবছর ধরে বিভ্রান্তির ঘেরাটোপে রাখা হয়েছে। খাটো করে দেখা হয়েছে পাহাড়ি জনগণের মুক্তিযুদ্ধ তথা ১৯৭১ সালে তাদের সব ধরণের চরম আত্নত্যাগের ইতিহাস। অনেকেই বলে থাকেন দুর্গমতার কারণে পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের কোনো ঢেউই লাগেনি কথাটি যে পুরোপুরি ঠিক নয় তা আপনার লেখায় সুন্দরভাবে উঠে এসেছে। জানা গেল ৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার অনেক আগে থেকেই পাহাড় ছিলো উত্তাল । জানা গেল মেজর জেনারেল সুজয় সিং উবানের তত্বাবধানে শেখ মনির নেতৃত্বাধীন মুজিব বাহিনীর একটা অংশ এবং উদ্বাস্তু তিব্বতীদের নিয়ে গড়া স্পেশাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স কিভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জীবন পন বাজী রেখে সহায়তা করেছিল । আমাদের মুক্তিযুদ্ধে জীবন দানকারী তিব্বতি বীরদের প্রতি রইল শ্রদ্ধাহ্জলী । যেহেতু মুল সহায়তা প্রদানকারী দেশ ভারত বিষয়টি গোপন রাখায় পক্ষপাতী ছিল ও তাদের নিকট হতে কিধরনের বোঝাপড়ার নিরিখে ঐ গোপন বাহিনীকে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নিয়োগ করা হয়েছিল তা অনেকটাই দেশের নীতি নির্ধারকদের ব্যপার।তবে এই মহতি কৃতিত্বের জন্য তাঁদেরকে কিভাবে এখন অফিসিয়েলী স্বীকৃতি দেয়া যায় তা দেশের আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারক বিষেযজ্ঞগন ভেবে দেখতে পারেন । আপনার এই পোষ্ট এবং পোষ্টের সাথে থাকা তথ্য সুত্র হতে দেখা যায় বিষয়টি এখন আর কোন গোপন বিষয় নয় ,আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এখন এটা দীবালোকের মত শ্পস্ট যে তিব্বতী কিছু বীর যুদ্ধা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে একটি গুরত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন । তাই তাঁদেরকে কিভাবে যথাযথভাবে রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া যায় তা সকলের ভেবে দেখা উচিত ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: বিজয়ের মাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আমার পাতায় স্বাগত জানাতে পারাটাই এ পোস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি এবং সার্থকতা।
আপনি পুরো লেখাটি পড়েছেন জেনে এবং আপনার মূল্যায়নে কৃতার্থ হলাম।
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত-এসএফএফ কে অফিসিয়াল স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বোদ্ধাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। কিন্তু ইন্দো-চীন রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ওদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়াটা অত্যন্ত দূরুহ হবে।

আপনার প্রতি আবারও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা....
ভালো থাকুন।

২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার লেখা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অজানা অনেক কিছুই জানলাম। স্বাধীনতার পরে এই যোদ্ধাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্মান জানানো খুব জরুরী ছিল। সেটা কি খুব কঠিন কিছু ছিল?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম!
বঙ্গবন্ধু কিন্তু এসএফএফ-এর একটি প্রতিনিধি দলকে অনেকটা গোপনে ঢাকায় ডেকে এনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। অন্তত Tibetwrites ওয়েবসাইটটি তাই বলে( কিন্ত সরকারি নথিপত্রে এর উল্লেখ নেই)। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পরবর্তী কোন সরকারই তাদের সম্মান জানানো বা স্বীকৃতি দেবার কোন উদ্যোগ নেয়নি। আর যেহেতু এসএফএফ-এর গায়ে 'চীনের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি'র তকমা রয়েছে,তাই ওদের সম্মাননা জানিয়ে চীনকে চটাতেও চায়নি কোন সরকার।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন।

২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৭

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার এ লেখার শিরোনামে 'চট্টলা' শব্দটি দেখে ভেবেছিলাম লেখাটি সময় করে পড়তে হবে। কারণ চট্টলার সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত। কিন্তু সময়ের সাথে আপনার লেখাটি প্রথম পৃষ্টা থেকে আড়ালে চলে যাওয়ায় আর চোখে পড়েনি, পড়াও হয়নি। আমার সাম্প্রতিক একটি পোস্টে আপনার মন্তব্য দেখে আপনার ব্লগ বাড়িতে আসলাম। খুব অল্প সময়ে বিচিত্র সব বিষয়ে লিখেছেন। লেখার মান ও স্টাইল দেখে বুঝাই যায় এই ব্লগে নতুন হলেও লেখালেখিতে নতুন নয়। ব্লগে স্বাগতম।

মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ এই লেখাটি খুবই ভালো লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলকে মুক্ত করার নেপথ্যে অবদানকারী ভিনদেশি যুবকদের সম্পর্কে জানলাম বিজয়ের ৪৮ বছর পর! যথেষ্ট সময় ও শ্রম দিয়ে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের একটা অজানা অধ্যায় নিয়ে লেখা এই ঐতিহাসিক তথ্য সম্বলিত পোস্টটির জন্য আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

লেখার ফাঁকে ফাঁকে সময় পেলে ব্লগে যাদের লেখা আপনার ভালো লাগে সেখানে মন্তব্য করবেন। এতে আপনার পরিচিতি যেমন বাড়বে তেমনি আপনার লেখাও অন্যরা পড়ার সুযোগ পাবে। একবার পরিচিতি হয়ে গেলে এবং লেখায় পড়ার মতো খোরাক থাকলে পোস্ট পৃষ্টার আড়ালে চলে গেলেও আমরা খুঁজে বের করে পড়বো।

অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি!
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
"...বুঝাই যায় এই ব্লগে নতুন হলেও লেখালেখিতে নতুন নয়।"-বিষয়টা কিন্তু ঠিক উল্টো! আমি সামুতে পর্যটক হিসেবে আছি ক্লাস টেন থেকেই,কলেজে উঠে 'বড় হয়ে' সাহস করে একাউন্ট খুলে ফেললাম আর কি। আর লেখালেখিতে একদম আনাড়ি;১ নং প্র উ:,২ নং প্র উ: এর নিচে যা লিখি,আমার দৌড় ওতটুকুই। তবে ব্লগে আপনাদের থেকে একটু একটু করে শিখছি।

আপনার পরামর্শগুলো অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্য এবং পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার সিরিজটার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকুন!

২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্য প্রকাশের আকালের দিনে এমন একটা পোস্ট মনকে উজ্জীবিত করেছে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্বাগত জানাতে পেরে কৃতার্থ বোধ করছি।
"সত্য প্রকাশের আকালের দিনে....."-একজন মুক্তিযোদ্ধার কথায় এতটা হতাশা ফুটে ওঠাটা খুব দুঃখজনক :(
নিশ্চয়ই সুদিন আসবে :) :)
ভালো থাকুন। কৃতজ্ঞতা।

২৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ১২ তম ভাল লাগা। সাথে পোস্ট প্রিয়তে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগবাড়িতে!
দেরিতে প্রত্যুত্তর দেওয়ায় ক্ষমা করবেন। নোটিফিকেশন আসে নি।
পাঠ,মন্তব্য ও লাইকের জন্য অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.