নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.

রূপম রিজওয়ান

ঙ্কঞ্ছঞ্জ

রূপম রিজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবি ঠাকুরের নামে ডাইনোসর Barapasaurus tagorei: বাঙালির ডাইনো-ফসিল আবিষ্কারের গল্প

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬



সন ১৯৫৮। দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানার গোদাবরী উপত্যকায় একটা কিছুকে কেন্দ্র করে বেশ বড়সড় একটা জটলা বেধে আছে। সামান্য একটা গাছের গুড়ি নিশ্চয়ই মহারাষ্ট্র সীমান্ত ঘেঁষা নালগোন্ডায় ডাইনোসরের ফসিলের অনুসন্ধানে আসা গবেষকদলের রুদ্ধশ্বাস কৌতুহলের কারণ হতে পারে না। কিন্তু জীবাশ্মভূত প্রকান্ড গুড়িটির নিচ থেকে সাদা-মতন কিছু একটা কোটি বছরের অভিশাপ ঘুচিয়ে দিবালোকে আত্মপ্রকাশ করতেই কর্মীদের হাঁকডাকে জড়ো হয়েছে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইউনিটের পুরো গবেষকদল। সতর্কতার সাথে বেলেপাথর ও কাদাপাথর খুঁড়ে শেষ পর্যন্ত প্রথম যে প্রকান্ড ফিমার হাড়টি উঠে এল তার দৈর্ঘ্য গড়পড়তা ভারতীয়ের উচ্চতার চেয়ে ঢের বেশিই হবার কথা। হয়তোবা ব্যস্ত অপলক দৃষ্টিতে খননকার্য পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করে যাওয়া প্রফেসর লামেলা রবিনসনের উচ্চতার চেয়েও খানিকটা বেশি হবে! ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের অনুরোধে চীন ছেড়ে ডাইনো-ফসিলের সন্ধানে ভারতে এসে লন্ডন ইউনিভার্সিটির এ প্রফেসর যে কোন ভুল করেননি,তা ভালোই বুঝতে পারছেন। বাঙালি বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্রের সাথে আসা দলটিতে বাঙালির সংখ্যাই বেশি।
এক এক করে যখন প্রাগৈতিহাসিক অস্থিগুলো বের করে আনা হলো,প্রফেসর রবিনসন এবং প্রশান্ত মহলানবিশ মোটামুটি নিশ্চিত হলেন গোদাবরী উপত্যকায় তাঁরা নতুন একটি ডাইনো-ট্যাক্সন আবিষ্কার করে ফেলেছেন! উদ্ধারকৃত প্রায় ৩০০ টি হাড়গোড় একটিমাত্র ডাইনোসরের নয়,সেখানে জেনাসটির অন্তত ছয় সদস্যের অস্থি ছিল।
দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণা শেষে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া গেল যে এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি ডাইনো-জেনাসের ফসিল। অবশেষে প্রসিদ্ধ জার্নাল Nature-এ ১৯৬২ সালে নতুন জেনাস আবিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখনও পর্যন্ত এটিই ছিল ভারতে আবিষ্কৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডাইনো-ফসিল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁরই স্নেহধন্য বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের প্রস্তাবে এর নামকরণ করা হয়-
Barapasaurus tagorei.



ভারতীয় উপমহাদেশেও ছিল ডাইনোসর??

একটা সময় পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ভারতে ডাইনোসরের ফসিল পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করতেন। কিন্তু ১৮২৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন উইলিয়াম হেনরি স্লিম্যান মধ্যপ্রদেশের জাবালপুরে বৃহদাকৃতির কিছু কশেরুকার খন্ড আবিষ্কার করলে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়।
যদিও সেটি যে ডাইনোসরেরই ফসিলের অংশ তা নিশ্চিত হতে বহু বছর গবেষণা করতে হয়েছে। সেটিকে নিশ্চিতভাবে Titanosaurs এর কশেরুকা বলে ঘোষণা দিতে ১৮৭৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অবশ্য উত্তর আমেরিকা,আফ্রিকার অনেক স্থানেই টাইটানোসরাসের বিচরণের প্রমাণ পূর্বেও পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে দক্ষিণ ভারতসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ডাইনোসরের ফসিলের অংশবিশেষ আবিষ্কৃত হতে থাকে। সেখানে টাইটানোসরাস(Titanosaurus),ইন্দোসরাসের(Indosaurus) মত তৃণভোজী সরোপড যেমন ছিল,তেমনি রাজাসরাস(Rajasaurus) এর মত মাংসাশী ডাইনোসরের ফসিলও পাওয়া যায়। কিন্তু ফসিলগুলোর খুব অল্প অংশই পাওয়া যাচ্ছিল,সেগুলোকে মাউন্ট করা সম্ভব হচ্ছিল না। বারাপাসরাসের(Barapasaurus)-এর ফসিলই তখনো পর্যন্ত ভারতে পাওয়া একমাত্র প্রায়-সম্পূর্ণ ফসিল ছিল। গুজরাট,কোলকাতাসহ ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে জাদুঘরে, উদ্ধারকৃত ডাইনো-ফসিলগুলো সংরক্ষিত আছে।

দেখতে কেমন ছিল বারাপাসরাস?


জুরাসিক পার্ক মুভি দেখেছেন যারা,তাদের কাছে অন্তত তিনটি প্রাগৈতিহাসিক প্রাণি পরিচিত হবারই কথা-হিংস্র মাংশাসী টিরেনোসর,লম্বা গলা ও লেজের তৃণভোজী সরোপড ব্রাকিওসরাস এবং উড়ুক্কু টেরোনোডন। Barapasaurus ও ব্রাকিওসরাসের মত একটি তৃণভোজী সরোপড ছিল। মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত পূর্ণবয়স্ক একটি বারাপাসরাসের আনুমানিক দৈর্ঘ্য ছিল ১৮ মিটার।

কেবল ফিমারের দৈর্ঘ্যই ছিল ১.৭-১.৮ মিটার যা একজন গড়পড়তা বাঙালির উচ্চতার চেয়েও হয়তো বেশি-এজন্যই বাংলা 'বড় পা' এর আদলে এর নাম 'বারাপাসরাস'। থলথলে দেহের ওজন ছিল ৭ টনের মত। অন্যান্য সরোপডের মত এদেরও লম্বা গলা এবং লম্বা লেজ ছিল। বিশেষায়িত কশেরুকা দ্বারা তৈরি এদের লম্বা গলা উঁচু গাছ থেকে পাতা ছিড়ে খেতে সহায়তা করতো। লম্বা গলার তুলনায় এদের মাথা যথেষ্টই ছোট ছিল।[২]

শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো ছিল দৈর্ঘ্যের তুলনায় প্রস্থে বেশ সরু। পিঠে খাঁজ ছিল বলেও অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন যা ব্রাকিওসরাস এবং ডিপ্লোডেকাসের মত সরোপডদের থেকে ব্যতিক্রম। কিন্তু বিষয়টি সুনিশ্চিত নয়।

এদের দাঁতগুলো ভেতরের দিকে ছিল অনেকটা চামচ আকৃতিবিশিষ্ট। প্রাপ্ত সবচেয়ে বড় দাঁতটির দৈর্ঘ্য ৫.৮ সে.মি.। দাঁতের অমসৃণ প্রকৃতি এবং ভঙ্গুর এনামেল গঠন থেকে ধারণা করা হয় এরা উঁচু গাছ থেকে পাতা ছিড়ে যেমন খেত,তেমনি স্থলজ এবং জলজ গুল্মও খেত।[১] একই ভৌগোলিক বিস্তৃতিতে মাংশাসী রাজাসরাসের উপস্থিতির কারণে এটা অনুমান করা খুব অযৌক্তিক হবে না মাংসল শরীরের নিরীহ বারাপাসরাসকে প্রায়শই রাজাসরাসের খাদ্য হতে হত। সুবিশাল দেহ নিয়ে এদের পক্ষে দৌড়ে রাজাসরাসকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব ছিল না। তবে অন্যান্য সরোপডের মতই এদের মাংশাসী শিকারিদের হাত থেকে পরিত্রাণের প্রধান অস্ত্র ছিল লম্বা লেজ। অতিরিক্ত চতুর্থ একটি স্যাক্রাল ভার্টিব্রাটা থাকবার সুবাদে এরা সপাটে লেজ চালনা করতে পারত বলে ধারণা করা হয়।

বারাপাসরাস টেগোরেই-এর ট্যাক্সনোমি:


জুরাসিক যুগের প্রারম্ভিক অংশে পৃথিবীতে বিচরণকারী যে অল্প কয়েকটি সরোপডের কথা এখনো অবধি জানা যায়,তাদের মধ্যে বারাপাসরাস অন্যতম। ১৯৬.৫ মিলিয়ন থেকে ১৮৩ মিলিয়ন বছর আগে ভারতে এরা বিচরণ করত। [২]
বারাপাসরাস টেগোরেই-কে নিম্নোক্তভাবে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়-
Animalia>Chordata>Dinosauria>Saurischia>Sauropodomorpha>Sauropoda>
Gravisauria>Barapasaurus>B. tagorei


অবশ্য সরোপডসমূহের আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। পূর্বে ভালকানোডন(Vulcanodon)এর সঙ্গে বারাপাসরাস একই ট্যাক্সনভুক্ত থাকলেও এখন উভয় জেনাসকে ভিন্ন মনে করা হয়। উল্লেখ্য যে,বারাপাসরাস টেগোরেই Barapasaurus জেনাসের একমাত্র স্পেসিস বা প্রজাতি। অর্থাৎ,প্রফেসর রবিনসন এবং প্রশান্তলাচন্দ্র মহলানবিশ কেবল একটি নতুন প্রজাতিই নয়,বরং একটি নতুন গণ বা জেনাস আবিষ্কার করেছিলেন!

অবশেষে সগৌরবে দাঁড়ালো এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনো-ফসিল.......


১৯৬২ সালে Nature জার্নালে প্রকাশের পর থেকে বারাপাসরাস টেগোরেই প্যালায়েন্টোলজিস্টদের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়। গোদাবরী উপত্যকায় যে ছয়টি বারাপাসরাসের ফসিল পাওয়া গিয়েছিল,তাদের মত সম্পূর্ণ ফসিল আবিষ্কারের ঘটনা এশিয়ায় বিরল। তখনো পর্যন্ত এশিয়ায় প্রাপ্ত কোন ডাইনোসরকে মাউন্ট করা সম্ভব হয় নি। উল্লেখ্য,ডাইনো-ফসিল মাউন্ট করা বলতে বোঝায় ডাইনোসরের উদ্ধারকৃত ভগ্ন ও বিচ্ছিন্ন অস্থিগুলোকে জোড়া লাগিয়ে পূর্ণাঙ্গ অবয়বটিকে দাঁড় করানো।

প্রফেসর লামেলা রবিনসন বারাপাসরাসের ফসিলটিকে আবিষ্কারের পরপরই মত দিয়েছিলেন,এটিই হতে পারে এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনো-ফসিল। কিন্তু একে মাউন্ট করার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় ছিল মাথার খুলিসহ দেহকঙ্কালের বেশ কিছু অংশ না পাওয়া।[৩] মিসিং অংশগুলোর সন্ধানে দক্ষিণ ভারতে অনুসন্ধানের পাশাপাশি অনুরূপ গোত্রের অন্য কোন সরোপডের অস্থি দ্বারা তা পূরণ করার জন্যও তোরজোড় চলে। ওদিকে চীনও নিজ দেশ থেকে পাওয়া ডাইনো-ফসিলগুলোকে মাউন্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। অবশেষে ১৯৭৭ সালে চীনকে টেক্কা দিয়ে রবি ঠাকুরের নামে নামকরণ করা ডাইনোসরটিকে মাউন্ট করা সম্ভব হয় এবং এটিই ছিল এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনোসরের ফসিল।

চতুর্থ আন্তর্জাতিক গডোয়ানা সিম্পোজিয়ামে ৬০ ফুট লম্বা,১৩ ফুট চওড়া এবং ২০টন ওজনের মাউন্টেড ফসিলটিকে প্রথম প্রদর্শন করা হয়। ১৯৯৫ সালে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বারাপাসরাসের একটি মডেল প্রদর্শন করা হয়। বর্তমানে কঙ্কালটি জিওলজিকাল স্টাডি ইউনিট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।

জেনে নেওয়া যাক সেই কৃতি বাঙালি বিজ্ঞানী সম্পর্কে.......



১৮৯৩ সালের ২৯ জুন কোলকাতায় প্রবোধচন্দ্র মহলানবিশ এবং নীরোদবাসিনী দেবীর প্রথম সন্তান প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্ম হয়। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ঢাকার বিক্রমপুরের পঞ্চসার গ্রামে। প্রশান্তের শিক্ষাজীবন শুরু হয় ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গুরুচরণ মহলানবিশ প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুলে। ১৯১২ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক বিএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান ইংল্যন্ডে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ থেকে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার সহ ‘ট্রাইপস’ পাশ করেন। দেশে ফিরে ১৯১৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজেই পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। রাশিবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহ থাকায় এখানেই কয়েক জনকে নিয়ে তিনি একটি স্ট্যাটিস্টিক্যাল ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করেন ১৯২০ সালে। আরো বড় পরিসরে গবেষণার সুযোগ তৈরির জন্য ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট।


কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে প্রখ্যাত এ স্কলারের ব্যক্তিগত পরিচয় এবং সখ্যতা বহুদিনের।তিনি রবি ঠাকুরকে গুরুদেব মানতেন। ১৯৪০ সালে বরাহনগরে একটি বাগান বাড়ি কিনলে রবি ঠাকুরের পায়ের ধূলো পড়ে এর প্রাঙ্গণে। রবি ঠাকুরই বাগান বাড়িটির নামকরণ করেছিলেন আম্রপালি। রানি মহলানবিশের সাথে বিবাহকালে তিনি গুরুদেবের স্বহস্তে লেখা একটি আশীর্বাদ বার্তাও পান।[৪]


প্রাচীন গন্ডোয়ানাল্যান্ডের ডাইনোসরদের ফসিল এখনো ভারতে মাটির তলায় রয়েছে-এ বিশ্বাস থেকেই তিনি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইউনিটের গবেষকদল নিয়ে দক্ষিণ ভারতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন। ওদিকে এশিয়ান ডাইনোসরের ফসিল উদ্ধারে চীনে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন লন্ডন ইউনিভার্সিটি কলেজের প্রফেসর লামেলা রবিনসন। কিন্তু প্রশান্ত মহলানবিশের অনুরোধে তিনি সিদ্ধান্ত বদলে ভারতে চলে আসেন এবং তেলেঙ্গানা-মহারাষ্ট্রের কোটা ফরমেশনে(Kota Formation) ডাইনো-ফসিলের অনুসন্ধান শুরু করেন। অবশেষে ১৯৫৮-১৯৬১সালে রচিত হয় ইতিহাস।

আমরা কতটুকু মূলায়ন করতে পেরেছি এ কৃতি বাঙালি এবং তাঁর আবিষ্কারকে?

২০ টনের ডাইনোফসিলটি পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের জিওলজিক্যাল স্টাডি ইউনিট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। তবে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত নয়।১৯৯৩ সালের ২৯ জুন বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জন্মশতবার্ষিকীতে তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউশনের নতুন মিউজিয়াম ও আর্কাইভ উদ্বোধন করেন এবং প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের নামে এর নামকরণ করা হয়।


অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে পুরো এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনোসর যার নাম রাখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে,কার্যত অবহেলাতেই পড়ে আছে ওপার বাংলার জাদুঘরটিতে। এ জাদুঘরের জন্য বাৎসরিক বরাদ্দ মাত্র ৩ লাখ রুপি! গত ২২ অক্টোবর ভারতীয় বনকর্মী পারভিন কাসওয়ানের বারাপাসরাস টেগোরেই নিয়ে করা একটা টুইট ভাইরাল হওয়াই প্রমাণ করে ঐতিহাসিক এ ফসিলটি নিয়ে আগ্রহ দূরে থাক,রবি ঠাকুরের নামে বাঙালি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত ডাইনো-ফসিল যে বাংলায় আছে সেটা অধিকাংশ বাঙালি বা ভারতীয় জানেনই না! বাঙালি বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশও কি বাঙালি জাতির কাছ থেকে প্রাপ্য মর্যাদা বা স্তুতি পেয়েছেন?

আবারো উল্লেখ করছি,এটি এশিয়ায় উদ্ধারকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডাইনো-ফসিল যাকে জোড়া দিয়ে মাউন্ট করা সম্ভব হয়েছে। ভাবুন তো,কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম জড়িয়ে আছে যে প্রাচীনতম সরোপডের সাথে,একজন বাঙালি বিজ্ঞানীর বহু বছরের সাধনা মিশে আছে যে অতিকায় ফসিলের সাথে,তা কি বাঙালির গৌরবের উপাদান হবার দাবি রাখে না?

তথ্যসূত্র:
১)Osteology of Barapasaurus tagorei (Dinosauria: Sauropoda) from the Early Jurassic of India
২)Barapasaurus-Wikipedia
৩)India’s invaluable dinosaur fossils lie neglected and forgotten in this Kolkata museum
৪)কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের নামে ডাইনোসরের কঙ্কাল!
৫)রবি ঠাকুরের নামে আছে জুরাসিক যুগের ডাইনোসর, জানতেন?
ছবিসূত্র:গুগল
.......................................................................................................................................................................
.......................................................................................................................................................................

পারভিন কাসওয়ানের টুইটটি ভাইরাল হবার পর আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কয়েকটি পত্রিকায় এ নিয়ে লেখালেখি হলেও খুব বেশি বিস্তারিত বিবরণ বাংলায় নেই বললেই চলে। তাই ইংরেজি নিবন্ধ ও প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করতে হয়েছে। কাজেই কিছু ইংরেজি টার্মের কিম্ভূতকিমাকার পারিভাষিক রূপ ব্যবহার করে থাকলে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার এবং পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করার অনুরোধ রইল। সেই সাথে উইকিপিডিয়ায় লেখার অনুমতি বা অভিজ্ঞতা আছে এমন কেউ সামুতে থেকে থাকলে,তথ্যসূত্রে দেওয়া উইকিপিডিয়ার ইংরেজি আর্টিকেলটিকে বাংলায় অনুবাদ করে উইকিপিডিয়ায় প্রকাশের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। রবি ঠাকুরের নামে যে ডাইনোসর উইকিপিডিয়ায় তারই বিবরণ ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় থাকলেও বাংলাতেই যে নেই!!!

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো লাগলো।
বারাপাসরাস যে আমাদের হাতের কাছেই ছিল! জানতেই পারিনি! ;)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম!

তবে বাংলায় বা এর আশেপাশে কোন ডাইনোসর ছিল কি না,তা নিয়ে কিন্তু খুব একটা গবেষণা হয় না কিংবা গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে হয়তো মনে করা হয় না। কারণ এদেশের অধিকাংশ অঞ্চলই ডাইনোসরদের যুগের বহু পরে গঠিত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিশাল ব্যাপার স্যাপার!

একদমই অজানা ছিল।
দারুন ঘটনা। অথচ এতটা আড়ালে!!!

বিজ্ঞানীর প্রতি অন্তহীন শ্রদ্ধা। আপনাকেও ধন্যবাদ অজানাকে জানানোয়।

+++++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে!

গত অক্টোবরে বনকর্মী পারভিন কাসওয়ানের টুইটের পর এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জানি না কেন তার আগে এত বড় একটা বিষয় স্পট লাইটে আসে নি। অথচ ১৯৭৭ সালে কিন্তু বেশ ঘটা করে এটির মাউন্টেড স্ট্রাকচার উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বা গণমাধ্যম ততটা উন্নত না থাকায় এ নিয়ে খুব বেশি শোরগোল হয়নি। আর সময়ের স্রোতে......

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪০

ইসিয়াক বলেছেন: অজানা অনেক কিছু জানা হলো প্রিয় ছোট ভাইয়া।
শুভকামনা ও শুভেচ্ছা রইলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা,ভাইয়া! প্রত্যুত্তরে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।
ভালো থাকুন।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আহ অসাধারন। একদম নতুন একটা বিষয় সবার সামনে এত সুন্দরভাবে হাজির করা সোজা ব্যাপার না। ইউ ডিড ইট। ক্ল্যাসিক। শুধুমাত্র বাঙ্গালী নাম দেখেই এত অবহেলা আমার ধারনা, তবে সে দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে, আমরা নিজেদের মর্যদা রেখে নিজেদের সন্মান দিতে পারি না। এই জিনিসের নামই যদি অন্য কোন প্রদেশের নামী কারো নামে হত দেখতা তাকে নিয়ে লেখালেখি করে একটা আন্তর্জাতিক ফ্লেভার দিয়ে ফেলত। বাংলাদেশে তো এ বিষয়ে কোন উল্লেখ্যই নেই, অথচ দেখ আমি নিজে জিওলজি ব্যাকগ্রাউন্ডের যেখানে হিষ্টোরিক্যাল জিওলজি এবং প্যালেওন্টোলজির পার্ট পড়ানো হত। কিন্তু আমিও জানি না। দুঃখ জনক।

যাই হোক তোমাকে নিয়ে বলার কিছু নেই, তবে আরো বেশি লিখলে তোমারো যেমন লাভ আমাদের মত পাঠকেরও লাভ। পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম রূপম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সালাম জানবেন,গুরুজি!
আসলে ইউরোপীয় মিডিয়া এ আবিষ্কারের মূল কৃতিত্ব দেয় প্রফেসর লামেলা রবিনসনকে। অথচ উনি ছিলেন গবেষণাদলের একজন অতিথি সদস্য। পুরো পরিশ্রমই প্রশান্তচন্দ্রের দল করেছে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার সে সময়ে ভারতের জনগণ বা সরকার এ নিয়ে খুব বেশি সচেতন ছিল না। এমনকি ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটও কার্য়ত প্রশান্তলাল মহলানবিশের একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশরা ভারতে ডাইনোসর নিয়ে অনেক গবেষণা করে গেলেও বিজ্ঞানী প্রশান্তচন্দ্রই স্বাধীন ভারতে প্যালায়েন্টোলজির পথিকৃৎ। অথচ প্যালায়েন্টোলজি নিয়ে ওনার কোন আনুষ্ঠানিক কোন ডিগ্রি নেই।
রবি ঠাকুরের মত গুণী মানুষ যদিও জীবদ্দশায় ওনার কীর্তি দেখে যেতে পারেন নি, কিন্তু ঠিকই ওনার মূল্য বুঝতেন। অথচ আমাদের কাছে ওনার মত একজন বড় মাপের বিজ্ঞানী অনাদৃত! হয়তো বাঙালি দেখেই!
আপনার প্রতি ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছোট করতে চাই না! খুব খুব ভালো থাকুন!

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার এবং আননোন একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। সত্যিই একজন বাঙালি বিজ্ঞানী এহেনো কৃতিত্ব অকল্পনীয় যা নিঃসন্দেহে আমাদের গর্বের। আর কবিগুরুর নামে ফসিল! বিষয়টি শুনেই যেন শিহরণ লাগছে। ভাগ্যিস খবরটি ভাইরাল হয়েছিল, নইলে আজও হয়তো জাদুঘরের কোন এক অন্ধকার কক্ষে অযত্নে অজ্ঞাত অবস্থায় পড়ে থাকতো।
পোস্টে ভালোলাগা++
শুভেচ্ছা প্রিয় রূপম ভাইকে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। আপনাদের হাতের নাগালেই তো আছে। কখনো প্রদর্শনী হলে ঘুরে আসবেন। কিন্তু এতটা গুরুত্বপূর্ণ একটা জাদুঘরের জন্য বার্ষিক মাত্র তিন লাখ রুপি পর্যাপ্ত না। হয়তো ভারত সরকার বিষয়টিকে আরো গুরুত্বের সাথে দেখবে।
মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। সালাম জানবেন। ভালো থাকুন।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কোলকাতাসহ ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে জাদুঘরে, উদ্ধারকৃত ডাইনো-ফসিলগুলো সংরক্ষিত আছে।
............................................................................................................................................
জাদুঘরে আমি ডাইনো-ফসিল বা ছবি দেখেছি, কিন্ত সেখানে
ভারতে পাওয়া গিয়েছে এমন তথ্য আমার চোখে পড়ে নাই,
কলকাতায় আবার গেলে , পূন: ঢু মারব ।
এমন তথ্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫২

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনি নিশ্চিত যে আপনি স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের জাদুঘরে গিয়েছেন?? বিভিন্ন তথ্যসূত্রে যেমনটা জানলাম,তাতে এ জাদুঘরটিতে বা এ ধরণের জাদুঘরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নেই। আপনি হয়তোবা 'ডাইনোসর পার্ক'এ গেছেন। ভারতে বেশ কয়েকটি ডাইনোসর পার্ক রয়েছে। কিন্তু সেগুলোতে দেশি ডাইনোসরের ফসিল আছে কি না তা জানি না। তথ্যসূত্রগুলোতে একবার ঘুরে আসতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: যতদুর মনেপড়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সূত্র ৩ দ্রষ্টব্য। ওটা জাদুঘরটির নিজস্ব লেখা। ওখানে জাদুঘরটি সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য আছে।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল মিউজিয়ামে দেশি ফসিল আছে কি না জানা নেই। ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:১৬

এমজেডএফ বলেছেন: রুপম, তোমার তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের নাম আগে শুনে থাকলেও তাঁর ডাইনো-ফসিল আবিষ্কারের গল্পটি জানা ছিল না। অনেক শ্রম ও সময় দিয়ে বাঙালির গৌরবান্বিত একটি ঘটনা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

সামান্য একটু বিভ্রান্ত! :|

অনুচ্ছেদ: অবশেষে সগৌরবে দাঁড়ালো এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনো-ফসিল
"১৯৯৫ সালে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে বারাপাসরাসের একটি মডেল প্রদর্শন করা হয়। বর্তমানে এটি কোলকাতার জিওলজিকাল স্টাডি ইউনিট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে।"

অনুচ্ছেদ: আমরা কতটুকু মূলায়ন করতে পেরেছি এ কৃতি বাঙালি এবং তাঁর আবিষ্কারকে
"২০ টনের ডাইনোফসিলটি পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের জিওলজিক্যাল স্টাডি ইউনিট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। তবে জনসাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত নয়।"

অর্থাৎ ডাইনোফসিলটি পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের জিওলজিক্যাল স্টাডি ইউনিট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে, কোলকাতার জাদুঘরে নয়। কোলকাতার জিওলজিকাল স্টাডি ইউনিট মিউজিয়ামে যেটি সংরক্ষিত আছে সেটি সম্ভবত বারাপাসরাসের একটি মডেল। তাহলে তোমার উল্লেখিত নিচের লাইনটি একটু পরিবর্তন করা দরকার।

"অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে পুরো এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনোসর যার নাম রাখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে,কার্যত অবহেলাতেই পড়ে আছে কোলকাতার জাদুঘরটিতে।"

"অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে পুরো এশিয়ার প্রথম মাউন্টেড ডাইনোসর যার নাম রাখা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে, সেই মাউন্টেড ডাইনোসরের মডেলটি কার্যত অবহেলাতেই পড়ে আছে কোলকাতার জাদুঘরটিতে।"

আধুনিক ভারতীয় রাশিবিজ্ঞানের জনক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের জীবনীতে নিচের তথ্যটি যোগ করে দিলে আমরা এপার বাংলার মানুষের গৌরবটা আরো একটু বাড়বে :) :
'আধুনিক ভারতীয় রাশিবিজ্ঞানের জনক প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ১৮৯৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার বিখ্যাত মহলানবিশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার বিক্রমপুরে পঞ্চসার গ্রামে ছিল মহলানবিশ পরিবারের আদি নিবাস।'
সূত্র: http://www.cosmicculture.science

অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: প্রথমত,বিবরণে অস্পষ্টতা থাকায় দুঃখ প্রকাশ করছি! ঠিক করে নিচ্ছি।
তথ্যসূত্রগুলো অনুযায়ী,ওপার বাংলায় ডামি মডেল নয়,আসল ফসিলটিই আছে। প্যারেডের মডেলটি ডামি ছিল। অসাবধানতার কারণে লাইনদুটোর মধ্যে সর্বনাম ব্যবহারে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল। ভুলটা শুধরে দেওয়ার জন্য অনেক কৃ্তজ্ঞতা।

আর আনন্দবাজারসহ অন্য বেশ কয়েকটি পত্রিকায় বরাহনগর ও কোলকাতার জাদুঘর যুগপৎ বলা হয়েছে(সূত্র ৪)। হয়তোবা বরাহনগর কোলকাতার উত্তর সীমান্তে বলেই! এ দুটো ভিন্ন জাদুঘর নয়,একই জাদুঘর। তবে ১৯৯৩ সালে এর সাথে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ মেমোরিয়াল শব্দটি যোগ হয়েছে।

প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। তবে রাশিবিজ্ঞান নিয়ে তার প্রবল আগ্রহ ছিল(সেটা উল্লেখ করেছি)। পরবর্তীতে প্যালায়েন্টোলজি নিয়েও উনি আগ্রহী হন। সূত্র ৪এ এ সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন। কিন্তু প্রফেসর রবিনসনকে হাইলাইট করে প্রশান্তচন্দ্রের অবদানকে খাটো করে দেখা হয়।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য ও ভুলগুলো দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অশেষ কৃ্তজ্ঞতা! আশা করি বিভ্রান্তিগুলো দূর করতে পেরেছি। প্রয়োজনে পরে আবার এডিট করব। আর আরো কিছু তথ্যসূত্র যোগ করে দেব।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ! ভালো থাকুন।


৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকুন।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অবহেলা, অযতনে পড়ে আছে ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ।

আর আবিষ্কারক হারিয়ে গেছে বিস্মৃতির অতলে।

++++++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সালাম জানবেন।
হুম! এটাই পোস্টের সারকথা!

পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

নুরহোসেন নুর বলেছেন: দারুন একটা অজানা তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!

ভালো থাকুন।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন!!!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি!
পোস্টটি পড়েছেন জেনে অত্যন্ত প্রীত হলাম। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

সালাম জানবেন। ভালো থাকুন।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,




এতো কাছের হওয়া সত্ত্বেও আমার অজানা ছিলো পুরো বিষয়টি। ধন্যবাদ এ বিষয়টি জানিয়েছেন বলে।
অনেক প্রথিতযশা বাঙালীদের নিয়ে আসলেই আমাদের কোনও উচ্ছাস নেই, তাঁরা থেকে গেছেন (এক রবীন্দ্রনাথ ছাড়া) অনেকটা অবহেলা আর অনাদরে! এ লজ্জা আমাদেরই।
ইংরেজী টার্মগুলো কিম্ভুতকিমাকার হয়নি কিন্তু।
ব্লগার এমজেডএফ এর মন্তব্য ভালো লেগেছে।

লাইকড।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে আবারো স্বাগত জানাতে পেরে অত্যন্ত কৃতার্থবোধ করছি!
পাঠ,মন্তব্য এবং লাইকের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা!

আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। আমাদের গর্বের উপকরণের অভাব নেই। অল্প কয়েকজনের স্তুতি নিয়েই আমরা ব্যস্ত থাকি,তাই বহু বাঙালি প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছেন। জাতির মেধাবী এবং কীর্তিমান সন্তানদের বিশ্বমঞ্চে প্রমোট করার উদ্দীপনা দেখাই না,অতঃপর আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগি।

শ্রদ্ধেয় ব্লগার এমজেডএফ সাহেব সত্যিই আজকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। ওই দুটো লাইনের গড়বড় বড় রকমের একটা বিভ্রান্তির কারণ হতে পারত। তাছাড়া প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের আদি নিবাস যে এপার বাংলায়,এ তথ্যটাও খুব দরকারি ছিল। খুব ভালো লাগে যখন বুঝতে পারি কেউ একজন এতটা মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটাও পড়ছেন!

আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাকে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে মিথস্ক্রিয়াটা খুব গর্বের বিষয়।

খুব ভালো থাকুন।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো পোস্ট

অজানা বিষয় জানা গেলো
থ্যাংকু

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৪

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম(প্রথম কমেন্ট)!
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
কালকে ক্যামেরা নিতে ভুলেন না কিন্তু।
ভালো থাকুন।

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভালও লেগেছে। সূত্র উল্লেখ জায়গা মতো হয়েছে।
আর্কষনীয় লেখা তবে এবারও তুমি নিজের ভাষা বাদ দিয়ে কিছু কিছু (বিশেষ করে প্রথম দিকে) জায়গায় কৃত্রিম ভাষা ব্যবহার করেছ। নিজেই নিজের ভাষা ব্যবহার করো, কিছু দিন পরে এটাই তোমার লেখার স্ট্যাইল হয়ে যাবে।
তখন আর নতুন কিছু লিখতে বসলে ভাষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
শুভ কামনা রইল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সালাম জানবেন,পরম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। প্রত্যুত্তরে দেরীর জন্য অনেক দুঃখিত! পরীক্ষা ছিল।
আপনি একদম ঠিক সমস্যাটাই চিহ্নিত করেছেন।
খুলেই বলি....আসলে বাস্তব জীবনে বাস্তবিক 'আমি' একটা খুব বড় সমস্যায় ভুগি। আমি ছোটবেলা থেকেই খুব অস্বাভাবিক রকমের ইন্ট্রোভার্ট। সামাজিক যোগাযোগে আমার অনেক ডেফিসিয়েন্সি আছে,যেটার জন্য আমাকে অনেক ভুগতেও হয়েছে। আমি খুব স্বাভাবিক এবং সাধারণ কথা বলার সময়ও শব্দচয়নে খুব সমস্যায় পড়ি,গুছিয়ে বলতে পারি না। এমনও হয় যে বলতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি,আর কথা এগোতেও পারি না। অস্বাভাবিক কেতাবি শব্দের ব্যবহারের কারণে বন্ধুদের কাছে আগে হাসি-ঠাট্টার পাত্র হতে হতো। আমাকে কাউন্সেলিংও নিতে হয়েছে। এখন যদিও উন্নতি করেছি,তবু অনেক ঘাটতি রয়েই গেছে। আমাকে যিনি সামুতে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন,তিনিই বলেছিলেন যে ব্লগে লেখালেখি করলে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার জড়তা কিছুটা হলেও কাটবে আমার শব্দচয়নের দক্ষতাও বাড়বে।

আপনি যেমনটা বললেন,লেখার শুরুর অংশে কৃত্রিম শব্দের ব্যবহার বেশি হয়েছে-আমাকে কিন্তু লেখার শুরুর অংশটুকুতেই শব্দচয়নে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হয়েছে! কাজেই দুটো একই সূত্রে গাঁথা। আমাকে এ বিষয়টার উপর ফোকাস করতে হবে,কারণ এটাই সামুতে আমার একাউন্ট খুলবার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা যে আলাদাভাবে আপনি বিষয়টাকে ধরতে পেরেছেন। আশা করছি এক্ষেত্রে আপনার সার্বিক সহায়তা এবং পরামর্শ পাব।

আপনার প্রতি ইনফাইনিট ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!!!!!!

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

শিখা রহমান বলেছেন: বাহ!! খুব চমৎকার করে অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন। পরিশ্রমী ও তথ্যবহুল পোস্ট।

পোষ্টে ভালোলাগা ও মুগ্ধতা রইলো।
শুভকামনা নিরন্তর।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫০

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম!!
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকুন।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:১৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




গত১৯৯৭ সনে এক শিক্ষা সফরে ভারতের বিভিন্ন এলাকা সহ মহারাষ্ট্রের গোদাভারী নদী তীরে সিরঞ্চা জেলার পচমপল্লী গ্রামে গেলে ভারতীয় প্রটোকল অফিসার আমাদেরকে বলেছিলেন যে এখানে বাংগালী এক বিজ্ঞানী ডাইনোসরের সন্ধান পেয়েছেন । তিনি জানিয়েছিলেন এ গ্রামের বিস্তৃত এলাকা জুরে মাটির নীচে পাওয়া ডাইনোসরর এর প্রচুর হাড়গুড় জোড়া দিয়ে তৈরী ডাইনোসরের পুরা কঙ্কালটি কলিকাতার ইন্ডিয়ান স্যাটিসটিকেল ইনস্টিটিউটের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে । বাংগালী একজন বিজ্ঞানী ডাইনোসরের অক্ষত ফসিল ভারতীয় আঞ্চলে আবিস্কার করে সেগুলি জোড়া দিয়ে একটি পুর্ণ ডাইনোসরে রূপদান করেছেন শুনে তখন একজন বাংগালী হিসাবে খুবই গর্ব অনুভব করেছিলাম। পরে কলিকাতা যাওয়া হলেও সময় অভাবে এটা দেখা হয়ে উঠেনি । এর সাথে যে কবি গুরুর নাম জড়িত আছে তা কল্পনাও করতে পারিনি ।এখন আপনার এই পরিশ্রমলব্দ লেখাটি পাঠে অতি বিস্ময়ের সহিত ডাইনোসরটির আবিস্কারের কাহিণীসহ এর গঠণশৈলী ও আপার গন্ডোয়ানা গোদাভারী বেসিনে থাকা এধরনের প্রাণীদের জীবাস্মগুলির তথ্যপুর্ণ বিস্তারিত বিবরণও জানা হল।

এই বাংগালি বিজ্ঞানীর জন্মস্থান যে আমাদের ঢাকার বিক্রম পুরে তা জেনে অমাদের গর্ব আরো বেড়ে গেল । আমাদের
বিক্রমপুর যে ঐতিহাসিকভাবেই রত্নগর্ভা তা আরো একবার প্রমান হলো আপনার এই লেখাটি হতে । জগত বিখ্যাত আরেক বাংগালী বিজ্ঞানী জগদিসচন্ত্র বসুর জন্মস্থানও এই বিক্রমপুরে। শুধু কি তাই, হাজার বছর আগের আর একজন বিশ্ব বিখ্যাত বাংগালী পন্ডিত অতিশা দীপঙ্করের জন্মস্থানও বিক্রম পুরের বজ্রযোগীনী গ্রামে, যা এখন পন্ডিতের ভিটা নামে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে।

ডাইনোসরের জিবাস্ম আবিস্কারক ও সফলতার সাথে মাউন্টিংএর কৃতিত্বের অধিকারী বাংগালী এই বিজ্ঞানীর নাম ও তাঁর কির্তি আমাদের কাছে আজানা থাকলেও তিনি তাঁর অভাবনীয় সাফল্য লাভের পুর্বেই তার পান্ডিত্বের জন্য কবি গুরু রবিন্দ্রনাথের কাছে যে কতটুকু স্নেহধন্য হয়েছিলেন তা দেখা গেল তাঁর বিবাহ উপলক্ষে দেয়া রবিন্দ্রনাথের স্বহস্তে লিখিত ঐতিহাসিক উপহার লিপিটি দেখে।এই ঐতিহাসিক উপহার লিপিটি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্যও রইল ধন্যবাদ।

তাঁর বাড়ীর নাম আম্রপালী সে যে রবিন্দ্রনাথের দেয়া তা আগে জানা থাকলে তা আম্রপালীকে নিয়ে লেখা আমার পোষ্টে তুলে দিয়ে ধন্য হতাম।

বাংলা উইকিপিডিয়াতে লেখাটি তুলে দেয়ার লক্ষ্যে আপনার প্রস্তাবটি লক্ষ্য করেছি । আপনি বিষয়টি যেমন সহজবোধ্য বাংলা শব্দ ও ভাষা যোগে এখানে তুলে ধরেছেন তাতে প্রতিতি হচ্ছে যে এই কঠীন কাজটি আপনার দ্বারাই সুচারুভাবে সম্পন্ন হবে ।একটু চেষ্টা করলেই পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে আশা করি ।

মুল্যবান এই পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সালাম জানবেন। আমার পাতায় আপনাকে আবারও স্বাগত জানাতে পেরে ধন্য হলাম! আপনার মনোযোগী পাঠ এবং সুন্দর রিভিউ যেকোন ব্লগারের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি এবং অনুপ্রেরণার উৎস। আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা!!!

আপনার পচমপল্লী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে জেনে পুলকিত হলাম। সেখানে পুরো ২৭৬ বর্গমিটারের একটি বিস্তীর্ণ স্থান জুড়ে এই ফসিলগুলো পাওয়া যায়। মোট ৬ টি বারাপাসরাসের ৩০০ টি অস্থি সেখানে পাওয়া গিয়েছিল।

বিক্রমপুর থেকে এতজন গুণী মনীষীর ঊঠে আসা আমাদের জন্য সত্যিই খুব গর্বের। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের আদি নিবাস যে বিক্রমপুরে,এ তথ্যটি জানিয়ে ব্লগার এমজেডএফ সাহেব আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন।

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। বিজয়ের মাসে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আপনার প্রতি সশ্রদ্ধ স্যালুট। খুব খুব ভালো থাকুন!

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: রূপম রিজওয়ান,

ইন্টারমিডিয়েটে স্ট্যাটিস্টিক্স ক্লাসে প্রথম প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের নাম জেনেছিলাম । ভারতে স্ট্যাটিক্সের ব্যবহার ও প্রসারের জনকই তাকে বলা যায় । কিন্তু কোনো ডায়নোসর আবিষ্কারের সাথে তার নাম জড়িয়ে আছে সেটা কখনই জানতাম না । তার সম্পর্কে আরেকটু জানা হলো। এই ডায়নোসরের নামে তার নাম থাকলেই বেশি ভালো হতো মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ে ।

একটু অফ টপিক তবুও বলি স্কুল থেকেই আমার ডায়নোসরের ব্যাপারে খুব ঝোক হলো স্যার আর্থার কোনান দোয়েলের বই পড়ে আর বাংলাদেশের লেখকদের মধ্যে দ্বিজেন শর্মার ডায়নোসরদের নিয়ে লেখা থেকে । সেই স্কুলে থাকতে কি যে আগ্রহ করে পড়তাম তখন ! স্কুল দিনের অনেক পরে আমি যখন আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়া স্টেটের পিটসবার্গে এলাম মাস্টার্স পড়তে তখন আমার স্কুল আর বাসার মধ্যেখানে ছিল সারা পৃথিবীরই অন্যতম সেরা ডায়নোসরের মিউজিয়াম-কার্নেগি মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরি। তাদের কালেকশনে মনে হয় পৃথিবীর যে কোনো মিউজিয়ামের চেয়ে বেশি সম্পূর্ণ ডাইনোসরের সবচেয়ে বেশি ফসিল আছে। বায়োলজিস্ট, বায়োকেমিস্টদের সহায়তা নিয়ে একেবারে সত্যিকারের ডায়নোসরের মতো মিউজিয়ামের রিপ্লিকাগুলো দেখাবার মতো ! আপনার লেখা পড়ে অনেক দিন আগের অনেক স্মৃতি মনে হলো কার্নেগি মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরির । লেখা ভালো হয়েছে খুব ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার ব্লগবাড়িতে সংসদীয় অধিবেশনে বিরতি দিয়ে এসে আমার পোস্টখানা পড়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ!!

মজার বিষয় কি জানেন, প্যালেওন্টোলজি নিয়ে বিদেশী সাইটগুলোর বেশিরভাগে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের নামোল্লেখ পর্যন্ত নেই। সেখানে পুরো কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে প্রফেসর রবিনসন এবং তার টিমকে। টিম বলা হয়েছে 'জিওলজিকাল স্টাডি ইউনিট'কে। সুনিপুণভাবে শুরুতে 'ইন্ডিয়ান' শব্দটাও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সেই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের নাম তো দূরের কথা। এটা ঠিক যে ফসিল উদ্ধার এবং মাউন্টিং এর কাজ আরম্ভে প্রফেসর রবিনসনের ভূমিকা অসামান্য,প্রফেশনাল প্যালেওন্টোলজিস্ট হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উনিই পেয়েছেন। কিন্তু ইউনিট লিডার এবং অনুসন্ধান কাজের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে পি. মহলানবিশের অগ্রণী ভূমিকাকেও স্বীকার করতে হবে।

যাহোক,আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ পদধুলি দেবার জন্য। আপনার লেখা বই প্রকাশের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।
ভালো থাকুন।

১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট। সুন্দর।

কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ আমার প্রিয় কবি ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম!
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ!
ভালো থাকুন।

২০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জুন বলেছেন: রূপম অনেক বড় লেখা তাই মন দিয়ে সময় নিয়ে পড়তে হবে। প্লাস ও প্রিয়তে রাখলাম। আর হ্যা ডঃ এম এ আলী ভাই এর মন্তব্যে দেখলাম (আগেও জানতাম) বহু বিখ্যাত ব্যাক্তির জন্ম আমাদের বিক্রমপুরে। আবার আসবো।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আমার পাতায় স্বাগতম!!!!
আসলে উপাত্তনির্ভর পোস্ট কি না,তাই লিখতে লিখতে অনেক বড় হয়ে গেছে।
জ্বি,সত্যিই এটি আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয় যে বিক্রমপুর থেকে এতজন বিখ্যাত মনীষী উঠে এসেছেন।

মন্তব্য ও অনুপ্রেরণার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! আমার পাতায় সর্বদাই স্বাগতম। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.