![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের প্রায় ৪০ বছর পর স্বাধীনতার বিরোধীতা করে যারা পাকিস্তান সরকারকে সাহায্য-সহযোগীতা করা অবস্থায় পাইকারি হারে খুন, হত্যা, ধর্ষণ ইত্যাদিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেছে বা নিজে করেছে বা প্ররোচিত করেছে, তাদেরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এ পর্যন্ত চার জনের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-২ গত ২১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে একজন পলাতক আসামী আবুল কালাম আজাদকে তার অনুপস্থিতিতে (প্রকৃতপক্ষে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন) মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছে। ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে অভিযুক্ত কাদের মোল্লাকে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছে এবং গত ১৫ জুলাই ২০১৩ তারিখে ৯০ বছর যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে অভিযুক্ত গোলাম আযমকে। মানবতাবিরোধী অপরাধে আরো কয়েকজন আটক আছে এবং তাদের বিচার চলমান রয়েছে। যে আইনে এইসব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে সে আইনের নাম আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রা্ইবুনাল) আইন ১৯৭৩। বর্তমান সরকারের সুচিন্তিত মনোভাব ও অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গঠিত বিচার বিভাগীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রা্ইবুনালের বিচার কার্য সম্পদনায় দ্রুততা এবং স্বচ্ছতা বাংলার আনাচে কানাচে, ঘরে ঘরে, মানুষের চায়ের কাপে,অফিস-আদালতে, শিল্প-কারখানায়, রাস্তা-ঘাটে প্রশংসার ঝড় তুলেছে যা বাংলার মাটিতে এক বিরল ইতিহাসের সৃষ্টি করে চলেছে ।
©somewhere in net ltd.