![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশব্যাপী টানা চারদিন ধরে চলছে হরতাল। হরতালেই পার হলো সপ্তাহ। রমজানে এমন টানা হরতালে নাভিশ্বাস অবস্থা জনজীবনে। একদিকে রোজাদার মানুষের ভোগান্তি। অন্যদিকে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস। বিপর্যয় নেমে এসেছে ঈদের বাজারেও। ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন। তারা আইন করে হরতাল বন্ধের দাবি তুলেছেন। এ যাবৎকালে রমজান মাসে টানা হরতালের ঘটনাও বিরল। এদিকে চারদিন হরতাল থাকায় নিত্যপণ্যের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। রমজানে এমনিতে বাজার চড়া। এর ওপর আবার বাড়তি দাম বেকায়দায় ফেলেছে ক্রেতাদের। হরতালের কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে-খাওয়া মানুষ। হরতালের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ঈদ বাজারে। ব্যবসায়ীদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। এছাড়া, যানবাহন সঙ্কটে রাজধানীর কর্মজীবী মানুষদের প্রতিদিনই পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের রায়ের দিন সোমবার হরতালের ডাক দেয় দলটি। ৯০ বছরের সাজার রায় ঘিরে পরের দিনও পাল্টাপাল্টি হরতাল আহ্বান করে জামায়াত ও গণজাগরণ মঞ্চ। বুধবার জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রায়ের দিন ধার্য ছিল। এদিনও হরতাল ডাকে জামায়াত। গতকাল তার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর আবারও হরতাল ডাকে জামায়াত। আজকের হরতালের মধ্য দিয়ে টানা চার দিন হরতাল পালিত হচ্ছে। চার দিনের হরতাল এবং শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটির ফলে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকবে অনেক প্রতিষ্ঠান। ঈদকে সামনে রেখে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। হরতালের কারণে তারা সর্বস্ব হারাতে বসেছেন। এর আগে গত বৈশাখে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে টানা হরতালের কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এই রমজানে যাতে আর কোন হরতাল না হয়। দিনের পর দিন হরতাল চলতে থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। সে জন্য আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ করতে হবে।
©somewhere in net ltd.