![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, অতি শত্রুও সে কথা মানবে। দেশের প্রবৃদ্ধি ঈর্ষাজনক, মোট জাতীয় উৎপাদন আগের সব সীমা অতিক্রম করে গেছে, বৈদেশিক বাণিজ্য খাতে ঘাটতি কাটিয়ে এখন বাংলাদেশ বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তের পথে। মোট বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয়ের পরিমাণও আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দেশের মানুষ ভোট দিতে যাওয়ার সময় এসব অর্জনের কথা মনে রাখবে, আশা করি। আওয়ামী সরকারের কাছ থেকে দেশ অনেক কিছুই আশা করে যা আগের বিএনপি সরকারের কাছ থেকে কখনো আশা করা যায়নি। যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংরক্ষণ ও একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিচার। দেশের এক উল্লেখযোগ্য অংশের মানুষের কাছে ঘাতক-দালালদের বিচারের ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ। বিরোধী জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামী, যার প্রথম সারির অধিকাংশ নেতা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ও কেউ কেউ দোষী হিসেবে প্রমাণিত। বর্তমান আওয়ামী সরকারের সঙ্গে বিগত সরকারের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফারাক রয়েছে। পাঁচ-সাত বছর আগে বাংলাদেশকে ‘আরেক আফগানিস্তান’ ভাবা হচ্ছিল। বিগত সরকারের সমর্থনে সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশে আসন গেড়ে বসেছে। এর কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের। চলতি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি হয়েছে। শুধু আইন প্রণয়ন নয়, আইনের বাস্তবায়নেও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এসেছে। দারিদ্র্য কমার সঙ্গে সঙ্গে শিশুমৃত্যু কমেছে, প্রসূতিমৃত্যু কমেছে, নারীশিক্ষা বেড়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, কর্মক্ষেত্রে নারীর অবস্থান এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। ১৮ দলীয় জোটের অলিখিত অন্যতম শরিক হেফাজতে ইসলামের নেতারা নারী অধিকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রকাশ্যে যুদ্ধে নেমেছেন। আগামী নির্বাচনে বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে আরও একটি বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তখন দেশে আবার শুরু হবে চাদাবাজি,টেন্ডারবাজি, খুন, গুম ইত্যাদি। যাঁরা আগামীবার নতুন সরকার নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন, তাঁদের আগেভাগে এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার অনুরোধ করি।
©somewhere in net ltd.