![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে সৌদি আরবে কয়েক লাখ দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকসহ ডাক্তার, প্রকৌশলী, কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, নার্স এবং বহু পেশার বাংলাদেশী কাজ করছেন। তাদের প্রতি সৌদি সরকারের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ থাকায় সৌদি স্পীকারের কাছে এ দেশের গার্মেন্টস সেক্টরসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক খাতে বিনিয়োগের অনুরোধও করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা আকামা চালু, আধা দক্ষ ও দক্ষ শ্রমিক নেয়া, গৃহকর্মী নেয়া, শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ, বেতন ও বীমা, জনশক্তি বিষয়ে যৌথ কমিটি গঠন, শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া এবং জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বর্তমানে সৌদি আরবে ২৫ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। এদের মধ্যে অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। তাই সরকার দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর পাশাপাশি অদক্ষ শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। জানুয়ারিতে সৌদি সুরা কাউন্সিলের স্পীকার ড. ইব্রাহীম আবদুল্লাহ বিন মোহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আল শেখ বাংলাদেশ সফর এসে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছিলেন, সৌদি সরকার এ দেশ থেকে জনশক্তি আমদানি বন্ধ করেনি। কেবল একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। এখন থেকে বাংলাদেশ নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সৌদিতে জনশক্তি রফতানি করে শ্রমবাজার আরও সম্প্রসারিত করতে পারবে। বাংলাদেশের কর্মীদের অপরাধের রেকর্ড সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে নতুন করে জনশক্তি নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সৌদি সরকার। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েই সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খোন্দকার মোশাররফ হোসেন গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৩২ হাজার টাকায় শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের এ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.