![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কক্সবাজারের উখিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মরণকালের বিশাল জনসভা হেফাজত-জামায়াত-বিএনপির ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত আর হেফাজতীদের দিয়ে জামায়াত-বিএনপি আগামীতে আওয়ামী লীগকে বেকাদায় ফেলার কৌশলে উল্টো ফাঁদে পড়েছে। বৌদ্ধরা দারুণ খুশি বিহারের আধুনিকায়নে। জনসভায় হাজার হাজার নারী জাগরণের পাশাপাশি ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ ও মাদ্রাসার হুজুরদের অংশগ্রহণ হেফাজতীদের ঘাঁটিতে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার জন্ম নিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে কক্সবাজারে বেশ কিছু বড় প্রকল্প ও ১৯ বৌদ্ধবিহার পুনর্নির্মাণ করে সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র ২ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত সীমান্তবর্তী দুর্গম উখিয়ায় আওয়ামী লীগের জনসভায় বহু মানুষের অংশগ্রহণের সঙ্গে রামুতে ১৯টি দেশের কূটনৈতিকদের সমাবেশ ঘটানো হয়। শেখ হাসিনার এ সফলতায় বিএনপি-জামায়াত কূটনৈতিক মার খাওয়ার উপক্রম। গত বছর বৌদ্ধবিহারে তান্ডব চালানোর দায় আওয়ামী লীগের কাঁধে তুলে দিয়ে বিএনপি দেশে-বিদেশে কূটনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। কিন্তু শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও দ্রুত পদক্ষেপ বিরোধী দলের এ চক্রান্ত অনেকটা ভেস্তে যায়। জামায়াত-হেফাজতের ঘাঁটি হিসেবে এতদিন পরিচিত ছিল চকরিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলা ও দ্বীপাঞ্চল। পাশের দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তৎপরতা ছিল উখিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ি ঘিরে। জামায়াত-হেফাজতীদের ছত্রছায়ায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়ার কার্যক্রমও ছিল। প্রায় দেড় হাজার মাদ্রাসা ও এতিমখানা দেশী-বিদেশী অর্থ সহায়তায় পরিচালনা করে জামায়াত ও হেফাজতীরা দেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী পর্যটন জেলাটিকে কব্জা করে রাখে। নানাভাবে তারা সাধারণ মানুষ ও নারীদের মধ্যে ধর্মান্ধতাকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টাও চালায়। কিন্তু সে খোলসে ধরে রাখতে পারেনি ধর্মান্ধ চক্রটি। এর প্রমাণ ছিল উখিয়া হাইস্কুল মাঠে মঙ্গলবার স্মরণকালের সর্ববৃহৎ নারীদের মহাসমাবেশ ঘটিয়ে। এখানকার ধর্মভীরু নারীরা খোলস ছেড়ে বের হয়ে হেফাজতীদের যেন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। নারীদের অংশগ্রহণ হেফাজতীরা খুব ভালভাবে নিচ্ছে না। নারী ও মাদ্রাসা হুজুরদের ব্যাপক অংশগ্রহণ কক্সবাজারে এখন টপ অব দ্য টাউন। শহরজুড়ে সাধারণদের প্রতিক্রিয়া ছিল জামায়াত-হেফাজতীদের অপপ্রচার সামনে ম্লান হয়ে যাবে। কক্সবাজারের প্রতি শেখ হাসিনার আন্তরিকতার প্রমাণ ইতোমধ্যে তিনি নিজেই দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.