![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপীল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে একাত্তরের ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের নামে জঙ্গীরূপ নিয়ে দেশজুড়ে নাশকতা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। দুই দিনের হরতালের পর বিক্ষোভের নামে আরও ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়ে সোমবার পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষকরে পুলিশের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে উগ্রবাদী এ সংগঠনের ক্যাডাররা। বোমা হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে গাড়িতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারির পরও পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে একযোগে হামলা চালিয়েছে দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এ দলটি। হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ পুলিশ। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও জামায়াত-শিবির নাশকতা চালিয়েছে ফেনী, রাজশাহী, সিলেট, ফরিদপুর, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। বোমা হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে অসংখ্য গাড়িতে। গাইবান্ধায় কুপিয়ে আহত করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে। তার অবস্থা আশঙ্কাকাজনক। এর আগে কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ প্রত্যাখ্যান করে বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় জামায়াত। মঙ্গলবার রায়ের পরই দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় জামায়াত-শিবিরের তান্ডব। ওই দিনেই রাজধানীতে শিবিরের ককটেলে ঝলসে যায় অটোরিক্সাচালক। ঘটনায় আহত হয় অর্ধশতাধিক। বুধবার হরতালের প্রথম দিন গুলিবর্ষণ, হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ তান্ডব চালানো হয়। পুলিশ ফাঁড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ, পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে রাস্তা অবরোধ করে গাড়িতে হামলা চালানো হয়। নোয়াখালীতে তাদের হামলায় নিহত হন এক সিএনজি চালক। চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণসহ ব্যাপক তান্ডব চালায় জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা। সাতক্ষীরায় মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা ১০-১৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ধর্মের দোহাই দিয়ে যারা এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়ায় তাদের দিয়ে কখনও দেশের কল্যাণ হতে পারে না।
©somewhere in net ltd.