![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময়ের মঙ্গাপীড়িত রংপুর অঞ্চলের মঙ্গা এখন ভুলে যাওয়া এক শব্দ। বর্তমান সরকারের আমলে গত প্রায় ৫ বছরে পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। জীবনযুদ্ধ করে টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে মঙ্গা রোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ গুলো বেশ কাজে দিয়েছে। তাই মুছে গেছে মঙ্গা, হারিয়ে গেছে মঙ্গা। মঙ্গার কথা কারও মুখে এখন আর শোনা যায় না। বর্তমানে বৃহত্তর রংপুরের ৫ জেলায় সে অভিশপ্ত মঙ্গা আর নেই। এক সময় এখানে আশ্বিন থেকেই শুরু হয়ে যেত অভাব। থাকত অগ্রহায়ণের শুরু পর্যন্ত। এই আকালকে রংপুরে স্থানীয় ভাষায় বলা হতো মঙ্গা। প্রতিবছরই এ অঞ্চলে মঙ্গার কবলে পড়ে মানুষ কচু-ঘেঁচু খেয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করত। এসব অখাদ্য খেয়ে অনেকেই পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হতো। অনাহারে থেকে ও অখাদ্য খেয়ে প্রতিবছরই আশ্বিন-কার্তিকে কিছু না কিছু মানুষ মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ত। এসব খবর ছাপা হতো পত্রিকায়। তখন সরকার তা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নানা অপচেষ্টা চালাত। অপরদিকে বর্তমান সরকার কষ্ট করে ধামাচাপা না দিয়ে কৌশলে তা মোকাবেলা করেছেন। দেশে অতি দরিদ্রদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বৃহত্তর রংপুরের মানুষদের কর্মসংস্থান ও চাষাবাদে সাফল্য বিরাট ভূমিকা রাখছে। বর্তমান সরকারের আমলে অতিদরিদ্রের হার শতকরা ৪০ থেকে প্রায় ২০ ভাগে নেমে এসেছে। ভারতে যা এখন শতকরা ৪০ ভাগ। সাধারণ মানুষজন বলছেন বর্তমান সরকারের গত প্রায় ৫ বছরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচীর সঙ্গে দারিদ্র্য-বিমোচন কর্মসূচী অভাবী মানুষজনকে অভাব তাড়ানোর পথ দেখিয়ে দিয়েছে। সরকারের এসব কর্মসূচী বাস্তবে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। যার সুখ ভোগ করছে এক সময়ের অভাবী পরিবারগুলো। বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে দারিদ্র্য দূরীকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ, চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল ও সবজির আবাদ করা, বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, ঘরে ঘরে কারুপণ্য গড়ে উঠা ইত্যাদি কারণে ক্রমশ মানুষের আয়-রোজগার বাড়তে থাকে। গত কয়েক বছর যাবৎ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করায় মানুষের হাতে টাকা-পয়সা থাকছে। না খেয়ে থাকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে না। এ অবস্থায় দারিদ্র্য নিরসনে দেশের অগ্রগতি ভাল অবস্থানেই রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
©somewhere in net ltd.