![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৮ দলীয় জোটের উদ্যোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষেতলাল উপজেলা সদরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সংগ্রাম কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জয়পুরহাট-২ আসনের সাংসদ গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগ এবং গোলাম মোস্তফার ভাড়ায় নেয়া কারে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ। এ সময় অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। অফিসের চেয়ার টেবিল তছনছ করা হয়। আহতদের মধ্যে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ক্ষেতলাল পৌরসভার প্যানেল মেয়র তৈবর রহমান, বিএনপি নেতা মাহবুব হোসেন, মাসুম, শাহীদসহ ১৫জন নেতাকর্মী রয়েছে। ঘটনাস্থলে জয়পুরহাট থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গিয়ে আগুন নেভায়। দলীয় কার্যালয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সংগ্রাম কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা সভা করছিলেন। সভায় তিনি তাঁর পক্ষের লোকজন নিয়ে সংগ্রাম কমিটি গঠন করছিলেন। এর প্রেক্ষিতে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আব্দুল মান্নান এর বিরোধিতা করেন। এরই মাঝে ২ জনের মধ্যেই বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এ সময় গোলাম মোস্তফা আহত হন। একপর্যায়ে অফিসের বাহিরে থাকা সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার ভাড়ায় নেয়া একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা। ঘটনার সময় অফিস এবং অফিসের বাহিরে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। দেশ পরিচালনার দায়িত্বে/ক্ষমতায় বিএনপি নেই অথচ তাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে যে লড়াই দেখালো ক্ষমতায় গেলে এদের চরিত্র কেমন হবে তা জনগণের কাছে উন্মুক্ত হয়ে গেল। ক্ষমতার দিবা স্বপ্নে যারা আহত করছে নিজ দলের নেতাকর্মীদের, ক্ষমতা পেলে কি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
©somewhere in net ltd.